৩৫- স্বাধীনতার পর থেকে হিন্দু-বিহারিদের সম্পত্তি দখলে আওয়ামী নেতা-কর্মীদের ভূমিকাই অগ্রগামী

মানবাধিকারের চ্যাম্পিয়নরা রে রে করে উঠতো
...এই সরকারের আমলে ভিন্নমতাবলম্বী যে কোনো অজুহাতে তাবত্ জুলুম, নির্যাতন করা জায়েজ। শেখ হাসিনার সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে রেকর্ড সৃষ্টি করে চলেছেন, তার সিকিভাগও বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ঘটলে দেশি-বিদেশি মানবাধিকারের সব চ্যাম্পিয়নরা রে রে করে উঠতো।...
ছত্রিশ ঘণ্টা পার না হতেই সাঈদী ভাই গাজীপুর জেলে ফিরলেন। মাগরিবের আজানের পূর্বক্ষণে জেলার সিরাজুল ইসলাম আকারে-ইঙ্গিতে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আজই এখানে প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনার কথা জানিয়ে গিয়েছিলেন। এই হেঁয়ালি করে কথা বলা বোধহয় কারা কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণেরই অংশ। আপনাকে চালানে পাঠাবে? আগে থেকে কিচ্ছু জানবেন না। সকালবেলা দলবল নিয়ে একজন কর্মকর্তা ভগ্নদূতের মতো এসে বলবে, সবকিছু গুছিয়ে নেন, চালানে যেতে হবে। কোন জেলে যাচ্ছেন, সেই প্রশ্নের উত্তর পর্যন্ত পাবেন না। জিজ্ঞেস করলে নিরাসক্ত জবাব, এই কাছেধারেই, কিংবা গেলেই দেখতে পাবেন।
ভাগ্য ভালো হলে জেলগেটে পৌঁছে নতুন ঠিকানা জানবেন। আর অতি উত্সাহী সুপার, জেলার হলে তো কথাই নেই। গন্তব্যে পৌঁছে প্রিজনভ্যান থেকে নেমে ঠাহর করতে হবে কোথায় এলেন। গাজীপুরের জেলার সাহেব বললেন, ওপর থেকে কিছুক্ষণ আগে আভাস পেলাম যে সাঈদী সাহেব আসছেন। বুঝলাম, এই আভাসের অর্থ এতক্ষণে মাওলানা সাঈদীকে বহনকারী প্রিজনভ্যান গাজীপুর জেলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে গেছে। ঠিক তাই হলো। সন্ধ্যে সাতটার দিকে সেলের বাইরে থেকে সাঈদী ভাইয়ের গলা পেলাম, মাহমুদ ভাই আপনার কাছে ফিরে এসেছি। ততক্ষণে আমার লক-আপ হয়ে গেছে। আমি গারদের এপারে, আর সাঈদী ভাই বাইরে। ওনাকে বললাম, তার রাতের আহার টিফিন বাক্সে রাখা আছে।
মাওলানা সাঈদীকে বেশ ক্লান্ত মনে হচ্ছিল। এখন আবার অনেক রাত পর্যন্ত তাকে বাক্স-প্যাঁটরা খুলে সবকিছু গুছিয়ে নিতে হবে। ৭১ বছর বয়স্ক একজন প্রবীণ ব্যক্তিকে মাত্র ষোল দিনে চারবার চালান। এটাও সম্ভবত বাংলাদেশের কারা ইতিহাসে নতুন রেকর্ড। আওয়ামীপন্থী বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক কুলের এই কাহিনী জানানো মাত্র তারা নির্ঘাত সমস্বরে বলে উঠবেন, বিএনপি-জামায়াত আমলে আমাদের সঙ্গেও এমন আচরণই করা হয়েছিল। তদুপরি যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আবার মানবাধিকার কী?
