আজ হিলারি, কাল প্রণবের সঙ্গে খালেদার বৈঠক-সরকারের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড তুলে ধরবে বিএনপি by মোশাররফ বাবলু
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ও ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে বর্তমান সরকারের সাড়ে তিন বছরের 'নেতিবাচক' কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে পারে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের বিষয়টির ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে দলটি।
আর সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বর্তমান সরকারের সঙ্গে সংলাপে বসতেও বিরোধী দল আগ্রহী- সে কথাও দুই বিদেশি নেতাকে জানাতে পারে বিএনপি। একই সঙ্গে বিএনপি ও ১৮ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া, গুম, খুন, হত্যা, ধর্ষণ, ধরপাকড় এবং আদালতে যেতে বাধা দেওয়ার মতো ঘটনাগুলোও আলোচনায় আনবে তারা। দলীয় বিভিন্ন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। দুই প্রভাবশালী দেশের দুই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর এ সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে বিএনপি। দুই মন্ত্রীই পৃথকভাবে বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করবেন। আজ বিকেলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন ঢাকায় পৌঁছবেন। রাতেই তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর গুলশানের বাসভবনে বৈঠক করবেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ বৈঠক হওয়ার কথা। অন্যদিকে আজ রাতে ঢাকায় পৌঁছবেন ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। তিনি আগামীকাল রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর গুলশানের কার্যালয়ে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
এসব বৈঠক সম্পর্কে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, হিলারি ক্লিনটন ও প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে বিএনপির আলোচনা হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচন করার প্রশ্নে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের ব্যাপারে, দলীয় নেতা ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়া এবং দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি আলোচনায় তুলে ধরা হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'এসব বিষয় তো আমরা সরকারের কাছে আগেই তুলে ধরছি, কিন্তু সরকার তো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।' বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে গত তিন বছরের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে কোনো অভিযোগ করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'বিএনপি সব সময় চায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো ভালো হোক। তাই দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে কিভাবে কাজ করা যায়, সে বিষয়টিই আলোচনায় প্রাধান্য পাবে। তবে বিদেশি মেহমানরা যদি আমাদের কাছে সরকারের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে কিছু জানতে চান, তখন হয়তো সেসব তুলে ধরা হতে পারে।'
সূত্রে জানা যায়, বিএনপি একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে নয়, তবে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে যেভাবে বিচার হয়, সেভাবে বিচারের দাবি রাখা হবে হিলারি ক্লিনটনের কাছে। এ বিচার যেন কোনোভাবেই রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় না হয়, সে দাবিও তোলা হবে। গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক এমডি ড. ইউনূসের বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পাবে বলে দলের একটি সূত্র জানায়।
অন্যদিকে ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে দেশের সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে না বিএনপি। তাঁর সঙ্গে শুধু ভারত ও বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়েই আলোচনা হবে। তবে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি দ্রুত সই ও সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরা হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, সংসদ সদস্য ও দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। মামলার কারণে আত্মগোপনে থাকতে হচ্ছে নেতাদের। আদালতে গিয়ে জামিন নিতেও পারছেন না তাঁরা। এমনকি জামিনের ব্যাপারে আবেদন করা হলে আদালত বিব্রত বোধ করেন। সাধারণ মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই, অহরহ মানুষ গুম ও খুন হচ্ছে। বিদেশি দূতাবাসের কর্মকর্তাও খুন হচ্ছে। সাংবাদিক দম্পতি খুন হওয়ার পরও খুনিদের ধরা হচ্ছে না। মানবাধিকার লুণ্ঠিত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোক পরিচয় দিয়ে মানুষজনকে তুলে নেওয়া হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ কেমন আছে, তা অবশ্যই বিএনপির তুলে ধরা উচিত।
হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠককে কেন্দ্র করে গুলশানের ৭৯ নম্বর রোডের ১ নম্বর বাসভবনের চারপাশে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও সরকারি বাহিনীর সদস্যরা একাধিকবার এ নিয়ে বৈঠক করেছেন। এফবিআইয়ের সদস্যরাও খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে।
এসব বৈঠক সম্পর্কে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, হিলারি ক্লিনটন ও প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বিষয় নিয়ে বিএনপির আলোচনা হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচন করার প্রশ্নে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের ব্যাপারে, দলীয় নেতা ইলিয়াস আলীর নিখোঁজ হওয়া এবং দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি আলোচনায় তুলে ধরা হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'এসব বিষয় তো আমরা সরকারের কাছে আগেই তুলে ধরছি, কিন্তু সরকার তো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।' বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে গত তিন বছরের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে কোনো অভিযোগ করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'বিএনপি সব সময় চায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো ভালো হোক। তাই দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে কিভাবে কাজ করা যায়, সে বিষয়টিই আলোচনায় প্রাধান্য পাবে। তবে বিদেশি মেহমানরা যদি আমাদের কাছে সরকারের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে কিছু জানতে চান, তখন হয়তো সেসব তুলে ধরা হতে পারে।'
সূত্রে জানা যায়, বিএনপি একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে নয়, তবে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে যেভাবে বিচার হয়, সেভাবে বিচারের দাবি রাখা হবে হিলারি ক্লিনটনের কাছে। এ বিচার যেন কোনোভাবেই রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় না হয়, সে দাবিও তোলা হবে। গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক এমডি ড. ইউনূসের বিষয়টিও আলোচনায় স্থান পাবে বলে দলের একটি সূত্র জানায়।
অন্যদিকে ভারতের অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে দেশের সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে না বিএনপি। তাঁর সঙ্গে শুধু ভারত ও বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়েই আলোচনা হবে। তবে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি দ্রুত সই ও সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরা হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, সংসদ সদস্য ও দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। মামলার কারণে আত্মগোপনে থাকতে হচ্ছে নেতাদের। আদালতে গিয়ে জামিন নিতেও পারছেন না তাঁরা। এমনকি জামিনের ব্যাপারে আবেদন করা হলে আদালত বিব্রত বোধ করেন। সাধারণ মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই, অহরহ মানুষ গুম ও খুন হচ্ছে। বিদেশি দূতাবাসের কর্মকর্তাও খুন হচ্ছে। সাংবাদিক দম্পতি খুন হওয়ার পরও খুনিদের ধরা হচ্ছে না। মানবাধিকার লুণ্ঠিত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোক পরিচয় দিয়ে মানুষজনকে তুলে নেওয়া হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ কেমন আছে, তা অবশ্যই বিএনপির তুলে ধরা উচিত।
হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠককে কেন্দ্র করে গুলশানের ৭৯ নম্বর রোডের ১ নম্বর বাসভবনের চারপাশে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও সরকারি বাহিনীর সদস্যরা একাধিকবার এ নিয়ে বৈঠক করেছেন। এফবিআইয়ের সদস্যরাও খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে।
No comments