পবিত্র কোরআনের আলো-মুমিনদের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতির বন্ধন দৃঢ়তর করে কুফরকে রুখতে হবে
৭৩. ওয়াল্লাযীনা কাফারু বা'দ্বুহুম আওলিইয়াউ বা'দ্বিন ইল্লা তাফআ'লূহু তাকুন ফিতনাতুন ফিল আরদ্বি, ওয়া ফাছাদুন কাবীর।৭৪. ওয়াল্লাযীনা আমানূ ওয়া হা-জারু ওয়া জা-হাদু ফী ছাবীলিল্লাহি ওয়াল্লাযীনা আ-ওয়াও ওয়া নাসারু উলা-য়িকা হুমুল মু'মিনুনা হাক্কা; লাহুম্ মাগ্ফিরাতুন ওয়া রিযক্বুন কারীম। ৭৫. ওয়াল্লাযীনা আমানু মিম্ বা'দু ওয়া হা-জারু ওয়া জা-হাদু মাআ'কুম্ ফাউলা-য়িকা মিনকুম; ওয়া উলুল্আরহা-মি বা'দ্বুহুম আওলা বিবা'দ্বিন ফী কিতাবিল্লাহি; ইন্নাল্লাহা বিকুলি্ল শাইয়িন আ'লীম। [সুরা : আল-আনফাল, আয়াত : ৭৩-৭৫]
অনুবাদ : ৭৩. যারা অবাধ্যতার পথ অবলম্বন করেছে, তারা একে অপরের বন্ধু। তোমরা যদি এরূপ না কর অর্থাৎ নিজেদের মধ্যে পরস্পরকে সাহায্য না কর, তবে পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়বে এবং বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসবে।
৭৪. যারা ইমান এনেছে, হিজরত করেছে এবং আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে। আর যারা তাদের আশ্রয় দিয়েছে এবং সাহায্য করেছে, তারা সবাই প্রকৃত মুমিন; তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা।
৭৫. যারা পরে ইমান এনেছে, হিজরত করেছে এবং তোমাদের সঙ্গে থেকে জিহাদ করেছে, তারাও তোমাদের অন্তর্ভুক্ত। আর যারা পুরনো মুহাজিরদের সঙ্গে আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ, তারা আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী (পরস্পরের উত্তরাধিকারের) অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে হকদার। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা সব ব্যাপারে সম্যক ওয়াকিবহাল।
ব্যাখ্যা : এই আয়াতগুলো আগে বর্ণিত সম্পদের মিরাস ও উত্তরাধিকারসংক্রান্ত আয়াত এবং গোপনে ইমান এনে যারা হিজরত করেনি, তাদের সাহায্যের ধরনসংক্রান্ত বিধানগুলোর উপসংহার হিসেবে নাজিল হয়েছে। এখানে মুসলমানদের ঐক্য, সংহতি ও পারস্পরিক সম্প্রীতির নিমিত্ত সম্পদের ভাগ-বাটোয়ারাও যে গুরুত্বপূর্ণ_এ কথাটা বলা হয়েছে এবং সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে যে এ ব্যাপারে সুসংহত বিধি-ব্যবস্থা না থাকলে এবং এসব বিধান অমান্য করলে দুই কারণেই পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা ও বিপর্যয় সৃষ্টি হবে। প্রথমত, মুসলিম সমাজের ভেতরে সম্পদের অব্যবস্থাপনাজনিত অসন্তোষ ও বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। কারণ এর ফলে মুসলিম সমাজে সম্পদের ন্যায়সংগত বণ্টন ব্যাহত হবে। অপরদিকে মুসলিম সমাজের ঐক্য, সংহতি ও সম্প্রীতি ব্যাহত হলে কাফির বা শত্রু মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে পড়বে। মুসলিম সমাজ যদি যথাসময়ে শত্রু মোকাবিলা করে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারে, তবে পৃথিবীতে ফিতনা-ফাসাদ নেমে আসবে। ৭৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, কাফিররা নানা কারণে সংঘবদ্ধ; মুসলমানরা যদি তাদের চেয়ে দৃঢ়ভাবে সংঘবদ্ধ হতে না পারে, তবে তাদের মোকাবিলা করা কঠিন হবে। ৭৪ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, মক্কায় অবস্থানকারী যেসব মুসলিম গোপনে ইসলাম গ্রহণ করেছে, কিন্তু বিষয়-সম্পত্তির মায়া ত্যাগ করে এখনো হিজরত করতে পারেনি, তারা মুমিন হলেও দুর্বল ও অসম্পূর্ণ মুমিন। অপরদিকে মক্কার বিষয়-সম্পত্তির মায়া ত্যাগ করে যারা হিজরত করেছে এবং মদিনায় যারা নিজেদের অর্থ-সম্পদ দিয়ে ও কাফিরদের আক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে তাদের আশ্রয় দিয়েছে, তারাই হচ্ছে প্রকৃত মুমিন। আল্লাহ তায়ালা তাদের ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। ৭৫ নম্বর আয়াতে যেসব মুসলিম আগে হিজরত করেনি, তবে বদরের যুদ্ধের পর হিজরত করে মদিনায় চলে এসেছে, তাদের কথা বলা হয়েছে। হিজরতের মাধ্যমে যেহেতু তারা নিজেদের অপূর্ণতা দূর করে ফেলেছে, সেহেতু এখন তারাও মুহাজির ও আনসারদের সমমর্যাদার অধিকারী হয়ে উঠেছে। অপরদিকে তারা যেখানে তাদের মুসলিম আত্মীয়দের ওয়ারিস থেকে বঞ্চিত ছিল, সেখানে তারাও ওয়ারিস ও উত্তরাধিকার লাভের অধিকারী হয়ে গেছে।