বিএনপি : নড়াইল-১ আসন-সংগঠনটিতে 'নিম্নচাপ অবস্থা'
কালিয়া আওয়ামী লীগে সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তি এবং তাঁর পরিবার একটা ফ্যাক্টর। উপজেলা বিএনপির রাজনীতিতে একাধিক প্রভাবশালী নেতা রয়েছেন মুক্তির পরিবারের বিপক্ষে। তাদের সঙ্গে মুক্তির পরিবারের দীর্ঘদিনের শত্রুতা। বিএনপির উপজেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নওয়াবুল আলম এবং পৌর কমিটির সভাপতি খলিলুর রহমান মুক্তির বাবা এবং সহোদর হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
ওই মামলায় নিম্ন আদালতে তাঁদের ফাঁসির আদেশ হলেও উচ্চ আদালতের নির্দেশে খালাস পান। বিগত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালে কালিয়া পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির ওই দুই নেতা মেয়রপ্রার্থী হন। মেয়র হওয়ার লড়াইয়ে নিজেরা প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী কবিরুল হক মুক্তির সমর্থকদের ওপর নির্মম অত্যাচার-নির্যাতন চালান তাঁরা। মুক্তিকে নির্বাচনের দিন বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি, নির্বাচনে অবশ্য মুক্তিই জিতে যান।
কালিয়ার রাজনীতিতে বিএনপির দুই উগ্রপন্থী দাপুটে নেতা নওয়াবুল আলম ও শেখ খলিলুর রহমান এখন ম্রিয়মান। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে নওয়াবুল আলম এলাকা ছেড়েছেন আর খলিলুর রহমান কোনোমতে টিকে আছেন।
উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওহিদুজ্জামান মিলু অভিযোগ করেন, 'রাজপথে কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারি না সংসদ সদস্যের সমর্থকদের ভয়ে। মাঝে মাঝে বিএনপি অফিসে মিটিং করা সম্ভব হয়। তবে গত ১০ ডিসেম্বর উপজেলা কমিটির বর্ধিত সভা করতে দেয়নি পুলিশ। এমপির নির্দেশে সরকারি দল ও প্রশাসন যৌথভাবে আমাদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে।'
উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন জানান, দেশে চলছে আওয়ামী লীগের সরকার। সেই সঙ্গে কালিয়ায়ই রয়েছে আরেক সরকার। আর তা হলো সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তির সরকার। এই সরকারের চাপে বিএনপির এখন 'নিম্নচাপ অবস্থা'। জানা যায়, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি ক্ষমতায় এসে এলাকাবাসীর সঙ্গে যে আচরণ, বিশেষ করে সংখ্যালঘু নির্যাতন, বাড়িঘর ভাঙচুর, অত্যাচার-নির্যাতন, লুটপাট, ধর্ষণ এবং সাবেক মেয়র (বর্তমান সংসদ সদস্য) কবিরুল হক মুক্তির পরিবার ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর যে অত্যাচার করেছিল, তার খেসারত এখন দিতে হচ্ছে বলে বিএনপির একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় কয়েকজন নেতা কালিয়া উপজেলাজুড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। তাতে ঘি ঢেলে দেন আওয়ামী লীগ থেকে আসা সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ সাহা। তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে এর আগে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে দলীয় সভানেত্রী নড়াইলে দুটি সংসদীয় আসনে নির্বাচনে প্রার্থী হলে ধীরেন্দ্রনাথ সাহা দল ত্যাগ করে বিএনপিতে যোগ দেন এবং খোদ সভানেত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামেন। সেই যুদ্ধে ধীরেন্দ্রনাথ সাহা অবশ্য পরাজিত হন। নির্বাচনের পর আসন দুটি শেখ হাসিনা ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য হন। সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি নড়াইল-১ আসনে তিন মেয়াদে যা করেননি, মাত্র এক মেয়াদেই বিএনপি আমলে তা করে নিজের বীরত্ব প্রদর্শন করেন। যদিও উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান মিলু দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগের অত্যাচারে নওয়াবুল আলমসহ কালিয়া, পেড়লী, পুরুলিয়া ও হামিদপুরসহ বিভিন্ন এলাকার শতাধিক নেতা-কর্মী এলাকা ছেড়েছেন।
