কালের আয়নায়-লাভের গুড় শেষ পর্যন্ত পিঁপড়েয় না খায় by আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
হলমার্ক কেলেঙ্কারি নিয়ে অর্থমন্ত্রীর ভূমিকা আরও হতাশাব্যঞ্জক। এই বিরাট কেলেঙ্কারির সঙ্গে যে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের অনেকের যোগাযোগ থাকা স্বাভাবিক এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের তরুণ গভর্নর ড. আতিউর রহমানের অনুমান সঠিক হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
এখন তো শোনা যাচ্ছে, আরও ২৬টি ব্যাংক এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর যে সোনালী ব্যাংকের বোর্ড অব ডাইরেক্টর পরিবর্তনের জন্য নোটিশ দিয়েছিলেন, এটাও একটা সঙ্গত ও বাস্তব পদক্ষেপ বলে দেশবাসীর ধারণা
'এতো ভঙ্গ বঙ্গদেশে তবু রঙ্গে ভরা।' কথাটি বলেছিলেন যে কবি, তাকে আজ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। পশ্চিমবঙ্গে শ্রীমতী মমতা ব্যানার্জি যা করছেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশে যা চলছে, তাকে রঙ্গরস ছাড়া আর কী বলা চলে? প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গের কথা থাক, তা নিয়ে আপাতত আমাদের মাথাব্যথা নেই। কিন্তু বাংলাদেশে যা চলছে, তাকে রঙ্গরস বলতে কষ্ট হচ্ছে। কারণ এর সঙ্গে জাতির মঙ্গল-অমঙ্গল জড়িত।
জোড়া পাঁঠা বলি দিয়েও কালীমাতার মনস্তুষ্টি করতে না পেরে এক পূজারি বলেছিল, 'মা, তোকে আর বিশ্বাস করি না।' বিশ্বব্যাংকের মন্দিরে আমরাও জোড়া পাঁঠার মতো দু'জন মানুষকে বলি দিয়েছি। একজন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন, অন্যজন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. মসিউর রহমান। মসিউর রহমানের গর্দান বিশ্বব্যাংকরূপী কালীমাতার পায়ের কাছে রেখে তার মাথায় খৰ উত্তোলন করে রাখা হয়েছে। এখনও বলি দেওয়া হয়নি। মা প্রসন্ন হয়ে বর দিলেই গর্দান নেওয়া হবে।
এখন বিশ্বব্যাংক প্রসন্ন হয়ে বর দেবে কি-না সেটাই প্রশ্ন। অর্থমন্ত্রী মুহিত সাহেব জোড়া পাঁঠা বলি দেওয়ার পরও বিশ্বমাতা যদি প্রসন্ন না হন, তাহলে তারই পদত্যাগের দাবি উঠবে। তাকে বাঁচানোর জন্যই কি-না জানি না, ঢাকায় নিযুক্ত আমেরিকায় রাষ্ট্রদূত (ভাইসরয় বলা উচিত) মজীনা সাহেব হঠাৎ সুর ঘুরিয়েছেন। বলেছেন, 'বাংলাদেশের পদ্মা সেতুটি হওয়া উচিত। বিশ্বব্যাংকও টাকা দেবে।' এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের এক কর্তাব্যক্তিও পদ্মা প্রকল্পে সাহায্য-সহযোগিতা দেওয়ার কথা বলেছেন। এডিবি এবং জাইকা তাদের ঋণের সময়সীমা আরও একমাস বাড়িয়েছে।
আবার মুলো ঝোলানো হয়েছে বাংলাদেশের মানুষের নাকের ডগায়। যদি শেষ পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক মন বদলায় এবং পদ্মা প্রকল্পে অর্থায়ন করে, তাহলে 'জাত গেল বটে, তবে পেট পুরলো' কথাটা বলা যাবে। কিন্তু এরপরও যদি বিশ্বব্যাংক প্রসন্ন না হয়, তা হলে পাঁঠা বলি দিয়ে জাত গেল, পেটও পুরল না, এই ক্ষেদোক্তি করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না বাংলাদেশের। তখন দাবি উঠতে পারে, অর্থমন্ত্রী এবার পদত্যাগ করুন।