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
৭৪. যারা ইমান এনেছে, হিজরত করেছে এবং আল্লাহর পথে জিহাদ করেছে। আর যারা তাদের আশ্রয় দিয়েছে এবং সাহায্য করেছে, তারা সবাই প্রকৃত মুমিন; তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা।
৭৫. যারা পরে ইমান এনেছে, হিজরত করেছে এবং তোমাদের সঙ্গে থেকে জিহাদ করেছে, তারাও তোমাদের অন্তর্ভুক্ত। আর যারা পুরনো মুহাজিরদের সঙ্গে আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ, তারা আল্লাহর কিতাব অনুযায়ী (পরস্পরের উত্তরাধিকারের) অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে হকদার। নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা সব ব্যাপারে সম্যক ওয়াকিবহাল।
ব্যাখ্যা : এই আয়াতগুলো আগে বর্ণিত সম্পদের মিরাস ও উত্তরাধিকারসংক্রান্ত আয়াত এবং গোপনে ইমান এনে যারা হিজরত করেনি, তাদের সাহায্যের ধরনসংক্রান্ত বিধানগুলোর উপসংহার হিসেবে নাজিল হয়েছে। এখানে মুসলমানদের ঐক্য, সংহতি ও পারস্পরিক সম্প্রীতির নিমিত্ত সম্পদের ভাগ-বাটোয়ারাও যে গুরুত্বপূর্ণ_এ কথাটা বলা হয়েছে এবং সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে যে এ ব্যাপারে সুসংহত বিধি-ব্যবস্থা না থাকলে এবং এসব বিধান অমান্য করলে দুই কারণেই পৃথিবীতে বিশৃঙ্খলা ও বিপর্যয় সৃষ্টি হবে। প্রথমত, মুসলিম সমাজের ভেতরে সম্পদের অব্যবস্থাপনাজনিত অসন্তোষ ও বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। কারণ এর ফলে মুসলিম সমাজে সম্পদের ন্যায়সংগত বণ্টন ব্যাহত হবে। অপরদিকে মুসলিম সমাজের ঐক্য, সংহতি ও সম্প্রীতি ব্যাহত হলে কাফির বা শত্রু মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে পড়বে। মুসলিম সমাজ যদি যথাসময়ে শত্রু মোকাবিলা করে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারে, তবে পৃথিবীতে ফিতনা-ফাসাদ নেমে আসবে। ৭৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, কাফিররা নানা কারণে সংঘবদ্ধ; মুসলমানরা যদি তাদের চেয়ে দৃঢ়ভাবে সংঘবদ্ধ হতে না পারে, তবে তাদের মোকাবিলা করা কঠিন হবে। ৭৪ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, মক্কায় অবস্থানকারী যেসব মুসলিম গোপনে ইসলাম গ্রহণ করেছে, কিন্তু বিষয়-সম্পত্তির মায়া ত্যাগ করে এখনো হিজরত করতে পারেনি, তারা মুমিন হলেও দুর্বল ও অসম্পূর্ণ মুমিন। অপরদিকে মক্কার বিষয়-সম্পত্তির মায়া ত্যাগ করে যারা হিজরত করেছে এবং মদিনায় যারা নিজেদের অর্থ-সম্পদ দিয়ে ও কাফিরদের আক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে তাদের আশ্রয় দিয়েছে, তারাই হচ্ছে প্রকৃত মুমিন। আল্লাহ তায়ালা তাদের ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। ৭৫ নম্বর আয়াতে যেসব মুসলিম আগে হিজরত করেনি, তবে বদরের যুদ্ধের পর হিজরত করে মদিনায় চলে এসেছে, তাদের কথা বলা হয়েছে। হিজরতের মাধ্যমে যেহেতু তারা নিজেদের অপূর্ণতা দূর করে ফেলেছে, সেহেতু এখন তারাও মুহাজির ও আনসারদের সমমর্যাদার অধিকারী হয়ে উঠেছে। অপরদিকে তারা যেখানে তাদের মুসলিম আত্মীয়দের ওয়ারিস থেকে বঞ্চিত ছিল, সেখানে তারাও ওয়ারিস ও উত্তরাধিকার লাভের অধিকারী হয়ে গেছে।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments