শ্রদ্ধাঞ্জলি-স্মৃতিতে জাগরূক তিনি by মাহবুবুল হক
মৃত্যু জীবনের অনিবার্য পরিণতি। কিন্তু কোনো কোনো মৃত্যুকে আমরা কিছুতেই মেনে নিতে পারি না। আমরা দুঃখ পাই, কষ্ট পাই। অভাবনীয় ও অপ্রত্যাশিত মৃত্যুর ওপর জমে ওঠে প্রচণ্ড ক্ষোভ। গত বছরের ২৯ জুন আকস্মিক ও অপ্রত্যাশিত মৃত্যুকে বরণ করে নিয়েছিলেন আমার শিক্ষক অধ্যাপক জাহাঙ্গীর তারেক।
শোক ও বেদনায় আমরা তখন হয়ে পড়েছিলাম নির্বাক।
আমরা চট্টগ্রাম কলেজের বাংলা সম্মান শ্রেণীর ছাত্ররা, জাহাঙ্গীর তারেককে শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলাম ১৯৬০-এর দশকের দ্বিতীয় অর্ধে। তখন তিনি ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ থেকে এসে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে শিক্ষকতায় যোগ দিয়েছেন। জাহাঙ্গীর তারেক স্যার আমাদের ইডিপাস পড়াতেন। গ্রিক নাট্যকার সফোক্লিসের এই নাটকের বাংলা অনুবাদ করেছিলেন সৈয়দ আলী আহসান। জাহাঙ্গীর তারেক স্যার নাটক পড়াতেন খুব ভালো। বিশেষ করে ইংরেজিতে তাঁর দক্ষতা ছিল অসাধারণ। সেটা বোঝা যেত ইংরেজি অনুবাদের সঙ্গে মিলিয়ে তিনি যখন নাটকটির তুলনামূলক বিচার করতেন এবং বাংলা অনুবাদের সার্থকতা বিচার করতেন।
সে সময় আমরা শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলাম আলাউদ্দিন আল আজাদ, আবদার রশীদ, হাসনা বেগম, মনিরুজ্জামান, আবু তাহের, মমতাজউদ্দীন আহমদ, আ ফ ম সিরাজউদদৌলা চৌধুরী প্রমুখ বরেণ্য শিক্ষককে। তাঁরা সবাই ছিলেন অত্যন্ত ছাত্রবৎসল। সবচেয়ে বড় কথা, সেই আইয়ুব শাহির মুসলিম লিগের দোর্দণ্ড দাপটের দিনগুলোতে এসব মহান শিক্ষকের প্রণোদনায় চট্টগ্রাম কলেজের বাংলা বিভাগকে কেন্দ্র করে বাঙালি সংস্কৃতিচর্চার জোয়ার উঠেছিল। জাহাঙ্গীর তারেক স্যার ছিলেন স্বভাবতই অনেকটা আত্মমুখী, অধ্যয়নপ্রিয় ও গবেষণাব্রতী। তবু সেই দিনগুলোতে তিনি ছিলেন যথেষ্ট সক্রিয়। ১৯৬৭ সালে আমার সম্পাদনায় চট্টগ্রাম কলেজ বার্ষিকী অন্বেষা প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে তিনি বেশ কয়েকটা লিমেরিক লিখেছিলেন। লিমেরিকগুলোর থিম অনুসারে চমৎকার সব ছবিও এঁকেছিলেন তিনি।
এরপর তিনি যোগ দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৭৯-এর দিকে তিনি বিভাগীয় প্রধান। কিন্তু সেই দায়িত্ব পালনে তিনি খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেননি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের রক্ষণশীল মনোভাবেও হয়েছিলেন যথেষ্ট পীড়িত। তাই ১৯৮০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে। তখন থেকে আমৃত্যু তিনি এখানে অধ্যাপনা করেছেন। এ ইনস্টিটিউট তাঁর বহুমুখী কাজ ও অবদানে নিরন্তর সমৃদ্ধ হয়েছে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক পদে দায়িত্বরত ছিলেন। বিশ্বের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
জাহাঙ্গীর তারেক স্যার ছাত্রজীবনে ছিলেন কৃতী ছাত্র। ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে প্রথম শ্রেণীতে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭১ সালে ফ্রান্সের প্যারির সরবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফরাসি ভাষায় এবং ১৯৭৩ সালে প্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ছিল প্রথম শ্রেণী। ১৯৭৬ সালে সরবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি তুলনামূলক সাহিত্যে ডি লিট ডিগ্রি অর্জন করেন। বিদেশি ভাষা শেখায় ছিল তাঁর অসীম আগ্রহ। কর্মজীবনে অধ্যাপনার পাশাপাশি নেশা ছিল বিদেশি ভাষা শেখার। সব মিলিয়ে তিনি ১৪টি ভাষায় পারদর্শিতা অর্জন করেন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি প্যারি ও লন্ডনে ছিলেন। তখন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টিতে ছিলেন সক্রিয়।
