ছাত্র মারধর-বুয়েটের ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগের অভিযুক্ত দুই কর্মীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত আরেক ছাত্রকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা (বোর্ড অব রেসিডেন্ট অ্যান্ড ডিসিপ্লিনারি) সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। স্থায়ী বহিষ্কার হওয়া দুই ছাত্র হলেন সুজিত সাহা ও সাইফুল্লাহ শিকদার। তাঁরা ম্যাটেরিয়াল অ্যান্ড মেটালার্জিক্যাল বিভাগের
২০০৮ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। অভিযুক্ত আরেক ছাত্র আরিফ রায়হানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র। এই তিনজনই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাঁদের এর আগে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হলেও শিক্ষার্থীরা স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন।
বুয়েটের সহ-উপাচার্য হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে জানান, তৌসিফ আহমেদ নামের এক ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। ওই কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী দুই শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি জানান, আগামীকাল (আজ মঙ্গলবার) থেকে বুয়েটের সব প্রশাসনিক কাজকর্ম চলবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বহিষ্কৃত দুই ছাত্র শাস্তি পুনর্বিবেচনার জন্য আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন করতে পারবেন।
গত ২৮ ডিসেম্বর বুয়েটের বিদায়ী ব্যাচের কনসার্ট ছিল। সেখানে সুজিতসহ আরও কয়েকজন ছাত্র সামনের দিকে যেতে চাইলে ষষ্ঠ ব্যাচের ছাত্ররা তাঁদের বাধা দেন। এ সময় তাঁদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। এ ঘটনার রেশ ধরে গত শনিবার দুপুরের দিকে নজরুল ইসলাম হলের ২০১ (ক) কক্ষের আবাসিক ছাত্র তৌসিফ আহমেদকে ব্যাট ও রড দিয়ে বেধড়ক পেটান সুজিত ও সাইফুল্লাহসহ কয়েকজন। এতে তাঁর হাত ভাঙে ও পা থেঁতলে যায়। বর্তমানে তিনি স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ওই ঘটনার প্রতিবাদে ও জড়িত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের দাবিতে বুয়েটের প্রায় হাজার খানেক শিক্ষার্থী শনিবার বিকেলে বিক্ষোভ করেন। তাঁরা সহ-উপাচার্য হাবিবুর রহমান ও ছাত্রকল্যাণ পরিষদের পরিচালক আমিনুল ইসলামকে বিকেল থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রাখেন। এর পরই এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং অভিযুক্ত তিনজনকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়। তবে শিক্ষার্থীরা তাঁদের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন।
এদিকে তৌসিফকে মারধরের ঘটনা তদন্তে গঠিত তদন্ত কমিটি গতকাল দুপুর ১২টার দিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর এ নিয়ে বিকেল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বৈঠক শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি চিন্তা করে বৈঠক পিছিয়ে যায়। এরপর ক্যাম্পাসের মূল ফটকসহ বিভিন্ন স্থানে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে সরে গেলে বিকেল পাঁচটায় বৈঠক শুরু হয়। রাত সাড়ে আটটায় বৈঠক শেষ হয়। এরপর সুজিত ও সাইফুল্লাহকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
বুয়েটের সহ-উপাচার্য হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে জানান, তৌসিফ আহমেদ নামের এক ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। ওই কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী দুই শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তিনি জানান, আগামীকাল (আজ মঙ্গলবার) থেকে বুয়েটের সব প্রশাসনিক কাজকর্ম চলবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বহিষ্কৃত দুই ছাত্র শাস্তি পুনর্বিবেচনার জন্য আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আবেদন করতে পারবেন।
গত ২৮ ডিসেম্বর বুয়েটের বিদায়ী ব্যাচের কনসার্ট ছিল। সেখানে সুজিতসহ আরও কয়েকজন ছাত্র সামনের দিকে যেতে চাইলে ষষ্ঠ ব্যাচের ছাত্ররা তাঁদের বাধা দেন। এ সময় তাঁদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। এ ঘটনার রেশ ধরে গত শনিবার দুপুরের দিকে নজরুল ইসলাম হলের ২০১ (ক) কক্ষের আবাসিক ছাত্র তৌসিফ আহমেদকে ব্যাট ও রড দিয়ে বেধড়ক পেটান সুজিত ও সাইফুল্লাহসহ কয়েকজন। এতে তাঁর হাত ভাঙে ও পা থেঁতলে যায়। বর্তমানে তিনি স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ওই ঘটনার প্রতিবাদে ও জড়িত শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের দাবিতে বুয়েটের প্রায় হাজার খানেক শিক্ষার্থী শনিবার বিকেলে বিক্ষোভ করেন। তাঁরা সহ-উপাচার্য হাবিবুর রহমান ও ছাত্রকল্যাণ পরিষদের পরিচালক আমিনুল ইসলামকে বিকেল থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রাখেন। এর পরই এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং অভিযুক্ত তিনজনকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়। তবে শিক্ষার্থীরা তাঁদের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন।
এদিকে তৌসিফকে মারধরের ঘটনা তদন্তে গঠিত তদন্ত কমিটি গতকাল দুপুর ১২টার দিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। এরপর এ নিয়ে বিকেল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বৈঠক শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি চিন্তা করে বৈঠক পিছিয়ে যায়। এরপর ক্যাম্পাসের মূল ফটকসহ বিভিন্ন স্থানে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে সরে গেলে বিকেল পাঁচটায় বৈঠক শুরু হয়। রাত সাড়ে আটটায় বৈঠক শেষ হয়। এরপর সুজিত ও সাইফুল্লাহকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে নোটিশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।
No comments