মনমোহনকে খালেদার চিঠিঃ টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের আগে যৌথ জরিপ করুন
টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের আগে যৌথ জরিপের আহ্বান জানিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের কাছে চিঠি দিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গত সোমবার এই চিঠি পাঠানো হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল বুধবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি ওই চিঠির বক্তব্য তুলে ধরেন।
মির্জা ফখরুল জানান, চিঠিতে খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘আমরা মনে করি, টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণে যৌথ জরিপ হওয়া প্রয়োজন। দুই দেশের মধ্যে আলোচনা করে এর সমাধান করতে হবে। এখনো সময় আছে, টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের আগে যৌথ জরিপ করুন।’ এ নিয়ে বাংলাদেশের পরিবেশবিদদের উদ্বেগের বিষয়টিও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
বিরোধীদলীয় নেতা চিঠিতে আরও বলেন, এই বাঁধ নির্মিত হলে কেবল ভারত নয়, বাংলাদেশের মেঘনা অববাহিকার তিন কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে। তাই একতরফাভাবে এ ধরনের বাঁধ নির্মাণ করা সমীচীন হবে না। অতীতেও বলা হয়েছিল, আলোচনার মাধ্যমে সবকিছু করা হবে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের চিঠির বরাত দিয়ে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, মনমোহন সিং যখন ঢাকায় এসেছিলেন, তখন খালেদা জিয়া তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে আপত্তির কথা জানিয়েছিলেন। তিনি যৌথ জরিপের কথাটিও ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলেন। ওই সময় বলা হয়েছিল, যৌথ জরিপ করে আলোচনার মাধ্যমে সবকিছু করা হবে।
টিপাইমুখ বাঁধের বিষয়ে সরকারের নীরবতার সমালোচনা করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, রাজ্যসরকারের সঙ্গে ওই বাঁধ নির্মাণে চুক্তি হয়ে গেছে। তার পরও সরকার কোনো প্রতিবাদ জানায়নি। বিএনপি ইতিমধ্যে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। সিলেট বিএনপি ১ ডিসেম্বর সিলেটে হরতাল আহ্বান করেছে। তিনি বলেন, নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণেই সরকার টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ওয়াটার মডেলিংয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিপাইমুখে বাঁধ নির্মিত হলে মেঘনা অববাহিকার তিন কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই অঞ্চলের ২৫ শতাংশ হাওর-বাঁওড় সম্পূর্ণ শুকিয়ে যাবে। লবণাক্ততার বিস্তার ঘটবে। এর ফলে মরুকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে। তিনি বলেন, টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্প এলাকাটি ভূকম্পন অঞ্চলের মধ্যে পড়েছে। ভূকম্পনে এই প্রকল্প কখনো ক্ষতির মুখে পড়লে সিলেট অঞ্চল এক দিনের মধ্যেই আট ফুট পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিরোধীদলীয় নেতা চিঠিতে আরও বলেন, এই বাঁধ নির্মিত হলে কেবল ভারত নয়, বাংলাদেশের মেঘনা অববাহিকার তিন কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা হুমকির মুখে পড়বে। তাই একতরফাভাবে এ ধরনের বাঁধ নির্মাণ করা সমীচীন হবে না। অতীতেও বলা হয়েছিল, আলোচনার মাধ্যমে সবকিছু করা হবে।
বিএনপির চেয়ারপারসনের চিঠির বরাত দিয়ে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, মনমোহন সিং যখন ঢাকায় এসেছিলেন, তখন খালেদা জিয়া তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে আপত্তির কথা জানিয়েছিলেন। তিনি যৌথ জরিপের কথাটিও ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলেন। ওই সময় বলা হয়েছিল, যৌথ জরিপ করে আলোচনার মাধ্যমে সবকিছু করা হবে।
টিপাইমুখ বাঁধের বিষয়ে সরকারের নীরবতার সমালোচনা করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, রাজ্যসরকারের সঙ্গে ওই বাঁধ নির্মাণে চুক্তি হয়ে গেছে। তার পরও সরকার কোনো প্রতিবাদ জানায়নি। বিএনপি ইতিমধ্যে এর প্রতিবাদ জানিয়েছে। সিলেট বিএনপি ১ ডিসেম্বর সিলেটে হরতাল আহ্বান করেছে। তিনি বলেন, নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণেই সরকার টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণ বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ওয়াটার মডেলিংয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিপাইমুখে বাঁধ নির্মিত হলে মেঘনা অববাহিকার তিন কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই অঞ্চলের ২৫ শতাংশ হাওর-বাঁওড় সম্পূর্ণ শুকিয়ে যাবে। লবণাক্ততার বিস্তার ঘটবে। এর ফলে মরুকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে। তিনি বলেন, টিপাইমুখ বাঁধ প্রকল্প এলাকাটি ভূকম্পন অঞ্চলের মধ্যে পড়েছে। ভূকম্পনে এই প্রকল্প কখনো ক্ষতির মুখে পড়লে সিলেট অঞ্চল এক দিনের মধ্যেই আট ফুট পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
No comments