তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রাণ
একটা টেনিস র্যাকেটের সঙ্গে একটা গলফ স্টিকের মিল কোথায় বলতে পারেন? কিংবা পোড়া ঘাসের মতো ফ্যাকাশে সবুজ একটা টেনিস বলের সঙ্গে এবড়োখেবড়ো সাদা গলফ বলের? না, মিল নেই। তার পরও মিলে যেতে সময়ও লাগে না। পৃথিবীর দুই প্রান্তের, দুটি ভিন্ন জগৎ আর ভিন্ন খেলার মানুষের মধ্যে তার পরও গড়ে ওঠে সেতুবন্ধ। মাধ্যম হিসেবে যদি থাকে ভালোবাসা!
গলফ তারকা ররি ম্যাকইলরয়ের সঙ্গে টেনিস-তারকা ক্যারোলিন ওজনিয়াকির প্রেম হয়েছে বেশ কয়েক মাস হয়ে গেল। আর সব তারকা প্রেমের বেলায় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বেশ ইঁদুর-বিড়ালের মতো লুকোচুরি খেলতে ভালোবাসেন, রীতিমতো কিরা-কসম কেটেও অনেককে বলতে শোনা যায়, ‘বিশ্বাস করুন, আমরা শুধুই ভালো বন্ধু।’ কিন্তু শুরু থেকেই এই জুটি হেঁটেছেন ভিন্ন পথে। কোনো লুকোছাপা নেই। শুধু তা-ই নয়, দুজন দুজনের প্রতি জমানো আবেগ প্রকাশ করতে মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন টুইটারের মতো সামাজিক সাইট!
এতটাই খুল্লাম খুল্লা প্রেম! না, প্রেমের একেবারে অন্দরমহলের দরজাটা তো একেবারে হাট করে খুলে রাখা যায় না। সেটা বাইরের পৃথিবীর জন্য তালাবদ্ধই থাকে। ওজনিয়াকি সেটাই বলছিলেন, ‘আসলে চাইলেও আমরা আড়ালে থাকতে পারি না। কারণ, সবাই আমাদের চেনে। সবাই আমাদের সম্পর্কের ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়। যদি আশপাশে ক্যামেরা থাকে, আমাদের ছবি তোলা হয়, তাতে আমি আপত্তির কিছু দেখি না। কিন্তু একটা সীমা পর্যন্ত এটা মেনে নেওয়া যায়। এরপর বাকিটা থাকে একান্তই ব্যক্তিগত। কিছু কিছু ব্যাপার আছে, যেগুলো আমরা নিজেদের মধ্যেই রাখতে চাই। বাকিগুলো নিয়ে মাথা ঘামাই না।’
দুজনের ভিন্ন জগৎ বলে একসঙ্গে সময় কাটে খুব কমই। এই যেমন আগামীকাল থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্ট ইউএস ওপেন। চাইলেও তো আর এই সময় চুটিয়ে প্রেম করা যাবে না। তবে কিনা অনেক সময় দূরেও ঠেলে দেয় বলেই প্রেম মহৎ হয়ে ওঠে। দুজনের মধ্যে খুনসুটি থাকে বলেই সেই সম্পর্ক হয় মসলাদার। ওজনিয়াকির কাছেই জানা গেল, দুজনের মধ্যে সেই খুটখাট লাগেই। সবচেয়ে বেশি যেটা হয়, বাজি ধরা। ওজনিয়াকির প্রিয় দল লিভারপুল। স্টিভেন জেরার্ডের সই করা একটা জ্যাকেট আছে তাঁর, যেটা তাঁকে প্রায়ই পরতে দেখা যায়। ম্যাকইলরয়ের প্রিয় দল আবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ভেবে দেখুন, ইংলিশ ফুটবলের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মুখোমুখি এখানেও!
বাজি হারলে বা জিতলে কি পুরস্কার পাওয়া যায়, সেটা অবশ্য ওজনিয়াকি ফাঁস করতে চাননি। আর আমাদেরও এত উৎসাহ দেখানোর কী আছে? সেটা হতে পারে একটা ফ্রেমে বাঁধানো ছবি কিংবা ওষ্ঠাধারে একে দেওয়া প্রগাঢ় চুম্বন—ওজনিয়াকি সেটা যখন গোপনই রাখতে চাইছেন, গোপনই থাক না!
রাজীব হাসান
এতটাই খুল্লাম খুল্লা প্রেম! না, প্রেমের একেবারে অন্দরমহলের দরজাটা তো একেবারে হাট করে খুলে রাখা যায় না। সেটা বাইরের পৃথিবীর জন্য তালাবদ্ধই থাকে। ওজনিয়াকি সেটাই বলছিলেন, ‘আসলে চাইলেও আমরা আড়ালে থাকতে পারি না। কারণ, সবাই আমাদের চেনে। সবাই আমাদের সম্পর্কের ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়। যদি আশপাশে ক্যামেরা থাকে, আমাদের ছবি তোলা হয়, তাতে আমি আপত্তির কিছু দেখি না। কিন্তু একটা সীমা পর্যন্ত এটা মেনে নেওয়া যায়। এরপর বাকিটা থাকে একান্তই ব্যক্তিগত। কিছু কিছু ব্যাপার আছে, যেগুলো আমরা নিজেদের মধ্যেই রাখতে চাই। বাকিগুলো নিয়ে মাথা ঘামাই না।’
দুজনের ভিন্ন জগৎ বলে একসঙ্গে সময় কাটে খুব কমই। এই যেমন আগামীকাল থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্ট ইউএস ওপেন। চাইলেও তো আর এই সময় চুটিয়ে প্রেম করা যাবে না। তবে কিনা অনেক সময় দূরেও ঠেলে দেয় বলেই প্রেম মহৎ হয়ে ওঠে। দুজনের মধ্যে খুনসুটি থাকে বলেই সেই সম্পর্ক হয় মসলাদার। ওজনিয়াকির কাছেই জানা গেল, দুজনের মধ্যে সেই খুটখাট লাগেই। সবচেয়ে বেশি যেটা হয়, বাজি ধরা। ওজনিয়াকির প্রিয় দল লিভারপুল। স্টিভেন জেরার্ডের সই করা একটা জ্যাকেট আছে তাঁর, যেটা তাঁকে প্রায়ই পরতে দেখা যায়। ম্যাকইলরয়ের প্রিয় দল আবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ভেবে দেখুন, ইংলিশ ফুটবলের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মুখোমুখি এখানেও!
বাজি হারলে বা জিতলে কি পুরস্কার পাওয়া যায়, সেটা অবশ্য ওজনিয়াকি ফাঁস করতে চাননি। আর আমাদেরও এত উৎসাহ দেখানোর কী আছে? সেটা হতে পারে একটা ফ্রেমে বাঁধানো ছবি কিংবা ওষ্ঠাধারে একে দেওয়া প্রগাঢ় চুম্বন—ওজনিয়াকি সেটা যখন গোপনই রাখতে চাইছেন, গোপনই থাক না!
রাজীব হাসান
No comments