'নির্বাচনের আগে বিদ্রোহীদের সাহায্য করবে না ওয়াশিংটন'
সিরিয়া ইস্যুতে পশ্চিমা সমর্থিত প্রস্তাবের ওপর আজ বুধবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। ওই প্রস্তাব অনুযায়ী, সিরিয়ার জনগণের ওপর সরকারি বাহিনী দমন-পীড়ন বন্ধ না করলে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ওপর আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
তবে, এ প্রস্তাবে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য ও সিরিয়ার মিত্র রাশিয়া ভেটো দেবে বলে জানিয়েছে।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সিরিয়ার বিদ্রোহীরা ওয়াশিংটনের কাছ থেকে কোনো প্রকার সাহায্য পাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে ওবামা প্রশাসন। ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফ এ কথা জানিয়েছে।
ব্রিটেন, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স সমর্থিত ওই প্রস্তাবে সিরিয়ায় জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক মিশনের সদয় আরো ৪৫ দিন বাড়ানো কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া জাতিসংঘ সনদের ৭ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আন্তর্জাতিক দূত কফি আনানের শান্তি প্রস্তাব বাস্তবায়নের কথাও বলা হয়েছে। জাতিসংঘ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো দেশের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা পরিষদকে কূটনীতিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে শুরু করে সামরিক হস্তক্ষেপ পর্যন্ত চালানোর অধিকার দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মার্কিন কর্তারা বলেছেন, 'আমরা সিরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞ আরোপের কথা বলেছি, সামরিক হস্তক্ষেপের নয়।' জাতিসংঘে নিযুক্ত ব্রিটিশ দূত মার্ক লয়াল গ্রান্ট গত সোমবার বলেন, রাশিয়া ও চীন এখন পর্যন্ত ৭ নম্বর অনুচ্ছেদের বিরোধিতা করে যাচ্ছে। তবে বিরোধিতা করার সন্তোষজনক জবাব তারা দিতে পারছে না।
জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভিতালি চুরকিন বলেন, 'রাশিয়া প্রস্তাবে ভেটো দেবে_এ বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই।' সিরিয়ায় থাকা জাতিসংঘ মিশনের ৯০ দিনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী শুক্রবার। তাই মিশনের মেয়াদ শেষের আগেই আরেকটি প্রস্তাব পাসের উদ্যোগ নিয়েছেন বিশ্ব নেতারা।
এদিকে, ব্রিটিশ দৈনিক জানিয়েছে, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের গ্রুপ ফ্রি সিরিয়ান আর্মির রাজনৈতিক শাখা সিরিয়ান সাপোর্ট গ্রুপ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আর্থিক ও অস্ত্র সাহায্য চেয়েছিল। তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এক হাজার আরপিজি-টুয়েন্টি নাইন ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, ৫০০টি এসএএম-সেভেন রকেট, সাড়ে ৭০০ মেশিনগান, স্যাটেলাইট ফোন এবং ৬০ লাখ ডলার চেয়েছিল। ওয়াশিংটনে থাকা সিরিয়ার লবি গ্রুপ আশা করেছিল, যুক্তরাষ্ট্র তাদের সহায়তা করবে। তবে, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের এ প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে ওবামা প্রশাসন। তারা বলেছে, নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সিরিয়া ইস্যুতে তারা হস্তক্ষেপ করবে না। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা টম ডোনিলন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ডোনিলনের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলেছে, সিরিয়ার ইস্যুতে এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র খুব বেশি জড়াবে না। তবে এ বিষয়ে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত সিরিয়ার কোনো লবি গ্রুপ মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
