দেশের ওষুধ বাণিজ্য by হাফেজ মতিউর রহমান
ওষুধের অপপ্রয়োগের কারণে এবং নির্ধারিত মাত্রায় প্রয়োগ না হওয়ায় যে রোগের জন্য ওষুধ সেবন করা হচ্ছে সে রোগগুলো আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। বেশি মাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের শিকার হচ্ছে শিশুরা। তাছাড়া রয়েছে ওষুধের দাম নিয়ে ব্যাপক অভিযোগ।
কোম্পানি যদি একটু কম মুনাফা নিয়ে ভালো মানের ওষুধ বাজারজাত করতে যায় তাহলে তাদের পেছনে সিন্ডিকেটভুক্ত কোম্পানিগুলো ঝামেলা শুরু করে। সরকার বিদেশি ওষুধের ক্ষেত্রে সরকারি ভ্যাট ও করের শিথিলতা করলেও তা ভোক্তাসাধারণের কোনো উপকারে আসছে না। এখানে বিদেশি ওষুধের দাম সাধারণ মানুষ না জানতে পারার কারণেই মুনাফালোভীরা তাদের অপবাণিজ্য চালাতে পারছে। আমেরিকা থেকে আমদানিকৃত শ্বাসকষ্টের জরুরি একটি ওষুধ সেরিটাইড অ্যাকোহেলার। এর প্রকৃত দাম কত তা জানা সম্ভব নয়। সে মাত্রার ওষুধ এখন আমাদের দেশীয় কোম্পানি তৈরি করার কারণে আগে যেখানে একটি সেরিটাইড বিক্রি হতো এক হাজার ছয়শ' টাকা, এখন তা বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৩০ টাকায়। আমদানিকারকরা কী ধরনের মুনাফা করত এ থেকে তার ধারণা পাওয়া যায়।
সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে গ্রামের মানুষ। দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো অনেক ওষুধ কোম্পানি গড়ে ওঠায় তাদের নিম্নমানের ওষুধ বাজারজাত করতে গ্রামাঞ্চল বেছে নেয়। আর সেখানে ডাক্তাররা অধিক মুনাফার লোভে কম দামি এবং নিম্নমানের ওষুধ বিক্রি করছেন। এ ক্ষেত্রে তারা ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে শতকরা পঞ্চাশ টাকা কমিশন পাচ্ছেন। যেখানে নামিদামি ওষুধের কমিশন হচ্ছে দশ থেকে বারো শতাংশ।
অন্যদিকে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। সাধারণ ঠাণ্ডা, জ্বর, হাঁচি-কাশি থেকে শুরু করে ছোট-বড় প্রায় সব রোগের চিকিৎসায় যথেচ্ছভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী আবার অনেক সময় হাতুড়ে ডাক্তারদের অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করে বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে কোনো নিয়মকানুন মানা হয় না। বিশ্বের অন্যান্য দেশের হাসপাতালে কোন অসুখে কখন কোন অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করা হবে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকলেও বাংলাদেশে তা নেই। বর্তমানে দেশে বিভিন্ন কোম্পানির উৎপাদিত শতাধিক প্রকারের অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন ও বিক্রি হলেও এর কার্যকর এবং সঠিক ব্যবহারে কোনো ধরনের নীতিমালা নেই। অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের সুনির্দিষ্ট নিয়মকানুন রয়েছে। রোগীর ওজন ও উচ্চতা অনুসারে সুনির্দিষ্ট রোগ নির্ণয় করে সঠিক মাত্রায়, সঠিক নিয়ম মেনে ও নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই তা মানছে না। অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সঠিক মাত্রায় এবং সঠিক সময় অনুযায়ী ব্যবহার না করলে নানা ঝুঁকি রয়ে যায়। মানুষকে এ সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে প্রচার-প্রচারণার উদ্যোগ গ্রহণ উচিত।
ৎ ধানমণ্ডি, ঢাকা
সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছে গ্রামের মানুষ। দেশে ব্যাঙের ছাতার মতো অনেক ওষুধ কোম্পানি গড়ে ওঠায় তাদের নিম্নমানের ওষুধ বাজারজাত করতে গ্রামাঞ্চল বেছে নেয়। আর সেখানে ডাক্তাররা অধিক মুনাফার লোভে কম দামি এবং নিম্নমানের ওষুধ বিক্রি করছেন। এ ক্ষেত্রে তারা ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে শতকরা পঞ্চাশ টাকা কমিশন পাচ্ছেন। যেখানে নামিদামি ওষুধের কমিশন হচ্ছে দশ থেকে বারো শতাংশ।
অন্যদিকে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। সাধারণ ঠাণ্ডা, জ্বর, হাঁচি-কাশি থেকে শুরু করে ছোট-বড় প্রায় সব রোগের চিকিৎসায় যথেচ্ছভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে মানবদেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী আবার অনেক সময় হাতুড়ে ডাক্তারদের অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করে বিপজ্জনক অবস্থা তৈরি হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে কোনো নিয়মকানুন মানা হয় না। বিশ্বের অন্যান্য দেশের হাসপাতালে কোন অসুখে কখন কোন অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করা হবে সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকলেও বাংলাদেশে তা নেই। বর্তমানে দেশে বিভিন্ন কোম্পানির উৎপাদিত শতাধিক প্রকারের অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদন ও বিক্রি হলেও এর কার্যকর এবং সঠিক ব্যবহারে কোনো ধরনের নীতিমালা নেই। অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের সুনির্দিষ্ট নিয়মকানুন রয়েছে। রোগীর ওজন ও উচ্চতা অনুসারে সুনির্দিষ্ট রোগ নির্ণয় করে সঠিক মাত্রায়, সঠিক নিয়ম মেনে ও নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা উচিত। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই তা মানছে না। অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সঠিক মাত্রায় এবং সঠিক সময় অনুযায়ী ব্যবহার না করলে নানা ঝুঁকি রয়ে যায়। মানুষকে এ সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে প্রচার-প্রচারণার উদ্যোগ গ্রহণ উচিত।
ৎ ধানমণ্ডি, ঢাকা
No comments