বই উৎসব-...লুকিয়ে থাকা স্বপ্নগুলো ধরব'
নতুন বই হাতে নতুন ক্লাসে বসেছে লাখ লাখ শিক্ষার্থী। দিবসটিও বছরের নতুন দিন_পহেলা জানুয়ারি। নতুনের আমেজে মেতে উঠেছিল সারা দেশের স্কুলশিক্ষার্থীরা_গত রবিবার। নেচে-গেয়ে তারা বরণ করেছে নতুন ক্লাস আর নতুন বছর। এ এক অভিনব উৎসব। তিন কোটি ১২ লাখ ১৩ হাজার ৭৫৯ জন শিক্ষার্থী আর তাদের শিক্ষকদের অংশগ্রহণে এই অনন্য উৎসবের জন্য অবশ্যই সরকার সাধুবাদ পেতে পারে। এই উৎসবের আমেজে শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্য বই তুলে দেওয়ার
যে আয়োজন, তা তাদের শিক্ষাক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলতে পারে। প্রভাব ফেলবে সরকারের কাজের মূল্যায়নের ক্ষেত্রেও। বর্তমান সরকারের যে কয়টি কাজ অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছে এবং অধিকতর কল্যাণকে নিশ্চিত করতে পেরেছে, তার মধ্যে প্রথমেই এই সাফল্যকে উল্লেখ করতে হবে। প্রথম থেকে নবম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের হাতে বিনা মূল্যের বই তুলে দেওয়ার প্রচলন হয়েছে বেশ কয়েক বছর হলো। বিগত সরকারগুলোর আমলে দেখা গেছে, এ কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের জন্য ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারি বিনা মূল্যের বই তাদের হাতে পেঁৗছতে পেঁৗছতে দু-এক মাস সময় লেগে যেত। তারপর ক্লাস শুরু হতো, আর সেই বিলম্বের কারণে প্রতিবছরই শিক্ষার্থীদের সিলেবাস শেষ করা সম্ভব হতো না। তার বিরূপ প্রভাব পড়ত তাদের পরীক্ষার ফলে। বর্তমান সরকার সেই দুর্ভোগ শূন্যের কোঠায় কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। এখন প্রতিবছর বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীদের হাতে বই চলে যায়। যার প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা আর জেএসসি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ঈর্ষণীয় ফল হওয়ার মধ্যে। এই ফল-সাফল্যের পেছনে কিছুটা হলেও নিয়মিত বই পাওয়াটা কারণ হিসেবে উল্লেখ করা যায়।
৩১৬টি বিষয়ের জন্য মোট ২২ কোটি ১৩ লাখ ৬৬ হাজার ৩৮৩টি বই মুদ্রণের কাজ সহজ ব্যাপার নয়। এখানে সামান্য ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি গোটা কাজকে হ-য-ব-র-ল অবস্থায় ফেলে দিতে পারে। প্রকাশনা কাজের বিভিন্ন স্তর আছে। সেই স্তরগুলোর মধ্যে কোনো একটির যদি ব্যত্যয় ঘটে, তাহলে সেখানে বড় রকমের গোলমাল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও তদারকি না থাকলে সেখানে সুষ্ঠুভাবে কাজ সম্পন্ন হওয়া সম্ভব নয়। বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার মাধ্যমে সরকার সেই সাফল্য অর্জন করেছে।
তার পরও কিছু ত্রুটি রয়ে গেছে। বিশেষ করে পার্বত্য অঞ্চলে সময়মতো বই না পেঁৗছানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে কোথাও কোথাও দু-একটি বিষয়ের বই প্রয়োজনীয় পরিমাণে পেঁৗছায়নি। আবার কোথাও কোথাও দু-একটি বিষয়ের বই আদৌ পেঁৗছেনি। সেসব এলাকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই না পাওয়ার ক্ষোভ থাকতেই পারে। যেসব এলাকায় এখনো বই পেঁৗছেনি, সেসব এলাকায় দ্রুত বই পেঁৗছানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে ওইসব স্কুলের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়তে পারে। বছরের শুরু থেকে ক্লাস শুরু করার সরকারি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে অতি দ্রুত সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই পেঁৗছানোর ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে সময়মতো বই না পেঁৗছানোর কারণও খুঁজে বের করতে হবে। এ কারণগুলো অনুসন্ধান করে বের করতে না পারলে ভবিষ্যতেও এই অপূর্ণতা থেকে যাবে, যা মূল পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে।
৩১৬টি বিষয়ের জন্য মোট ২২ কোটি ১৩ লাখ ৬৬ হাজার ৩৮৩টি বই মুদ্রণের কাজ সহজ ব্যাপার নয়। এখানে সামান্য ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি গোটা কাজকে হ-য-ব-র-ল অবস্থায় ফেলে দিতে পারে। প্রকাশনা কাজের বিভিন্ন স্তর আছে। সেই স্তরগুলোর মধ্যে কোনো একটির যদি ব্যত্যয় ঘটে, তাহলে সেখানে বড় রকমের গোলমাল হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও তদারকি না থাকলে সেখানে সুষ্ঠুভাবে কাজ সম্পন্ন হওয়া সম্ভব নয়। বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়ার মাধ্যমে সরকার সেই সাফল্য অর্জন করেছে।
তার পরও কিছু ত্রুটি রয়ে গেছে। বিশেষ করে পার্বত্য অঞ্চলে সময়মতো বই না পেঁৗছানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে কোথাও কোথাও দু-একটি বিষয়ের বই প্রয়োজনীয় পরিমাণে পেঁৗছায়নি। আবার কোথাও কোথাও দু-একটি বিষয়ের বই আদৌ পেঁৗছেনি। সেসব এলাকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই না পাওয়ার ক্ষোভ থাকতেই পারে। যেসব এলাকায় এখনো বই পেঁৗছেনি, সেসব এলাকায় দ্রুত বই পেঁৗছানোর ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে ওইসব স্কুলের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়তে পারে। বছরের শুরু থেকে ক্লাস শুরু করার সরকারি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে অতি দ্রুত সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই পেঁৗছানোর ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে সময়মতো বই না পেঁৗছানোর কারণও খুঁজে বের করতে হবে। এ কারণগুলো অনুসন্ধান করে বের করতে না পারলে ভবিষ্যতেও এই অপূর্ণতা থেকে যাবে, যা মূল পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যাঘাত সৃষ্টি করবে।
No comments