পুলিশ জনগণের সেবক- পুলিশবাহিনী যথার্থই জনগণের বন্ধু ও সেবক হিসেবে কাজ করে যাবেÑএটাই সবার প্রত্যাশা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পুলিশ জনগণের সেবক। জনগণের সেবা দেয়া তাদের দায়িত্বু। পুলিশবাহিনীকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে না। এ ধরনের কোন ইচ্ছাও সরকারের নেই।
প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে পুলিশ সপ্তাহ-২০১৩-এর উদ্বোধন উপলক্ষে এ কথা বলেন। পুলিশ ছাড়া আধুনিক গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার কথা চিন্তাই করা যায় না। পুলিশ বাহিনীর অন্যতম প্রধান কাজ হলো আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং রাষ্ট্র ও সমাজজীবনের সর্বস্তরে আইনের শাসন নিশ্চিত করা। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোন সরকারেরই উচিত নয় পুলিশকে নিজেদের পেটোয়াবাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এ বিষয়ে সচেতনতা বজায় রেখেছে। বর্তমান আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশের কার্যক্রম প্রশংসনীয়। সন্ত্রাসী বা আইন ভঙ্গকারী যেই হোক না কেন, পুলিশ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে। তবে সীমিত সম্পদের কারণে ষোলো কোটি মানুষের এই দেশটিতে পুলিশের সংখ্যা কম। তবু অনেক প্রতিকূলতা সত্ত্বেও পুলিশবাহিনী তাদের দায়িত্ব পালনে তৎপর রয়েছে। সরকার পুলিশবাহিনীর মর্যাদা বৃদ্ধিতে সম্ভাব্য সবকিছু করছে। প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে তাঁর ভাষণে বলেন, ভবিষ্যতে পুলিশবাহিনীকে আরও আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে ‘পুলিশ-বাজেটে’ অর্থের বরাদ্দ আরও বাড়ানো হবে।’পুলিশবাহিনীর উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর এই অধিক অর্থ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী। ঝুঁকিপূর্ণ কাজের সঙ্গে যাঁরা জড়িতÑতাঁদের নিরাপত্তা এবং সুযোগ-সুবিধা দেখার দায়িত্ব সরকারের। বর্তমান মহাজোট সরকার এ বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন। সরকারী উদ্যোগে ইতোমধ্যে ‘ইনডাস্ট্রিয়াল পুলিশ’ ও ‘ট্যুরিস্ট পুলিশ’ গঠন করা হয়েছে। এ উদ্যোগ অনেকেরই প্রশংসা অর্জন করেছে। কারণ বাংলাদেশে বিগত কয়েক দশক ধরে যে শিল্পোন্নয়ন ও পর্যটন কাঠামো গড়ে উঠেছে, এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিশেষ ধরনের পুলিশ প্রয়োজন। এইকভাবে বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ সারাদেশে এখন পর্যটনশিল্প ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হচ্ছে। বেশিরভাগ পর্যটক নিরাপত্তাহীনতার কারণে দেশের প্রত্যন্ত পর্যটনকেন্দ্রে গিয়ে রাতযাপন করতে ভয় পান। আশা করা যায়, এক্ষেত্রে ‘পর্যটন পুলিশ’ কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। তবে সর্বদা খেয়াল রাখতে হবে, সর্বস্তরে পুলিশবাহিনীকে যেন দুর্নীতিমুক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়। বাংলাদেশে পুলিশবাহিনী যথার্থই জনগণের বন্ধু ও সেবক হিসেবে কাজ করে যাবেÑএটাই সবার প্রত্যাশা।
No comments