বিআইডিএসের গবেষণার ফল প্রকাশঃ কৃষিজমি কমায় বছরে ক্ষতি ১৫ হাজার কোটি টাকা
কৃষিজমি কমে যাওয়ায় দেশে বছরে ১৫ হাজার কোটি টাকার ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বার্ক) এই হিসাব তুলে ধরে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) বলেছে, সামগ্রিক আর্থিক বিবেচনায় এ ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি।
‘বাংলাদেশের টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রকল্পের আওতায় বিআইডিএস একটি সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছে, দেশে এ পর্যন্ত এক হাজার ২০০ কিলোমিটার জমি নদীভাঙনের কবলে পড়ে হারিয়ে গেছে। লবণাক্ততার কারণে বরিশাল ও খুলনা বিভাগের ১০ লাখ ৬৫ হাজার হেক্টর জমির চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। জলাবদ্ধতা থাকায় ১২ লাখ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা যাচ্ছে না। আবার মাটির গুণাগুণ কমে যাওয়া ও খরার কারণে দেশের ৪৩ শতাংশ জমির উৎপাদন কমে যাচ্ছে।
২০ বছর আগে বলা হতো, দেশের কৃষিজমি প্রতিবছর এক শতাংশ হারে কমছে। বর্তমানে এই কমার হার এক শতাংশেরও বেশি উল্লেখ করে বিআইডিএস ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গবেষকেরা জানিয়েছেন, এই হারে কৃষিজমি কমতে থাকলে শিগগিরই দেশের খাদ্য উৎপাদন কমতে থাকবে। কেননা, দেশে বর্গাচাষির সংখ্যা বাড়তে থাকায় কৃষক আগের মতো জমির উর্বরা শক্তি বাড়ানোর পেছনে বিনিয়োগ করছেন না। ফলে সামগ্রিকভাবে জমির উর্বরা শক্তি কমে যাচ্ছে।
বিআইডিএস দেশের পাঁচটি কৃষি প্রতিবেশ এলাকার ওপর সমীক্ষাটি চালায়। খরা এলাকা হিসেবে নওগাঁর সাপাহার, উপকূলীয় ও লবণাক্ত এলাকা হিসেবে খুলনার পাইকগাছা, হাওর এলাকা হিসেবে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর, পাহাড়ি এলাকা হিসেবে কক্সবাজারের উখিয়া এবং সমতল ভূমি হিসেবে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার এলাকাকে বেছে নেওয়া হয়। গতকাল বুধবার বিআইডিএস মিলনায়তনে এই সমীক্ষার ফলাফল উপস্থাপন করেন সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক এম আসাদুজ্জামান। সমীক্ষাটির প্রধান গবেষক ছিলেন জুলফিকার আলী।
‘বাংলাদেশে টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা: ইস্যু, বাধা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক ওই সমীক্ষায় কৃষিজমির উর্বরতা কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে নয়টি বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে। যেমন, সীমিত পরিমাণে জৈব সারের ব্যবহার, সঠিক উপায়ে চাষাবাদ না করা, মাটির উর্বরতা রক্ষা করার ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাব, যথাযথভাবে সংরক্ষণের উদ্যোগ না থাকা, অধিক জনসংখ্যা, জমির ওপর অধিক চাপ, লবণাক্ততা ও আবহাওয়াগত পরিবর্তন।
গবেষণায় বলা হয়েছে, দেশের মোট আয়তনের ৬ দশমিক ৫ শতাংশ জলাভূমি, ৫৩ শতাংশ অর্থাৎ এক কোটি ৯০ লাখ ৯০ হাজার হেক্টর জমি কৃষি কাজের উপযোগী। গবেষণায় দেখা গেছে, উর্বর কৃষিজমি মূলত ইটভাটা, শিল্পকারখানা স্থাপনের কাজে বেশি ব্যবহূত হচ্ছে। এক-পঞ্চমাংশ কৃষিজমি বর্গাচাষ ও অংশীদারির মাধ্যমে চাষ হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের গবেষক আবদুল মান্নান জমি ইজারা দেওয়ার সময়সীমা কমপক্ষে তিন বছর করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, জৈব সার ব্যবহার করলে তার প্রভাব জমিতে কমপক্ষে তিন বছর থাকে। কিন্তু বর্গাচাষিরা এক বছরের জন্য জমি ইজারা নিয়ে জমি চাষ করছেন এবং অল্প সময়ে বেশি উৎপাদনের জন্য জমিতে অপেক্ষাকৃত সস্তা ও উর্বরা শক্তির জন্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক সার ব্যবহার করছেন।
বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক এম আসাদুজ্জামান সরকারকে দ্রুত কৃষিজমি রক্ষা আইন প্রণয়ন ও কার্যকর করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, এই জমি রক্ষা না করতে পারলে দেশের খাদ্য উৎপাদন কমে যাবে, উৎপাদনব্যয় বাড়বে।
২০ বছর আগে বলা হতো, দেশের কৃষিজমি প্রতিবছর এক শতাংশ হারে কমছে। বর্তমানে এই কমার হার এক শতাংশেরও বেশি উল্লেখ করে বিআইডিএস ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গবেষকেরা জানিয়েছেন, এই হারে কৃষিজমি কমতে থাকলে শিগগিরই দেশের খাদ্য উৎপাদন কমতে থাকবে। কেননা, দেশে বর্গাচাষির সংখ্যা বাড়তে থাকায় কৃষক আগের মতো জমির উর্বরা শক্তি বাড়ানোর পেছনে বিনিয়োগ করছেন না। ফলে সামগ্রিকভাবে জমির উর্বরা শক্তি কমে যাচ্ছে।
বিআইডিএস দেশের পাঁচটি কৃষি প্রতিবেশ এলাকার ওপর সমীক্ষাটি চালায়। খরা এলাকা হিসেবে নওগাঁর সাপাহার, উপকূলীয় ও লবণাক্ত এলাকা হিসেবে খুলনার পাইকগাছা, হাওর এলাকা হিসেবে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর, পাহাড়ি এলাকা হিসেবে কক্সবাজারের উখিয়া এবং সমতল ভূমি হিসেবে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার এলাকাকে বেছে নেওয়া হয়। গতকাল বুধবার বিআইডিএস মিলনায়তনে এই সমীক্ষার ফলাফল উপস্থাপন করেন সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক এম আসাদুজ্জামান। সমীক্ষাটির প্রধান গবেষক ছিলেন জুলফিকার আলী।
‘বাংলাদেশে টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা: ইস্যু, বাধা ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক ওই সমীক্ষায় কৃষিজমির উর্বরতা কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে নয়টি বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে। যেমন, সীমিত পরিমাণে জৈব সারের ব্যবহার, সঠিক উপায়ে চাষাবাদ না করা, মাটির উর্বরতা রক্ষা করার ক্ষেত্রে সচেতনতার অভাব, যথাযথভাবে সংরক্ষণের উদ্যোগ না থাকা, অধিক জনসংখ্যা, জমির ওপর অধিক চাপ, লবণাক্ততা ও আবহাওয়াগত পরিবর্তন।
গবেষণায় বলা হয়েছে, দেশের মোট আয়তনের ৬ দশমিক ৫ শতাংশ জলাভূমি, ৫৩ শতাংশ অর্থাৎ এক কোটি ৯০ লাখ ৯০ হাজার হেক্টর জমি কৃষি কাজের উপযোগী। গবেষণায় দেখা গেছে, উর্বর কৃষিজমি মূলত ইটভাটা, শিল্পকারখানা স্থাপনের কাজে বেশি ব্যবহূত হচ্ছে। এক-পঞ্চমাংশ কৃষিজমি বর্গাচাষ ও অংশীদারির মাধ্যমে চাষ হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের টেকসই ভূমি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের গবেষক আবদুল মান্নান জমি ইজারা দেওয়ার সময়সীমা কমপক্ষে তিন বছর করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, জৈব সার ব্যবহার করলে তার প্রভাব জমিতে কমপক্ষে তিন বছর থাকে। কিন্তু বর্গাচাষিরা এক বছরের জন্য জমি ইজারা নিয়ে জমি চাষ করছেন এবং অল্প সময়ে বেশি উৎপাদনের জন্য জমিতে অপেক্ষাকৃত সস্তা ও উর্বরা শক্তির জন্য ক্ষতিকারক রাসায়নিক সার ব্যবহার করছেন।
বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক এম আসাদুজ্জামান সরকারকে দ্রুত কৃষিজমি রক্ষা আইন প্রণয়ন ও কার্যকর করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, এই জমি রক্ষা না করতে পারলে দেশের খাদ্য উৎপাদন কমে যাবে, উৎপাদনব্যয় বাড়বে।
No comments