প্রতিক্রিয়া-'টিপাইমুখ বাঁধ তৈরি করা কেন জরুরি'

টিপাইমুখে বাঁধ নিয়ে দেশের জনমানুষের উদ্বেগের শেষ নেই। এই বাঁধ নির্মাণ করা হলে বাংলাদেশ যে ভয়াবহ অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত নতুন বিপর্যয়ের মুখে পড়বে_এটাই মানুষের ধারণা। আমরা পাঠকদের বিনয়ের সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে যখন দেশের মধ্যে টিপাইমুখ নিয়ে তেমন করে জনসচেতনতা তৈরি হয়নি, তখন আমরাই প্রথম আমাদের অধুনালুপ্ত 'রাজকূট' সাময়ীকিতে এ বিষয়ে যথাযথ তথ্য-উপাত্ত দিয়ে প্রচ্ছদ রচনা প্রকাশ করি। আমরা সেই


অবস্থানে দৃঢ় থাকতে চাই। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, এ ইস্যুতে বাংলাদেশের মানুষ যখন ঐক্যবদ্ধ তখন একটি বিশেষ মহল থেকে টিপাইমুখ বাঁধ তৈরির পক্ষে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করে ধীরে ধীরে কথা বলা শুরু হয়েছে। গত ২৯ ডিসেম্বর দৈনিক প্রথম আলোতে তেমনই একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে। টিপাইমুখ বাঁধ তৈরিতে ভারতের যুক্তিগুলোকে খণ্ডন করে যাঁরা সোচ্চার ভূমিকা রাখছেন, বুয়েটের সাবেক শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম তাঁদের মধ্যে অন্যতম। প্রথম আলোয় প্রকাশিত লেখাটির প্রতিক্রিয়ায় টিপাইমুখ বাঁধ তৈরি বন্ধ করাটাই যে বাংলাদেশের জন্য জরুরি, সে কথাই তুলে ধরেছেন দেশের এই তরুণ পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞ জাহিদুল ইসলাম

মহিউদ্দিন আহমদ গত ২৯ ডিসেম্বর দৈনিক প্রথম আলোতে 'টিপাইমুখ বাঁধ তৈরি করা কেন জরুরি' শিরোনামে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। বলতে দ্বিধা নেই, তথ্যগত ও ভাষাগত বিচারে নিবন্ধটিকে আমার অত্যন্ত একপেশে মনে হয়েছে। আমি এই নিবন্ধে তাঁর বক্তব্যের অযৌক্তিক দিকগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করব।
তিনি উল্লেখ করেছেন যে তাঁর নিবন্ধে উল্লেখকৃত তথ্য কানাডীয় উন্নয়ন সংস্থার (সিডা) অর্থায়নে বাংলাদেশ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নব্বইয়ের দশকে সম্পাদিত একটি বিশেষ সমীক্ষার অংশবিশেষ। যদিও তিনি ওই সমীক্ষার নাম উল্লেখ করেননি, তবে ধারণা করা যায়, উল্লেখ্য গবেষণাটি বাংলাদেশের 'উত্তর-পূর্ব আঞ্চলিক পানি ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা : ফ্লাড অ্যাকশন প্ল্যান-৬ (NERP-FAP 6)-এর অধীনে 'ইনিশিয়াল এনভায়রনমেন্টাল ইভ্যালুয়েশন' শিরোনামে প্রকাশিত হয়। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে টিপাইমুখ প্রকল্পে এটিই একমাত্র উল্লেখ্যযোগ্য গবেষণা, যা মূলত কিছু ধারণা বা অ্যাসাম্পশনের ওপর ভিত্তি করে সংগঠিত হয়েছিল। তিনি উল্লেখ করেছেন, এর চেয়ে মানসম্মত তথ্য ও উপাত্ত যদি আর কারো কাছে থেকে থাকে, তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। অথচ ওই রিপোর্টেই উল্লেখ আছে, 'যৌথ নদী কমিশনের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যে এই প্রকল্পের একটি নূ্যনতম ধারণা পাওয়া যায়, যা কি না ওই প্রকল্পের সম্ভাব্য প্রাথমিক প্রভাব যাচাইয়ে ব্যবহৃত হয়েছে। ...ভারত কতটুকু পানি এই প্রকল্প থেকে প্রত্যাহার করবে সে সম্পর্কে কোনো তথ্য জানা নেই। এ গবেষণার জন্য ধরে নেওয়া হয়েছে যে সেচের জন্য এক মিটার সমপরিমাণ পানি অপসারণ করা হবে, পানি অপসারণ ক্রমাগতভাবে শুষ্ক মৌসুম (নভেম্বর থেকে এপ্রিল) পর্যন্ত চলবে।' ওই গবেষণায় উল্লেখ আছে,
