৩৮- ‘নবরূপে বাকশাল’ নাম দেখে সবাই আঁতকে উঠলেন

মার ওপর নির্যাতন তাদের যথেষ্ট মনে হয়নি
... জেলজীবনের নয় মাসে সর্বশ্রী আবদুল গাফফার চৌধুরী, মুনতাসীর মামুন, মহিউদ্দিন আহমেদ এবং আরও দুই-একজন আওয়ামী কলামিস্টের আমার দেশ প্রসঙ্গ নিয়ে লেখা যে কয়েকটি কলাম পড়ার সুযোগ হয়েছে, তাতে বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে আমার ওপর সরকারি নির্যাতনে তাদের আনন্দ আর বাঁধ মানছে না। বরং এ নির্যাতনের মাত্রাও তাদের কাছে যথেষ্ট মনে হয়নি।
বইমেলার মাত্র চারদিন বাকি থাকতে একসঙ্গে আমার দুটি বই প্রকাশিত হয়েছে। এটাও এক নতুন অনুভূতি। এক-এগারোর প্রক্রিয়ায় আমাদের সার্বভৌমত্ব লুণ্ঠনের আগপর্যন্ত সম্পূর্ণ ভিন্ন পেশার মানুষ আমি কখনও লেখালেখির তাগিদ অনুভব করিনি। লিখতে শুরু করে দেখলাম, নিজের অনুভূতি প্রকাশের সুখানুভূতিই আলাদা। গ্রেফতার হওয়ার আগেই কিছু নির্বাচিত কলাম নিয়ে দুটি বই ছাপা হয়েছিল। এবার বন্দি অবস্থায় পারভীনের আগ্রহে নতুন দুটি বই প্রকাশিত হলো। এই বই ছাপা নিয়েও নাটক কম হয়নি। স্বয়ং সরকারপ্রধানের বিশেষ বিরাগভাজন মাহমুদুর রহমানের বই ছাপতে কোনো প্রকাশকই সাহস পাচ্ছিলেন না। শেষপর্যন্ত একজন এগিয়ে এলেন।
কিন্তু গোল বাধলো একটি বইয়ের নাম নিয়ে। ‘নবরূপে বাকশাল’ নাম দেখে সবাই আঁতকে উঠতে লাগলেন। দেশের যে প্রখ্যাত শিল্পী বইয়ের প্রচ্ছদ এঁকেছেন, তিনি শর্ত দিলেন ছদ্মনাম ব্যবহার করতে হবে। প্রকাশক বললেন, বই নিয়ে পরে মামলা-টামলা হলে আমাদের তার সব দায়িত্ব নিতে হবে। গত দু’মাস ধরে পারভীনের কাছ থেকে এসব সংবাদ পাচ্ছি আর বীর বাঙালির সাহসের নমুনা দেখে চমত্কৃত হচ্ছি। যা হোক, শেষ পর্যন্ত আমার মতো অভাজনের লেখা বই একুশের বইমেলায় প্রকাশ পেয়েছে এতেই আমি উদ্বেলিত।
আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণের ‘ভয়ঙ্কর’ অপরাধে আপিল বিভাগের লর্ডশিপদের তিরস্কার শুনতে হয়েছে। তত্কালীন প্রধান বিচারপতি মো. ফজলুল করিম আমাকে ‘চান্স এডিটর’ নামে অভিহিত করে উপহাস করেছেন। বর্তমান প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক দীর্ঘক্ষণ ধরে সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা নিয়ে জেরা করেছেন। তাদের নালিশ, আমি ইঞ্জিনিয়ার এবং এমবিএ ডিগ্রিধারী হয়ে সম্পাদকের চেয়ারে কেন বসেছি? যেন ম্যাট্রিক পাস করে সাংবাদিকতার লাইনে গেলে কোনো অপরাধ ছিল না। এখন ভয় হচ্ছে, একুশে বইমেলায় আমার বই ছাপানোর ঔদ্ধত্যে আবার না উচ্চ আদালতের সমন এসে যায়!