সিরিয়ার জাতীয় পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত সিয়েদা বলেন, 'আমরা চাই যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো তাদের দায়িত্ব পালন করুক। প্রেসিডেন্ট ওবামাকে আমরা বলতে চাই, সিরিয়া ইস্যুতে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করা সিরিয়াবাসীর জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। নির্বাচনী প্রচারের জন্য হাজার হাজার বেসামরিক হত্যার বিষয়টি বিশ্বের পরাশক্তি এড়িয়ে যাবে_এ বিষয়টি আমার বোধগম্য হচ্ছে না।' সূত্র : এএফপি, টেলিগ্রাফ।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সিরিয়ার বিদ্রোহীরা ওয়াশিংটনের কাছ থেকে কোনো প্রকার সাহায্য পাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে ওবামা প্রশাসন। ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফ এ কথা জানিয়েছে।
ব্রিটেন, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স সমর্থিত ওই প্রস্তাবে সিরিয়ায় জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক মিশনের সদয় আরো ৪৫ দিন বাড়ানো কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া জাতিসংঘ সনদের ৭ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আন্তর্জাতিক দূত কফি আনানের শান্তি প্রস্তাব বাস্তবায়নের কথাও বলা হয়েছে। জাতিসংঘ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো দেশের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা পরিষদকে কূটনীতিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে শুরু করে সামরিক হস্তক্ষেপ পর্যন্ত চালানোর অধিকার দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মার্কিন কর্তারা বলেছেন, 'আমরা সিরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞ আরোপের কথা বলেছি, সামরিক হস্তক্ষেপের নয়।' জাতিসংঘে নিযুক্ত ব্রিটিশ দূত মার্ক লয়াল গ্রান্ট গত সোমবার বলেন, রাশিয়া ও চীন এখন পর্যন্ত ৭ নম্বর অনুচ্ছেদের বিরোধিতা করে যাচ্ছে। তবে বিরোধিতা করার সন্তোষজনক জবাব তারা দিতে পারছে না।
জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভিতালি চুরকিন বলেন, 'রাশিয়া প্রস্তাবে ভেটো দেবে_এ বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই।' সিরিয়ায় থাকা জাতিসংঘ মিশনের ৯০ দিনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী শুক্রবার। তাই মিশনের মেয়াদ শেষের আগেই আরেকটি প্রস্তাব পাসের উদ্যোগ নিয়েছেন বিশ্ব নেতারা।
এদিকে, ব্রিটিশ দৈনিক জানিয়েছে, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের গ্রুপ ফ্রি সিরিয়ান আর্মির রাজনৈতিক শাখা সিরিয়ান সাপোর্ট গ্রুপ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আর্থিক ও অস্ত্র সাহায্য চেয়েছিল। তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এক হাজার আরপিজি-টুয়েন্টি নাইন ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র, ৫০০টি এসএএম-সেভেন রকেট, সাড়ে ৭০০ মেশিনগান, স্যাটেলাইট ফোন এবং ৬০ লাখ ডলার চেয়েছিল। ওয়াশিংটনে থাকা সিরিয়ার লবি গ্রুপ আশা করেছিল, যুক্তরাষ্ট্র তাদের সহায়তা করবে। তবে, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের এ প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছে ওবামা প্রশাসন। তারা বলেছে, নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত সিরিয়া ইস্যুতে তারা হস্তক্ষেপ করবে না। হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা টম ডোনিলন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ডোনিলনের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলেছে, সিরিয়ার ইস্যুতে এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্র খুব বেশি জড়াবে না। তবে এ বিষয়ে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত সিরিয়ার কোনো লবি গ্রুপ মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
সিরিয়ার জাতীয় পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত সিয়েদা বলেন, 'আমরা চাই যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো তাদের দায়িত্ব পালন করুক। প্রেসিডেন্ট ওবামাকে আমরা বলতে চাই, সিরিয়া ইস্যুতে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করা সিরিয়াবাসীর জন্য গ্রহণযোগ্য নয়। নির্বাচনী প্রচারের জন্য হাজার হাজার বেসামরিক হত্যার বিষয়টি বিশ্বের পরাশক্তি এড়িয়ে যাবে_এ বিষয়টি আমার বোধগম্য হচ্ছে না।' সূত্র : এএফপি, টেলিগ্রাফ।
No comments