তৃতীয় নয়ন-মুক্তিলীগ ছাড়া কেউ ভালো নেই

বিগত সংসদ নির্বাচনে কেন্দ্রের নির্দেশে মহাজোটপ্রার্থী বিমল বিশ্বাসের পক্ষে কাজ করেছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় অনেক নেতা। তবে দলটির কালিয়া অংশের তৃণমূল পর্যায়ের অধিকাংশ নেতা-কর্মী ছিলেন কবিরুল হক মুক্তির পক্ষে।
দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করায় কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে কবিরুল হক মুক্তি এবং তাঁর আরেক সমর্থক নড়াগাতী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (পরে কালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান) খান শামীম রহমান ওসি খানকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।


নির্বাচনে দলটির যে অংশ নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করেছিল, তারা হেনস্তার শিকার হয় নির্বাচনের পর। নৌকা মার্কা পরাজিত হওয়ার পর তারা কলস সমর্থকদের আক্রমণের শিকারে পরিণত হন। নড়াগাতী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজি মফিজুর রহমান জানান, ঘরবাড়ি ভাঙচুর, হামলা-মামলা_কোনোকিছু থেকেই রেহাই পাননি আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা। ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ, কিন্তু নড়াইল-১ আসনে যেন আলাদা। এখানে ক্ষমতাসীন দলের লোকেরা নির্যাতনের শিকার হন আওয়ামী লীগেরই নেতা দ্বারা। এই নির্যাতনের ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে। বড়দিয়া এলাকায় এখনো সংসদ সদস্য কবিরুল হকের নিজস্ব লোক ওসি খান সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন অব্যাহত রেখেছেন। নড়াগাতী থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খাজা নাজিমুদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, 'মুক্তিলীগ (মুক্তির সমর্থকরা) ছাড়া কেউ ভালো নেই। নীরব চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষ তাঁর কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। মুক্তির আগের সেই জনপ্রিয়তা নেই। এখন মুক্তির জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায় বলে দাবি করেন তিনি।'
ছাত্রলীগ নেতা হাসানাত জানান, নির্বাচনের পরও এমপি বলেছেন, 'জনগণের চাপে নির্বাচন করতে বাধ্য হয়েছেন। যারা নৌকার কাজ করেছে, তারাই প্রকৃত আওয়ামী লীগার। আমিও তা-ই। কিন্তু এমপি সেই কথা রাখেননি। নৌকা প্রতীকে অংশগ্রহণকারীরা কোনো সুযোগ তো পায়ইনি, বরং সামাজিকভাবেও হেয় হয়েছেন। দলের বড় একটি অংশ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বঞ্চিত এবং সামাজিকভাবে হেয় হয়েছে। তাঁর কাছের লোকদের অনেকেই এখন আর সঙ্গে নেই। তাঁকে ঘিরে আছে কিছু সুবিধাবাদী লোক।' মুক্তিলীগ প্রসঙ্গে কবিরুল হক মুক্তি বলেন, 'আমার বাবা সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম এখলাস উদ্দীন আহমেদের সময় থেকেই আমরা আওয়ামী লীগের। অভিযোগকারীরা সবাই জনবিচ্ছিন্ন মানুষ।'

No comments

Powered by Blogger.