মুক্তির কিঞ্চিত্ সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে ক’দিন ধরে খাদ্যগ্রহণের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছি। জেলে আসা ইস্তক একধরনের অক্ষম ক্রোধে কঠিন কৃচ্ছ্রসাধন করে যাচ্ছিলাম। জীবন ধারণের জন্য যতটুকু প্রয়োজন, তার অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ করিনি। প্রতি শনিবার পারভীনের কষ্ট করে বয়ে আনা ফল, মিষ্টি, বিস্কুট ইত্যাদি কারা প্রশাসনের সেবাতেই বেশি ব্যবহৃত হতো। ফলে ওজন কমতে কমতে ষাট কেজির ধারে-কাছে এসে ঠেকেছে।
ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে পলিসি বদলে ফেলেছি। আমার গাত্রবর্ণের সঙ্গে ইথিওপিয়ার অধিবাসীদের মিল তো সেই জন্ম থেকেই। বাল্যকালে ক্রিকেট খেলার নেশা ছিল, টিঙটিঙে শরীর নিয়ে আবার ফাস্ট বোলিং করতাম। আমার বলে আউট হলে রাগ সামলাতে না পেরে খেলার সাথীরা খোঁচা দিয়ে বলতো, খেলব কী করে, তোর চেহারা দেখলেই তো ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বোলারের মতো মনে হয়। ভয়েই আউট হয়ে যাই। সেই বিখ্যাত গায়ের রঙের সঙ্গে স্বাস্থ্যের যে দশা হয়েছে, তাতে আমাকে ইথিওপিয়া থেকে আগত দুর্ভিক্ষপীড়িত শরণার্থী ভাবা বিচিত্র নয়। জেল থেকে বার হওয়ার পর আমার ভগ্নস্বাস্থ্য দেখে আওয়ামী বন্ধুদের আনন্দের উদ্রেক হোক, এটা আবার আমার একেবারেই কাম্য নয়। কাজেই গাজীপুর জেলের অখাদ্যই তিনবেলা অমৃত জ্ঞানে গলা পর্যন্ত সেঁটে যাচ্ছি। তার সঙ্গে ফলাহার যা চলছে, তাও পাহলোয়ানের খোরাক। ফলও পাচ্ছি হাতে হাতে।
পাঁজরের হাড়ের ওপর মনে হচ্ছে যেন গোশতের আস্তরণ একটা দেখা যাচ্ছে। তোবড়ানো গালও অতটা ভাঙা লাগছে না। এর মধ্যে পেট বিদ্রোহ না করলে অন্তত মেরুদণ্ড সোজা রেখেই হয়তো জেলগেটের বাইরে পা রাখতে পারব। মুক্তি পেয়েই অনেকের মতো হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কোনো প্রয়োজন পড়বে না। যেসব আওয়ামী সমর্থক শারীরিক ও মানসিকভাবে অশক্ত, সদ্য কারামুক্ত মাহমুদুর রহমানকে অতিকষ্টে কারও কাঁধে হাত দিয়ে গাড়িতে ওঠার দৃশ্য দেখে আনন্দে আটখানা হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন, তাদের মনঃকষ্ট অসহনীয় হতে পারে। আমি যে জেলগুলোতে দিন কাটাচ্ছি তার জেলর, সুপারদেরও হয়তো উপরআলাদের কাছে জবাবদিহি করতে করতে প্রাণান্ত হতে হবে। চাই কি দশ মাস ধরে আমাকে জামাই আদরে জেলে রাখা হয়েছিল শিরোনামে সংবাদও আওয়ামী পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়ে যেতে পারে।
জেলজীবনের নয় মাসে সর্বশ্রী আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, মুনতাসীর মামুন, মহিউদ্দিন আহমেদ এবং আরও দুই-একজন আওয়ামী কলামিস্টের আমার দেশ প্রসঙ্গ নিয়ে লেখা যে কয়েকটি কলাম পড়ার সুযোগ হয়েছে, তাতে বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে আমার ওপর সরকারি নির্যাতনে তাদের আনন্দ আর বাঁধ মানছে না। বরং এই নির্যাতনের মাত্রাও তাদের কাছে যথেষ্ট মনে হয়নি। গত পাঁচ বছরে এসব ‘বিখ্যাত’ কলামিস্টের তুলনায় আমার লেখার পরিমাণ একেবারে কম ছিল না। আমার মুক্তজীবনে এই রথী-মহারথীরা সেসব লেখার কোনো প্রতিবাদ করেছেন কখনও চোখে পড়েনি। এমনও হতে পারে, তাদের মতো বিজ্ঞজনরা প্রতিবাদ করে আমার ছাইপাশ লেখাকে জাতে তুলতে চাননি। অথচ যেই না আমি জেলে এলাম, তাদের কলমের জোর দেখে কে! একজন ব্যক্তি যখন বন্দিত্বের কারণে আত্মপক্ষ সমর্থনে অক্ষম, সে অবস্থায় তার বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করা কতখানি ভব্যতার মধ্যে পড়ে, তার বিচার পাঠক করবেন। অবশ্য আওয়ামী পণ্ডিতদের সৌজন্যের মাপকাঠি যে সাধারণের চেয়ে আলাদা হবে, সেটাই স্বাভাবিক।