* জলাধার পূরণের সময়কালে অনেক সময় প্রকল্পের সুবিধা তাড়াতাড়ি পাওয়ার জন্য অতিদ্রুতভাবে জলাধার পূর্ণ করা হয়, যা বাংলাদেশের মতো ভাটির অঞ্চলে ভয়াবহ পরিবেশ, বিশেষ করে বাস্তুসংস্থান বিপর্যয় ঘটাবে।
* বর্ষা মৌসুমে অমলসিদে বরাক নদের 'সর্বোচ্চ প্রবাহ' ২৫ শতাংশ হ্রাস পাবে এবং পানির পরিমাণ শতকরা ২০ শতাংশ কমে যাবে, ফলে পানির উচ্চতা ১.৬ মিটার কমে যাবে।
* শুষ্ক মৌসুমে অমলসিদে পানির সর্বোচ্চ প্রবাহ শতকরা ১০০ ভাগ থেকে ২০০ ভাগ বাড়বে এবং পানির পরিমাণ শতকরা ৬০ ভাগ বেড়ে যাবে, ফলে পানির উচ্চতা ১.৭ মিটার বেড়ে যাবে।
* বাঁধ ভেঙে গেলে উৎপন্ন ঢেউ ঘণ্টায় ১০ থেকে ৩০ কিলোমিটার বেগে ভাটির দিকে ধাবিত হবে এবং বাংলাদেশে প্রবেশ করতে এর সময় লাগবে ২৪ ঘণ্টা। বাংলাদেশে প্রবেশের সময় এই ঢেউয়ের উচ্চতা হবে ৫ মিটার। টিপাইমুখ বাঁধের জলাধারের ধারণক্ষমতা ১৫,০০০ মিলিয়ন ঘনমিটার। ফলে এই বিপুল প্রবাহ ১০ দিন ধরে দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে এবং সব বন্যার্ত এলাকা থেকে পানি সরে যেতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যাবে।
এ ছাড়া সেপ্টেম্বর ২০০৫-এ কেনিয়ার নাইরোবিতে 'ইউনাইটেড ন্যাশনস এনভায়রনমেন্টাল প্রোগ্রাম' কর্তৃক আয়োজিত 'ড্যামস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট' শীর্ষক কর্মশালায় মো. গোলাম কিববিয়ার একটি উপস্থাপিত প্রবন্ধের তথ্যসূত্র অনুযায়ী 'ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং'-এর পক্ষ থেকে টিপাইমুখের ওপর একটি অপ্রকাশিত স্টাডির খবর জানা যায় যাতে। ওই গবেষণা অনুযায়ী টিপাইমুখ বাঁধ পূর্ণভাবে এর কার্যক্রম শুরু করলে,
* অমলসিদে বরাক নদে বর্ষা মৌসুমে গড় প্রবাহ জুন, জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে যথাক্রেমে ১০, ২৩, ১৬ ও ১৫ শতাংশ কমে যাবে।
* সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার জলাভূমি ও হাওর আগের থেকে গড়ে যথাক্রমে ২৬ ও ১১ শতাংশ কমে যাবে।
* কুশিয়ারা নদী তীরে অবস্থিত কুশিয়ারা-বর্দাল হাওর গড় বর্ষার সময় পুরোপুরি শুকিয়ে যাবে এবং কাওয়ারদিঘি হাওরের ২৬ শতাংশ প্লাবন এলাকা হারাবে।
* বাঁধের ভাটিতে ১০০ থেকে ১৫০ কিমি. দীর্ঘায়িত অংশে বিপুল নদী ক্ষয়ের ফলে ক্ষয়িত পলি বাংলাদেশে বাহিত হবে, যা কি না বরাক নদের নিচের অংশে, যেখান থেকে তা সুরমা আর কুশিয়ারা এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে, সেখানে জমা হবে। বর্ষার শেষের দিকে এই পলি সঞ্চয়ের হার আরো বেড়ে যাবে। এই বেড়ে যাওয়া পলি কুশিয়ারা নদীর বেশ কিছু শাখা নদীর মুখ বন্ধ করে দিতে পারে।
