সোনারগাঁয় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান-ক্ষমতাসীন নেতাদেও চাপের মুখে বন্ধ! by মনিরুজ্জামান
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর সেতু থেকে মেঘনা সেতু পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু কয়েকটি স্থাপনা উচ্ছেদ শেষে অভিযান বন্ধ করে দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের চাপের মুখে এই উচ্ছেদ অভিযান স্থগিত করে প্রশাসন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর উপজেলার কাঁচপুর সেতু থেকে মেঘনা সেতু পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার এলাকায় মহাসড়কের দুই পাশে কয়েক হাজার অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে একশ্রেণীর প্রভাবশালী ব্যক্তি ব্যবসা শুরু করেন। এককালীন এক থেকে তিন লাখ টাকা দিয়ে পাঁচ বছরের জন্য টং দোকান ভাড়া নেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এরপর প্রতি মাসে প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে দুই থেকে চার হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়। মহাসড়কের কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ধরনের চার শতাধিক অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে, একাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী প্রথম আলোকে বলেন, এসব অবৈধ স্থাপনায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমর্থকদের একটি সিন্ডিকেট প্রতিদিন চাঁদা আদায় করে। চাঁদার একটি অংশ স্থানীয় পুলিশকেও দিতে হয়।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের জায়গা দখল করে এসব স্থাপনা নির্মাণের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চলাচলকারী সব ধরনের যানবাহন প্রতিদিন কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়ে।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। তখন মহাসড়কের ওই স্থানে কোনো যানজট ছিল না।
যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ৭ জানুয়ারি মহাসড়কের কাঁচপুর ও মেঘনা সেতু পরিদর্শনে এসে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে স্থানীয় সাংসদ, সওজ ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে অবিলম্বে মহাসড়কের পাশের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার নির্দেশ দেন।
মন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে এসব অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য দখলকারীদের নোটিশ দেয় উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু দখলদারেরা তাদের স্থাপনা সরিয়ে না নেওয়ায় ৯ জানুয়ারি উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে প্রশাসন। কিন্তু ১০ থেকে ১২টি অস্থায়ী কাঠামোর দোকান ভাঙার পর নেতাদের চাপের মুখে এ অভিযান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাগরিকা নাসরিন বলেন, ‘আমাদের ওপর চাপ রয়েছে, এটা সত্য। তবে উচ্ছেদ অভিযান চলবে।’ কাদের চাপ রয়েছে, এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে, একাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী প্রথম আলোকে বলেন, এসব অবৈধ স্থাপনায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সমর্থকদের একটি সিন্ডিকেট প্রতিদিন চাঁদা আদায় করে। চাঁদার একটি অংশ স্থানীয় পুলিশকেও দিতে হয়।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের জায়গা দখল করে এসব স্থাপনা নির্মাণের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে চলাচলকারী সব ধরনের যানবাহন প্রতিদিন কাঁচপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়ে।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। তখন মহাসড়কের ওই স্থানে কোনো যানজট ছিল না।
যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ৭ জানুয়ারি মহাসড়কের কাঁচপুর ও মেঘনা সেতু পরিদর্শনে এসে গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে স্থানীয় সাংসদ, সওজ ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে অবিলম্বে মহাসড়কের পাশের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার নির্দেশ দেন।
মন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে এসব অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য দখলকারীদের নোটিশ দেয় উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু দখলদারেরা তাদের স্থাপনা সরিয়ে না নেওয়ায় ৯ জানুয়ারি উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে প্রশাসন। কিন্তু ১০ থেকে ১২টি অস্থায়ী কাঠামোর দোকান ভাঙার পর নেতাদের চাপের মুখে এ অভিযান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাগরিকা নাসরিন বলেন, ‘আমাদের ওপর চাপ রয়েছে, এটা সত্য। তবে উচ্ছেদ অভিযান চলবে।’ কাদের চাপ রয়েছে, এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
No comments