আওয়ামী লীগ : নড়াইল-১ আসন-'একক মাঠে তিনি একাই রাজা' by তারেক আলম
"মানুষ বড় আশা নিয়ে এখলাস উদ্দিন সাহেবের ছেলেকে ভোট দিয়েছে। আশা ছিল, উন্নয়ন হবে। তাই জোট-মহাজোট উপেক্ষা করে মানুষ তাঁকে ভোট দিয়েছে। কিন্তু সেই আশা পূরণ হয়নি। আশার 'গুড়ে বালি' পড়েছে। এলাকার উন্নয়ন হয়নি; হয়েছে ব্যক্তির। সংসদ সদস্য এবং তাঁর পরিবারের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে; এলাকার কোনো উন্নয়ন নেই। ক্ষমতাসীন দলের নেতা হিসেবে মানুষের নানা রকম প্রশ্নের জবাব দিতে হয়, মানুষের গালিগালাজ শুনতে হয়।
কিন্তু যাদের কারণে শুনতে হয়, তাদের টিকিটিও দেখতে পাওয়া যায় না। গত ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জেলা কমিটির সভায় এসব নিয়ে তীব্র বাদানুবাদ হয়। সংসদ সদস্য কোনো উত্তর দিতে পারেননি। উন্নয়নমূলক কাজ নেই। এলাকায় যেসব টেন্ডার হয়, তা নিয়ন্ত্রণ করেন সংসদ সদস্য। টেন্ডারবাজির সেই অর্থ কোথায় যায়, তা আমরা জানি না। সংসদীয় এলাকার চেয়ারম্যান-উপজেলা চেয়ারম্যান নিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করা হচ্ছে। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নড়াইল-১ আসনে সংসদ নির্বাচনে জিতে আওয়ামী লীগে ফিরে যান কবিরুল হক মুক্তি। সভানেত্রীও তাঁকে গ্রহণ করেন। কিন্তু তিনি (এমপি) এর মর্যাদা রাখেননি। স্কুল-কলেজে টাকা নিয়ে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, প্রাথমিক শিক্ষক ও পুলিশে নিয়োগবাণিজ্য হচ্ছে, একটু সুপারিশ চাইতে গেলেও টাকা নেওয়া হচ্ছে, মধুমতি ও নবগঙ্গা রক্ষা প্রকল্প থেকে অর্থ আত্মসাৎ করা হচ্ছে, স্কুল-কলেজের উন্নয়ন ও রাস্তাঘাট সংস্কার কিছুই হয়নি, টিআর-কাবিটা পকেটস্থ করছেন। আগে সংসদ সদস্য অবশ্য নিজ ঘরানার মানুষকে কিছু দিতেন। এখন তাও দেন না। আগে প্রচুর অর্থ খরচ করতেন। তাই তিনি জনপ্রিয় ছিলেন। এখন সেই খরচ কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে তাঁর কাছের মানুষের পরিধিও দিন দিন ছোট হয়ে আসছে। এলাকার উন্নয়ন না হলেও তিনি ঢাকায় একাধিক প্লট ও ফ্ল্যাট, বেনামে ইন্ডাস্ট্রি এবং নড়াইলে জমি কিনেছেন। তাঁর আত্মীয়রা ফুলে-ফেঁপে উঠছেন। কালিয়া শহরে দখলবাজি চলছে। বাসস্ট্যান্ড-টেম্পোস্ট্যান্ড_সবকিছু নিজেদের দখলে। থানার ওসি আমাদের কথা শোনেন না।
সংসদ সদস্য যা বলেন, সেটাই আইন। না শুনলে ওসি বদলি করেন যখন-তখন।"_ওপরের কথাগুলো বলেছেন কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোল্লা ইমদাদুল ইসলাম।
নড়াইল-১ আসনের (নড়াইল সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও কালিয়া উপজেলা) সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি বিগত নির্বাচনে জোট-মহাজোটের প্রার্থীকে পরাজিত করে বিপুল ভোটে জয়ী হন। নির্বাচনপূর্ব জনসভাগুলোতে মুক্তি আসছে শুনে হাজার হাজার মানুষ সেই সভাস্থলে ছুটে যেত। অনেকেই টাকা দিয়েছে জনসভার খরচ মেটাতে। মহাজোটের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড বিমল বিশ্বাস এবং চারদলীয় জোটের বিএনপি নেতা শিল্পপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমকে টপকে তরুণ মুক্তি সবাইকে চমকে দিয়ে এমপি হয়ে যান।
