তিন যুবক নিখোঁজ-র্যাবের ‘সোর্স’ টুন্ডা রহিম সব অভিযোগ অস্বীকার করলেন
হাতিরপুল থেকে নিখোঁজ তিন যুবকের মধ্যে দুজন সন্ত্রাসী দলের সদস্য বলে দাবি আবদুর রহিম ওরফে টুন্ডা রহিমের। রহিম নিজেকে র্যাবের তথ্যদাতা বা সোর্স হিসেবে পরিচয় দিতেন। ওই তিন যুবক নিখোঁজ হওয়ার ৩৫ দিন পর গত রোববার রাতে র্যাব টুন্ডা রহিমকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল তাঁকে সাংবাদিক ও নিখোঁজদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ করিয়ে দেয় র্যাব। উত্তরায় র্যাব সদর দপ্তরে নিখোঁজ তিন যুবককে বন্ধু বলে দাবি করেন রহিম। তবে তাঁদের
অপহরণ সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে জানান। তবে নিখোঁজ যুবকদের পরিবার প্রথম থেকেই দাবি করে আসছে, রহিম এদেরকে র্যাবের হাত থেকে ছাড়িয়ে দেওয়ার জন্য তাঁদের কাছে সাত লাখ টাকা চেয়ে একাধিকবার ফোন করেছিলেন। তবে কাল রহিম দাবি করেছেন, তিনি কারও কাছে টাকা চাননি।
গত ২৮ নভেম্বর রাজধানীর হাতিরপুল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রদল নেতা শামীম হাসান ওরফে ম্যাক্স সোহেল, ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা ইসমাইল হোসেন ওরফে আল আমিন এবং ইলেকট্রনিকস ব্যবসায়ী মাসুম হোসেন অপহূত হন। এর আগে রহিম তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। নিখোঁজের ১০ দিন পর ইসমাইলের লাশ শনাক্ত করেন স্বজনেরা।
র্যাবের হেফাজতে থাকা রহিম সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, মাসুম ও শামীম সন্ত্রাসী বিনাশের সহযোগী, আর ইসমাইল হাতিরপুল এলাকায় ইয়াবা বিক্রি করতেন। এ ছাড়া শামীম ও ইসমাইল ছাত্রদলের পদপ্রত্যাশী ছিলেন। এটা নিয়েও বিভিন্ন জনের সঙ্গে তাঁদের দ্বন্দ্ব চলছিল। ২০০৬ সালে শামীমের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস এম হলের ছাত্রদল নেতা মেহেবুব মাসুম শান্তর দ্বন্দ্ব হলে সন্ত্রাসী বিনাশ ক্যাম্পাসেই শান্তকে গুলি করেন।
টুন্ডা রহিমের দাবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা আইনুল হক অনীক প্রথম তাঁকে (রহিমকে) ফোন করে শামীমসহ তিনজনকে র্যাব গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান। এরপর ওই তিনজনের পরিবারই তাঁকে অনুরোধ করে নিখোঁজদের সন্ধানে তৎপর হতে। সেই অনুযায়ী ইসমাইলের বন্ধু অপু ও নাজিরের সঙ্গে নিখোঁজদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন রহিম। অপু ও নাজির টাকা দাবি করেন।
ছাত্রদলের সূর্য সেন হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আইনুল হক প্রথম আলোকে বলেন, শামীমের পরিবার তাঁকে ফোন করে বিষয়টি জানালে তিনি তা রহিমকে জানান। রহিমের সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ বা সম্পর্ক ছিল না। তিনি বলেন, ‘রহিম দোকানে কাজ করত, তাঁর সঙ্গে আমার কেন বন্ধুত্ব হবে?’
