সাংবাদিক দম্পতি হত্যার এক বছর- তদন্ত দীর্ঘ হতে পারে
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন
রুনি হত্যাকাণ্ডের এক বছর পরও এর কারণ সম্পর্কে কিছুই বলতে পারছে না
তদন্তকারি সংস্থা র্যাব। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেপ্তারের পর
র্যাবের মহাপরিচালক গতকাল বলেন, ‘এটি জটিল মামলা, এর তদন্ত দীর্ঘ হতে
পারে।
গ্রেপ্তার ও সন্দেহভাজন ১৬ জনের ডিএনএ পরীক্ষা করা হলেও ঘটনাস্থলে পাওয়া আলামতের সঙ্গে কারোরই নমুনা মেলেনি।
আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের এক বছরের মাথায় এসে সাগর-রুনির ভাড়া বাড়ির নিরাপত্তা কর্মী হুমায়ুন কবির ওরফে এনামুল ওরফে কলিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল শনিবার সকালে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। এতে র্যাবের মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমান বলেন, ঢাকা থেকে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে যাওয়ার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন থেকে গতকাল ভোর পাঁচটার দিকে র্যাব এনামুলকে গ্রেপ্তার করে।
গত বছরের ১০ অক্টোবর এনামুলকে ধরিয়ে দিতে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর। এর আগে এনামুলকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করলেও পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশের কাছ থেকে এই হত্যাকাণ্ড তদন্তের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এনামুলকে খোঁজা হচ্ছিল। এনামুল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসামি বলে এতদিন দাবি করে আসছিল র্যাব। তবে গতকাল গ্রেপ্তারের পর থেকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা এনামুল স্বীকার করেননি বলে র্যাবের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের এক বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত এর কোনো কূল-কিনারা করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ নিয়ে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মহলের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে ১০ মাস ধরে এ মামলার তদন্ত করছে র্যাব। এ তদন্ত গতানুগতিকভাবে করা হচ্ছে না। এটি প্রযুক্তিনির্ভর তদন্ত।
কত দিনে এ মামলার তদন্ত শেষ হবে, জানতে চাইলে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘এটি জটিল মামলা, এর তদন্ত দীর্ঘ হতে পারে।’ এ মামলা তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো এসব কিছু বলার সময় আসেনি। যাঁদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হলো, তাঁদের ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া গেছে কি না, জানতে চাইলে মহাপরিচালক বলেন, এখনো পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কেউ জড়িত আছে এমন কোনো তথ্য র্যাবের হাতে আছে কি না, জানতে চাইলে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন. তদন্তের ব্যাপারে এভাবে মন্তব্য করা যাবে না।
র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে এনামুল জানান, ছোটবেলায় তিনি কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন। ওই সময় একটি সাইকেল চুরির অপরাধে ধরা পড়ার পর তাঁর বাবা তাঁকে তাবলিগ জামাতে পাঠান। ২০১০ সালের প্রথম দিকে তিনি একটি বেসরকারি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানে কাজ নেন। এরপর কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
খুনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদে এনামুল জানান, ২০১২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি দুপুরে তিনি সাগর-রুনির বাসার (শাহজালাল লজ) নিরাপত্তার দায়িত্ব বুঝে নিয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এরপর থেকে রুদ্র পলাশ ভোর ছয়টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি আবার তাঁর কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন। ওই সময়ের মধ্যে তিনি বাসার ভেতরে কাউকে যেতে দেখেননি। এনামুল জিজ্ঞাসাবাদে বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ তাঁকেসহ সবাইকে ধরে নিয়ে যায়। নয় দিন হাতকড়া পরিয়ে তাঁদের আটক রাখা হয়। এরপর পুলিশের গাড়িতে করে আবার সেই বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। এরপর সেখানে তিনি আরও ১০-১২ দিন চাকরি করেন। বেতন পাওয়ার পর তিনি প্রতিষ্ঠান বদল করে রয়্যাল সিকিউরিটি নামের একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ নেন। সেই প্রতিষ্ঠানের গ্রিন রোডের ব্যারাকেই থাকতেন তিনি। তবে দায়িত্ব না থাকলে ধরা পড়ার ভয়ে মসজিদ বা সিনেমা হলে শুয়ে থাকতেন।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, তাঁদের কাছে খবর ছিল যে, এনামুল ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গল যাচ্ছেন। একপর্যায়ে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি গন্তব্যে না গিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে নেমে পড়েন। এরপর র্যাব সদস্যরা সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করেন।
গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া ফ্ল্যাট থেকে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির ছুরিকাঘাতে ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সূত্র জানায়, র্যাবের পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত দল এ মামলার তদন্ত তদারক করছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর গত বছরের ৯ অক্টোবর ‘চমক দেওয়া’ সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, এ ঘটনায় সন্দেহভাজন সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব কর্মকর্তারা জানান, সন্দেহ করে গ্রেপ্তার করা এ সাতজনের বিরুদ্ধে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মেলেনি। তবে তাঁরা সবাই এখন কারাগারে আছেন।