বর্ষা মৌসুমে পানিপ্রবাহ হ্রাসের কথা উল্লেখ করে তিনি মন্তব্য করেছেন, এই হ্রাসকৃত প্রবাহ বন্যা নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে। সেই সঙ্গে শুকনো মৌসুমে বর্ধিত প্রবাহও ইতিবাচক। কিন্তু এই তথাকথিত বন্যামুক্ত হওয়া কতটা ইতিবাচক। বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এখানে রয়েছে বিশাল জলাভূমি ও অসংখ্য হাওর। এর একটি নিজস্ব বাস্তুসংস্থান রয়েছে। প্রাকৃতিকভাবে এখানে বর্ষার সময় পানি বাড়বে, বন্যা হবে ও শুষ্ক মৌসুমে অনেক এলাকা শুকিয়ে যাবে, এর ওপর ভিত্তি করেই সেখানকার বাস্তুসংস্থান গড়ে উঠেছে। ফলে বন্যার পানি কমা বা শুষ্ক মৌসুমে পানি বেশি পাওয়ার যে আশ্বাস ভারত দিচ্ছে, তা এই এলাকার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
হাওর এলাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, বর্ষাকালে হাওরগুলো জলে টইটম্বুর থাকে, কোনো ফসল হয় না, কিন্তু তিনি বিস্তীর্ণ এই হাওর এলাকার মৎস্যসম্পদ ও জীববৈচিত্র্যের কথা এড়িয়ে গেছেন। তিনি ভুলে গেছেন বর্তমান সময়ে সমন্বিত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার মূলনীতির কথা। তিনি আরো উল্লেখ করেছেন, হাওর অঞ্চলের সমস্যা দুটি : এক. আগাম বন্যা, যার ফলে ফেব্রুয়ারি-মার্চে উঠতি ফসল মাঠেই তলিয়ে যায়, এবং দুই. দেরিতে পানি নিষ্কাশন, যার ফলে বোরো ধান রোপণ করতে দেরি হয়ে যায় এবং তা আগাম বন্যার ঝুঁকিতে পড়ে। তিনি মন্তব্য করেছেন বর্ষাকালে বরাক দিয়ে পানিপ্রবাহ হ্রাস পেলে এই দুটো সমস্যাই কমে যাবে। কিন্তু এখানে লক্ষণীয় যে টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের পর বর্ষার শুরুতে রিজার্ভারে পানি ধরে রাখার প্রয়োজন পড়বে, আবার বর্ষার শেষের দিকে পানি ছেড়ে দেওয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে। এর ফলে বর্ষার শুরুতে বন্যা কমে আসতে পারে, আবার বর্ষার শেষে বন্যার প্রকোপ বাড়তে পারে। এর প্রভাব এই অঞ্চলের বোরো ধান আবাদের ওপর পড়তে পারে।
এখানে উল্লেখ্য, বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের হাওড়গুলো শুষ্ক মৌসুমে যখন শুকিয়ে যায়, তখন কৃষকরা সেখানে বোরো ধান বপন করে, যা এই অঞ্চলের একমাত্র ফসল। এই ধান বর্ষা আসার আগেই ঘরে ওঠে, যা এই লোকগুলোর বছরের একমাত্র শুক্রবার জোগান দেয়। শুকনো মৌসুমে পানিপ্রবাহ বৃদ্ধি এবং তার ফলে সেচের জন্য সুফল বয়ে আনা প্রসঙ্গে জনাব আহমদের মন্তব্যের প্রতিউত্তরে বলতে চাই, প্রাথমিক গবেষণা অনুযায়ী টিপাইমুখ প্রকল্পের কারণে শুষ্ক মৌসুমে অমলসিদের আরো ভাটিতে সুরমা-কুশিয়ারা অববাহিকায় নদী-তীরবর্তী অঞ্চলে প্রবাহ শতকরা ৮০ ভাগ বৃদ্ধি পাবে, যা কি না পানির উচ্চতা ২ মিটার পর্যন্ত বাড়িয়ে দেবে। সে ক্ষেত্রে সেচের সুবিধা নয় বরং এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলের ফসল পানিতেই নিমজ্জিত হবে। তাই বাঁধের কারণে শুষ্ক মৌসুমে পানিপ্রবাহ বেড়ে গেলে এই এলাকার চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা আছে।
