ইউরোপের নয়টি দেশের ঋণমান কমে গেছে
আন্তর্জাতিক ঋণমান নির্ণয়কারী সংস্থা স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওর (এসঅ্যান্ডপি) ইউরোপের নয়টি দেশের ঋণমান কমিয়ে দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতিনির্ধারকেরা ইউরো-অঞ্চলের সংকট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়াই ঋণমান অবনমনের কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। এসঅ্যান্ডপি গত শুক্রবার ঋণমান কমিয়ে দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ করে। এর মধ্যে ইতালি, স্পেন, পর্তুগাল ও সাইপ্রাসের দীর্ঘমেয়াদি ঋণমান দুই ধাপ এবং অস্ট্রিয়া, ফ্রান্স, মাল্টা, স্লোভাকিয়া ও স্লোভেনিয়ার ঋণমান এক ধাপ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়া শীর্ষ অবস্থান ‘এএএ’ থেকে নেমে হয়েছে ‘এএ+’ যার মানে হলো এই দুই দেশের বন্ডকে আর নিরাপদতম বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না।
ঋণমান নামিয়ে দেওয়ার ফলে আন্তর্জাতিক আর্থিক বাজারে এসব দেশের বন্ডের সুদের হার বেড়ে যেতে পারে। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ঋণ গ্রহণ করা এসব দেশের জন্য ব্যয়বহুল হয়ে পড়বে।
তবে বেলজিয়াম, ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ ও নেদারল্যান্ডের ঋণমান অপরিবর্তিত রেখেছে সংস্থাটি।
মোটাদাগে ঋণমান বলতে কোনো দেশ বা প্রতিষ্ঠানের ঋণের সক্ষমতা নির্ণয় করা হয়। অর্থাৎ একটি দেশ আন্তর্জাতিক বাজার থেকে বন্ডের মাধ্যমে ঋণ নিলে তা ফেরত দিতে কতটুকু সক্ষম হবে—ঋণমান তা বোঝায়। ঋণদাতারা ঋণের ঝুঁকি কতটা তা বুঝতে পারে এই ঋণমান থেকে। ঋণমানের যত উচ্চ হয়, ঋণ গ্রহণ করা তত সহজ হয়। কোনো দেশের ঋণমান কমে গেলে ঋণদাতারা ঋণের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে ওঠে।
ঋণমানের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত ধাপগুলো হলো: প্রাইম, উচ্চ পর্যায়, মধ্যম পর্যায়, নিম্ন মধ্যম পর্যায়, বিনিয়োগহীন পর্যায়, উচ্চ ঝুঁকি, বিপুল ঝুঁকি, সম্ভাব্য অফেরতযোগ্য ও খেলাপি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষ অবশ্য এসঅ্যান্ডপির এই ঋণমান অবনমনের তীব্র সমালোচনা করেছে। অর্থনৈতিক কমিশনার ওলি রেহন এই পদক্ষেপকে ‘অসংগতিপূর্ণ’ অভিহিত করে বলেছেন, যখন ইউরোঞ্চল ঋণসংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছে, তখন এই ঋণমান কমানো হলো।
বর্তমানে তিনটি আন্তর্জাতিক সংস্থা আন্তর্জাতিকভাবে ঋণমান নির্ণয় করে। এগুলো হলো: স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরস (এসঅ্যান্ডপি), মুডিস ও ফিচ। ২০০৮ সালে আমেরিকায় সৃষ্ট আর্থিক সংকটের সময় ঋণমান নির্ণয়কারী সংস্থাগুলোর ভূমিকা তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে। আবার ২০১০ সালে প্রথমে গ্রিসের, পরে আয়ারল্যান্ড ও পর্তুগালের ঋণমান নামিয়ে দেওয়ার পর তা ইউরোপজুড়ে নতুন ধরনের সংকট তৈরি করে।
ঋণমান নামিয়ে দেওয়ার ফলে আন্তর্জাতিক আর্থিক বাজারে এসব দেশের বন্ডের সুদের হার বেড়ে যেতে পারে। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ঋণ গ্রহণ করা এসব দেশের জন্য ব্যয়বহুল হয়ে পড়বে।
তবে বেলজিয়াম, ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ ও নেদারল্যান্ডের ঋণমান অপরিবর্তিত রেখেছে সংস্থাটি।
মোটাদাগে ঋণমান বলতে কোনো দেশ বা প্রতিষ্ঠানের ঋণের সক্ষমতা নির্ণয় করা হয়। অর্থাৎ একটি দেশ আন্তর্জাতিক বাজার থেকে বন্ডের মাধ্যমে ঋণ নিলে তা ফেরত দিতে কতটুকু সক্ষম হবে—ঋণমান তা বোঝায়। ঋণদাতারা ঋণের ঝুঁকি কতটা তা বুঝতে পারে এই ঋণমান থেকে। ঋণমানের যত উচ্চ হয়, ঋণ গ্রহণ করা তত সহজ হয়। কোনো দেশের ঋণমান কমে গেলে ঋণদাতারা ঋণের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে ওঠে।
ঋণমানের ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত ধাপগুলো হলো: প্রাইম, উচ্চ পর্যায়, মধ্যম পর্যায়, নিম্ন মধ্যম পর্যায়, বিনিয়োগহীন পর্যায়, উচ্চ ঝুঁকি, বিপুল ঝুঁকি, সম্ভাব্য অফেরতযোগ্য ও খেলাপি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষ অবশ্য এসঅ্যান্ডপির এই ঋণমান অবনমনের তীব্র সমালোচনা করেছে। অর্থনৈতিক কমিশনার ওলি রেহন এই পদক্ষেপকে ‘অসংগতিপূর্ণ’ অভিহিত করে বলেছেন, যখন ইউরোঞ্চল ঋণসংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছে, তখন এই ঋণমান কমানো হলো।
বর্তমানে তিনটি আন্তর্জাতিক সংস্থা আন্তর্জাতিকভাবে ঋণমান নির্ণয় করে। এগুলো হলো: স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরস (এসঅ্যান্ডপি), মুডিস ও ফিচ। ২০০৮ সালে আমেরিকায় সৃষ্ট আর্থিক সংকটের সময় ঋণমান নির্ণয়কারী সংস্থাগুলোর ভূমিকা তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে। আবার ২০১০ সালে প্রথমে গ্রিসের, পরে আয়ারল্যান্ড ও পর্তুগালের ঋণমান নামিয়ে দেওয়ার পর তা ইউরোপজুড়ে নতুন ধরনের সংকট তৈরি করে।
No comments