এর আগে তিনি তিনবার কালিয়া পৌরসভার মেয়র এবং কালিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। নির্বাচনের পর তিনি আবার আওয়ামী লীগে ফিরে যান। উপজেলা পর্যায় ছেড়ে তিনি জেলার রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। কিন্তু তাঁর কর্মকাণ্ডে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগকে তিনি এক করতে পারেননি কিংবা এক করতে চানওনি। এ ছাড়া যুবলীগ ও ছাত্রলীগ চলছে অনেকটা তাঁর নির্দেশে।
নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি আওয়ামী লীগের অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা সাবেক এমপি এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম এখলাস উদ্দীন আহমেদের ছেলে। এখলাস উদ্দীন আহমেদ কালিয়া পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। বাবার নীতি, আদর্শ, পারিবারিক ঐতিহ্য এবং জনপ্রিয়তা মুক্তির উত্থানে ভূমিকা রাখে।
১৯৮৫ সালে এখলাস উদ্দীন আহমেদ এবং তাঁর বড় ছেলেকে প্রকাশ্যে নবগঙ্গা নদীতীরে মর্মান্তিকভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। মর্মান্তিক সেই হত্যাকাণ্ড এলাকাবাসী মেনে নেয়নি। কালিয়ার রাজনীতি এখনো আবর্তিত হয় এখলাস উদ্দীন আহমেদ এবং তাঁর পরিবারকে ঘিরে। এ রকম একটি সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে কবিরুল হক মুক্তি ২০০১ সালে এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান। কিন্তু ওই সময় দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা নিজে প্রার্থী হন।
এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রার্থিতা চাইলেও তিনি ব্যর্থ হন। মহাজোটের কারণে আসনটি ছেড়ে দিতে হয় ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড বিমল বিশ্বাসকে। আসনটির বেশির ভাগ অংশ কালিয়ায় হওয়ায় এবং বিমল বিশ্বাসের বাড়ি নড়াইল হওয়ায় আঞ্চলিকতার সমর্থন যোগ হয় মুক্তির পক্ষে। এ ছাড়া মুক্তি তিনবার কালিয়া পৌরসভার মেয়র এবং দীর্ঘদিন উপজেলাব্যাপী পরিচিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না থাকায় নির্বাচনকালীন স্বল্প সময়ে দলটির পূর্ণ সমর্থন পেতে ব্যর্থ হন কমরেড বিমল বিশ্বাস। বিপরীতে বিএনপিপ্রার্থী বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম প্রার্থী হিসেবে সাড়া ফেলতে না পারায় জয়লাভ করেন মুক্তি।
সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর এলজিইডি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, গণপূর্ত বিভাগ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের শতাধিক কোটি টাকার টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে সংসদ সদস্য কবিরুল হকের নেতৃত্বে। সেসব টেন্ডার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হলেও সেই টাকার কোনো ভাগ পাননি স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। সাধারণ এবং পেশাদার নির্দলীয় ঠিকাদাররা কাজ নিতে পারেননি। পেশিশক্তি আছে এমন কয়েকজন শহুরে নেতাকে কাজ দেন তিনি। তবে টেন্ডারবাজির সেই টাকার ভাগ পাননি কোনো নেতা-কর্মী। এ নিয়ে দলে রয়েছে তীব্র অসন্তোষ।
কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম শাহীর অভিযোগ, সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি টেন্ডারবাজি করেন। তিনি নিজে (শাহী) ঠিকাদার হওয়া সত্ত্বেও গত তিন বছরে একটি কাজ কিংবা সমঝোতার একটি পয়সাও ভাগ্যে জোটেনি তাঁর। তিনি জানান, উপজেলার নবগঙ্গা নদীর ওপরের সেতু ও সড়কগুলো মেরামত করা দরকার। কিন্তু সেদিকে এমপির খেয়াল নেই। এরপরও তিনি (এমপি) যা বলবেন, সেটাই শেষ কথা। কারণ, একক মাঠে তিনি একাই রাজা। সংসদ সদস্য পদে এলাকায় তাঁর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তাই রাজনীতিতে কোনো হিসাব না করেই খামখেয়ালিভাবে তিনি কাজ করেন। আর এতেই সমস্যা হয়েছে। তিনি দলের কারো সঙ্গে সংযোগ না রেখেই চলেন। কারো ধার তিনি ধারেন না।
নড়াগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খাজা নাজিমুদ্দিন অভিযোগ করেন, সংসদ সদস্য মুক্তির কাছের লোকেরাও এখন আর কাছে নেই; দূরে সরে গেছে। স্কুল-কলেজে চলছে নিয়োগবাণিজ্য। এমপির কাছের লোক ওসি খানের (কালিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান) অত্যাচারে অনেকে এলাকা ত্যাগ করেছে।
কালিয়া উপজেলা সভাপতি ইমদাদুল ইসলাম আরো জানান, সংসদ সদস্যের কর্মকাণ্ডে দলীয় স্থবিরতা
নেমে এসেছে। দলীয় কর্মকাণ্ড চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ছে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে আগামীতে রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে অনেক খেসারত দিতে হবে।
সংসদ সদস্য যা বলেন, সেটাই আইন। না শুনলে ওসি বদলি করেন যখন-তখন।"_ওপরের কথাগুলো বলেছেন কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোল্লা ইমদাদুল ইসলাম।
নড়াইল-১ আসনের (নড়াইল সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও কালিয়া উপজেলা) সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি বিগত নির্বাচনে জোট-মহাজোটের প্রার্থীকে পরাজিত করে বিপুল ভোটে জয়ী হন। নির্বাচনপূর্ব জনসভাগুলোতে মুক্তি আসছে শুনে হাজার হাজার মানুষ সেই সভাস্থলে ছুটে যেত। অনেকেই টাকা দিয়েছে জনসভার খরচ মেটাতে। মহাজোটের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড বিমল বিশ্বাস এবং চারদলীয় জোটের বিএনপি নেতা শিল্পপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলমকে টপকে তরুণ মুক্তি সবাইকে চমকে দিয়ে এমপি হয়ে যান।
এর আগে তিনি তিনবার কালিয়া পৌরসভার মেয়র এবং কালিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। নির্বাচনের পর তিনি আবার আওয়ামী লীগে ফিরে যান। উপজেলা পর্যায় ছেড়ে তিনি জেলার রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। কিন্তু তাঁর কর্মকাণ্ডে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগকে তিনি এক করতে পারেননি কিংবা এক করতে চানওনি। এ ছাড়া যুবলীগ ও ছাত্রলীগ চলছে অনেকটা তাঁর নির্দেশে।
নড়াইল-১ আসনের সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি আওয়ামী লীগের অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা সাবেক এমপি এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মরহুম এখলাস উদ্দীন আহমেদের ছেলে। এখলাস উদ্দীন আহমেদ কালিয়া পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। বাবার নীতি, আদর্শ, পারিবারিক ঐতিহ্য এবং জনপ্রিয়তা মুক্তির উত্থানে ভূমিকা রাখে।
১৯৮৫ সালে এখলাস উদ্দীন আহমেদ এবং তাঁর বড় ছেলেকে প্রকাশ্যে নবগঙ্গা নদীতীরে মর্মান্তিকভাবে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। মর্মান্তিক সেই হত্যাকাণ্ড এলাকাবাসী মেনে নেয়নি। কালিয়ার রাজনীতি এখনো আবর্তিত হয় এখলাস উদ্দীন আহমেদ এবং তাঁর পরিবারকে ঘিরে। এ রকম একটি সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে কবিরুল হক মুক্তি ২০০১ সালে এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান। কিন্তু ওই সময় দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা নিজে প্রার্থী হন।
