সাতীরায় ১০ রাজাকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা- পাঁচ মুক্তিযোদ্ধা হত্যা
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ১০ রাজাকারের নামে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সাতীরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মাসুদুজ্জামানের আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।
গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা গ্রামের মুন্সী রাহেন উদ্দিনের ছেলে ফায়েকুজ্জামান বাদী হয়ে এই অভিযোগ দায়ের করেন। বিচারক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। ১৯৭১ সালের ১৭ মে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২৩ সদস্যের একটি মুক্তিযোদ্ধা দল দুপুর ১২টায় কলারোয়া স্কুল বল ফিল্ডের পাশে একটি দোকানে খাবার কিনতে যায়। এ সময় আসামিরা তাদের গোপালগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা জানতে পেরে ৫ জনকে আটক করে কলারোয়া থানায় নিয়ে যায়। পরে আসামি আবু তালেবের নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধা সাহেব আলী, মুন্সী মোহাসিন, সুভাষ চন্দ্র, শিশির চন্দ্র ও মনোরঞ্জন চন্দ্রসহ ৫ জনকে কলারোয়া থানার পাশর্্ববর্তী ফুটবল মাঠের দণি পাশে হাজী আব্দুল মালেকের জমিতে নিয়ে গিয়ে আসামি ওমর আলী মামলার বাদীর সহোদর ভাই সাহেব আলীকে গুলি করে হত্যা করে। বাকি চারজন মুক্তিযোদ্ধাকে আসামি আবু তালেবের নির্দেশে অন্যরা রাইফেলের বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে জখম করার পর জীবনত্ম কবর দেয়। মামলার আসামিরা হলো কলারোয়া উপজেলার উত্তর রায়টা গ্রামের আমজেল সরদারের ছেলে মাওলানা ওমর আলী, একই উপজেলার দামোদরকাটি গ্রামের দরবার সরদারের ছেলে আবু তালেব, ব্রজবক্স গ্রামের হারম্ন সরদারের ছেলে রাজাউলস্নাহ, একই গ্রামের মতুলস্নার ছেলে মোহর আলী, বাকসা গ্রামের হামেজ আলী বিশ্বাসের ছেলে জমির আলী, জালালাবাদ গ্রামের জেহের আলী সানার ছেলে ইয়াদ আলী, হামিদপুর গ্রামের ময়জদ্দিন হামিদির ছেলে মাওলানা সামছুজ্জামান হামিদি, খলশী গ্রামের হামজা দালালের ছেলে আব্দুর রহিম, ধানঘোরা গ্রামের মজিদ ধাবকের ছেলে নূর ইসলাম ও দরবাসা গ্রামের জহিরউদ্দিনের ছেলে আবু বক্কর পঁচা।
No comments