তুরস্কে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৬৬, লোকজন উদ্ধারে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ চলছে
তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ভন প্রদেশে ভূমিকম্পে ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে পড়া লোকজনকে উদ্ধারে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। তবে জীবিত উদ্ধারের সম্ভাবনা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। অন্যদিকে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৬৬। ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত আরসিস শহরের একটি ভবন থেকে গতকাল উদ্ধারকর্মীরা বের করে আনেন পাঁচটি মৃতদেহ। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়ে বাইরে অপেক্ষমাণ লোকজন।
উদ্ধারকাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছেন উদ্ধারকর্মীরা। তবে মাঝেমধ্যে তাঁরা সব ধরনের যন্ত্রপাতি বন্ধ করে দিয়ে ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে পড়া লোকজনের আর্তচিৎকার শোনার চেষ্টা করছেন। পরক্ষণেই আবার পুরোদমে কাজ শুরু করা হচ্ছে।
এদিকে ভূমিকম্পে আশ্রয়হীন হয়ে পড়া প্রায় ১০ হাজার মানুষের দিন-রাত কাটছে প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে খোলা আকাশের নিচে বা তাঁবুর মধ্যে।
আরসিস শহরের বাসিন্দা ৫৩ বছর বয়সী এমিন কায়রাম জানান, পাঁচ সদস্যের পরিবার নিয়ে তিনি রাত কাটিয়েছেন রাস্তার পাশে থাকা একটি ভ্যানের মধ্যে। তিনি বলেন, ‘জীবনে চরম দুর্যোগ নেমে এসেছে। বাড়িঘর ছেড়ে আমরা রাস্তায় আছি। আবহাওয়া চরম ঠান্ডা। কোনো তাঁবুও পাওয়া যাচ্ছে না।’
পেছনে একটি বিধ্বস্ত ভবন দেখিয়ে কায়রাম জানান, তাঁর এক ভাতিজা সেখানে আটকা পড়েছেন। উদ্ধারকর্মীরা রাতভর খোঁড়াখুঁড়ি করেও তাঁকে উদ্ধার করতে পারেননি। কায়রাম বলেন, ‘তার বয়স ১৮ বছর। সে ছাত্র। এখনো সে আটকা পড়ে আছে। তিন দিন চলে গেছে, কিন্তু আমরা এখনো আশা করছি, তাকে উদ্ধার করা যাবে। সে জন্যই আমরা এখানে অপেক্ষা করছি।’
শহরের অপর একটি বিধ্বস্ত ভবনের পাশে ভিড় জমিয়েছে লোকজন। তারা জানায়, সেখানে আটকে পড়া একটি ছেলে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাঁকে উদ্ধারের জন্য আর্তি জানিয়েছে। এ খবর পেয়ে দ্রুত খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করেন উদ্ধারকর্মীরা। এ সময় সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি চিৎকার করে উদ্ধারকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘গত রাতে আপনারা কোথায় ছিলেন? আমি আপনাদের তখনই বলেছিলাম, এখানে লোকজন আটকে আছে।’
কর্তৃপক্ষ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত নিহত লোকজনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬৬ জন। আহত হয়েছে এক হাজার ৩০১ জন। নিহত লোকজনের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, কেননা অনেক মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে মোট দুই হাজার ২৬২টি ভবন।