এটা তো গেল পদ্মা প্রকল্প নিয়ে খেলা। ভঙ্গ বঙ্গ দেশে আরও রঙ্গের খেলা আছে। শেয়ারবাজারের কেলেঙ্কারির পর ডেসটিনি সংক্রান্ত কেলেঙ্কারি, তারপর এখন এই বিরাট হলমার্ক কেলেঙ্কারির পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, বর্তমান অর্থমন্ত্রী মুহিত সাহেবের সাফল্যটা কোথায়? বাংলাদেশের দু'জন সাবেক অর্থমন্ত্রী একজন বিএনপি সরকারের সাইফুর রহমান এবং অন্যজন প্রথম হাসিনা সরকারের শাহ কিবরিয়া দু'জনেরই দুটি বড় সাফল্যের কথা লোকের মুখে মুখে। অর্থমন্ত্রী হিসেবে সাইফুর রহমানের অনেক ব্যর্থতা এবং ভারতের কাছে বাংলাদেশকে উন্মুক্ত বাজার করে দেওয়ার ব্যাপারে তিনিই দায়ী বলে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও যমুনা বঙ্গবন্ধু সেতুর অর্থায়নে বিশ্বব্যাংককে রাজি করানোর ব্যাপারে তার কৃতিত্ব অস্বীকার করলে অন্যায় করা হবে।
প্রথম হাসিনা সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে শাহ কিবরিয়ার সাফল্যও উল্লেখযোগ্য। সেবারও শেয়ারবাজারের ধস দেশে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। সেবারও এ ধস সৃষ্টির পেছনে কারিগর ছিল বড় বড় হোতা, যারা ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। কিবরিয়া সাহেব শুধু বিস্ময়কর নৈপুণ্যের সঙ্গে দ্রুত শেয়ারবাজারের ধস ঠেকাননি, দ্রব্যমূল্যে স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছেন এবং একটি ভয়াবহ প্লাবন-পরবর্তী দুর্ভিক্ষ ঠেকিয়েছেন। শেয়ারবাজারে ধস নামানোর ব্যাপারে আওয়ামী সরকারের অনুগ্রহপুষ্ট কিছু রুই-কাতলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের রোষে পড়তেও তিনি ভয় পাননি।
বর্তমান অর্থমন্ত্রী মুহিত সাহেব (আমার মুহিত ভাই) সম্পর্কেও আমাদের, অন্তত তার বন্ধুমহলের প্রত্যাশা ছিল অনেক। প্রথম বাজেটটি সংসদে পেশ করে তিনি হৈচৈও ফেলেছিলেন প্রচুর। কিন্তু তা বাস্তবায়নে তার অর্থ মন্ত্রকের ব্যর্থতা, শেয়ারবাজারের ধস, ইউনূস ইস্যু এবং পদ্মা সেতুর ব্যাপারে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ডিলিংয়ে তার দোদুল্যমানতা ও দু'কূল রক্ষার নীতি আমাদের শুধু হতাশই করেনি; তার সম্পর্কে দেশবাসীকেও সম্পূর্ণ হতাশ করেছে।
শেয়ারবাজার ধসে সর্বস্ব হারানো মানুষকে তিনি কোনো সান্ত্বনা তো দিতেই পারেননি, বরং তার কোনো কোনো দায়িত্বহীন মন্তব্য হাজার হাজার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মনে তীব্র ক্ষোভ ও রোষ সৃষ্টি করেছে, যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে রাজপথে। ড. ইউনূসের ব্যবস্থাপনায় গ্রামীণ ব্যাংকে প্রচণ্ড অনিয়ম ও অব্যবস্থা চলছে, সে সম্পর্কে তিনি অবহিত গোড়া থেকেই। আমি ব্যক্তিগতভাবে জানি, ড. ইউনূসের প্রতি কোনো বিদ্বেষ বা ঈর্ষার বশবর্তী হয়ে শেখ হাসিনা গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেননি। তিনি ব্যাংকটির ভেতরের অব্যবস্থা জানার পরেই এ সম্পর্কে উদ্বিগ্ন হন এবং কয়েক লাখ গরিব শেয়ারহোল্ডারের স্বার্থ রক্ষা সরকারের দায়িত্ব বলে মনে করে এ সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণে উদ্যোগী হন।
