সৌদি আরবে সাক্ষাৎকারে ক্যামেরন-হরমুজ প্রণালি বন্ধ করলে ব্যবস্থা নেবে সারা বিশ্ব
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, ইরান হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দিলে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সারা বিশ্ব। গত শুক্রবার সৌদি আরব সফরের সময় আল-আরাবিয়া টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে ক্যামেরন বলেন, ‘সমগ্র বিশ্বের স্বার্থেই হরমুজ প্রণালি খোলা থাকা প্রয়োজন। এটি বন্ধের কোনো হুমকি যদি আসে, তাহলে আমি নিশ্চিত, সারা বিশ্ব এক কাতারে দাঁড়িয়ে যাবে এবং এই প্রণালি খোলা রাখার ব্যবস্থা করবে।’
সাক্ষাৎকারে ক্যামেরন বলেন, ‘সমগ্র বিশ্বের স্বার্থেই হরমুজ প্রণালি খোলা থাকা প্রয়োজন। এটি বন্ধের কোনো হুমকি যদি আসে, তাহলে আমি নিশ্চিত, সারা বিশ্ব এক কাতারে দাঁড়িয়ে যাবে এবং এই প্রণালি খোলা রাখার ব্যবস্থা করবে।’
পশ্চিমা সরকারগুলো ইরানের প্রতি নিষেধাজ্ঞা জোরদারের অংশ হিসেবে তাদের তেল রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেওয়ার পর প্রথমবারের মতো সৌদি আরব সফরে গেলেন ক্যামেরন।
তবে ওই হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা হুমকি দিয়ে ইরান বলেছে, তেল রপ্তানির ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলে তারা হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেবে। আন্তর্জাতিক নৌ-বাণিজ্য, বিশেষ করে ওই অঞ্চলের তেল রপ্তানির জন্য এই প্রণালি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র গোপন চ্যানেলের মাধ্যমে ইরানকে সতর্ক করে দিয়েছে যে হরমুজ প্রণালি বন্ধ করা হলে ওয়াশিংটন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
এদিকে, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক জাহাজ হরমুজ প্রণালি পার হওয়ার সময় ইরানের সামরিক নৌযান দুবার তাদের কাছাকাছি গিয়ে নজরদারি করেছে। তবে এ সময় অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে মার্কিন সামরিক দপ্তর পেন্টাগন।
পেন্টাগনের প্রকাশ করা ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, ৬ জানুয়ারি হরমুজ প্রণালিতে মার্কিন নৌবাহিনীর উভচর পরিবহন জাহাজ ‘ইউএসএস নিউ অরলিনস’-এর কয়েক শ গজের মধ্যেই চলে এসেছে ইরানি রেভল্যুশনারি গার্ডের সদস্যদের সশস্ত্র নৌযান। একই দিন এ রকম আরেকটি ঘটনা ঘটে মার্কিন উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ অ্যাডাকে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জেনি ক্যাম্পবেল বলেন, মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ ও ইরানি নৌযানের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা গতানুগতিক। এতে কোনো সংঘাতের ঘটনা ঘটে না।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, এ ধরনের ঘটনা ঘটলে স্বাভাবিকভাবেই তা ভিডিও দৃশ্যে ধারণ করা হয় এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের অনুরোধের ভিত্তিতে মার্কিন বাহিনী তা প্রকাশ করে।
চলতি মাসে এ পর্যন্ত নয়টি মার্কিন জাহাজ হরমুজ প্রণালি পার হয়েছে। তবে অপর সাতটি জাহাজের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে কি না, তা পরিষ্কার নয়।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেট্টা হুঁশিয়ার করেছেন, ইরান হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দিলে মার্কিন সরকার তা চরম অবস্থা হিসেবে নেবে এবং পাল্টা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
সিরিয়াকে অস্ত্র দেওয়ার অভিযোগ: যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা গত শুক্রবার জানিয়েছেন, সিরিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনে সরকারকে সহযোগিতা করছে ইরান। তারা সেখানে অস্ত্র পাঠাচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা। একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের অভিজাত কুদস বাহিনীর প্রধান কাসেম সোলাইমানি চলতি মাসে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক সফর করেন। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, ইরান সিরিয়াকে সামরিক সহযোগিতাসহ অন্যান্য সাহায্য দিচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদসহ অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা কাসেম সোলাইমানির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে আমরা নিশ্চিত। আমরা মনে করি, সিরিয়ায় বিক্ষোভ দমনের বিষয়েই তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এ কথা মনে হওয়ার যুক্তিসংগত কারণ আছে যে ইরান সিরিয়াকে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহ করছে।’ এএফপি, রয়টার্স।
