জামায়াতের সঙ্গে আপাতত প্রকাশ্য কর্মসূচি নয়- শাহবাগে সংযত বিএনপি!
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের
ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে জনস্রোত দেখে পরদিন শনিবার জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে
রাজধানীতে সমাবেশ করার ঝুঁকি নেয়নি বিএনপি।
এর আগে বুধবার
হঠাৎ বৈঠক ডেকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট শনিবার বিকেলে রাজধানীর
নয়াপল্টনে সমাবেশ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। শুক্রবার বিকেলে শাহবাগের
মহাসমাবেশের পর ওই দিন মধ্যরাতে পরদিনের কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করে বিএনপি।
‘পুলিশের অনুমতি না পাওয়ার’ কথা বলে কর্মসূচি স্থগিত করা হলেও তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আনোয়ার হোসেন। তিনি গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৮ দলের সমাবেশ করার জন্য অনুমতি চেয়ে গত বৃহস্পতিবার আবেদন করে বিএনপি। পরে শুক্রবার রাতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ঢাকা মহানগর বিএনপির নামে মিছিল করার অনুমতি চাওয়া হয়। আমরা অনুমতি দিয়েছি, মিছিলও হয়েছে।’
বিএনপির একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, মানবতাবিরোধীদের ফাঁসির দাবিতে শুক্রবার রাজধানীতে তরুণদের বিশাল সমাবেশের পর আপাতত জামায়াতের সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে চায় না প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। শাহবাগের অবস্থান কর্মসূচি চলা অবস্থায় স্বাধীনতাযুদ্ধের বিরোধিতাকারী এই দলটির সঙ্গে বিএনপির প্রকাশ্য মিছিল-সমাবেশ জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় বিএনপি এমন অবস্থান নিয়েছে বলে জানা গেছে।
জোটের একাধিক সূত্র জানায়, জামায়াতের নেতা আবদুল কাদের মোল্লাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে তরুণ প্রজন্মের টানা অবস্থান কর্মসূচিতে রাজনৈতিকভাবে বিরাট চাপে পড়ে বিএনপি ও জামায়াত।
এ পরিস্থিতিতে মাঠে অবস্থান জানান দেওয়ার লক্ষ্যে গত বুধবার ১৮ দলীয় জোটের বৈঠকে শনিবার সমাবেশ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হয়। সমাবেশে ১৮ দল তথা বিএনপির ছত্রচ্ছায়ায় লোক জমায়েত করে শক্তি প্রদর্শনের প্রস্তুতি নেয় জামায়াত।
বিএনপির দায়িত্বশীল এক নেতা প্রথম আলোকে বলেন, শুক্রবার বিকেলে শাহবাগের মহাসমাবেশে মানুষের ঢল দেখে দুশ্চিন্তায় পড়েন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। এরপর জামায়াতকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক নেতাদের ছবিসংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন ছাড়া সমাবেশে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করে বিএনপি। কিন্তু জামায়াত তাতে রাজি হয়নি। এই অবস্থায় জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে সমাবেশের ঝুঁকি নিতে চায়নি বলে বিএনপির ওই নেতা দাবি করেন। বিশেষ করে সমাবেশে আসা ও যাওয়ার পথে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা সহিংসতায় লিপ্ত হলে তার দায় ও পরিণতি নিয়ে বিএনপির নেতারা শঙ্কায় পড়েন। এ কারণে আগের রাতে জোটের কর্মসূচি স্থগিত করে বিএনপি নিজ দলের মহানগর কমিটির ব্যানারে শনিবার একই সময়ে একই স্থানে (নয়াপল্টনে) মিছিল করে।
জোটের শরিক একাধিক দলের দায়িত্বশীল নেতারা জানান, কর্মসূচি স্থগিত করার বিষয়টি জামায়াত বা জোটের বাকি শরিক দলগুলোকেও বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। তারা গণমাধ্যমে এ খবর জানতে পারে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিএনপির দায়িত্বশীল কোনো নেতা নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে গতকাল বিকেলে বিক্ষোভ মিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে কর্মসূচি স্থগিত করা প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজ ১৮ দলীয় জোটের পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ ছিল। কিন্তু সরকার এর অনুমতি দেয়নি। এর প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর বিএনপি বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেছে। এ কর্মসূচির মূল বক্তব্য হচ্ছে, সরকারের সব অগণতান্ত্রিক আচরণের তীব্র নিন্দা জানানো।’
