ভারতে দাঙ্গা প্রতিরোধ বিলের বিরোধিতায় মমতা

কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছেন। বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি করতে না দেওয়ার পর এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংহতি কাউন্সিলের বৈঠকে যোগ দেননি। তবে তিনি এদিনের বৈঠকে উত্থাপিত দাঙ্গা প্রতিরোধ বিল নিয়ে বিজেপি ও তার সহযোগীদের সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন।
রাজধানী নয়াদিল্লিতে গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত জাতীয় সংহতি কাউন্সিলের বৈঠকে মমতা ছাড়াও গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিং বাদল যোগ দেননি। এমনকি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাও অনুপস্থিত ছিলেন।
এদিনের বৈঠকে দাঙ্গা প্রতিরোধ বিল নিয়ে আলোচনায় সব বিরোধী দলই প্রবল আপত্তি জানায়। এটিকে সবাই ভয়ংকর বলে বর্ণনা করার পাশাপাশি বলেন, এটি আইনে পরিণত হলে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে তা আঘাত হানবে। বিজেপি-শাসিত সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের পক্ষ থেকেও বিলটিকে ভয়ংকর বলে অভিহিত করা হয়েছে। অবশ্য মমতা নিজে বৈঠকে উপস্থিত না হলেও তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে রেলমন্ত্রী দীনেশ দ্বিবেদী তাঁর নেত্রীর প্রতিবাদের কথা বৈঠকে জানান।
বিজেপির নেত্রী সুষমা স্বরাজ এই বিলকে ভয়ংকর আখ্যা দিয়ে বলেন, এই বিলের মাধ্যমে দাঙ্গা প্রতিরোধ করা যাবে তো না-ই, বরং এটি দাঙ্গায় ইন্ধন জোগাবে। সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘুদের মধ্যে ব্যবধান আরও বেড়ে যাবে।
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী জানিয়েছেন, বিলের কোনো খসড়া না দিয়েই আলোচনার ব্যবস্থা করেছে সরকার। এটা ঠিক নয়। আগে তারা বিলের খসড়া পাঠাক, এরপর মত দেওয়া যাবে। মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, কর্ণাটক, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখন্ড ও বিহারের মুখ্যমন্ত্রীরা বৈঠকে জানিয়ে দেন, এই বিল মানা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়।

No comments

Powered by Blogger.