৭ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে দক্ষিণ এশীয় যুব সম্মেলন-রাজনৈতিক অস্থিরতাই সার্ক বাণিজ্য না হওয়ার কারণ

ক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য-সম্পর্ক খুব একটা এগোয়নি। এর বড় কারণ হলো: দেশগুলোর রাজনৈতিক সম্পর্ক স্থিতিশীল না থাকা। আর এই রাজনৈতিক সম্পর্ক সার্কের সফলতার ওপর প্রভাব বিস্তার করে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে এমনই অভিমত তুলে ধরেছেন সার্ক চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এবং বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি। ৭ জানুয়ারি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে


অনুষ্ঠেয় দুই দিনের দক্ষিণ এশীয় যুব সম্মেলন ‘লিড-২০১২’ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
দক্ষিণ এশীয় যুব সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘তারুণ্যের দক্ষিণ এশিয়া: প্রত্যাশা ও পরিকল্পনা’। রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান সম্মেলন উদ্বোধন করবেন।
সম্মেলনে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের (বিবিসি) ভারত ব্যুরোর সাবেক প্রধান মার্ক টালি, একুশে টেলিভিশনের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রখ্যাত সাংবাদিক সাইমন ড্রিং, বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রধান নির্বাহী (সিইও) ভারতের গ্লোবাল ইনকরপোরেশন ইন্ডিয়ার সভাপতি ও সিইও সুহাস গোপীনাথসহ বিভিন্ন দেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক, তরুণ উদ্যোক্তা, চিন্তাবিদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থাকবেন।
সংবাদ সম্মেলনে সার্ক চেম্বারের সভাপতি আনিসুল হক বলেন, সার্কভুক্ত দেশগুলোর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থিতিশীল নয়। রাজনৈতিক সম্পর্ক সার্কের সফলতার ওপর প্রভাব ফেলে। সে কারণে আঞ্চলিক এ সংগঠনটি কখনো পুরোপুরি সফল হয়নি।
আনিসুল হক বলেন, সার্ক চেম্বার নীতিনির্ধারণী কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না; বিভিন্ন সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য পরামর্শ দেয়। সর্বশেষ সার্ক সম্মেলনের ২০টি ঘোষণার নয়টিই ছিল সার্ক চেম্বারের সুপারিশ থেকে।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কেরও উন্নতি হয়নি। দেশগুলোর রাজনৈতিক সম্পর্কে স্থিতিশীলতা না থাকাই এর কারণ। তিনি বলেন, সার্কের দেশগুলোর মধ্যে মাত্র পাঁচ শতাংশ ব্যবসা হয়, যা অন্য যেকোনো আঞ্চলিক জোটের তুলনায় নগণ্য।
এ কে আজাদ বলেন, নেপালে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও রাজনৈতিক কারণেই নেপাল, ভারত বা বাংলাদেশ কেউই তা কাজে লাগাতে পারছে না।
সম্মেলনের আয়োজকেরা জানান, সম্মেলনে সার্ক অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে করণীয় সম্পর্কে একটি রূপরেখা বের করার চেষ্টা করা হবে। সম্মেলনে সার্কভুক্ত দেশগুলোর দুই হাজার তরুণ অংশ নেবে। অধিকাংশই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তা ছাড়া সার্কের দেশগুলোর সফল উদ্যোক্তা, সাহিত্যিক, সংবাদপত্রের সম্পাদকেরাও সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে তাঁরা তরুণদের নানা কাজে উৎসাহিত করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সার্ক চেম্বারের সহসভাপতি আবুল কাশেম, এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী, পরিচালক আবদুল হক, নজরুল ফজল প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.