এই সরকারের আমলে ভিন্ন মতাবলম্বীদের যে কোনো অজুহাতে তাবত্ জুলুম, নির্যাতন করা জায়েজ। শেখ হাসিনার সরকার মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে রেকর্ড সৃষ্টি করে চলেছেন, তার সিকিভাগও বিগত চার দলীয় জোট সরকারের আমলে ঘটলে দেশি-বিদেশি মানবাধিকারের সব চ্যাম্পিয়নরা রে রে করে উঠত। মাঝে মাঝে মনে হয় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া তার রাজনৈতিক জীবনে দুর্ভাগ্যজনক একপেশে অপপ্রচারের শিকার হয়েছেন। ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার একটি ঘটনায় বরিশালের একটি উপজেলার সংখ্যালঘুরা স্থানীয় বিএনপি’র মুষ্টিমেয় গুণ্ডা-পাণ্ডার হয়রানির শিকার হওয়ার অপরাধে অদ্যাবধি বেগম খালেদা জিয়াকে সাম্প্রদায়িক শক্তির লালনকারীর অপবাদ শুনতে হচ্ছে। অথচ এই আমলে ঐতিহ্যবাহী ঢাকেশ্বরী মন্দিরসহ দেশের বিভিন্ন মন্দিরে একাধিকবার চুরি-ডাকাতির মতো ন্যক্কারজনক ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেলেও কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। বরং কেষ্টা বেটাই চোরের মতো করে ক্ষমতাসীনরা তাদের আমলের দুষ্কর্মের জন্যও বিএনপি-জামায়াত জোটকেই দায়ী করে চলেছেন। সবচেয়ে তাজ্জব ব্যাপার, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নেতারাও তাদের প্রতিবাদ-সমাবেশে অবলীলাক্রমে বিএনপি বিরোধী আওয়ামী থিসিসই ঝাড়ছেন। অথচ শুমারি করলে দেখা যাবে, স্বাধীনতার পর থেকে হিন্দু ও বিহারি সংখ্যালঘুদের বিষয়-সম্পত্তি দখলে আওয়ামী নেতা-কর্মীরাই সর্বদা অগ্রগ্রামী ভূমিকা পালন করেছে।
সকালে নাস্তার পর সাঈদী ভাইয়ের চালানের কাহিনী শুনলাম। পরশু গাজীপুর থেকে তাকে ঢাকা জেলে নেয়া হলে স্বাভাবিকভাবে তিনি খুশিই হয়েছিলেন। সেখানকার ২৬ নম্বর সেলে জামায়াতে ইসলামের আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, বিএনপি’র আবদুস সালাম পিন্টুসহ অন্য রাজনীতিক নেতৃবৃন্দ এবং অন্য ডিভিশন কয়েদিরা আছেন। গত দুই সপ্তাহ ছাড়া মাওলানা সাঈদী তার আট মাসের জেল জীবনের পুরোটা সময়ও সেখানেই পার করেছেন। অনেকে একসঙ্গে থাকায় ঢাকা জেলে জামাতে নামাজ পড়ার সুযোগ রয়েছে এবং ডিভিশন সেলে খাদ্যের মানও গাজীপুরের তুলনায় যথেষ্ট উন্নত। সবচেয়ে বড় সুবিধাটা অবশ্য চিকিত্সার। ঢাকা জেলে তিনজন সিনিয়র ডাক্তারকে প্রায় সার্বক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়। ব্যক্তিগতভাবে আমার এই সরকারের ডাক্তারদের প্রতি একেবারেই কোনো আস্থা নেই। ঢাকা জেলে বন্দি অবস্থায় বিএনপি’র শ্রমিক নেতা বাকির হোসেনের অকাল মৃত্যুতে আমাদের সর্বোচ্চ আদালতের লর্ডশিপদেরসহ জেল ডাক্তারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। আমি বাকির হোসেনের মৃত্যুকে অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড হিসেবেই বিবেচনা করি। আল্লাহ্ চাইলে ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের একদিন আইনের কাঠগড়ায় নিশ্চয়ই দাঁড়াতে হবে।