এক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রী একদিকে ব্যক্তিগত বন্ধু ড. ইউনূসের প্রতি দুর্বলতা এবং অন্যদিকে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের তাগিদ, এই দুয়ের মাঝখানে পড়ে গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কে একটার পর একটা এমন ব্যবস্থা নিয়েছেন, যা ড. ইউনূসকে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে শক্তি ও সাহস জুগিয়েছে এবং তিনি দেশি-বিদেশি শক্তিশালী মিত্র সংগ্রহেরও সময় এবং সুযোগ পেয়েছেন। পদ্মা সেতুর প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক যাতে অর্থ না দেয়, সে জন্য ড. ইউনূস প্রভাব খাটিয়েছেন বলে সারাবিশ্বে একটা গুজব চাউর হয়ে যাওয়ার পরও ড. ইউনূস তার প্রতিবাদ করার দরকার মনে করেননি। ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দ্বারা তার প্রতিবাদ করিয়েছেন। এখন বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে ড. ইউনূসের যোগসাজশের সন্দেহটি দেশের মানুষ বিশ্বাস করতে শুরু করার পর তিনি বলতে শুরু করেছেন, না, না, আমি তো বিশ্বব্যাংককে এ অর্থায়ন বন্ধ করতে বলিনি; বিশ্বব্যাংক নিজের কারণেই তা করেছে। অর্থাৎ এত দিনে তিনি বললেন, ঠাকুরঘরে কে রে, আমি কলা খাই না।
গ্রামীণ ব্যাংকের ভেতরের অবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এক সাবেক কর্মকর্তা আমাকে বলেছেন, সরকারের দ্বিধা-দোদুল্যমানতার জন্যই ড. ইউনূস মূষিক থেকে আবার বাঘ হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। গ্রামীণ ব্যাংকের ভেতরে যে অনিয়ম, অব্যবস্থা চলছে এটা জেনেশোনেই সরকার ব্যাংকটির ব্যাপারে হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেয়। ইচ্ছা করলে সরকার ড. ইউনূসকে কেবল বয়ঃসীমা অতিক্রমের কারণ না দেখিয়ে নির্দিষ্ট অভিযোগেও অবসর গ্রহণের কথা বলতে পারত। গুজব, মন্ত্রিসভা তা করতে চাইলেও অর্থমন্ত্রী তা করতে চাননি।
তিনি বন্ধু ও ড. ইউনূসকে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে ব্যাংকের এমডি পদ থেকে সরে যেতে রাজি করাতে পারবেন ভেবেছিলেন। সেই আশায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভীকে নিয়ে বন্ধু সকাশে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন, এমনকি তাকে ব্যাংকটির ইমেরিটাস চেয়ারম্যান পদে থাকার প্রস্তাবও দেন। ড. ইউনূস পত্রপাঠ তাদের বিদায় দেন। এরপরও অর্থমন্ত্রীর দুর্বলতার কারণে গ্রামীণ ব্যাংকের ২০ তলা ভবনের শীর্ষ কক্ষটি ড. ইউনূসকে তার দখলে রাখার অনুমতি তিনি দিয়েছেন, যেখানে ইউনুস-সেন্টার প্রতিষ্ঠা করে এই অর্ধ নোবেলজয়ী এখন সরকারের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা যুদ্ধ করার সুযোগ ও ঘাঁটি পেয়েছেন।
হলমার্ক কেলেঙ্কারি নিয়ে অর্থমন্ত্রীর ভূমিকা আরও হতাশাব্যঞ্জক। এই বিরাট কেলেঙ্কারির সঙ্গে যে সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের অনেকের যোগাযোগ থাকা স্বাভাবিক এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের তরুণ গভর্নর ড. আতিউর রহমানের অনুমান সঠিক হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। এখন তো শোনা যাচ্ছে, আরও ২৬টি ব্যাংক এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর যে সোনালী ব্যাংকের বোর্ড অব ডাইরেক্টর পরিবর্তনের জন্য নোটিশ দিয়েছিলেন, এটাও একটা সঙ্গত ও বাস্তব পদক্ষেপ বলে দেশবাসীর ধারণা।