জাহাঙ্গীর তারেক শিক্ষকতার পাশাপাশি অবদান রেখেছেন প্রবন্ধ রচনা ও গবেষণায়। প্রতীকবাদী সাহিত্য (১৯৮৮), শব্দার্থবিজ্ঞানের ভূমিকা (১৯৯৭) ইত্যাদি গ্রন্থ তারই ফসল। তিনি ছিলেন অনুবাদেও সিদ্ধহস্ত। তাঁর অনুবাদ গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে: সামাজিক সঙ্কটে বিজ্ঞানের ভূমিকা (১৯৬৭), শব্দার্থবিজ্ঞানের মূলসূত্র (১৯৯৩), মাদাম বোবারি (১৯৯৭) ইত্যাদি। ফরাসি ভাষায় তাঁর অনূদিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কবিতা গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছে। কাজী নজরুল ইসলামের অনেক কবিতাও তিনি অনুবাদ করেছেন ফরাসি ভাষায়। সেগুলো চারটি গ্রন্থে সংকলিত হয়ে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া বাংলা একাডেমীর বাংলা-ইংরেজি অভিধান ও ইংরেজি-বাংলা অভিধান প্রণয়ন ও সম্পাদনায়ও তাঁর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।
ব্যক্তিজীবনে অধ্যাপক জাহাঙ্গীর তারেক ছিলেন অত্যন্ত সৎ, নিষ্কলুষ, নির্বিরোধ চরিত্রের মানুষ। তিনি ছিলেন প্রচারবিমুখ। নিজের মনে একান্ত জ্ঞানসাধনাকেই তিনি স্থান দিয়েছিলেন সবার ওপরে। স্ত্রী ও তিন পুত্র-কন্যার ছোট্ট সংসার নিয়ে তিনি ছিলেন সুখী ও প্রীত।
২০১০ সালে মৃত্যুর কিছুদিন আগে বাংলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত বাংলা ব্যাকরণবিষয়ক বিশেষজ্ঞ কর্মশালায় তিনি যোগ দিয়েছিলেন। বাংলা একাডেমীর প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ প্রকল্পের সম্পাদনা পরিষদে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের কথা ছিল। কিন্তু তাঁর অকালমৃত্যু তাতে অন্তরায় সৃষ্টি করেছে। বাংলা একাডেমীতে এখন বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান প্রণয়নের কাজ চলছে। অভিধান প্রণয়নে সমকালে একমাত্র তিনিই ছিলেন বহুভাষাবিদ বিশেষজ্ঞ। কিন্তু তাঁর অকালমৃত্যুর জন্য বাংলা একাডেমী এ ক্ষেত্রেও তাঁর বিশেষজ্ঞতা কাজে লাগানোর সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে মনে হয়।
গবেষক, ভাষাবিদ ও নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক জাহাঙ্গীর তারেকের মৃত্যুর ক্ষতি তাই অনেক বড়। এই ক্ষতি কোনোভাবে পূরণ হওয়ার নয়। তিনি আজ কেবল আমাদের স্মৃতিতে জাগরূক।
মাহবুবুল হক
আমরা চট্টগ্রাম কলেজের বাংলা সম্মান শ্রেণীর ছাত্ররা, জাহাঙ্গীর তারেককে শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলাম ১৯৬০-এর দশকের দ্বিতীয় অর্ধে। তখন তিনি ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ থেকে এসে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজে শিক্ষকতায় যোগ দিয়েছেন। জাহাঙ্গীর তারেক স্যার আমাদের ইডিপাস পড়াতেন। গ্রিক নাট্যকার সফোক্লিসের এই নাটকের বাংলা অনুবাদ করেছিলেন সৈয়দ আলী আহসান। জাহাঙ্গীর তারেক স্যার নাটক পড়াতেন খুব ভালো। বিশেষ করে ইংরেজিতে তাঁর দক্ষতা ছিল অসাধারণ। সেটা বোঝা যেত ইংরেজি অনুবাদের সঙ্গে মিলিয়ে তিনি যখন নাটকটির তুলনামূলক বিচার করতেন এবং বাংলা অনুবাদের সার্থকতা বিচার করতেন।
সে সময় আমরা শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলাম আলাউদ্দিন আল আজাদ, আবদার রশীদ, হাসনা বেগম, মনিরুজ্জামান, আবু তাহের, মমতাজউদ্দীন আহমদ, আ ফ ম সিরাজউদদৌলা চৌধুরী প্রমুখ বরেণ্য শিক্ষককে। তাঁরা সবাই ছিলেন অত্যন্ত ছাত্রবৎসল। সবচেয়ে বড় কথা, সেই আইয়ুব শাহির মুসলিম লিগের দোর্দণ্ড দাপটের দিনগুলোতে এসব মহান শিক্ষকের প্রণোদনায় চট্টগ্রাম কলেজের বাংলা বিভাগকে কেন্দ্র করে বাঙালি সংস্কৃতিচর্চার জোয়ার উঠেছিল। জাহাঙ্গীর তারেক স্যার ছিলেন স্বভাবতই অনেকটা আত্মমুখী, অধ্যয়নপ্রিয় ও গবেষণাব্রতী। তবু সেই দিনগুলোতে তিনি ছিলেন যথেষ্ট সক্রিয়। ১৯৬৭ সালে আমার সম্পাদনায় চট্টগ্রাম কলেজ বার্ষিকী অন্বেষা প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে তিনি বেশ কয়েকটা লিমেরিক লিখেছিলেন। লিমেরিকগুলোর থিম অনুসারে চমৎকার সব ছবিও এঁকেছিলেন তিনি।