গাজীপুর জেলে কোনো সার্বক্ষণিক ডাক্তার নেই, একজন ফার্মাসিস্ট দিয়ে কাজ চালানো হয়। আমার তাতে কোনো সমস্যা না হলেও ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং বয়সজনিত অন্যান্য রোগে আক্রান্ত সাঈদী ভাইয়ের নিয়মিত ডাক্তারের পর্যবেক্ষণে থাকার প্রয়োজন রয়েছে। যাই হোক, এখান থেকে চালানে যাওয়ার পরদিন অর্থাত্ গতকাল চার জামায়াত নেতা, মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদ, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এবং রফিকুল ইসলাম খানকে যে মামলার হাজিরার জন্য সিএমএম আদালতে নেয়া হয়, সেই মামলাটিকে এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান জনগোষ্ঠীর সঙ্গে এক প্রকার রসিকতা মনে করা যেতে পারে। মামলার অভিযোগ হলো, এই চারজন নাকি তাদের কোনো এক বক্তব্যে ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের মনে আঘাত দিয়েছেন। যে সরকার অবিরত ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে, আমাদের মহানবী সম্পর্কে কুত্সা রটনায় মদত জোগাচ্ছে, স্বয়ং সরকারপ্রধান মুসলমানের বিরুদ্ধে ক্রুসেডের হুমকি দিয়েছেন, তাদের আবার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মনঃকষ্ট নিয়ে মাথা ব্যথা! ভণ্ডামিরও একটা সীমা থাকা দরকার।
আদালতে হাজিরা শেষে জামায়াত নেতাদের দুপুরে ঢাকা জেলে ফিরিয়ে নেয়ার পর মাওলানা সাঈদীকে আবার চালানের কথা জানানো হয়। সুতরাং আবার গাঁট্টি-বোঁচকা বাঁধা এবং কাশিমপুর দুই নম্বর জেল হয়ে গাজীপুর জেলে আগমন। পথিমধ্যে কাশিমপুর জেলভ্রমণ কেন প্রশ্ন করে যে জবাব পেলাম, তাতে হাসব না কাঁদব ভেবে পেলাম না। সঙ্গের পুলিশ এসকর্ট ভেবেছিল মাওলানা সাঈদীকে কাশিমপুর জেলে পাঠানো হচ্ছে। সেখানে পৌঁছানোর পর সাঈদী ভাইকে জিনিসপত্রসহ প্রিজন ভ্যান থেকে নামিয়ে ফেলাও হয়েছিল। কাশিমপুর জেলের অফিসাররা প্রথমে অবাক, তারপর বাক-বিতণ্ডা এবং সর্বশেষ ওপরের সঙ্গে কথা বলে ভ্রম সংশোধন। অবশ্য সেখানে থাকতে পারলেই সাঈদী ভাইয়ের লাভ হতো। আমার সাত জেল ঘোরা অভিজ্ঞতায় কাশিমপুর জেলেই আমি সবচেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলাম। এখন সেখানে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী থাকাতে সম্ভবত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে গাজীপুরে পাঠানো হয়েছে। এখানে তিনি আসাতে আমি ব্যক্তিগতভাবে উপকৃত হয়েছি। ইসলাম ধর্ম বিষয়ে পণ্ডিত মানুষটির সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ ধরে কোরআনের তফসির, রসুল (সা.)-এর জীবনী এবং ইসলামের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করার বিরল সুযোগ পাচ্ছি।
আজ আমার ২৬তম বিবাহবার্ষিকী। ব্যাপারটি একেবারেই ব্যক্তিগত বলে তারিখটা অনুক্ত রাখলাম। ১৯৮৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিন্যান্সে অনার্স শ্রেণীতে পাঠরত পারভীনকে বিয়ে করে লালমাটিয়ার ডি ব্লকের ভাড়া করা বাসায় তুলেছিলাম। তখন মুন্নু গ্রুপে পরিচালক পদে চাকরি করি আর সন্ধ্যায় আইবিএতে এমবিএ পড়ি। সর্বোচ্চ আকাঙ্ক্ষা ছিল যে কোনো একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীর আসনে বসা, আর সত্ উপার্জনের টাকায় নিজেদের একটা অ্যাপার্টমেন্টের মালিক হওয়া। কোম্পানির এমডি হতে খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে না হলেও অ্যাপার্টমেন্টের মালিক হতে লেগেছে আরও দেড়যুগ। ছাত্র জীবনেও রাজনীতি থেকে শতহস্ত দূরে থেকেছি। সরকারে উচ্চপদে দায়িত্ব পাওয়ার সম্ভাবনার কথা কোনোদিন কল্পনাতেও আসেনি। যে কোনো সাধারণ নাগরিকের মতোই জেল ছিল এক বিভীষিকা। রাস্তাঘাটে প্রিজন ভ্যান দেখলে বিতৃষ্ণামাখা কৌতূহল নিয়ে তাকাতাম। গায়েবের মালিক আল্লাহ্তায়ালা আমার রকম সকম দেখে নিশ্চয়ই কৌতুকবোধ করতেন। এখন আমি যখন প্রিজন ভ্যানে চড়ে আদালতে যাই তখন পথচারীরা একই দৃষ্টি নিয়ে আমার দিকে তাকায়। টিএফআই সেলে হাতে হাতকড়া নিয়ে চোখ বাঁধা অবস্থায় ভাগ্নে, ভাতিজার বয়সী প্রশ্নকর্তাদের নিজের জীবন কাহিনী বলার সময় সেই ফেলে আসা দিনগুলো ছায়াছবির মতো মনের পর্দায় ভেসে বেড়াচ্ছিল।
