অ্যাম্বুলেন্স-অটোরিকশা সংঘর্ষ-দুই ভাইয়ের জীবন গেল
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে আর্তনাদ করছিলেন ষাটোর্ধ্ব নূরজাহান বেগম। দীর্ঘদিন প্রবাসজীবন শেষে দেশে ফিরছিলেন তাঁর ছেলে ইলিয়াস উদ্দীন। তাঁকে বিমানবন্দরে আনতে গিয়েছিলেন আরেক ছেলে নাসির উদ্দীন। বিমানবন্দর থেকে বাড়ি পৌঁছাতে পারেননি দুই ভাই।
লাশ হয়ে আছেন মর্গের ভেতরে। জীবন বাঁচাতে সাহায্য করার কথা যে অ্যাম্বুলেন্সের, সেই অ্যাম্বুলেন্সই জীবন নিল দুই ভাইয়ের।
গতকাল সোমবার হরতালের সময় ফাঁকা রাস্তায় রাজধানীর বনানীর ২৭ নম্বর সড়কে দুই ভাইকে বহনকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয় দ্রুতগতির একটি অ্যাম্বুলেন্স। নিহত হন ইলিয়াস (৪৩) ও নাসির (৪০)। তাঁদের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জের দোহারে।
বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক জানান, দুর্ঘটনার পরপরই তিনি দুর্ঘটনাস্থলে যান। অটোরিকশাটি কাগজের মতো দুমড়েমুচড়ে গিয়েছিল। রক্তাক্ত অবস্থায় ইলিয়াস, নাসির ও অটোরিকশার চালক নান্টুকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পর চিকিৎসকেরা দুই ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন। নান্টু গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এসআই আরও জানান, দুর্ঘটনার পর থেকে অ্যাম্বুলেন্সের চালক নান্নু মিয়া পলাতক। তবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁর সহকারী ফারুককে। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, সকাল ১০টার দিকে তাঁরা অ্যম্বুলেন্স নিয়ে বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন। বনানী এলাকার একটি সিএনজি স্টেশন থেকে গ্যাস নিয়ে বনানী কবরস্থানের কাছে পৌঁছার পর বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজিচালিত অটোরিকশাটির সঙ্গে তাঁদের অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
ইলিয়াস ও নাসিরের স্বজনেরা জানান, ইলিয়াস প্রায় ১৫ বছর সুইজ্যারল্যান্ডে ছিলেন। সেখানে একটি পানির কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন তিনি। স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য গতকাল সকালে দেশে ফেরেন। বড় ভাইকে নিয়ে আসতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন নাসির। এরপর একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে দোহারের উদ্দেশে রওয়া হয়েছিলেন দুই ভাই। পথে ঘটে মারাত্মক এই দুর্ঘটনা।
সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ভাই গুরুতর আহত হয়েছেন—এমন খবর দেওয়া হয়েছিল পরিবারের সদস্যদের। খবর পেয়ে ইলিয়াস ও নাসিরের মা নূরজাহান বেগমকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলে আসেন পরিবারের অন্য সদস্যরা। হাসপাতালে পৌঁছার পর সবাই জেনে যান ইলিয়াস ও নাসির আর নেই। মর্গের সামনে বসে আহাজারি শুরু করেন নূরজাহান বেগম। বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন তিনি। চেতনা ফিরলেই বিলাপ করছিলেন, ‘আল্লাহ তুমি আমারে নিয়া যাও। আমার বদলে আমার দুই সন্তানের জীবন ফিরায়ে দাও।’
ইলিয়াসের স্ত্রী আকলিমা ইয়াসমিন কাঁদতে কাঁদতে বলেন, কিছুদিন ধরে স্বামীর সঙ্গে তাঁর মান-অভিমান চলছিল। অনেক দিন ফোনে কথা হয়নি। আশায় ছিলেন, স্বামী দেশে ফিরলে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে তাঁর আর কথা হলো না। জীবিত অবস্থায় দেখতেও পারলেন না স্বামীকে।
গতকাল সোমবার হরতালের সময় ফাঁকা রাস্তায় রাজধানীর বনানীর ২৭ নম্বর সড়কে দুই ভাইকে বহনকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয় দ্রুতগতির একটি অ্যাম্বুলেন্স। নিহত হন ইলিয়াস (৪৩) ও নাসির (৪০)। তাঁদের বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জের দোহারে।
বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক জানান, দুর্ঘটনার পরপরই তিনি দুর্ঘটনাস্থলে যান। অটোরিকশাটি কাগজের মতো দুমড়েমুচড়ে গিয়েছিল। রক্তাক্ত অবস্থায় ইলিয়াস, নাসির ও অটোরিকশার চালক নান্টুকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পর চিকিৎসকেরা দুই ভাইকে মৃত ঘোষণা করেন। নান্টু গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এসআই আরও জানান, দুর্ঘটনার পর থেকে অ্যাম্বুলেন্সের চালক নান্নু মিয়া পলাতক। তবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁর সহকারী ফারুককে। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, সকাল ১০টার দিকে তাঁরা অ্যম্বুলেন্স নিয়ে বিমানবন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন। বনানী এলাকার একটি সিএনজি স্টেশন থেকে গ্যাস নিয়ে বনানী কবরস্থানের কাছে পৌঁছার পর বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজিচালিত অটোরিকশাটির সঙ্গে তাঁদের অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
ইলিয়াস ও নাসিরের স্বজনেরা জানান, ইলিয়াস প্রায় ১৫ বছর সুইজ্যারল্যান্ডে ছিলেন। সেখানে একটি পানির কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন তিনি। স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য গতকাল সকালে দেশে ফেরেন। বড় ভাইকে নিয়ে আসতে বিমানবন্দরে গিয়েছিলেন নাসির। এরপর একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে দোহারের উদ্দেশে রওয়া হয়েছিলেন দুই ভাই। পথে ঘটে মারাত্মক এই দুর্ঘটনা।
সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ভাই গুরুতর আহত হয়েছেন—এমন খবর দেওয়া হয়েছিল পরিবারের সদস্যদের। খবর পেয়ে ইলিয়াস ও নাসিরের মা নূরজাহান বেগমকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলে আসেন পরিবারের অন্য সদস্যরা। হাসপাতালে পৌঁছার পর সবাই জেনে যান ইলিয়াস ও নাসির আর নেই। মর্গের সামনে বসে আহাজারি শুরু করেন নূরজাহান বেগম। বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন তিনি। চেতনা ফিরলেই বিলাপ করছিলেন, ‘আল্লাহ তুমি আমারে নিয়া যাও। আমার বদলে আমার দুই সন্তানের জীবন ফিরায়ে দাও।’
ইলিয়াসের স্ত্রী আকলিমা ইয়াসমিন কাঁদতে কাঁদতে বলেন, কিছুদিন ধরে স্বামীর সঙ্গে তাঁর মান-অভিমান চলছিল। অনেক দিন ফোনে কথা হয়নি। আশায় ছিলেন, স্বামী দেশে ফিরলে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে তাঁর আর কথা হলো না। জীবিত অবস্থায় দেখতেও পারলেন না স্বামীকে।
No comments