এই নির্দেশ ব্যাংকিং নিয়ম-কানুনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ না হলে অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে তা টেলিফোনেও জানাতে পারতেন। তা না করে তিনি প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন, 'সোনালী ব্যাংকের ডিরেক্টরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অধিকার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের নেই।' এই ঘোষণা দ্বারা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাহসী তরুণ গভর্নরকে অপদস্থ করে তিনি কাদের প্রশ্রয় ও উৎসাহ জোগাচ্ছেন, এই প্রশ্নটি তাকে সবিনয়ে জিজ্ঞাসা করতে পারি কি? সেই সঙ্গে আরও একটি প্রশ্ন, সোনালী ব্যাংকের ডিরেক্টর বোর্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অধিকার যদি অর্থ মন্ত্রকের থাকে, তাহলে এত বড় কেলেঙ্কারির পর সেই অধিকার প্রয়োগের ব্যাপারে তিনি কী করেছেন?
কোনো কোনো ব্যাংক-বিশেষজ্ঞ বলেছেন, সরকারি ও আধা-সরকারি ব্যাংকের পরিচালনা বোর্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের অধিকার বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আছে। যদি এই বিশেষজ্ঞদের অভিমত সঠিক হয়, তাহলে অর্থমন্ত্রী কি গভর্নরের কাছে ক্ষমা চাইবেন এবং তার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সাহায্য জোগাবেন? তাছাড়া হলমার্ক কেলেঙ্কারি এবং এই কেলেঙ্কারির যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সে সম্পর্কে অর্থমন্ত্রীর প্রতিকার ব্যবস্থাটি কী? নাকি শেয়ারবাজার ধসের আসল নায়কদের মতো এই কেলেঙ্কারির নায়করাও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে?
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে আমি বড় ভাই ডাকি। যথেষ্ট শ্রদ্ধা করি। কিন্তু অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার প্রায় চার বছরের পারফরম্যান্স এবং স্ববিরোধী কথাবার্তা আমাকে পীড়া দেয় বলেই মনে দুঃখবোধ নিয়েই তার সমালোচনা করি। পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন সম্পর্কে আবার দেশবাসীর মনে আশা জাগ্রত করা হয়েছে। আশা ফলবতী হলে ভালো। জোড়া পাঁঠা বলি দেওয়া তাহলে সার্থক হবে। যদি এটা শেষ পর্যন্ত 'আশার ছলনে ভুলিতে' পরিণত হয়, তাহলে অর্থমন্ত্রী কী করবেন? নিজেই পদত্যাগের কথা ভাববেন কি? আমি সে দাবি করি না।
লন্ডনের কূটনৈতিক মহল থেকে নানা কথা কানে আসে। তা কতটা সঠিক জানি না। বিশ্বব্যাংককে তুষ্ট করার জন্য শুধু জোড়া পাঁঠা বলি দেওয়া নয়, তলে তলে নাকি এমন সব শর্ত মানা হচ্ছে, যা জাতীয় মর্যাদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, স্বস্তিকরও নয়। তা ছাড়া বিশ্বব্যাংকের কাছে ঋণচুক্তি পুনর্বিবেচনার কাজে লবিংয়ের জন্য বিদেশি লবিস্টও নাকি নিয়োগ করা হয়েছে এবং তাদের কমিশন বিরাট। এই খবরের সত্যাসত্য জানি না। সত্য হলে বলতে হবে, লাভের গুড় শেষ পর্যন্ত পিঁপড়েয় না খায়!
লন্ডন, ৩০ আগস্ট ২০১২, বৃহস্পতিবার
No comments