বেড়েছে ভিড়, মিলছে নানা ছাড়-বাণিজ্য মেলা জমজমাট
মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা এখন পুরোপুরি জমজমাট। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মেলায় আসছে। পর্যায়ক্রমে বেচাবিক্রি বাড়ছে। বিশেষ করে ছুটির দিনে উপচে পড়া ভিড় হচ্ছে। এতে মেলায় অংশ নেওয়া অধিকাংশ ব্যবসায়ী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। মেলার চতুর্দশ দিন গতকাল শনিবার দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, মেলা প্রাঙ্গণে দলবেঁধে আসছে মানুষ।
দুপুর পার হয়ে বিকেল গড়াইতেই ভিড় বেড়ে যায় কয়েক গুণ। তবে প্রবেশ টিকিট ক্রয়ের পর্যাপ্ত বুথ থাকায় মেলায় ঢুকতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি দর্শনার্থীদের। মেলায় গৃহস্থালি ও ইলেকট্রনিক পণ্যসামগ্রীর স্টলগুলোতে তুলনামূলক বেশিসংখ্যক ক্রেতা ভিড় করতে দেখা যায়। দেশি-বিদেশি এসব স্টলে হাঁড়ি-পাতিল থেকে শুরু করে ওভেন, টিভি, ফ্রিজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক জিনিসপত্র যাচাই-বাছাই করে কিনেছেন অনেকেই।
দেশীয় ইলেকট্রনিক পণ্যের ব্র্যান্ড ওয়ালটনের প্যাভিলিয়নে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্মত দেশীয় পণ্য হওয়ায় এদিকে বেশি আগ্রহ বলে জানালেন কয়েকজন ক্রেতা। অন্যদিকে ক্রেতাসাধারণকে আকৃষ্ট করতে নতুন অনেকগুলো পণ্য এনেছে প্রতিষ্ঠানটি। মেলা উপলক্ষে সাত শতাংশ মূলছাড়সহ স্ক্র্যাচ কার্ডের মাধ্যমে আকর্ষণীয় উপহারও দিচ্ছে তারা।
ওয়ালটনের ব্যবস্থাপক (করপোরেট সেলস অ্যান্ড মার্কেন্টিং) আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ক্রেতাদের কাছ থেকে এবারের মেলায় অভাবনীয় সাড়া পেয়েছি। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ফ্রিজ। প্রতিদিন প্রায় ৩৫ থেকে ৪০টি।’
আসাদুজ্জামান আরও জানান, ওয়ালটনের ফ্রিজ ২১ থেকে ৩৯ হাজার, রঙিন টিভি ১১ হাজার ৮০০ থেকে ১৩ হাজার ৫০০, এলসিডি টিভি ২৩ থেকে ৭০ হাজার ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া আছে এলইডি টিভি, মোটরসাইকেল, ওভেন, জেনারেটর, মোবাইল ফোনসেট, ওয়াশিং মেশিন, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্র, আয়রন ইত্যাদি।
ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজেসের মিনি প্যাভিলিয়নে ব্র্যাকের ১৮টির মধ্যে পাঁচটি এন্টারপ্রাইজ অংশ নিয়েছে। এগুলো হচ্ছে: ব্র্যাক সিল্ক, ব্র্যাক রিসাইকেলড হ্যান্ডমেইড পেপার, ব্র্যাক নার্সারি, ব্র্যাক চিকন ও ব্র্যাক সোলার। সিল্ক শাড়ি, হস্তজাত পণ্য, সৌরশক্তির পণ্য, বিভিন্ন ধরনের অর্কিড থেকে শুরু করে নার্সারি পণ্য ও মুরগির মাংস পাওয়া যাচ্ছে এখানে। মেলা উপলক্ষে সিল্ক শাড়িতে পাঁচ শতাংশ মূল্যছাড় ও সোলার প্যানেলে বিভিন্ন উপহার দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজেসের ব্যবস্থাপক শিশির কুমার নাথ বলেন, নির্ধারিত ক্রেতারাই বেশি আসছে। তবে পণ্যের মান ভালো হওয়ায় নতুন ক্রেতারাও আসছে।
