মিয়ানমারে ১৮৪ রাজবন্দীর মুক্তি
মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে গতকাল বুধবার সাধারণ ক্ষমার আওতায় ১৮০ জনের বেশি রাজবন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ভিন্নমতাবলম্বী কৌতুক অভিনেতা, বৌদ্ধ ভিক্ষুসহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ রাজবন্দীও আছেন। রাজনৈতিক ও মানবাধিকারকর্মীরা এ কথা জানিয়েছেন।
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) সদস্য কি টো বলেন, ‘১৮৪ জন রাজবন্দীর মুক্তির বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। এর মধ্যে ১০০ জন এনএলডির সদস্য।’
একজন জ্যেষ্ঠ কারা কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, গতকাল কমপক্ষে ৩০০ জন রাজবন্দীকে ইয়াঙ্গুনের ইনসেইন কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মুক্তি পাওয়া বিশিষ্ট রাজবন্দীদের মধ্যে আছেন ভিক্ষু শিন গামবিরা ও জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা জারাগানার। মুক্তি পাওয়ার পর জারাগানার সাংবাদিকদের বলেন, শর্ত সাপেক্ষে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাঁর কোনো কাজ প্রশাসনের দৃষ্টিতে অপরাধ বলে বিবেচিত হলে আবার তাঁকে কারাগারে পোরা হবে।
২০০৮ সালে ঘূর্ণিঝড় নার্গিসের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সরকারের ভূমিকার প্রকাশ্যে সমালোচনা করায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন জারাগানার। তাঁকে প্রথমে ৫৯ বছর, পরে কমিয়ে ৩৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ওই ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার লোক নিহত হয়েছিল।
ভিক্ষু শিন গামবিরা ২০০৭ সালে তৎকালীন সামরিক জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কুখ্যাত ইনসেইন কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া বন্দীদের মধ্যে ছাত্রনেতা অং কিয়াও সো রয়েছেন। ১৯৯০ সালে তাঁকে গ্রেপ্তার করে প্রথমে মৃত্যুদণ্ড, পরে সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘২১ বছর দুই দিন কারাবন্দী থাকার পর মুক্তি পেয়ে আমি আনন্দিত। তবে যাঁরা এখনো বন্দী, তাঁদের জন্য দুঃখ বোধ করছি।’
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে গত মঙ্গলবার ঘোষণা করা হয়, মানবিক কারণে বুধবার থেকে রাজবন্দীসহ ছয় হাজার ৩৫৯ বন্দীকে সাধারণ ক্ষমার আওতায় মুক্তি দেওয়া হবে।
মিয়ানমারে কারাগারে প্রায় দুই হাজার রাজবন্দী আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে সাংবাদিক, গণতন্ত্রপন্থী কর্মী, সরকারের সমালোচক, ভিক্ষু ও আইনজীবী রয়েছেন। রাজবন্দীদের মুক্তির বিষয়টি মিয়ানমারের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অবরোধ আরোপকারী পশ্চিমা দেশগুলোর অন্যতম দাবি।
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) সদস্য কি টো বলেন, ‘১৮৪ জন রাজবন্দীর মুক্তির বিষয়ে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। এর মধ্যে ১০০ জন এনএলডির সদস্য।’
একজন জ্যেষ্ঠ কারা কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, গতকাল কমপক্ষে ৩০০ জন রাজবন্দীকে ইয়াঙ্গুনের ইনসেইন কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মুক্তি পাওয়া বিশিষ্ট রাজবন্দীদের মধ্যে আছেন ভিক্ষু শিন গামবিরা ও জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা জারাগানার। মুক্তি পাওয়ার পর জারাগানার সাংবাদিকদের বলেন, শর্ত সাপেক্ষে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাঁর কোনো কাজ প্রশাসনের দৃষ্টিতে অপরাধ বলে বিবেচিত হলে আবার তাঁকে কারাগারে পোরা হবে।
২০০৮ সালে ঘূর্ণিঝড় নার্গিসের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সরকারের ভূমিকার প্রকাশ্যে সমালোচনা করায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন জারাগানার। তাঁকে প্রথমে ৫৯ বছর, পরে কমিয়ে ৩৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ওই ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার লোক নিহত হয়েছিল।
ভিক্ষু শিন গামবিরা ২০০৭ সালে তৎকালীন সামরিক জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কুখ্যাত ইনসেইন কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া বন্দীদের মধ্যে ছাত্রনেতা অং কিয়াও সো রয়েছেন। ১৯৯০ সালে তাঁকে গ্রেপ্তার করে প্রথমে মৃত্যুদণ্ড, পরে সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘২১ বছর দুই দিন কারাবন্দী থাকার পর মুক্তি পেয়ে আমি আনন্দিত। তবে যাঁরা এখনো বন্দী, তাঁদের জন্য দুঃখ বোধ করছি।’
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে গত মঙ্গলবার ঘোষণা করা হয়, মানবিক কারণে বুধবার থেকে রাজবন্দীসহ ছয় হাজার ৩৫৯ বন্দীকে সাধারণ ক্ষমার আওতায় মুক্তি দেওয়া হবে।
মিয়ানমারে কারাগারে প্রায় দুই হাজার রাজবন্দী আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর মধ্যে সাংবাদিক, গণতন্ত্রপন্থী কর্মী, সরকারের সমালোচক, ভিক্ষু ও আইনজীবী রয়েছেন। রাজবন্দীদের মুক্তির বিষয়টি মিয়ানমারের ওপর দীর্ঘদিন ধরে অবরোধ আরোপকারী পশ্চিমা দেশগুলোর অন্যতম দাবি।
No comments