প্রাক-জাহাজীকরণ মূল্যায়ন-৩০০০ কোটি টাকা গেছে চার বিদেশি কম্পানির থলিতে by মোশতাক আহমেদ
আমদানি পণ্যের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রাক-জাহাজীকরণ পরিদর্শন (পিএসআই) কাজের বিপরীতে চারটি বিদেশি কম্পানি গত ১০ বছরে বাংলাদেশ থেকে নিয়েছে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। আমদানি করা পণ্যমূল্যের প্রায় ১ শতাংশ কমিশন হিসেবে এ অর্থ আদায় করা হয়েছে।
গত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে ন্যূনতম তিন বছর মেয়াদের কথা বলে এসব বিদেশি কম্পানি নিয়োগ করা হয়। এরপর অনেকবার কম্পানিগুলোর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অনেকে বলছেন, এখন আর এই বিদেশি কম্পানিগুলো রাখার দরকার নেই। তার বদলে বাংলাদেশি কম্পানি বা রাজস্ব কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়োগ দিলে বেশি সুফল পাওয়া যাবে এবং দেশের অর্থ দেশেই থেকে যাবে। তা ছাড়া কম্পানিগুলোর কাজকর্মেও অনেক ত্রুটি ও গলদ রয়েছে। তবে এর বিপক্ষেও যুক্তি আছে। কেউ কেউ বলছেন, বিদেশি কম্পানি বাদ দিলে মূল্যায়ন ব্যবস্থা ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে এবং আমদানিকারকরাও দেশের কাস্টমস কর্তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়তে পারেন।
জানা গেছে, গত ৪ ডিসেম্বর চেয়ারম্যান গোলাম হোসেনের সভাপতিত্বে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য ও কমিশনারদের এক সভায় ভবিষ্যতে এসব কম্পানির চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি না করার বিষয়ে মত দেন কমিশনাররা। বৈঠকে উপস্থিত একজন কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, যেহেতু এনবিআরের অনেক দিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং ঘুরে ফিরে প্রায় একই ধরনের পণ্য আমদানি করা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে পিএসআই উঠে গেলেও পণ্য মূল্যায়ন করতে তাঁদের অসুবিধা হবে না।
বিদেশি কম্পানিগুলো নিয়োগের আরেকটি উদ্দেশ্য ছিল এনবিআর কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বাড়ানো। শুল্ক কর্মকর্তারা মনে করছেন, এনবিআরের শুল্ক বিভাগ এখন আমদানি পণ্যের মূল্যায়নে সক্ষমতা অর্জন করেছে। এ ছাড়া পিএসআই কম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে নানামুখী অভিযোগ থাকায় এবং এই প্রথা বাদ দেওয়ার বিষয়ে সরকারের অঙ্গীকার থাকায় নতুন করে পিএসআই কম্পানির সঙ্গে আর চুক্তি না করাই হবে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
আগামী ৩১ ডিসেম্বর এসব কম্পানির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এরপর আর মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না জানতে চাইলে এনবিআর চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সেটা মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার।' রাজস্ব বোর্ড পিএসআই কম্পানি রাখার পক্ষে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা তো রাখতে চাই না। কিন্তু এর বিকল্পও এখনো আমাদের সামনে তৈরি নেই।' তিনি বলেন, 'পিএসআই উঠে গেলে কিছু ঝুঁকি থাকবে। অবশ্য মূল্যায়ন ব্যবস্থা যাতে ঝুঁকির মুখে না পড়ে সে জন্য এনবিআর কাজ করছে।'