জাতীয় মহিলা সংস্থার মিনি প্যাভিলিয়নে একসঙ্গে আটটি স্টল আছে। হস্তশিল্প, শাড়ি, ব্যাগ, শোপিস থেকে খাবারের দোকান পর্যন্ত আছে এই প্যাভিলিয়নে। ফলে একবার হলেও ঢুঁ মারছে অনেকেই।
মেলায় আসা দর্শনার্থী ও ব্যবসায়ীদের ব্যাংকিং সুবিধা দিতে আছে সোনালী, জনতা ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মিনি প্যাভিলিয়ন। টাকা তোলার সুবিধা দিতে মেলার দুই পাশে মার্কেন্টাইল ও ইসলামী ব্যাংকের পৃথক দুটি অস্থায়ী এটিএম বুথও স্থাপন করা হয়েছে।
পাঁচটি এটিএম ও দুটি ‘ডিপোজিট’ মেশিন আছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মিনি প্যাভিলিয়নে। ফলে মেলাতেই এখন টাকা জমা দেওয়া ও তোলার সুবিধা পাচ্ছেন ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং, বিভিন্ন সেবা ও তথ্য দিয়ে সহায়তা করছেন ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
ব্যাংকটির কর্মকর্তা শাহানুর ইসলাম বলেন, প্রতিদিন প্রায় এক হাজারের বেশি মানুষ এটিএম ব্যবহার করছেন। এ ছাড়া ব্যবসায়ীরা কোনো ধরনের ঝক্কিঝামেলা ছাড়াই টাকা জমা দিচ্ছেন।
শাহানুর আরও বলেন, দেশের যেকোনো ব্যাংক কিংবা দেশের বাইরের ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার করে ডাচ্-বাংলার এটিএম থেকে টাকা তুলতে পারবেন যে কেউ।
মেলায় বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম, পোশাক, কার্পেট, প্রসাধন, সৌন্দর্যবর্ধক সামগ্রী, খাদ্যসামগ্রী, পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা, খেলার সামগ্রী, খেলনা, স্টেশনারি, অলংকার, সিরামিকস পণ্য, আসবাব, হস্তজাত, প্লাস্টিক পণ্যের বিভিন্ন স্টলে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে মাসব্যাপী ১৭তম এই ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করেছে। ১ জানুয়ারি শুরু হওয়া এবারের মেলায় সব মিলে স্টল আছে ৫০৬টি। এর মধ্যে আছে ১২টি দেশের ও ৪৭টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলছে। মেলায় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা ও শিশুদের জন্য ১০ টাকা প্রবেশমূল্য ধরা হয়েছে।
দেশীয় ইলেকট্রনিক পণ্যের ব্র্যান্ড ওয়ালটনের প্যাভিলিয়নে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সাশ্রয়ী মূল্যে মানসম্মত দেশীয় পণ্য হওয়ায় এদিকে বেশি আগ্রহ বলে জানালেন কয়েকজন ক্রেতা। অন্যদিকে ক্রেতাসাধারণকে আকৃষ্ট করতে নতুন অনেকগুলো পণ্য এনেছে প্রতিষ্ঠানটি। মেলা উপলক্ষে সাত শতাংশ মূলছাড়সহ স্ক্র্যাচ কার্ডের মাধ্যমে আকর্ষণীয় উপহারও দিচ্ছে তারা।
ওয়ালটনের ব্যবস্থাপক (করপোরেট সেলস অ্যান্ড মার্কেন্টিং) আসাদুজ্জামান বলেন, ‘ক্রেতাদের কাছ থেকে এবারের মেলায় অভাবনীয় সাড়া পেয়েছি। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ফ্রিজ। প্রতিদিন প্রায় ৩৫ থেকে ৪০টি।’
আসাদুজ্জামান আরও জানান, ওয়ালটনের ফ্রিজ ২১ থেকে ৩৯ হাজার, রঙিন টিভি ১১ হাজার ৮০০ থেকে ১৩ হাজার ৫০০, এলসিডি টিভি ২৩ থেকে ৭০ হাজার ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া আছে এলইডি টিভি, মোটরসাইকেল, ওভেন, জেনারেটর, মোবাইল ফোনসেট, ওয়াশিং মেশিন, শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্র, আয়রন ইত্যাদি।
ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজেসের মিনি প্যাভিলিয়নে ব্র্যাকের ১৮টির মধ্যে পাঁচটি এন্টারপ্রাইজ অংশ নিয়েছে। এগুলো হচ্ছে: ব্র্যাক সিল্ক, ব্র্যাক রিসাইকেলড হ্যান্ডমেইড পেপার, ব্র্যাক নার্সারি, ব্র্যাক চিকন ও ব্র্যাক সোলার। সিল্ক শাড়ি, হস্তজাত পণ্য, সৌরশক্তির পণ্য, বিভিন্ন ধরনের অর্কিড থেকে শুরু করে নার্সারি পণ্য ও মুরগির মাংস পাওয়া যাচ্ছে এখানে। মেলা উপলক্ষে সিল্ক শাড়িতে পাঁচ শতাংশ মূল্যছাড় ও সোলার প্যানেলে বিভিন্ন উপহার দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজেসের ব্যবস্থাপক শিশির কুমার নাথ বলেন, নির্ধারিত ক্রেতারাই বেশি আসছে। তবে পণ্যের মান ভালো হওয়ায় নতুন ক্রেতারাও আসছে।
জাতীয় মহিলা সংস্থার মিনি প্যাভিলিয়নে একসঙ্গে আটটি স্টল আছে। হস্তশিল্প, শাড়ি, ব্যাগ, শোপিস থেকে খাবারের দোকান পর্যন্ত আছে এই প্যাভিলিয়নে। ফলে একবার হলেও ঢুঁ মারছে অনেকেই।
মেলায় আসা দর্শনার্থী ও ব্যবসায়ীদের ব্যাংকিং সুবিধা দিতে আছে সোনালী, জনতা ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মিনি প্যাভিলিয়ন। টাকা তোলার সুবিধা দিতে মেলার দুই পাশে মার্কেন্টাইল ও ইসলামী ব্যাংকের পৃথক দুটি অস্থায়ী এটিএম বুথও স্থাপন করা হয়েছে।
পাঁচটি এটিএম ও দুটি ‘ডিপোজিট’ মেশিন আছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মিনি প্যাভিলিয়নে। ফলে মেলাতেই এখন টাকা জমা দেওয়া ও তোলার সুবিধা পাচ্ছেন ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং, বিভিন্ন সেবা ও তথ্য দিয়ে সহায়তা করছেন ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
ব্যাংকটির কর্মকর্তা শাহানুর ইসলাম বলেন, প্রতিদিন প্রায় এক হাজারের বেশি মানুষ এটিএম ব্যবহার করছেন। এ ছাড়া ব্যবসায়ীরা কোনো ধরনের ঝক্কিঝামেলা ছাড়াই টাকা জমা দিচ্ছেন।
শাহানুর আরও বলেন, দেশের যেকোনো ব্যাংক কিংবা দেশের বাইরের ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার করে ডাচ্-বাংলার এটিএম থেকে টাকা তুলতে পারবেন যে কেউ।
মেলায় বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম, পোশাক, কার্পেট, প্রসাধন, সৌন্দর্যবর্ধক সামগ্রী, খাদ্যসামগ্রী, পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকা, খেলার সামগ্রী, খেলনা, স্টেশনারি, অলংকার, সিরামিকস পণ্য, আসবাব, হস্তজাত, প্লাস্টিক পণ্যের বিভিন্ন স্টলে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে মাসব্যাপী ১৭তম এই ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করেছে। ১ জানুয়ারি শুরু হওয়া এবারের মেলায় সব মিলে স্টল আছে ৫০৬টি। এর মধ্যে আছে ১২টি দেশের ও ৪৭টি বিদেশি প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা চলছে। মেলায় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা ও শিশুদের জন্য ১০ টাকা প্রবেশমূল্য ধরা হয়েছে।
No comments