নিহত ইসমাইলের মামা আবদুল খালেক বলেন, রহিমের কথা অনুযায়ী, তাঁর (রহিমের) সঙ্গে তিনি মিরপুরের টোলারবাগের একটি বাড়িতে যান। সেখানে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক পরিচয় দিয়ে একজন সাত লাখ টাকা চান। টাকা দিলে তিন যুবককে থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক এম সোহায়েল বলেন, রহিমের কথা শুনে মনে হচ্ছে, সন্ত্রাসী দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব বা আধিপত্য, রাজনৈতিক কোন্দল অথবা মাদক ব্যবসার জেরে কোনো চক্র তাঁদের অপহরণ করতে পারে।
এম সোহায়েল দাবি করেন, টুন্ডা রহিম র্যাবের তথ্যদাতা নন। র্যাব এর আগে চাঁদাবাজির অভিযোগে রহিমকে গ্রেপ্তার করেছিল। সেই মামলা এখনো চলছে। রহিম এখন যাদের নাম বলেছেন, তাদের সঙ্গে র্যাব কথা বলবে। টোলারবাগের বাড়ি সম্পর্কেও খোঁজ নেওয়া হবে।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, রহিমকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
টুন্ডা রহিম যে সন্ত্রাসী বিনাশের নাম বলেছে, তা আগে কখনো শোনা যায়নি। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক জিয়াউল আহসান বলেন, বিনাশের আসল নাম দিলীপ। তিনি সপরিবারে মালয়েশিয়ায় থাকেন। বিনাশ মূলত চুক্তিতে মানুষ খুন করেন। এক-দেড় বছর ধরে তাঁর এসব কর্মকাণ্ড চলছে।
গত ২৮ নভেম্বর রাজধানীর হাতিরপুল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রদল নেতা শামীম হাসান ওরফে ম্যাক্স সোহেল, ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতা ইসমাইল হোসেন ওরফে আল আমিন এবং ইলেকট্রনিকস ব্যবসায়ী মাসুম হোসেন অপহূত হন। এর আগে রহিম তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। নিখোঁজের ১০ দিন পর ইসমাইলের লাশ শনাক্ত করেন স্বজনেরা।
র্যাবের হেফাজতে থাকা রহিম সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, মাসুম ও শামীম সন্ত্রাসী বিনাশের সহযোগী, আর ইসমাইল হাতিরপুল এলাকায় ইয়াবা বিক্রি করতেন। এ ছাড়া শামীম ও ইসমাইল ছাত্রদলের পদপ্রত্যাশী ছিলেন। এটা নিয়েও বিভিন্ন জনের সঙ্গে তাঁদের দ্বন্দ্ব চলছিল। ২০০৬ সালে শামীমের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এস এম হলের ছাত্রদল নেতা মেহেবুব মাসুম শান্তর দ্বন্দ্ব হলে সন্ত্রাসী বিনাশ ক্যাম্পাসেই শান্তকে গুলি করেন।
টুন্ডা রহিমের দাবি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা আইনুল হক অনীক প্রথম তাঁকে (রহিমকে) ফোন করে শামীমসহ তিনজনকে র্যাব গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান। এরপর ওই তিনজনের পরিবারই তাঁকে অনুরোধ করে নিখোঁজদের সন্ধানে তৎপর হতে। সেই অনুযায়ী ইসমাইলের বন্ধু অপু ও নাজিরের সঙ্গে নিখোঁজদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেন রহিম। অপু ও নাজির টাকা দাবি করেন।
ছাত্রদলের সূর্য সেন হলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আইনুল হক প্রথম আলোকে বলেন, শামীমের পরিবার তাঁকে ফোন করে বিষয়টি জানালে তিনি তা রহিমকে জানান। রহিমের সঙ্গে তাঁর কোনো যোগাযোগ বা সম্পর্ক ছিল না। তিনি বলেন, ‘রহিম দোকানে কাজ করত, তাঁর সঙ্গে আমার কেন বন্ধুত্ব হবে?’
নিহত ইসমাইলের মামা আবদুল খালেক বলেন, রহিমের কথা অনুযায়ী, তাঁর (রহিমের) সঙ্গে তিনি মিরপুরের টোলারবাগের একটি বাড়িতে যান। সেখানে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক পরিচয় দিয়ে একজন সাত লাখ টাকা চান। টাকা দিলে তিন যুবককে থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক এম সোহায়েল বলেন, রহিমের কথা শুনে মনে হচ্ছে, সন্ত্রাসী দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব বা আধিপত্য, রাজনৈতিক কোন্দল অথবা মাদক ব্যবসার জেরে কোনো চক্র তাঁদের অপহরণ করতে পারে।
এম সোহায়েল দাবি করেন, টুন্ডা রহিম র্যাবের তথ্যদাতা নন। র্যাব এর আগে চাঁদাবাজির অভিযোগে রহিমকে গ্রেপ্তার করেছিল। সেই মামলা এখনো চলছে। রহিম এখন যাদের নাম বলেছেন, তাদের সঙ্গে র্যাব কথা বলবে। টোলারবাগের বাড়ি সম্পর্কেও খোঁজ নেওয়া হবে।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, রহিমকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
টুন্ডা রহিম যে সন্ত্রাসী বিনাশের নাম বলেছে, তা আগে কখনো শোনা যায়নি। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে র্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক জিয়াউল আহসান বলেন, বিনাশের আসল নাম দিলীপ। তিনি সপরিবারে মালয়েশিয়ায় থাকেন। বিনাশ মূলত চুক্তিতে মানুষ খুন করেন। এক-দেড় বছর ধরে তাঁর এসব কর্মকাণ্ড চলছে।
No comments