খুলনা শিপইয়ার্ডে একত্রে ১৪টি জাহাজের নির্মাণকাজ চলছে by শেখ আবু হাসান
সরকারি জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান খুলনা শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ৫৪ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম একসঙ্গে সর্বোচ্চসংখ্যক জাহাজের নির্মাণকাজ চলছে। এর মধ্যে দেশে প্রথম যুদ্ধজাহাজও রয়েছে। খুলনা শিপইয়ার্ডে বর্তমানে ১৪টি জাহাজ একসঙ্গে নির্মিত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে নৌবাহিনীর পাঁচটি যুদ্ধজাহাজ, যার নির্মাণকাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর ৬ মার্চ উদ্বোধন করেন।
আরও রয়েছে তিনটি বড় ধরনে অয়েল ট্যাংকার (তেলবাহী জাহাজ), একটি মৎস্য গবেষণা জাহাজ, একটি অগ্নিনির্বাপক জাহাজ, একটি সেনাবাহিনীর ট্যাংক বহনকারী জাহাজ ও দুটি পণ্যবাহী জাহাজ।
পাশাপাশি চলছে বিভিন্ন বার্জ ও পন্টুন মেরামতের কাজ।
এদিকে গত অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ২৫ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। এটিও এযাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ মুনাফা।
জানা গেছে, খুলনা শিপইয়ার্ড প্রতিষ্ঠার পর থেকে অধিকাংশ সময়ই লোকসানের মধ্য দিয়ে গেছে। তবে ১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল সংস্থা (বিএসইসি) থেকে নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে এবং ১২ বছর ধরে দেশের মুনাফার মুখ দেখে। অথচ লাগাতার লোকসানের কারণে ১৯৯০ সালে তৎকালীন সরকার এটিকে রুগ্ণ শিল্প হিসেবে ঘোষণা করেছিল।
১৯৯৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানটি ১১৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা মুনাফা করেছে। গড়ে প্রতি বছর মুনাফা হয়েছে নয় কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
প্রতিষ্ঠানের উপমহাব্যবস্থাপক কমান্ডার মতিউর রহমান প্রথম আলোকে জানান, ৭২ কোটি টাকা দায়দেনা নিয়ে ’৯৯ সালের ৩ অক্টোবর নৌবাহিনী খুলনা শিপইয়ার্ডের দায়িত্ব গ্রহণ করে। এরপর থেকে খুলনা শিপইয়ার্ডকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। নৌবাহিনী দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শিপইয়ার্ড ৪৫টি নতুন জাহাজ নির্মাণ এবং ৩৬৬টি জাহাজ মেরামত করেছে। এ প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারী আছেন ২১৪ জন। কর্মকর্তা আছেন ৭১ জন। এর মধ্যে ১২ জন নৌবাহিনীর। অস্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারী ৪৭২ জন এবং কর্মকর্তা আছেন ২৪ জন।
প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন মুনিরুল ইসলাম জানান, কোনো ধরনের সরকারি আর্থিক সাহায্য ছাড়াই সম্পূর্ণ স্বনির্ভরভাবে প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ ১২ বছর ধরে তার সব ব্যয়ভার বহন করে যাচ্ছে। সরকারের সব ধরনের পাওনা পরিশোধের পর বিগত পাঁচ বছরে আয়কর ও ভ্যাট বাবদ জমা দিয়েছে প্রায় সাড়ে ৩২ কোটি টাকা।
এ প্রসঙ্গে খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর রিয়াজউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন বেসামরিক জাহাজ নির্মাণের পর সম্প্রতি বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনীর জন্য যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ শুরু করেছে খুলনা শিপইয়ার্ড। আরও বড় জাহাজ নির্মাণের উদ্দেশ্যে মংলা থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে সুন্দরবনের জয়মনিগোল এলাকায় ৪৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মহানগর খুলনার রূপসা নদীর তীর ঘেঁষে প্রায় ৬৯ একর জমির ওপর ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় দেশের অন্যতম বৃহৎ জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান খুলনা শিপইয়ার্ড লিমেটেড। ১৯৫৭ সালের ২৩ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। স্বাধীনতা-পরবর্তী এই প্রতিষ্ঠানটি দায়িত্ব নেয় বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল সংস্থা (বিএসইসি)।
পাশাপাশি চলছে বিভিন্ন বার্জ ও পন্টুন মেরামতের কাজ।
এদিকে গত অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ২৫ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। এটিও এযাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ মুনাফা।
জানা গেছে, খুলনা শিপইয়ার্ড প্রতিষ্ঠার পর থেকে অধিকাংশ সময়ই লোকসানের মধ্য দিয়ে গেছে। তবে ১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল সংস্থা (বিএসইসি) থেকে নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তরের পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে এবং ১২ বছর ধরে দেশের মুনাফার মুখ দেখে। অথচ লাগাতার লোকসানের কারণে ১৯৯০ সালে তৎকালীন সরকার এটিকে রুগ্ণ শিল্প হিসেবে ঘোষণা করেছিল।
১৯৯৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানটি ১১৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা মুনাফা করেছে। গড়ে প্রতি বছর মুনাফা হয়েছে নয় কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
প্রতিষ্ঠানের উপমহাব্যবস্থাপক কমান্ডার মতিউর রহমান প্রথম আলোকে জানান, ৭২ কোটি টাকা দায়দেনা নিয়ে ’৯৯ সালের ৩ অক্টোবর নৌবাহিনী খুলনা শিপইয়ার্ডের দায়িত্ব গ্রহণ করে। এরপর থেকে খুলনা শিপইয়ার্ডকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। নৌবাহিনী দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শিপইয়ার্ড ৪৫টি নতুন জাহাজ নির্মাণ এবং ৩৬৬টি জাহাজ মেরামত করেছে। এ প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারী আছেন ২১৪ জন। কর্মকর্তা আছেন ৭১ জন। এর মধ্যে ১২ জন নৌবাহিনীর। অস্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারী ৪৭২ জন এবং কর্মকর্তা আছেন ২৪ জন।
প্রতিষ্ঠানের মহাব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন মুনিরুল ইসলাম জানান, কোনো ধরনের সরকারি আর্থিক সাহায্য ছাড়াই সম্পূর্ণ স্বনির্ভরভাবে প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘ ১২ বছর ধরে তার সব ব্যয়ভার বহন করে যাচ্ছে। সরকারের সব ধরনের পাওনা পরিশোধের পর বিগত পাঁচ বছরে আয়কর ও ভ্যাট বাবদ জমা দিয়েছে প্রায় সাড়ে ৩২ কোটি টাকা।
এ প্রসঙ্গে খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর রিয়াজউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন বেসামরিক জাহাজ নির্মাণের পর সম্প্রতি বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও সেনাবাহিনীর জন্য যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ শুরু করেছে খুলনা শিপইয়ার্ড। আরও বড় জাহাজ নির্মাণের উদ্দেশ্যে মংলা থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে সুন্দরবনের জয়মনিগোল এলাকায় ৪৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মহানগর খুলনার রূপসা নদীর তীর ঘেঁষে প্রায় ৬৯ একর জমির ওপর ১৯৫৪ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় দেশের অন্যতম বৃহৎ জাহাজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান খুলনা শিপইয়ার্ড লিমেটেড। ১৯৫৭ সালের ২৩ নভেম্বর প্রতিষ্ঠানটি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। স্বাধীনতা-পরবর্তী এই প্রতিষ্ঠানটি দায়িত্ব নেয় বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল সংস্থা (বিএসইসি)।
No comments