নদীর উজানে বাঁধ তৈরি ও জলাধার নির্মাণ করে শুকনো মৌসুমে পানিপ্রবাহ বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে তিনি মন্তব্য করেছেন যে 'এ ধরনের জলাধার নেপাল কিংবা ভুটানে হলে আপত্তি নেই, কিন্তু ভারতে হলেই অনেকের আপত্তি।' এখানে বলে রাখা ভালো যে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের সেই প্রস্তাব ভারত সমর্থন করলে হয়তো গঙ্গাচুক্তি ১৯৭৪-৭৫ সালেই সংগঠিত হতো। গঙ্গা চুক্তির আপস আলোচনার দ্বিতীয় পর্যায়ে (১৯৭৪-১৯৭৬) যেহেতু শুষ্ক মৌসুমে গঙ্গার পানিবণ্টন নিয়ে সমস্যার উৎপত্তি হয়, তাই এ পর্যায়ে 'গঙ্গায় পানি বৃদ্ধির' বিষয়টি সামনে আনা হয়। বাংলাদেশ প্রস্তাব করে যে ভারত বর্ষা মৌসুমের বিপুল পরিমাণ পানিকে উজানের জলাধারে (ভারতে না নেপালে) সঞ্চিত করে, তা শুষ্ক মৌসুমে ব্যবহার করতে পারে, অন্যদিকে ভারত একটি সংযোগ খালের মাধ্যমে ব্রহ্মপুত্র থেকে বিপুল পরিমাণ পানি গঙ্গায় নিয়ে আসার প্রস্তাব করে। বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা উজানে বাঁধ করতে প্রস্তাব করেছিল, কারণ তারা চেয়েছিল যেন তাতে শুষ্ক মৌসুমে গঙ্গায় পানি বৃদ্ধি পায় এবং সেই বর্ধিত পানি ভারত প্রত্যাহার করতে পারে, ফলে বাংলাদেশকে আর পানিবিহীন থাকতে হয় না শীতকালে।
তিনি উল্লেখ করেন, অনেকেই আছেন সরাসরি বাঁধের বিরুদ্ধে বললেও ভূমিকম্পের জুজুর ভয় দেখান। কিন্তু আসলেই কী এটি জুজুর ভয়? এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে ভারতীয় ও বার্মা প্লেটের মিথস্ক্রিয়ার ফলে ভারত ও বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল পৃথিবীর অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবে বিবেচিত। ভূতাত্তি্বকভাবে টিপাইমুখ বাঁধ এলাকা এবং তৎসংলগ্ন অঞ্চল আসলে অসংখ্য 'ফোল্ড ও ফল্ট' বিশিষ্ট এবং এই অঞ্চলে গত ১৫০ বছরে রিখটার স্কেলে ৭-এর অধিক মাত্রার দুটি ভূমিকম্প হয়েছে, যার মধ্যে শেষটি ছিল ১৯৫৭ সালে, যা কি না টিপাইমুখ প্রকল্প থেকে পূর্ব-উত্তরপূর্ব দিকে মাত্র ৭৫ কিমি. দূরে।
তিনি মন্তব্য করেন, 'এ বাঁধ শুধু ভারতের তৈরি করাই উচিত নয়, বাংলাদেশের উচিত ভারতকে চাপ দেওয়া, যাতে বাঁধটি তাড়াতাড়ি তৈরি হয়।' আবেগবর্জিত হয়েই তাঁর উক্তির প্রতিউত্তরে বলছি, আমাদের আগে প্রয়োজন এই প্রকল্পের নিজস্ব বা যৌথ সমীক্ষা করে জেনে নেওয়া বাংলাদেশের কতটুকু ক্ষতি হচ্ছে। যদি বাঁধের ফলে সম্ভাব্য ক্ষতি কমিয়ে আনার জন্য এর ডিজাইনে কোনো পরিবর্তন-পরিবর্ধন সম্ভব থাকে তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। আর যদি এই ক্ষতি সহনীয় মাত্রায় আনা সম্ভব না হয় সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন না করার প্রস্তাব ভারতের কাছে উত্থাপন করতে হবে।
লেখক : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পানিসম্পদ
বিভাগের সাবেক শিক্ষক। বর্তমানে কানাডার ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টাতে উচ্চতর গবেষণা করছেন

No comments

Powered by Blogger.