তবে ওই হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা হুমকি দিয়ে ইরান বলেছে, তেল রপ্তানির ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলে তারা হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দেবে। আন্তর্জাতিক নৌ-বাণিজ্য, বিশেষ করে ওই অঞ্চলের তেল রপ্তানির জন্য এই প্রণালি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্র গোপন চ্যানেলের মাধ্যমে ইরানকে সতর্ক করে দিয়েছে যে হরমুজ প্রণালি বন্ধ করা হলে ওয়াশিংটন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
এদিকে, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক জাহাজ হরমুজ প্রণালি পার হওয়ার সময় ইরানের সামরিক নৌযান দুবার তাদের কাছাকাছি গিয়ে নজরদারি করেছে। তবে এ সময় অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে মার্কিন সামরিক দপ্তর পেন্টাগন।
পেন্টাগনের প্রকাশ করা ভিডিওচিত্রে দেখা যায়, ৬ জানুয়ারি হরমুজ প্রণালিতে মার্কিন নৌবাহিনীর উভচর পরিবহন জাহাজ ‘ইউএসএস নিউ অরলিনস’-এর কয়েক শ গজের মধ্যেই চলে এসেছে ইরানি রেভল্যুশনারি গার্ডের সদস্যদের সশস্ত্র নৌযান। একই দিন এ রকম আরেকটি ঘটনা ঘটে মার্কিন উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজ অ্যাডাকে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জেনি ক্যাম্পবেল বলেন, মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ ও ইরানি নৌযানের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা গতানুগতিক। এতে কোনো সংঘাতের ঘটনা ঘটে না।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, এ ধরনের ঘটনা ঘটলে স্বাভাবিকভাবেই তা ভিডিও দৃশ্যে ধারণ করা হয় এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের অনুরোধের ভিত্তিতে মার্কিন বাহিনী তা প্রকাশ করে।
চলতি মাসে এ পর্যন্ত নয়টি মার্কিন জাহাজ হরমুজ প্রণালি পার হয়েছে। তবে অপর সাতটি জাহাজের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে কি না, তা পরিষ্কার নয়।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিওন প্যানেট্টা হুঁশিয়ার করেছেন, ইরান হরমুজ প্রণালি বন্ধ করে দিলে মার্কিন সরকার তা চরম অবস্থা হিসেবে নেবে এবং পাল্টা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
সিরিয়াকে অস্ত্র দেওয়ার অভিযোগ: যুক্তরাষ্ট্রের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা গত শুক্রবার জানিয়েছেন, সিরিয়ায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দমনে সরকারকে সহযোগিতা করছে ইরান। তারা সেখানে অস্ত্র পাঠাচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা। একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের অভিজাত কুদস বাহিনীর প্রধান কাসেম সোলাইমানি চলতি মাসে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক সফর করেন। এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, ইরান সিরিয়াকে সামরিক সহযোগিতাসহ অন্যান্য সাহায্য দিচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ‘সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদসহ অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা কাসেম সোলাইমানির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে আমরা নিশ্চিত। আমরা মনে করি, সিরিয়ায় বিক্ষোভ দমনের বিষয়েই তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এ কথা মনে হওয়ার যুক্তিসংগত কারণ আছে যে ইরান সিরিয়াকে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহ করছে।’ এএফপি, রয়টার্স।
No comments