জেলা সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের শিকদার জানান, কালিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের অগণতান্ত্রিক আক্রমণে দলীয় কার্যক্রম চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ছে।
কালিয়ার রাজনীতিতে বিএনপির দুই উগ্রপন্থী দাপুটে নেতা নওয়াবুল আলম ও শেখ খলিলুর রহমান এখন ম্রিয়মান। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে নওয়াবুল আলম এলাকা ছেড়েছেন আর খলিলুর রহমান কোনোমতে টিকে আছেন।
উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওহিদুজ্জামান মিলু অভিযোগ করেন, 'রাজপথে কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারি না সংসদ সদস্যের সমর্থকদের ভয়ে। মাঝে মাঝে বিএনপি অফিসে মিটিং করা সম্ভব হয়। তবে গত ১০ ডিসেম্বর উপজেলা কমিটির বর্ধিত সভা করতে দেয়নি পুলিশ। এমপির নির্দেশে সরকারি দল ও প্রশাসন যৌথভাবে আমাদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে।'
উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন জানান, দেশে চলছে আওয়ামী লীগের সরকার। সেই সঙ্গে কালিয়ায়ই রয়েছে আরেক সরকার। আর তা হলো সংসদ সদস্য কবিরুল হক মুক্তির সরকার। এই সরকারের চাপে বিএনপির এখন 'নিম্নচাপ অবস্থা'। জানা যায়, ২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি ক্ষমতায় এসে এলাকাবাসীর সঙ্গে যে আচরণ, বিশেষ করে সংখ্যালঘু নির্যাতন, বাড়িঘর ভাঙচুর, অত্যাচার-নির্যাতন, লুটপাট, ধর্ষণ এবং সাবেক মেয়র (বর্তমান সংসদ সদস্য) কবিরুল হক মুক্তির পরিবার ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর যে অত্যাচার করেছিল, তার খেসারত এখন দিতে হচ্ছে বলে বিএনপির একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন।
বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় কয়েকজন নেতা কালিয়া উপজেলাজুড়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। তাতে ঘি ঢেলে দেন আওয়ামী লীগ থেকে আসা সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্রনাথ সাহা। তিনি আওয়ামী লীগের হয়ে এর আগে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে দলীয় সভানেত্রী নড়াইলে দুটি সংসদীয় আসনে নির্বাচনে প্রার্থী হলে ধীরেন্দ্রনাথ সাহা দল ত্যাগ করে বিএনপিতে যোগ দেন এবং খোদ সভানেত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী লড়াইয়ে নামেন। সেই যুদ্ধে ধীরেন্দ্রনাথ সাহা অবশ্য পরাজিত হন। নির্বাচনের পর আসন দুটি শেখ হাসিনা ছেড়ে দিলে উপনির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য হন। সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি নড়াইল-১ আসনে তিন মেয়াদে যা করেননি, মাত্র এক মেয়াদেই বিএনপি আমলে তা করে নিজের বীরত্ব প্রদর্শন করেন। যদিও উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান মিলু দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগের অত্যাচারে নওয়াবুল আলমসহ কালিয়া, পেড়লী, পুরুলিয়া ও হামিদপুরসহ বিভিন্ন এলাকার শতাধিক নেতা-কর্মী এলাকা ছেড়েছেন।
জেলা সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের শিকদার জানান, কালিয়া উপজেলায় আওয়ামী লীগের অগণতান্ত্রিক আক্রমণে দলীয় কার্যক্রম চালানো কষ্টকর হয়ে পড়ছে।
No comments