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান বদিউর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'প্রাক জাহাজীকরণ ও আমদানি পণ্যের দাম ও গুণগত মানের বিষয়ে জানার ক্ষেত্রে বিশ্বস্ততার জন্য পিএসআই কম্পানি নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু ২০০৭ সালে পিএসআই কম্পানিগুলোর দুর্বলতা ও গলদ দেখে আমি সে সময়েই পিএসআই বাতিলের প্রক্রিয়া নিয়েছিলাম। বর্তমানে কাস্টমস অটোমেশন ও ডিজিটালাইজডের প্রেক্ষাপটে এসব কম্পানি আর রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই।'
জানা গেছে, গত বছর জাতীয় বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত চলতি ডিসেম্বরের পর এসব বিদেশি কম্পানির মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন। কিন্তু তার পরেও এদের মেয়াদ শেষ হওয়া নিয়ে সন্দেহ কাটেনি রাজস্ব বোর্ড কর্মকর্তাদের। তাঁরা জানান, ২০০২ সালে আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে সরকার মাত্র তিন বছরের জন্য এসব কম্পানি নিয়োগ করেছিল। কিন্তু গত ১০ বছরেও তাদের মেয়াদ আর শেষ হয়নি। তাই এবারও মেয়াদ শেষ হচ্ছে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে। কারণ এরা বিদেশি কম্পানি। লবিং করে তারা বারবার চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে নিয়েছে। বর্তমান সরকারের প্রভাবশালীদের সঙ্গেও কম্পানিগুলোর যোগাযোগ রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির এক সংসদ সদস্য পিএসআই কম্পানি রাখার পক্ষে রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে।
ওই চারটি কম্পানি হলো- মেসার্স এসজিএস ইন্সপেকশন কো. লি., মেসার্স ব্যুরো ভেরিটাস ইন্সপেকশন কো. লি., মেসার্স অমিক ইন্সপেকশন কো. লি., মেসার্স আইটিএস ইন্সপেকশন কো. লি.। সব বিদেশি রাষ্ট্রকে চারটি ব্লকে ভাগ করে এই চারটি কম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কম্পানিগুলে তাদের ব্লকভুক্ত দেশে নিজেদের প্রতিনিধি নিয়োগ করে প্রি-ইন্সপেকশনের কাজ করে থাকে।
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান বদিউর রহমান এ বিষয়ে বলেন, যেসব স্থানে কম্পানিগুলো তাদের লোক নিয়োগ করেছে, সেসব স্থানে বাংলাদেশ সরকারের লোক নিয়োগ করলে একদিকে সরকার যেমন রাজস্ব ধরে রাখতে পারবে, তেমনি বাংলাদেশের অনেক লোক বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে।
কম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ : এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, চুক্তি অনুযায়ী এসব কম্পানি আমদানি করা পণ্য বিদেশে থাকতেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সার্টিফিকেট প্রদান করে থাকে। কম্পানিগুলোর ইন্সপেকশন করা পণ্যের মাত্র ১০ শতাংশের ওপর যাচাই-বাছাই করতে পারেন রাজস্ব কর্মকর্তারা। এই ১০ ভাগের মধ্যে যাচাই করেও আমদানি করা অনেক পণ্যে জালিয়াতি ও কর ফাঁকির বিষয় উদ্ঘাটিত হয়েছে বহুবার।
এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক কমিশনার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমদানি পণ্যের মূল্য কম দেখানোয় সহায়তা করা, ভুয়া ব্যাংক ডকুমেন্ট দেখিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি, মানহীন পণ্যে সিআরএফ (ক্লিন রিপোর্ট ফাইন্ডিংস) বা প্রত্যয়নপত্র দেওয়া, মিথ্যা এইচএস কোড ব্যবহার, খাদ্যপণ্যের নামে বিলাসবহুল পণ্য আমদানিতে সহায়তাসহ নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে পিএসআই কম্পানির বিরুদ্ধে।
