জরুরী তলবের পরই ভোজ্যতেলের দাম কমে আসল
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জরুরী তলবের চিঠি পাওয়ার পরই ভোজ্যতেলের দাম কমালো মিল মালিকরা। এক লাফে কেজিপ্রতি ৪ টাকা কমেছে ভোজ্যতেলের দাম। সয়াবিন, সুপার পাম ও পামঅয়েলর দাম এখন কমতির দিকে।
বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকেও মিল মালিকরা ভোজ্যতেলের দাম আরেক দফা কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এছাড়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এ সপ্তাহে কয়েকটি ভোগ্যপণ্যের দাম কমেছে। দাম কমা পণ্যের তালিকায় আছে-আলু, টমেটো এবং দেশী পেঁয়াজ। মূল্য বেড়েছে রসুন, আমদানিকৃত পেঁয়াজ এবং আদার। আর স্থিতিশীল রয়েছে চাল, আটা চিনি, ডাল, ডিম এবং ব্রয়লার মুরগির দাম। এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে আগের দামে। শাক-সবজির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও করল্লা এখন নাগালের বাইরে রয়েছে। প্রতিকেজি করল্লা বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।
এদিকে, বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদের সঙ্গে বৈঠকে মিল মালিকরা সম্প্রতি ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির কথা স্বীকার করেছেন। তারা বলেছেন, শীতের কারণে পণ্য সরবরাহে সমস্যা হয়েছে এই সুযোগ নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছেন। ওই বৈঠকে বাণিজ্য সচিব ভোজ্যতেলের দাম কমিয়ে আনার কথা বললে ব্যবসায়ীরা দাম কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বৈঠক উপস্থিত ছিলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, মজুদ ভাল রয়েছে। এলসি খোলা ও নিষ্পত্তির পরিমাণও ভাল। এ মুহ’র্তে ১ লাখ ৬৯ হাজার মেট্রিক টন ক্রুড তেল কোম্পানিগুলোর কাছে মজুদ রয়েছে। এরমধ্যে পামঅয়েলের ক্রুড হচ্ছে ১ লাখ ২৩ হাজার টন ও সয়াবিন হচ্ছে ৪৬ হাজার মেট্রিক টন। তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এ সময় ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির কোন কারণ নেই। মিল মালিকরা বলেছেন, শীতের কারণে সরবরাহে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। এই সুযোগে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছেন।
সস্প্রতি কোন কারণ ছাড়াই ভোজ্যতেলের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন এই মূল্যবৃদ্ধি সঠিক কিনা তা খতিয়ে দেখেছে। ট্যারিফ কমিশন আন্তর্জাতিক মূল্য, ভোজ্যতেল মিলগুলোতে প্রক্রিয়াজাতকরণ খরচ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিত খরচ হিসাব করে দেখতে পায় প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম ১১৫ টাকা হয়। কিন্তু ওই তেল বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২৮ থেকে ১২৯ টাকা। এ পরিস্থিতিতে জরুরী ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সাতজন শীর্ষ মিল মালিককে তলব করা হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্য সচিব ব্যবসায়ীদের কাছে ভোজ্যতেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণ জানতে চান। এ সময় ব্যবসায়ীরা বলেন, বোতলজাত ভোজ্যতেলের দাম বাড়েনি। লুজ তেলের দাম বেড়েছে। এটি করেছেন স্থানীয় পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের মনিটরিং সেল সূত্রে পাওয়া তথ্যমতে, এ সময় ভোজ্যতেলের আমদানির পরিমাণে কোন ঘাটতি নেই। গত নবেম্বর থেকে গত ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ৬৫ হাজার ৮৫৩ টন অপরিশোধিত সয়াবিন, ১ লাখ ৯১ হাজার ৩৪২ টন পাম অয়েল আমদানির এলসি খোলা হয়। এটি চাহিদার তুলনায় স্বাভাবিক। গত ২০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের বন্ডে ৪৭ হাজার ৯৯৭ টন অপরিশোধিত সয়াবিন, সাত হাজার ১৯৩ টন অপরিশোধিত পাম তেল ও ৪০ হাজার ৬৩২ টন পাম অলিন মজুদ ছিল। এর বিপরীতে ডিসেম্বর মাসে কোম্পানিগুলো বন্ড থেকে খালাস করেছে ২৬ হাজার ২৯৮ টন অপরিশোধিত সয়াবিন ও ২৭ হাজার ৬৮০ টন অপরিশোধিত পাম তেল। এ তথ্য তুলে ধরে মনিটরিং সেল বলছে, বন্ডে যে পরিমাণ তেল মজুদ আছে, তা যে কোন সময়ের চেয়ে ভাল। পরিশোধনকারীরা বন্ড থেকে খালাস না করলে বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টির আশঙ্কা থাকে। কিন্তু পরিশোধনকারীরা অন্য সময়ের তুলনায় কম হারে অপরিশোধিত পাম তেল খালাস করছে। এতে ভোজ্যতেলের মোট সরবরাহ কম হচ্ছে। যার প্রভাব পড়বে বাজারে।
