প্রতিক্রিয়া : হুমায়ুন কবির-ওবামার সংস্কার কর্মসূচির পক্ষে রায়
বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার কারণ সামাজিক উন্নয়ন ক্ষেত্রে তিনি যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন, সেগুলো ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। এবারের নির্বাচনে নারী ভোটারদের ব্যাপক সমর্থন পেয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে স্বাস্থ্যনীতি নিয়ে যে আলোচনা ও পর্যালোচনা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে, সেখানেও ওবামার পথ যথাযথ বলে মনে করেছে সাধারণ ভোটাররা।
এ গেল অভ্যন্তরীণ বিষয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বারাক ওবামার পুনর্নির্বাচনের মাধ্যমে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়ে গেল যে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ ওবামার সংস্কার কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছে। তিনি অর্থনীতি, বিশেষ করে কর্মসংস্থানের বিষয়সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, তা মার্কিনিরা সমর্থন করেছে। শিল্পায়নের মাধ্যমে তিনি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে সেখানকার বেকারত্ব নিরসনে যে ভূমিকা রেখেছেন, তা ভোটারদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী চার বছরেও যে তিনি রাষ্ট্র পরিচালনায় দক্ষতার পরিচয় দেবেন_সেই বিশ্বাসও তাদের রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে অভিবাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অভিবাসনের মাধ্যমে অসংখ্য মানুষ সেখানে অবস্থান করে যুক্তরাষ্ট্রের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে যে ভূমিকা রাখছে, তা তাদের বাদ দিয়ে কিংবা উপেক্ষা করে কেউ এগিয়ে যেতে পারবে না। বারাক ওবামার প্রতি অভিবাসীদের সেই আস্থা রয়েছে। তাঁর বিজয়ে এটা আবার প্রমাণিত হলো। স্প্যানিশ ভাষাভাষী মানুষ, এশিয়া থেকে যারা সেখানে স্থায়ী হয়েছে কিংবা আফ্রিকার অভিবাসীরা কিন্তু এবার ব্যাপকভাবে বারাক ওবামাকে ভোট দিয়েছে। তারা ওবামাকে নিজেদের প্রার্থী হিসেবে মনে করেছে।
আবার যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও পুনর্বিন্যাসের ইঙ্গিত পাওয়া যায় এই নির্বাচনের মাধ্যমে। যেসব রাজ্যে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল, সেখানেও কিন্তু ওবামার পক্ষে প্রচুর ভোট পড়েছে। এটা হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। মনে করার কোনো কারণ নেই যে রিপাবলিকানরা সবাই মত পরিবর্তন করে ওবামাকে সমর্থন জানিয়েছে। সেখানকার জনগোষ্ঠীর মধ্যে পরিবর্তন এসেছে সেটা কিন্তু আমাদের খেয়াল করতে হবে। যেসব রাজ্যে আফ্রিকান, এশিয়ান ও স্প্যানিশ ভাষাভাষীদের অবস্থান সুদৃঢ়, সেখানে তাদের উপস্থিতি কিন্তু ভোটের হিসাব বদলে দিয়েছে।
এবারের ভোট যে শুধু আগামী চার বছরের হিসাব-নিকাশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে তা মনে হচ্ছে না। সুদূরপ্রসারী প্রভাব সৃষ্টি করবে এই নির্বাচন। তরুণ প্রজন্মকে প্রভাবিত করবে। বেশির ভাগ শ্বেতাঙ্গ ডেমোক্র্যাটদেরও আগামীতে ভাবনার সুযোগ তৈরি করে দেবে এবারের নির্বাচন।
বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার কারণ সামাজিক উন্নয়ন ক্ষেত্রে তিনি যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন, সেগুলো ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। এবারের নির্বাচনে নারী ভোটারদের ব্যাপক সমর্থন পেয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে স্বাস্থ্যনীতি নিয়ে যে আলোচনা ও পর্যালোচনা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে, সেখানেও ওবামার পথ যথাযথ বলে মনে করেছে সাধারণ ভোটাররা। এ গেল অভ্যন্তরীণ বিষয়।
পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ হয়, আসলে সেখানকার ভোটাররা পররাষ্ট্রনীতিকে খুব একটা গুরুত্ব প্রদান করেনি। তাদের সামনে আফগানিস্তান, মধ্যপ্রাচ্য কিংবা ইরানের বিষয়টি স্পষ্ট ছিল। ওবামার নীতিকে তারা মনে করেছে যথার্থ। মধ্যপ্রাচ্য ও ইরানের বিষয়ে ওবামা যে নীতি গ্রহণ করেছেন তাও মেনে নিয়েছে মার্কিনিরা। ইহুদি ভোটারদের বরাবরই বড় বিষয় বলে মনে করা হতো। এবার কিন্তু ইহুদি ইস্যু সেখানকার ভোটারদের ওপর খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি।