প্রশ্নকর্তারা সেদিন আমার স্কুল জীবন থেকে শুরু করে অদ্যাবধি সব তথ্য জানতে চেয়েছিলেন। আমার বিয়ে নিয়ে আবার বর্তমান সরকারের ভয়ানক আপত্তি। গত বছর জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে বিভিন্ন সংস্থায় যে প্রতিবেদনটি পাঠানো হয়েছিল, সেখানে পারভীনের সঙ্গে আমার বিয়ে নিয়েও তির্যক মন্তব্য ছিল। সেই প্রতিবেদনে লেখা আছে আমি নাকি অত্যন্ত ‘চতুরতার’ সঙ্গে আমার স্ত্রীকে বিয়ে করেছিলাম। মর্মার্থ হলো, পারভীন জন্মসূত্রে ধনবান পরিবারের কন্যা হওয়ার কারণে আমি তার পিতার সেই ধনের লোভেই ফন্দি-ফিকির খাটিয়ে স্বনামধন্য পরিবারের জামাই হয়েছিলাম। বর্তমান ক্ষমতাসীন বিকৃত ও হীন রুচিসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গের উর্বর মস্তিষ্ক থেকেই এই ধরনের ষড়যন্ত্র তত্ত্ব জন্মলাভ করতে পারে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা হয়তো জানেন না যে, আমার স্ত্রী পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত তার যাবতীয় সম্পত্তি বহু বছর আগেই পিতার নামে জনস্বার্থে স্থাপিত ট্রাস্টে দান করেছে। আমরা সেখান থেকে একটি টাকাও গ্রহণ করিনি। ‘চতুর’ মাহমুদুর রহমান শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়েছে।
আজ সারাদিন বুকের মধ্যে বিষণ্নতা চাপা দিয়ে কাটিয়েছি। পারভীনও হয়তো খানিক পরপরই আনমনা হয়ে পড়ছে। চোখ বন্ধ করলে দেখতে পাচ্ছি, আমার স্ত্রী শোওয়ার ঘরের জানালার পাশে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে আর দু’চোখ বেয়ে অঝোর ধারায় নেমে এসেছে অশ্রুর বন্যা। কাশিমপুর জেলে থাকতে একজন কয়েদির সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। জেলে আসার আগে ছেলেটি শাড়িতে নানা রকম কাজ করে সংসার চালাত। জেলের ভেতরেও পুরনো পেশা সে একেবারে ছেড়ে দেয়নি। কাশিমপুর জেলের কারা কর্মকর্তারাও তাকে দিয়ে বিভিন্ন পোশাকে কাজ-টাজ করাত। আমিও তাকে অনুরোধ করেছিলাম একটা শাড়ি কিনে তাতে সুতোর কাজ করে দিতে। ভেবেছিলাম বিয়েবার্ষিকীতে শাড়িটা পারভীনকে উপহার দেব। গাজীপুরে চালানে আসায় সেটা আর সম্ভব হলো না। গত সপ্তাহের দেখায় পারভীনকে ঘটনাটা বলেছিলাম। সেই না দেখা শাড়ির গল্প শুনে আমার স্ত্রী অনেক কষ্টে চোখের পানি আড়াল করে বিদায় নিয়েছিল। আগামী দেখাতেও হয়তো একইভাবে মুখে হাসি আর চোখে পানি নিয়ে সামনে এসে দাঁড়াবে। প্রশাসনের লোকজনের শ্যেনদৃষ্টির সামনে তার মাথায় হাত রেখে দোয়া করব। কত অব্যক্ত কথা থেকে যাবে দু’জনার বুকের ভেতরে। বুড়ো বয়সের রোমান্টিক গল্প বাদ দিয়ে কঠিন বাস্তবতায় ফেরা যাক। কারা কর্তৃপক্ষ দিন শেষে আমার বিবাহবার্ষিকীতে একটি অতি প্রয়োজনীয় জিনিস উপহার দিয়েছে। আমার এবং সাঈদী ভাইয়ের সেলে আজ কমোড বসানো হয়েছে। জেল সুপার তার কথা রেখেছেন। ভদ্রলোককে অসংখ্য ধন্যবাদ।

No comments

Powered by Blogger.