র্যাবের একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেছেন, সাগর-রুনি হত্যার কারণ বা ঘটনা নির্দেশ করে—এমন ন্যূনতম সূত্রটিও তাঁদের হাতে নেই।
আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের এক বছরের মাথায় এসে সাগর-রুনির ভাড়া বাড়ির নিরাপত্তা কর্মী হুমায়ুন কবির ওরফে এনামুল ওরফে কলিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল শনিবার সকালে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। এতে র্যাবের মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমান বলেন, ঢাকা থেকে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে যাওয়ার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন থেকে গতকাল ভোর পাঁচটার দিকে র্যাব এনামুলকে গ্রেপ্তার করে।
গত বছরের ১০ অক্টোবর এনামুলকে ধরিয়ে দিতে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর। এর আগে এনামুলকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করলেও পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পুলিশের কাছ থেকে এই হত্যাকাণ্ড তদন্তের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এনামুলকে খোঁজা হচ্ছিল। এনামুল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসামি বলে এতদিন দাবি করে আসছিল র্যাব। তবে গতকাল গ্রেপ্তারের পর থেকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা এনামুল স্বীকার করেননি বলে র্যাবের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের এক বছর পার হলেও এখন পর্যন্ত এর কোনো কূল-কিনারা করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ নিয়ে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মহলের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে ১০ মাস ধরে এ মামলার তদন্ত করছে র্যাব। এ তদন্ত গতানুগতিকভাবে করা হচ্ছে না। এটি প্রযুক্তিনির্ভর তদন্ত।
কত দিনে এ মামলার তদন্ত শেষ হবে, জানতে চাইলে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ‘এটি জটিল মামলা, এর তদন্ত দীর্ঘ হতে পারে।’ এ মামলা তদন্তের অগ্রগতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো এসব কিছু বলার সময় আসেনি। যাঁদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হলো, তাঁদের ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া গেছে কি না, জানতে চাইলে মহাপরিচালক বলেন, এখনো পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কেউ জড়িত আছে এমন কোনো তথ্য র্যাবের হাতে আছে কি না, জানতে চাইলে র্যাবের মহাপরিচালক বলেন. তদন্তের ব্যাপারে এভাবে মন্তব্য করা যাবে না।
র্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জিজ্ঞাসাবাদে এনামুল জানান, ছোটবেলায় তিনি কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন। ওই সময় একটি সাইকেল চুরির অপরাধে ধরা পড়ার পর তাঁর বাবা তাঁকে তাবলিগ জামাতে পাঠান। ২০১০ সালের প্রথম দিকে তিনি একটি বেসরকারি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানে কাজ নেন। এরপর কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।
খুনের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদে এনামুল জানান, ২০১২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি দুপুরে তিনি সাগর-রুনির বাসার (শাহজালাল লজ) নিরাপত্তার দায়িত্ব বুঝে নিয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এরপর থেকে রুদ্র পলাশ ভোর ছয়টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি আবার তাঁর কাছ থেকে দায়িত্ব বুঝে নেন। ওই সময়ের মধ্যে তিনি বাসার ভেতরে কাউকে যেতে দেখেননি। এনামুল জিজ্ঞাসাবাদে বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ তাঁকেসহ সবাইকে ধরে নিয়ে যায়। নয় দিন হাতকড়া পরিয়ে তাঁদের আটক রাখা হয়। এরপর পুলিশের গাড়িতে করে আবার সেই বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। এরপর সেখানে তিনি আরও ১০-১২ দিন চাকরি করেন। বেতন পাওয়ার পর তিনি প্রতিষ্ঠান বদল করে রয়্যাল সিকিউরিটি নামের একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ নেন। সেই প্রতিষ্ঠানের গ্রিন রোডের ব্যারাকেই থাকতেন তিনি। তবে দায়িত্ব না থাকলে ধরা পড়ার ভয়ে মসজিদ বা সিনেমা হলে শুয়ে থাকতেন।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, তাঁদের কাছে খবর ছিল যে, এনামুল ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গল যাচ্ছেন। একপর্যায়ে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি গন্তব্যে না গিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে নেমে পড়েন। এরপর র্যাব সদস্যরা সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করেন।
গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া ফ্ল্যাট থেকে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির ছুরিকাঘাতে ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
সূত্র জানায়, র্যাবের পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত দল এ মামলার তদন্ত তদারক করছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর গত বছরের ৯ অক্টোবর ‘চমক দেওয়া’ সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, এ ঘটনায় সন্দেহভাজন সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব কর্মকর্তারা জানান, সন্দেহ করে গ্রেপ্তার করা এ সাতজনের বিরুদ্ধে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ মেলেনি। তবে তাঁরা সবাই এখন কারাগারে আছেন।
র্যাবের একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেছেন, সাগর-রুনি হত্যার কারণ বা ঘটনা নির্দেশ করে—এমন ন্যূনতম সূত্রটিও তাঁদের হাতে নেই।
No comments