সংস্কারের যে পরিকল্পনা তিনি আগেরবার গ্রহণ করেছিলেন, তার প্রতি পুনঃসমর্থন জানিয়ে ভোটাররা জানিয়ে দিয়েছে, আগামীতেও তিনি যাতে সেই পথেই চলতে পারেন। সুতরাং বারাক ওবামা যে আগামীতেও সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন, তা মনে করার যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে।
তবে কংগ্রেসে রিপাবলিকানদের সদস্যসংখ্যা অনেক। এটা তাঁর রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে কখনো কখনো বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিতে পারে। আবার আমরা যদি মার্কিনিদের আচরণ বিশ্লেষণ করি, তাহলে বলা যায়, তাকে খুব একটা বেগ পেতে হবে না। কারণ রিপাবলিকানরা চেষ্টা করেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারেনি। সেই ফল মেনে নিয়ে আগামীতে তারা ওবামাকে সমর্থন জানাতে কুণ্ঠিত হবে না। তারা দেখছে আগামী চার বছরের জন্য বারাক ওবামাকে জনগণ যথারীতি সমর্থন জানিয়ে দিয়েছে। আর সেই জনরায় তাদের মেনে নিতেই হবে। এমন প্রত্যাশা তাদের কাছ থেকে করা যায়।
(অনুলিখন)
লেখক : যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত
আবার যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও পুনর্বিন্যাসের ইঙ্গিত পাওয়া যায় এই নির্বাচনের মাধ্যমে। যেসব রাজ্যে রিপাবলিকানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল, সেখানেও কিন্তু ওবামার পক্ষে প্রচুর ভোট পড়েছে। এটা হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে। মনে করার কোনো কারণ নেই যে রিপাবলিকানরা সবাই মত পরিবর্তন করে ওবামাকে সমর্থন জানিয়েছে। সেখানকার জনগোষ্ঠীর মধ্যে পরিবর্তন এসেছে সেটা কিন্তু আমাদের খেয়াল করতে হবে। যেসব রাজ্যে আফ্রিকান, এশিয়ান ও স্প্যানিশ ভাষাভাষীদের অবস্থান সুদৃঢ়, সেখানে তাদের উপস্থিতি কিন্তু ভোটের হিসাব বদলে দিয়েছে।
এবারের ভোট যে শুধু আগামী চার বছরের হিসাব-নিকাশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে তা মনে হচ্ছে না। সুদূরপ্রসারী প্রভাব সৃষ্টি করবে এই নির্বাচন। তরুণ প্রজন্মকে প্রভাবিত করবে। বেশির ভাগ শ্বেতাঙ্গ ডেমোক্র্যাটদেরও আগামীতে ভাবনার সুযোগ তৈরি করে দেবে এবারের নির্বাচন।
বারাক ওবামার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার কারণ সামাজিক উন্নয়ন ক্ষেত্রে তিনি যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন, সেগুলো ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে। এবারের নির্বাচনে নারী ভোটারদের ব্যাপক সমর্থন পেয়েছেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রে স্বাস্থ্যনীতি নিয়ে যে আলোচনা ও পর্যালোচনা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে, সেখানেও ওবামার পথ যথাযথ বলে মনে করেছে সাধারণ ভোটাররা। এ গেল অভ্যন্তরীণ বিষয়।
পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ হয়, আসলে সেখানকার ভোটাররা পররাষ্ট্রনীতিকে খুব একটা গুরুত্ব প্রদান করেনি। তাদের সামনে আফগানিস্তান, মধ্যপ্রাচ্য কিংবা ইরানের বিষয়টি স্পষ্ট ছিল। ওবামার নীতিকে তারা মনে করেছে যথার্থ। মধ্যপ্রাচ্য ও ইরানের বিষয়ে ওবামা যে নীতি গ্রহণ করেছেন তাও মেনে নিয়েছে মার্কিনিরা। ইহুদি ভোটারদের বরাবরই বড় বিষয় বলে মনে করা হতো। এবার কিন্তু ইহুদি ইস্যু সেখানকার ভোটারদের ওপর খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি।
সংস্কারের যে পরিকল্পনা তিনি আগেরবার গ্রহণ করেছিলেন, তার প্রতি পুনঃসমর্থন জানিয়ে ভোটাররা জানিয়ে দিয়েছে, আগামীতেও তিনি যাতে সেই পথেই চলতে পারেন। সুতরাং বারাক ওবামা যে আগামীতেও সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন, তা মনে করার যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে।
তবে কংগ্রেসে রিপাবলিকানদের সদস্যসংখ্যা অনেক। এটা তাঁর রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে কখনো কখনো বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিতে পারে। আবার আমরা যদি মার্কিনিদের আচরণ বিশ্লেষণ করি, তাহলে বলা যায়, তাকে খুব একটা বেগ পেতে হবে না। কারণ রিপাবলিকানরা চেষ্টা করেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারেনি। সেই ফল মেনে নিয়ে আগামীতে তারা ওবামাকে সমর্থন জানাতে কুণ্ঠিত হবে না। তারা দেখছে আগামী চার বছরের জন্য বারাক ওবামাকে জনগণ যথারীতি সমর্থন জানিয়ে দিয়েছে। আর সেই জনরায় তাদের মেনে নিতেই হবে। এমন প্রত্যাশা তাদের কাছ থেকে করা যায়।
(অনুলিখন)
লেখক : যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত
No comments