৩২ ঘণ্টা ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে থাকার পর উদ্ধার করা হয়েছে ৩২ বছর বয়সের মেসুত ওজান ইলমাজকে। ভূমিকম্পের আগে তিনি একটি চায়ের দোকানে বসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ভূমিকম্পে সেখানেই আটকে পড়েন। তবে উদ্ধার হয়েছেন অক্ষত অবস্থায়। তাঁর পরও তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মুখে ধুলাবালি মাখা ইলমাজ হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে সিএনএন তুর্ক টেলিভিশনের কাছে বর্ণনা দেন, কীভাবে তিনি রক্ষা পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি যেখানে ছিলাম, সে জায়গা ছিল খুবই সংকীর্ণ। একটু জায়গা পাওয়ার জন্য মানুষ ঠেলাঠেলি করছিল। একজন মৃত ব্যক্তির পায়ের ওপর আমি নিজের মাথাটা রাখলাম। আমি জানতাম, মানসিকভাবে ভেঙে পড়লে আমাকে মরতে হবে।’
গত রোববার ভন প্রদেশে ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। রয়টার্স।
এদিকে ভূমিকম্পে আশ্রয়হীন হয়ে পড়া প্রায় ১০ হাজার মানুষের দিন-রাত কাটছে প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যে খোলা আকাশের নিচে বা তাঁবুর মধ্যে।
আরসিস শহরের বাসিন্দা ৫৩ বছর বয়সী এমিন কায়রাম জানান, পাঁচ সদস্যের পরিবার নিয়ে তিনি রাত কাটিয়েছেন রাস্তার পাশে থাকা একটি ভ্যানের মধ্যে। তিনি বলেন, ‘জীবনে চরম দুর্যোগ নেমে এসেছে। বাড়িঘর ছেড়ে আমরা রাস্তায় আছি। আবহাওয়া চরম ঠান্ডা। কোনো তাঁবুও পাওয়া যাচ্ছে না।’
পেছনে একটি বিধ্বস্ত ভবন দেখিয়ে কায়রাম জানান, তাঁর এক ভাতিজা সেখানে আটকা পড়েছেন। উদ্ধারকর্মীরা রাতভর খোঁড়াখুঁড়ি করেও তাঁকে উদ্ধার করতে পারেননি। কায়রাম বলেন, ‘তার বয়স ১৮ বছর। সে ছাত্র। এখনো সে আটকা পড়ে আছে। তিন দিন চলে গেছে, কিন্তু আমরা এখনো আশা করছি, তাকে উদ্ধার করা যাবে। সে জন্যই আমরা এখানে অপেক্ষা করছি।’
শহরের অপর একটি বিধ্বস্ত ভবনের পাশে ভিড় জমিয়েছে লোকজন। তারা জানায়, সেখানে আটকে পড়া একটি ছেলে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাঁকে উদ্ধারের জন্য আর্তি জানিয়েছে। এ খবর পেয়ে দ্রুত খোঁড়াখুঁড়ি শুরু করেন উদ্ধারকর্মীরা। এ সময় সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা এক ব্যক্তি চিৎকার করে উদ্ধারকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘গত রাতে আপনারা কোথায় ছিলেন? আমি আপনাদের তখনই বলেছিলাম, এখানে লোকজন আটকে আছে।’
কর্তৃপক্ষ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত নিহত লোকজনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬৬ জন। আহত হয়েছে এক হাজার ৩০১ জন। নিহত লোকজনের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, কেননা অনেক মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে মোট দুই হাজার ২৬২টি ভবন।
৩২ ঘণ্টা ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে থাকার পর উদ্ধার করা হয়েছে ৩২ বছর বয়সের মেসুত ওজান ইলমাজকে। ভূমিকম্পের আগে তিনি একটি চায়ের দোকানে বসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ভূমিকম্পে সেখানেই আটকে পড়েন। তবে উদ্ধার হয়েছেন অক্ষত অবস্থায়। তাঁর পরও তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মুখে ধুলাবালি মাখা ইলমাজ হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে সিএনএন তুর্ক টেলিভিশনের কাছে বর্ণনা দেন, কীভাবে তিনি রক্ষা পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি যেখানে ছিলাম, সে জায়গা ছিল খুবই সংকীর্ণ। একটু জায়গা পাওয়ার জন্য মানুষ ঠেলাঠেলি করছিল। একজন মৃত ব্যক্তির পায়ের ওপর আমি নিজের মাথাটা রাখলাম। আমি জানতাম, মানসিকভাবে ভেঙে পড়লে আমাকে মরতে হবে।’
গত রোববার ভন প্রদেশে ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। রয়টার্স।
No comments