এরপর তিনি যোগ দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৭৯-এর দিকে তিনি বিভাগীয় প্রধান। কিন্তু সেই দায়িত্ব পালনে তিনি খুব একটা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেননি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের রক্ষণশীল মনোভাবেও হয়েছিলেন যথেষ্ট পীড়িত। তাই ১৯৮০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে। তখন থেকে আমৃত্যু তিনি এখানে অধ্যাপনা করেছেন। এ ইনস্টিটিউট তাঁর বহুমুখী কাজ ও অবদানে নিরন্তর সমৃদ্ধ হয়েছে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক পদে দায়িত্বরত ছিলেন। বিশ্বের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিথি অধ্যাপক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
জাহাঙ্গীর তারেক স্যার ছাত্রজীবনে ছিলেন কৃতী ছাত্র। ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে প্রথম শ্রেণীতে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭১ সালে ফ্রান্সের প্যারির সরবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফরাসি ভাষায় এবং ১৯৭৩ সালে প্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ছিল প্রথম শ্রেণী। ১৯৭৬ সালে সরবন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি তুলনামূলক সাহিত্যে ডি লিট ডিগ্রি অর্জন করেন। বিদেশি ভাষা শেখায় ছিল তাঁর অসীম আগ্রহ। কর্মজীবনে অধ্যাপনার পাশাপাশি নেশা ছিল বিদেশি ভাষা শেখার। সব মিলিয়ে তিনি ১৪টি ভাষায় পারদর্শিতা অর্জন করেন। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি প্যারি ও লন্ডনে ছিলেন। তখন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত সৃষ্টিতে ছিলেন সক্রিয়।
জাহাঙ্গীর তারেক শিক্ষকতার পাশাপাশি অবদান রেখেছেন প্রবন্ধ রচনা ও গবেষণায়। প্রতীকবাদী সাহিত্য (১৯৮৮), শব্দার্থবিজ্ঞানের ভূমিকা (১৯৯৭) ইত্যাদি গ্রন্থ তারই ফসল। তিনি ছিলেন অনুবাদেও সিদ্ধহস্ত। তাঁর অনুবাদ গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে: সামাজিক সঙ্কটে বিজ্ঞানের ভূমিকা (১৯৬৭), শব্দার্থবিজ্ঞানের মূলসূত্র (১৯৯৩), মাদাম বোবারি (১৯৯৭) ইত্যাদি। ফরাসি ভাষায় তাঁর অনূদিত বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কবিতা গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছে। কাজী নজরুল ইসলামের অনেক কবিতাও তিনি অনুবাদ করেছেন ফরাসি ভাষায়। সেগুলো চারটি গ্রন্থে সংকলিত হয়ে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া বাংলা একাডেমীর বাংলা-ইংরেজি অভিধান ও ইংরেজি-বাংলা অভিধান প্রণয়ন ও সম্পাদনায়ও তাঁর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।
ব্যক্তিজীবনে অধ্যাপক জাহাঙ্গীর তারেক ছিলেন অত্যন্ত সৎ, নিষ্কলুষ, নির্বিরোধ চরিত্রের মানুষ। তিনি ছিলেন প্রচারবিমুখ। নিজের মনে একান্ত জ্ঞানসাধনাকেই তিনি স্থান দিয়েছিলেন সবার ওপরে। স্ত্রী ও তিন পুত্র-কন্যার ছোট্ট সংসার নিয়ে তিনি ছিলেন সুখী ও প্রীত।
২০১০ সালে মৃত্যুর কিছুদিন আগে বাংলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত বাংলা ব্যাকরণবিষয়ক বিশেষজ্ঞ কর্মশালায় তিনি যোগ দিয়েছিলেন। বাংলা একাডেমীর প্রমিত বাংলা ব্যাকরণ প্রকল্পের সম্পাদনা পরিষদে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের কথা ছিল। কিন্তু তাঁর অকালমৃত্যু তাতে অন্তরায় সৃষ্টি করেছে। বাংলা একাডেমীতে এখন বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান প্রণয়নের কাজ চলছে। অভিধান প্রণয়নে সমকালে একমাত্র তিনিই ছিলেন বহুভাষাবিদ বিশেষজ্ঞ। কিন্তু তাঁর অকালমৃত্যুর জন্য বাংলা একাডেমী এ ক্ষেত্রেও তাঁর বিশেষজ্ঞতা কাজে লাগানোর সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে বলে মনে হয়।
গবেষক, ভাষাবিদ ও নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক জাহাঙ্গীর তারেকের মৃত্যুর ক্ষতি তাই অনেক বড়। এই ক্ষতি কোনোভাবে পূরণ হওয়ার নয়। তিনি আজ কেবল আমাদের স্মৃতিতে জাগরূক।
মাহবুবুল হক
No comments