এরপর ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রার্থিতা চাইলেও তিনি ব্যর্থ হন। মহাজোটের কারণে আসনটি ছেড়ে দিতে হয় ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড বিমল বিশ্বাসকে। আসনটির বেশির ভাগ অংশ কালিয়ায় হওয়ায় এবং বিমল বিশ্বাসের বাড়ি নড়াইল হওয়ায় আঞ্চলিকতার সমর্থন যোগ হয় মুক্তির পক্ষে। এ ছাড়া মুক্তি তিনবার কালিয়া পৌরসভার মেয়র এবং দীর্ঘদিন উপজেলাব্যাপী পরিচিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না থাকায় নির্বাচনকালীন স্বল্প সময়ে দলটির পূর্ণ সমর্থন পেতে ব্যর্থ হন কমরেড বিমল বিশ্বাস। বিপরীতে বিএনপিপ্রার্থী বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম প্রার্থী হিসেবে সাড়া ফেলতে না পারায় জয়লাভ করেন মুক্তি।
সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর এলজিইডি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, গণপূর্ত বিভাগ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের শতাধিক কোটি টাকার টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে সংসদ সদস্য কবিরুল হকের নেতৃত্বে। সেসব টেন্ডার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করা হলেও সেই টাকার কোনো ভাগ পাননি স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। সাধারণ এবং পেশাদার নির্দলীয় ঠিকাদাররা কাজ নিতে পারেননি। পেশিশক্তি আছে এমন কয়েকজন শহুরে নেতাকে কাজ দেন তিনি। তবে টেন্ডারবাজির সেই টাকার ভাগ পাননি কোনো নেতা-কর্মী। এ নিয়ে দলে রয়েছে তীব্র অসন্তোষ।
কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম শাহীর অভিযোগ, সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি টেন্ডারবাজি করেন। তিনি নিজে (শাহী) ঠিকাদার হওয়া সত্ত্বেও গত তিন বছরে একটি কাজ কিংবা সমঝোতার একটি পয়সাও ভাগ্যে জোটেনি তাঁর। তিনি জানান, উপজেলার নবগঙ্গা নদীর ওপরের সেতু ও সড়কগুলো মেরামত করা দরকার। কিন্তু সেদিকে এমপির খেয়াল নেই। এরপরও তিনি (এমপি) যা বলবেন, সেটাই শেষ কথা। কারণ, একক মাঠে তিনি একাই রাজা। সংসদ সদস্য পদে এলাকায় তাঁর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। তাই রাজনীতিতে কোনো হিসাব না করেই খামখেয়ালিভাবে তিনি কাজ করেন। আর এতেই সমস্যা হয়েছে। তিনি দলের কারো সঙ্গে সংযোগ না রেখেই চলেন। কারো ধার তিনি ধারেন না।
নড়াগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খাজা নাজিমুদ্দিন অভিযোগ করেন, সংসদ সদস্য মুক্তির কাছের লোকেরাও এখন আর কাছে নেই; দূরে সরে গেছে। স্কুল-কলেজে চলছে নিয়োগবাণিজ্য। এমপির কাছের লোক ওসি খানের (কালিয়া উপজেলার চেয়ারম্যান) অত্যাচারে অনেকে এলাকা ত্যাগ করেছে।
কালিয়া উপজেলা সভাপতি ইমদাদুল ইসলাম আরো জানান, সংসদ সদস্যের কর্মকাণ্ডে দলীয় স্থবিরতা
নেমে এসেছে। দলীয় কর্মকাণ্ড চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ছে। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে আগামীতে রাজনীতিতে আওয়ামী লীগকে অনেক খেসারত দিতে হবে।
No comments