ব্যাবসায়ীদের মতামত : অবশ্য ব্যবসায়ীদের একটি অংশ মনে করে, অন্যান্য দেশে পণ্যের আন্তর্জাতিক মূল্য নির্ধারণে কাস্টমস বিভাগে যে ধরনের দক্ষতা ও যোগ্যতা গড়ে উঠেছে, বাংলাদেশে তা অনুপস্থিত। এ অবস্থায় পিএসআই ব্যবস্থা তুলে দিলে কাস্টমস কর্মকর্তাদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়বেন ব্যবসায়ীরা। এতে করে তাঁদের ওপর হয়রানি বাড়বে। তবে অনেক ব্যবসায়ী এ কথাও বলেছেন, পিএসআই প্রথা তাঁদের জন্য ক্ষতিকর। কারণ পিএসআই কম্পানির প্রত্যয়নপত্র বাংলাদেশ কাস্টমসের লোকজন মানতে চায় না। এ জন্য আমদানিকারকরা প্রায়ই ক্ষতির মুখে পড়েন।
জানা গেছে, গত ৪ ডিসেম্বর চেয়ারম্যান গোলাম হোসেনের সভাপতিত্বে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য ও কমিশনারদের এক সভায় ভবিষ্যতে এসব কম্পানির চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি না করার বিষয়ে মত দেন কমিশনাররা। বৈঠকে উপস্থিত একজন কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, যেহেতু এনবিআরের অনেক দিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং ঘুরে ফিরে প্রায় একই ধরনের পণ্য আমদানি করা হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে পিএসআই উঠে গেলেও পণ্য মূল্যায়ন করতে তাঁদের অসুবিধা হবে না।
বিদেশি কম্পানিগুলো নিয়োগের আরেকটি উদ্দেশ্য ছিল এনবিআর কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বাড়ানো। শুল্ক কর্মকর্তারা মনে করছেন, এনবিআরের শুল্ক বিভাগ এখন আমদানি পণ্যের মূল্যায়নে সক্ষমতা অর্জন করেছে। এ ছাড়া পিএসআই কম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে নানামুখী অভিযোগ থাকায় এবং এই প্রথা বাদ দেওয়ার বিষয়ে সরকারের অঙ্গীকার থাকায় নতুন করে পিএসআই কম্পানির সঙ্গে আর চুক্তি না করাই হবে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
আগামী ৩১ ডিসেম্বর এসব কম্পানির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এরপর আর মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না জানতে চাইলে এনবিআর চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'সেটা মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার।' রাজস্ব বোর্ড পিএসআই কম্পানি রাখার পক্ষে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা তো রাখতে চাই না। কিন্তু এর বিকল্পও এখনো আমাদের সামনে তৈরি নেই।' তিনি বলেন, 'পিএসআই উঠে গেলে কিছু ঝুঁকি থাকবে। অবশ্য মূল্যায়ন ব্যবস্থা যাতে ঝুঁকির মুখে না পড়ে সে জন্য এনবিআর কাজ করছে।'
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান বদিউর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'প্রাক জাহাজীকরণ ও আমদানি পণ্যের দাম ও গুণগত মানের বিষয়ে জানার ক্ষেত্রে বিশ্বস্ততার জন্য পিএসআই কম্পানি নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু ২০০৭ সালে পিএসআই কম্পানিগুলোর দুর্বলতা ও গলদ দেখে আমি সে সময়েই পিএসআই বাতিলের প্রক্রিয়া নিয়েছিলাম। বর্তমানে কাস্টমস অটোমেশন ও ডিজিটালাইজডের প্রেক্ষাপটে এসব কম্পানি আর রাখার কোনো যৌক্তিকতা নেই।'
