সংশোধন হচ্ছে ইসলামী ব্যাংকিং গাইডলাইন-৩২০০ কোটি উদ্বৃত্ত তারল্য ব্যবহারে আসছে by মজুমদার বাবু
ইসলামী ব্যাংকিং গাইডলাইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে ইসলামী ব্যাংকগুলোর হাতে থাকা প্রায় তিন হাজার ২০০ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত তারল্য ইসলামী ব্যাংকগুলো, প্রচলিত বাণিজ্যিক ব্যাংকের ইসলামী ব্যাংকিং উইংগুলো ব্যবহার করতে পারবে। এতে বাজারে বিশেষ করে ইসলামী ব্যাংকগুলোয় যে তারল্যের চাপ রয়েছে, তা অনেকাংশেই প্রশমিত হবে।
গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এস কে সুর চৌধুরীর সভাপতিত্বে ইসলামী ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত পর্যালোচনা বৈঠকে এ বিষয়ে সবার সম্মতি পাওয়া গেছে। এখন শিগগিরই ইসলামী ব্যাংকিং গাইডলাইন সংশোধিত খসড়া প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে বাংলাদেশ ব্যাংক তা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করবে।
দেশে বর্তমানে সাতটি ইসলামী ব্যাংক ও ১৬টি ব্যাংকের ইসলামী ব্যাংকিং উইং রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী ইসলামী ব্যাংকগুলোর হাতে প্রায় তিন হাজার ২০০ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত তারল্য রয়েছে। ইসলামী ব্যাংকিং গাইডলাইন সংশোধন হলে ইসলামী ব্যাংকগুলোর তারল্য ব্যবস্থাপনার অনেক জটিলতা কমে আসবে। একই সঙ্গে ইসলামী ব্যাংকগুলোর উদ্বৃত্ত তারল্য প্রচলিত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও শরিয়াহ লঙ্ঘন না করেই ব্যবহার করার সুযোগ পাবে। এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংকগুলো তাদের উদ্বৃত্ত তারল্য সরকারি ইসলামী বন্ডে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে, এতে ব্যাংকগুলোর মুনাফা বাড়বে।
গাইডলাইন সংশোধনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ইসলামী বন্ড রুল-২০০৪ সংশোধন করা হবে। এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংকগুলোর জন্য পৃথক আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজার এবং বন্ড ইন্সট্রুমেন্ট প্রচলন করার বিষয়টি যুক্ত করা হবে। এর মধ্যে এক মাস, তিন মাস, ছয় মাস এবং এক বছর কিংবা তারও অধিক মেয়াদি বিভিন্ন বন্ড পণ্য আকারে নিয়ে আসার বিষয়টি গাইডলাইন অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।
গাইডলাইন সংশোধন করা সম্ভব হলে ইসলামী ব্যাংকগুলোর ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটের পরিধি বাড়বে উল্লেখ করে এস কে সুর চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এতে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের জন্য আরো নতুন কিছু পণ্য চালু করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। গাইডলাইন পরিবর্তনের মূলত ইসলামী ব্যাংকগুলোর ও প্রচলিত ব্যাংকগুলোর ইসলামী ব্যাংকিং উইংগুলোর তারল্য চাপ কেটে যাবে। এ ছাড়া সরকারের জন্য ঋণের জোগান দিতে গিয়ে প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর ওপর যে চাপ পড়ছে, তা অনেক প্রশমিত হয়ে আসবে।
দেশে বর্তমানে সাতটি ইসলামী ব্যাংক ও ১৬টি ব্যাংকের ইসলামী ব্যাংকিং উইং রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরিসংখ্যান অনুযায়ী ইসলামী ব্যাংকগুলোর হাতে প্রায় তিন হাজার ২০০ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত তারল্য রয়েছে। ইসলামী ব্যাংকিং গাইডলাইন সংশোধন হলে ইসলামী ব্যাংকগুলোর তারল্য ব্যবস্থাপনার অনেক জটিলতা কমে আসবে। একই সঙ্গে ইসলামী ব্যাংকগুলোর উদ্বৃত্ত তারল্য প্রচলিত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও শরিয়াহ লঙ্ঘন না করেই ব্যবহার করার সুযোগ পাবে। এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংকগুলো তাদের উদ্বৃত্ত তারল্য সরকারি ইসলামী বন্ডে বিনিয়োগের সুযোগ পাবে, এতে ব্যাংকগুলোর মুনাফা বাড়বে।
গাইডলাইন সংশোধনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ইসলামী বন্ড রুল-২০০৪ সংশোধন করা হবে। এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংকগুলোর জন্য পৃথক আন্তব্যাংক মুদ্রাবাজার এবং বন্ড ইন্সট্রুমেন্ট প্রচলন করার বিষয়টি যুক্ত করা হবে। এর মধ্যে এক মাস, তিন মাস, ছয় মাস এবং এক বছর কিংবা তারও অধিক মেয়াদি বিভিন্ন বন্ড পণ্য আকারে নিয়ে আসার বিষয়টি গাইডলাইন অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।
গাইডলাইন সংশোধন করা সম্ভব হলে ইসলামী ব্যাংকগুলোর ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটের পরিধি বাড়বে উল্লেখ করে এস কে সুর চৌধুরী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এতে ইসলামী ব্যাংকিংয়ের জন্য আরো নতুন কিছু পণ্য চালু করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। গাইডলাইন পরিবর্তনের মূলত ইসলামী ব্যাংকগুলোর ও প্রচলিত ব্যাংকগুলোর ইসলামী ব্যাংকিং উইংগুলোর তারল্য চাপ কেটে যাবে। এ ছাড়া সরকারের জন্য ঋণের জোগান দিতে গিয়ে প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলোর ওপর যে চাপ পড়ছে, তা অনেক প্রশমিত হয়ে আসবে।
No comments