ভোজ্যতেল নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমল কৃষ্ণ ভট্টাচার্য, সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালসহ সাত মিল মালিকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, মিনিকেট চালের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বাড়ার পর আর কমছে না। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪২-৪৫ টাকা। নাজিরশাইল মানভেদে ৩৫-৪৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। মোটা চাল আগের মতোই ২৫-৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। গত সপ্তাহে আলুর দাম উর্ধমুখী হলেও এ সপ্তাহে কেজিপ্রতি দাম কমেছে ৫-৭ টাকা। মানভেদে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২২-২৫ টাকায়। ২৮-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে দেশী পেঁয়াজ। টমেটো মানভেদে ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আমদানিকৃত বড় রসুন ও আদার দাম কেজিপ্রতি ২০-২৫ টাকা দাম বেড়ে ১০০ টাকা বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। ভারতীয় আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। প্রতিহালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৬-৩৮ এবং প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকায়। মসুর ডাল ক্যাঙ্গার চিকন ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা আটা প্রতিকেজি ৩৪, লবণ প্যাকেটজাত ২৮ এবং চিনি বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকায়।
এদিকে, নিত্যপণ্যের দাম আরও কমা উচিত বলে মনে করছেন সাধারণ ভোক্তারা। তাদের মতে, শুধু ভোজ্যতেলের বাজার মনিটরিং করলেই বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না। মন্ত্রণালয়ের ভোগ্যপণ্যের প্রতিটি খাতের ব্যবসায়ীদের জরুরী তলবের মাধ্যমে পৃথক পৃথক বৈঠক করা উচিত। কেন এবং কি জন্য দাম বাড়ছে তার খোঁজ খবর নেয়াসহ বাজার সিন্ডিকেট চক্রদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরেরও মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করা প্রয়োজন।
এদিকে, বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদের সঙ্গে বৈঠকে মিল মালিকরা সম্প্রতি ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির কথা স্বীকার করেছেন। তারা বলেছেন, শীতের কারণে পণ্য সরবরাহে সমস্যা হয়েছে এই সুযোগ নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছেন। ওই বৈঠকে বাণিজ্য সচিব ভোজ্যতেলের দাম কমিয়ে আনার কথা বললে ব্যবসায়ীরা দাম কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বৈঠক উপস্থিত ছিলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, মজুদ ভাল রয়েছে। এলসি খোলা ও নিষ্পত্তির পরিমাণও ভাল। এ মুহ’র্তে ১ লাখ ৬৯ হাজার মেট্রিক টন ক্রুড তেল কোম্পানিগুলোর কাছে মজুদ রয়েছে। এরমধ্যে পামঅয়েলের ক্রুড হচ্ছে ১ লাখ ২৩ হাজার টন ও সয়াবিন হচ্ছে ৪৬ হাজার মেট্রিক টন। তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এ সময় ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির কোন কারণ নেই। মিল মালিকরা বলেছেন, শীতের কারণে সরবরাহে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। এই সুযোগে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছেন।