জানা গেছে, গত বছর জাতীয় বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত চলতি ডিসেম্বরের পর এসব বিদেশি কম্পানির মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন। কিন্তু তার পরেও এদের মেয়াদ শেষ হওয়া নিয়ে সন্দেহ কাটেনি রাজস্ব বোর্ড কর্মকর্তাদের। তাঁরা জানান, ২০০২ সালে আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে সরকার মাত্র তিন বছরের জন্য এসব কম্পানি নিয়োগ করেছিল। কিন্তু গত ১০ বছরেও তাদের মেয়াদ আর শেষ হয়নি। তাই এবারও মেয়াদ শেষ হচ্ছে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে। কারণ এরা বিদেশি কম্পানি। লবিং করে তারা বারবার চুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে নিয়েছে। বর্তমান সরকারের প্রভাবশালীদের সঙ্গেও কম্পানিগুলোর যোগাযোগ রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির এক সংসদ সদস্য পিএসআই কম্পানি রাখার পক্ষে রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে।
ওই চারটি কম্পানি হলো- মেসার্স এসজিএস ইন্সপেকশন কো. লি., মেসার্স ব্যুরো ভেরিটাস ইন্সপেকশন কো. লি., মেসার্স অমিক ইন্সপেকশন কো. লি., মেসার্স আইটিএস ইন্সপেকশন কো. লি.। সব বিদেশি রাষ্ট্রকে চারটি ব্লকে ভাগ করে এই চারটি কম্পানিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কম্পানিগুলে তাদের ব্লকভুক্ত দেশে নিজেদের প্রতিনিধি নিয়োগ করে প্রি-ইন্সপেকশনের কাজ করে থাকে।
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান বদিউর রহমান এ বিষয়ে বলেন, যেসব স্থানে কম্পানিগুলো তাদের লোক নিয়োগ করেছে, সেসব স্থানে বাংলাদেশ সরকারের লোক নিয়োগ করলে একদিকে সরকার যেমন রাজস্ব ধরে রাখতে পারবে, তেমনি বাংলাদেশের অনেক লোক বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে।
কম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ : এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, চুক্তি অনুযায়ী এসব কম্পানি আমদানি করা পণ্য বিদেশে থাকতেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সার্টিফিকেট প্রদান করে থাকে। কম্পানিগুলোর ইন্সপেকশন করা পণ্যের মাত্র ১০ শতাংশের ওপর যাচাই-বাছাই করতে পারেন রাজস্ব কর্মকর্তারা। এই ১০ ভাগের মধ্যে যাচাই করেও আমদানি করা অনেক পণ্যে জালিয়াতি ও কর ফাঁকির বিষয় উদ্ঘাটিত হয়েছে বহুবার।
এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক কমিশনার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমদানি পণ্যের মূল্য কম দেখানোয় সহায়তা করা, ভুয়া ব্যাংক ডকুমেন্ট দেখিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানি, মানহীন পণ্যে সিআরএফ (ক্লিন রিপোর্ট ফাইন্ডিংস) বা প্রত্যয়নপত্র দেওয়া, মিথ্যা এইচএস কোড ব্যবহার, খাদ্যপণ্যের নামে বিলাসবহুল পণ্য আমদানিতে সহায়তাসহ নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে পিএসআই কম্পানির বিরুদ্ধে।
ব্যাবসায়ীদের মতামত : অবশ্য ব্যবসায়ীদের একটি অংশ মনে করে, অন্যান্য দেশে পণ্যের আন্তর্জাতিক মূল্য নির্ধারণে কাস্টমস বিভাগে যে ধরনের দক্ষতা ও যোগ্যতা গড়ে উঠেছে, বাংলাদেশে তা অনুপস্থিত। এ অবস্থায় পিএসআই ব্যবস্থা তুলে দিলে কাস্টমস কর্মকর্তাদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়বেন ব্যবসায়ীরা। এতে করে তাঁদের ওপর হয়রানি বাড়বে। তবে অনেক ব্যবসায়ী এ কথাও বলেছেন, পিএসআই প্রথা তাঁদের জন্য ক্ষতিকর। কারণ পিএসআই কম্পানির প্রত্যয়নপত্র বাংলাদেশ কাস্টমসের লোকজন মানতে চায় না। এ জন্য আমদানিকারকরা প্রায়ই ক্ষতির মুখে পড়েন।
No comments