রাজবাড়ীতে জমির বিরোধে পুলিশের এসআই নিহত
জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মৃগী বাজারে প্রতিপক্ষের হামলায় পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো পাঁচজন। এ ঘটনার জের ধরে দুটি দোকান, তিনটি বসতঘর ভাঙচুরসহ ১২ ঘরে অগি্নসংযোগ ও মালামাল লুট করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবদুর রাজ্জাক (৪৫) নারায়ণগঞ্জে সিআইডি পুলিশের এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি কালুখালী উপজেলার পাতুরিয়া গ্রামের জিন্দার আলী মোল্লার ছেলে। গত ৫ নভেম্বর তিনি ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যান। গতকালই তাঁর কর্মস্থলে যোগদানের কথা ছিল।
নিহত আবদুর রাজ্জাক (৪৫) নারায়ণগঞ্জে সিআইডি পুলিশের এসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি কালুখালী উপজেলার পাতুরিয়া গ্রামের জিন্দার আলী মোল্লার ছেলে। গত ৫ নভেম্বর তিনি ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যান। গতকালই তাঁর কর্মস্থলে যোগদানের কথা ছিল।
আবদুর রাজ্জাকের স্ত্রী রোকেয়া বেগম ও ছোট ভাই রফিক মোল্লা জানান, গতকাল সকাল ৯টার দিকে খবর আসে মৃগী বাজারের হাশেম আলী রাইস মিলের কাছে আবদুর রাজ্জাকের কেনা জমিতে অবৈধভাবে কে বা কারা ঘর তুলছে। খবর পেয়ে আবদুর রাজ্জাক পরিবারের ছয়-সাতজন সদস্যকে নিয়ে সেখানে যান। সেখানে ঘর তুলতে বাধা দিলে ওই জমির দাবিদার হাশেম আলী ওরফে হাশর মিস্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। হাশেম আলীর লোকজনের মারধরে এসআই রাজ্জাক, জাহিদুল, গোলাম নবী, আমজাদ, শাহজাহান ও কুদ্দুস আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আবদুর রাজ্জাক, গোলাম নবী ও শাহজাহানকে প্রথমে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্ েএবং পরে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ১০টার দিকে আবদুর রাজ্জাকের মৃত্যু হয়।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী মিলন কুমার, সাহেব আলী, আফরোজা ও সাহানা বলেন, রাজ্জাকের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বড় পাতুরিয়া গ্রামের কয়েক শ লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে মৃগী বাজারে হাশেম আলীর রাইস মিল, তাঁর ভাই রাকিব হোসেনের ইলেকট্রনিকসের দোকান এবং পাশের তিনটি বসতঘর ও টিনের বেড়া ভাঙচুর করে। এ ছাড়া চাঁদমৃগী এলাকায় হাশেম আলীর চারটি ঘর, তাঁর ভাই দাউদ আলীর চারটি ও আরেক ভাই সিদ্দিকুর রহমান ওরফে চুকো দর্জির চারটি ঘর, একটি পাটের গুদামসহ ১২টি টিনের ঘর ও গোয়ালঘর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তারা ওই সব বাড়িতে থাকা আটটি গরু ও বসতঘরে থাকা ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। খবর পেয়ে পাংশা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভান।
পাংশা থানার ওসি আবদুল খালেক জানান, খবর পেয়ে শতাধিক পুলিশ ও র্যাব সদস্য ওই এলাকায় পাঠানো হয়েছে। আবদুর রাজ্জাক হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে হাশেম আলীর চাচাতো ভাই রবিউল ইসলাম জিরুকে (২৫) আটক করা হয়েছে। গতকাল বিকেল ৩টার দিকে রাজবাড়ী শহরের ভবানীপুর থেকে তাঁকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।
গতকাল দুপুরে রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. জিল্লুল হাকিম, পুলিশ সুপার মো. রেজাউল হক, কালুখালীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদ হোসেন খানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ১০টার দিকে আবদুর রাজ্জাকের মৃত্যু হয়।
এদিকে প্রত্যক্ষদর্শী মিলন কুমার, সাহেব আলী, আফরোজা ও সাহানা বলেন, রাজ্জাকের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বড় পাতুরিয়া গ্রামের কয়েক শ লোক লাঠিসোঁটা নিয়ে মৃগী বাজারে হাশেম আলীর রাইস মিল, তাঁর ভাই রাকিব হোসেনের ইলেকট্রনিকসের দোকান এবং পাশের তিনটি বসতঘর ও টিনের বেড়া ভাঙচুর করে। এ ছাড়া চাঁদমৃগী এলাকায় হাশেম আলীর চারটি ঘর, তাঁর ভাই দাউদ আলীর চারটি ও আরেক ভাই সিদ্দিকুর রহমান ওরফে চুকো দর্জির চারটি ঘর, একটি পাটের গুদামসহ ১২টি টিনের ঘর ও গোয়ালঘর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তারা ওই সব বাড়িতে থাকা আটটি গরু ও বসতঘরে থাকা ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে। খবর পেয়ে পাংশা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভান।
পাংশা থানার ওসি আবদুল খালেক জানান, খবর পেয়ে শতাধিক পুলিশ ও র্যাব সদস্য ওই এলাকায় পাঠানো হয়েছে। আবদুর রাজ্জাক হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে হাশেম আলীর চাচাতো ভাই রবিউল ইসলাম জিরুকে (২৫) আটক করা হয়েছে। গতকাল বিকেল ৩টার দিকে রাজবাড়ী শহরের ভবানীপুর থেকে তাঁকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।
গতকাল দুপুরে রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. জিল্লুল হাকিম, পুলিশ সুপার মো. রেজাউল হক, কালুখালীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এরশাদ হোসেন খানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
No comments