সস্প্রতি কোন কারণ ছাড়াই ভোজ্যতেলের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন এই মূল্যবৃদ্ধি সঠিক কিনা তা খতিয়ে দেখেছে। ট্যারিফ কমিশন আন্তর্জাতিক মূল্য, ভোজ্যতেল মিলগুলোতে প্রক্রিয়াজাতকরণ খরচ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিত খরচ হিসাব করে দেখতে পায় প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম ১১৫ টাকা হয়। কিন্তু ওই তেল বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১২৮ থেকে ১২৯ টাকা। এ পরিস্থিতিতে জরুরী ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সাতজন শীর্ষ মিল মালিককে তলব করা হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্য সচিব ব্যবসায়ীদের কাছে ভোজ্যতেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণ জানতে চান। এ সময় ব্যবসায়ীরা বলেন, বোতলজাত ভোজ্যতেলের দাম বাড়েনি। লুজ তেলের দাম বেড়েছে। এটি করেছেন স্থানীয় পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের মনিটরিং সেল সূত্রে পাওয়া তথ্যমতে, এ সময় ভোজ্যতেলের আমদানির পরিমাণে কোন ঘাটতি নেই। গত নবেম্বর থেকে গত ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ৬৫ হাজার ৮৫৩ টন অপরিশোধিত সয়াবিন, ১ লাখ ৯১ হাজার ৩৪২ টন পাম অয়েল আমদানির এলসি খোলা হয়। এটি চাহিদার তুলনায় স্বাভাবিক। গত ২০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের বন্ডে ৪৭ হাজার ৯৯৭ টন অপরিশোধিত সয়াবিন, সাত হাজার ১৯৩ টন অপরিশোধিত পাম তেল ও ৪০ হাজার ৬৩২ টন পাম অলিন মজুদ ছিল। এর বিপরীতে ডিসেম্বর মাসে কোম্পানিগুলো বন্ড থেকে খালাস করেছে ২৬ হাজার ২৯৮ টন অপরিশোধিত সয়াবিন ও ২৭ হাজার ৬৮০ টন অপরিশোধিত পাম তেল। এ তথ্য তুলে ধরে মনিটরিং সেল বলছে, বন্ডে যে পরিমাণ তেল মজুদ আছে, তা যে কোন সময়ের চেয়ে ভাল। পরিশোধনকারীরা বন্ড থেকে খালাস না করলে বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টির আশঙ্কা থাকে। কিন্তু পরিশোধনকারীরা অন্য সময়ের তুলনায় কম হারে অপরিশোধিত পাম তেল খালাস করছে। এতে ভোজ্যতেলের মোট সরবরাহ কম হচ্ছে। যার প্রভাব পড়বে বাজারে।
ভোজ্যতেল নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কমল কৃষ্ণ ভট্টাচার্য, সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালসহ সাত মিল মালিকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, মিনিকেট চালের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বাড়ার পর আর কমছে না। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪২-৪৫ টাকা। নাজিরশাইল মানভেদে ৩৫-৪৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। মোটা চাল আগের মতোই ২৫-৩০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। গত সপ্তাহে আলুর দাম উর্ধমুখী হলেও এ সপ্তাহে কেজিপ্রতি দাম কমেছে ৫-৭ টাকা। মানভেদে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২২-২৫ টাকায়। ২৮-৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে দেশী পেঁয়াজ। টমেটো মানভেদে ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আমদানিকৃত বড় রসুন ও আদার দাম কেজিপ্রতি ২০-২৫ টাকা দাম বেড়ে ১০০ টাকা বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। ভারতীয় আমদানিকৃত পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। প্রতিহালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৬-৩৮ এবং প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৪৫ টাকায়। মসুর ডাল ক্যাঙ্গার চিকন ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা আটা প্রতিকেজি ৩৪, লবণ প্যাকেটজাত ২৮ এবং চিনি বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকায়।
এদিকে, নিত্যপণ্যের দাম আরও কমা উচিত বলে মনে করছেন সাধারণ ভোক্তারা। তাদের মতে, শুধু ভোজ্যতেলের বাজার মনিটরিং করলেই বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না। মন্ত্রণালয়ের ভোগ্যপণ্যের প্রতিটি খাতের ব্যবসায়ীদের জরুরী তলবের মাধ্যমে পৃথক পৃথক বৈঠক করা উচিত। কেন এবং কি জন্য দাম বাড়ছে তার খোঁজ খবর নেয়াসহ বাজার সিন্ডিকেট চক্রদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরেরও মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করা প্রয়োজন।
No comments