আজ মা আর পারভীন দেখা করতে এসেছিল। এ নিয়ে গাজীপুর জেলে মা দ্বিতীয়বার এলেন। জেলগেটে মাকে দেখলে আমার অপরাধবোধ বেড়ে যায়। আগামী মাসের ১৫ তারিখে তিনি ৭৪ বছরে পা দেবেন। সারাজীবন শিক্ষকতা করা একজন নারী জীবনের শেষপ্রান্তে এসে ছেলের গোঁয়ার্তুমির বোঝা বইতে জেলে জেলে ছুটছেন, মেনে নিতে বড় কষ্ট হয়। আজকের দেখায় আমরা অবশ্য কোনো বিষাদের কথা বলিনি। তিনজন মিলে দেখার নির্ধারিত তিরিশ মিনিট বেশ ফুর্তিতেই কাটিয়েছি। দেখা হতেই কাগজে মোড়ানো ছোট্ট একটা জিনিস মা আমার হাতে দিলেন। আমিও তাবিজ-টাবিজ ভেবে পকেটে রেখে দিলাম। ইচ্ছে ছিল সেলে গিয়ে খুলে দেখব। সাক্ষাতের সময় যখন প্রায় শেষ, মা বলে উঠলেন—কী রে, পারভীনকে জিনিসটা এখনও দিলি না। তখন বুঝলাম ওটা আমার জন্য নয়। খুলে দেখি একটা সোনার আংটি। ক’দিন আগেই আমাদের ২৬তম বিয়েবার্ষিকী গেছে। সেটা মনে করেই মা তার বউয়ের জন্য উপহার নিয়ে এসেছেন। জেলখানার এতো লোকের সামনে এই প্রবীণ বয়সে পারভীনকে আংটি পরিয়ে দিতে আমার অস্বস্তি, নিতে পারভীনের ডবল অস্বস্তি। তারপরও কী আর করা! মাতৃআজ্ঞা পালন না করে উপায় নেই। পারভীনও আমার জন্য উপহার নিয়ে এসেছিল, বইমেলায় সদ্য প্রকাশিত আমার দুটি বই। ‘এক-এগারো থেকে ডিজিটাল’-এর ভূমিকা লিখেছেন ফরহাদ মজহার এবং ‘নবরূপে বাকশাল’-এর ভূমিকা লিখেছেন শফিক রেহমান।
জীবনে কত মানুষের কাছ থেকে যে শুধু নিয়েই গেলাম, প্রতিদানে দেয়া হলো না কিছুই। আমার গ্রেফতারের পর থেকে যেভাবে এই দুই বিশিষ্ট জন আমার পরিবারের প্রতি বন্ধুত্ব ও সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, কৃতজ্ঞতার কোনো ভাষাই তার জন্য যথেষ্ট নয়। শফিক ভাই, ফরহাদ ভাই, আপনাদের ঋণ শোধের স্পর্ধা কোনোদিনই দেখাবো না। বইমেলায় আমার লেখা বই প্রবেশ করায় সুশীল (?) বুদ্ধিজীবীরা নিশ্চয়ই নাসিকা কুঞ্চিত করে ফেলেছেন। বইমেলার জাত আর রইল না! অজ্ঞাতকুলশীল, চান্স লেখকদের ওঁচা বইও সেখানে অবলীলায় ঢুকে যাচ্ছে। ভবিষ্যতের বইমেলায় আমার সব লেখা নিষিদ্ধের দাবি উঠলে বিস্মিত হবো না। আমার প্রসঙ্গে বইমেলায় আরও একটি বই প্রকাশিত হয়েছে। গ্রেফতারের পর থেকে দেশের বিশিষ্টজনরা এবং নানা প্রান্ত থেকে শুভানুধ্যায়ীরা আমার সম্পর্কে যা লিখেছেন, তা থেকে বাছাই করা লেখা নিয়ে ‘বিজয়ী সম্পাদক মাহমুদুর রহমান’ এই নামে সঙ্কলন বার করেছে মাতৃভাষা প্রকাশ। বইটির সম্পাদনা করেছে আমারই সঙ্গে জেলখাটা, অনুজপ্রতিম সাংবাদিক অলিউল্লা নোমান। সঙ্কলনটিতে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ, শফিক রেহমান, ফরহাদ মজহার, আতাউস সামাদ, ড. মাহ্বুব উল্লাহ্, ড. আজহারুল ইসলাম, ড. রাজিয়া আক্তার বানু, ড. তাজমেরী ইসলাম, ড. সদরুল আমিন, ড. ইউসুফ হায়দার, ড. হাসান মোহাম্মদ, ড. খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান, ড. মোহাম্মদ মাহবুবউল্লাহ্ প্রমুখের লেখা পড়ে অনুপ্রাণিত বোধ করেছি।