বিএনপির একাধিক নেতা জানান, দলটির নেতাদের ধারণা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার রায় ঘোষণা করতে পারেন। এ অবস্থায় সাঈদীর মামলার রায় ঘোষণা হওয়া পর্যন্ত শাহবাগের পরিস্থিতি, সরকারের আচরণ ও জামায়াতের কর্মকৌশল পর্যবেক্ষণ করবে বিএনপি।
‘পুলিশের অনুমতি না পাওয়ার’ কথা বলে কর্মসূচি স্থগিত করা হলেও তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আনোয়ার হোসেন। তিনি গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘১৮ দলের সমাবেশ করার জন্য অনুমতি চেয়ে গত বৃহস্পতিবার আবেদন করে বিএনপি। পরে শুক্রবার রাতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ঢাকা মহানগর বিএনপির নামে মিছিল করার অনুমতি চাওয়া হয়। আমরা অনুমতি দিয়েছি, মিছিলও হয়েছে।’
বিএনপির একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে, মানবতাবিরোধীদের ফাঁসির দাবিতে শুক্রবার রাজধানীতে তরুণদের বিশাল সমাবেশের পর আপাতত জামায়াতের সঙ্গে রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে চায় না প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। শাহবাগের অবস্থান কর্মসূচি চলা অবস্থায় স্বাধীনতাযুদ্ধের বিরোধিতাকারী এই দলটির সঙ্গে বিএনপির প্রকাশ্য মিছিল-সমাবেশ জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় বিএনপি এমন অবস্থান নিয়েছে বলে জানা গেছে।
জোটের একাধিক সূত্র জানায়, জামায়াতের নেতা আবদুল কাদের মোল্লাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে তরুণ প্রজন্মের টানা অবস্থান কর্মসূচিতে রাজনৈতিকভাবে বিরাট চাপে পড়ে বিএনপি ও জামায়াত।
এ পরিস্থিতিতে মাঠে অবস্থান জানান দেওয়ার লক্ষ্যে গত বুধবার ১৮ দলীয় জোটের বৈঠকে শনিবার সমাবেশ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত হয়। সমাবেশে ১৮ দল তথা বিএনপির ছত্রচ্ছায়ায় লোক জমায়েত করে শক্তি প্রদর্শনের প্রস্তুতি নেয় জামায়াত।
বিএনপির দায়িত্বশীল এক নেতা প্রথম আলোকে বলেন, শুক্রবার বিকেলে শাহবাগের মহাসমাবেশে মানুষের ঢল দেখে দুশ্চিন্তায় পড়েন বিএনপির নীতিনির্ধারকেরা। এরপর জামায়াতকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক নেতাদের ছবিসংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন ছাড়া সমাবেশে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করে বিএনপি। কিন্তু জামায়াত তাতে রাজি হয়নি। এই অবস্থায় জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে সমাবেশের ঝুঁকি নিতে চায়নি বলে বিএনপির ওই নেতা দাবি করেন। বিশেষ করে সমাবেশে আসা ও যাওয়ার পথে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা সহিংসতায় লিপ্ত হলে তার দায় ও পরিণতি নিয়ে বিএনপির নেতারা শঙ্কায় পড়েন। এ কারণে আগের রাতে জোটের কর্মসূচি স্থগিত করে বিএনপি নিজ দলের মহানগর কমিটির ব্যানারে শনিবার একই সময়ে একই স্থানে (নয়াপল্টনে) মিছিল করে।
জোটের শরিক একাধিক দলের দায়িত্বশীল নেতারা জানান, কর্মসূচি স্থগিত করার বিষয়টি জামায়াত বা জোটের বাকি শরিক দলগুলোকেও বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। তারা গণমাধ্যমে এ খবর জানতে পারে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিএনপির দায়িত্বশীল কোনো নেতা নাম প্রকাশ করে বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে গতকাল বিকেলে বিক্ষোভ মিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে কর্মসূচি স্থগিত করা প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজ ১৮ দলীয় জোটের পূর্বনির্ধারিত সমাবেশ ছিল। কিন্তু সরকার এর অনুমতি দেয়নি। এর প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর বিএনপি বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেছে। এ কর্মসূচির মূল বক্তব্য হচ্ছে, সরকারের সব অগণতান্ত্রিক আচরণের তীব্র নিন্দা জানানো।’
বিএনপির একাধিক নেতা জানান, দলটির নেতাদের ধারণা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার রায় ঘোষণা করতে পারেন। এ অবস্থায় সাঈদীর মামলার রায় ঘোষণা হওয়া পর্যন্ত শাহবাগের পরিস্থিতি, সরকারের আচরণ ও জামায়াতের কর্মকৌশল পর্যবেক্ষণ করবে বিএনপি।
No comments