তবে বিশেষভাবে অভিভূত ও আবেগতাড়িত হয়েছি দু’জন তরুণের লেখায়। মাহমুদুল হাসান তার লেখায় মিসরের বিখ্যাত আলেম এবং মহান বিপ্লবী সাইয়েদ কুতুবের সঙ্গে আমার মতো সর্বদিক দিয়ে নগণ্য এক ব্যক্তির তুলনা করে জীবনের সর্বোচ্চ সম্মান দান করেছেন। মাহমুদুল হাসান লিখেছেন, ‘অতিসম্প্রতি আমি মিসরের বিপ্লবী ও সাহিত্যিক সাইয়েদ কুতুবকে পড়া শুরু করেছি। সাইয়েদ কুতুবের সঙ্গে মাহমুদুর রহমানের দারুণ একটা মিল আমি পেয়েছি। মাহমুদুর রহমানের জেলে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ এই যে, তিনি অন্যায় শাসনের বিরুদ্ধে লেখেন। বাংলাদেশকে লুটেপুটে খাওয়ার যে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক কৌশল চলছে, এ ব্যাপারে তিনি ও তাঁর পত্রিকা আমার দেশ আমাদের নিদ্রাচ্ছন্নতা থেকে সজাগ করছেন এবং আমাদের আগামী দিনের লড়াইটা কীভাবে করতে হবে, এক্ষেত্রে জনগণকে একাট্টা করার ও একাট্টা রাখার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। সাইয়েদকেও জেলে যেতে হয়েছিল জালেম ও সাম্রাজ্যবাদের পা-চাটা নাসেরের বিরুদ্ধে তাঁর লেখালেখি ও বিপ্লবী রাজনীতির জন্য।’
সাইয়েদ কুতুবের পর্যায়ে পৌঁছানো আমার ক্ষমতার বাইরে। তবে মাহমুদুল হাসানের মতো আদর্শবাদী তরুণকে কথা দিচ্ছি, দেশের স্বাধীনতা এবং জনগণের অধিকারের প্রশ্নে ইনশাল্লাহ কোনোদিন আপস করব না। জালিম সরকারের সব ধরনের নির্যাতন সহ্য করার প্রত্যয় হৃদয়ে ধারণ করেই ১৭ মার্চ গাজীপুর জেলের বাইরে পয়লা কদম দেয়ার আশায় বুক বেঁধে আছি। বাংলাদেশে ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদের অনুচরদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাইয়েদ কুতুবের মতো জীবনদানের সুযোগ এলে তাকে আমার প্রতি আল্লাহর বিশেষ রহমত হিসেবেই বিবেচনা করব। আর এক তরুণ আহমেদ সালাহউদ্দিন লিখেছেন তার পঁচাত্তর বছরের অসুস্থ জননী কয়েকদিনের অচেতন অবস্থা থেকে জ্ঞান ফিরে পেয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়ে জানতে চেয়েছেন, আমি জেল থেকে মুক্তি পেয়েছি কিনা। আমার মতো কঠিন হৃদয়ের মানুষও লেখাটি পড়ে চোখের পানি আটকাতে পারিনি। তার অসুস্থ মা কেন আমার বিষয়ে জানতে চাইলেন, সেই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে আহমেদ সালাহউদ্দিন লিখেছেন, ‘আমার মার মুখ থেকে প্রশ্নটা শোনার পর থেকেই বিষয়টা আমার মাথার মধ্যে আসে। কেন জানি মনে হয় বিষয়টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ; না হলে আমার মা হাসপাতালের বেডে যখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে তখন সবকিছু বাদ দিয়ে কেন মাহমুদুর রহমানের কথা বলবেন। যদিও চিকিত্সকরা বলেছেন, তাঁর স্মৃতিপটে হঠাত্ করেই মাহমুদুর রহমান ভেসে উঠেছিল। হয়তো বা তাঁর গ্রেফতারের ঘটনা পত্রিকা বা টেলিভিশনে দেখে আমার মাকে মর্মাহত করেছিল। তাই তাঁর হুঁশ ফেরার পরই জানতে চাইলেন মাহমুদুর রহমানের কথা।’
আল্লাহর কাছে আমার মাতৃসমা এই প্রবীণার রোগমুক্তি কামনা করছি।

No comments

Powered by Blogger.