বিদ্যুতের দাম ও সরবরাহ-অযৌক্তিক বিলের ভোগান্তি আর নয়
বিদ্যুৎ নিয়ে সংকট কাটেনি। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম। এ অবস্থায় আসন্ন রোজার মাসে নতুন করে বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিতে পারে, এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন যেমন কম, তেমনি রোজার মাসে বাড়তি চাহিদার চাপও তৈরি হবে। সব মিলিয়ে রোজায় বিদ্যুৎ নিয়ে কিছুটা হলেও ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে।
অন্যদিকে বিদ্যুতের দাম আরো একবার বাড়ানো হতে পারে। এরই মধ্যে দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে। সব কিছুর দাম যেখানে বাড়ছে, সেখানে বিদ্যুতের দাম আরেক দফা বাড়লে এর চাপটাও গিয়ে পড়বে ভোক্তার ওপর।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর যে প্রস্তাব পিডিবি দিয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, পাইকারি মূল্য বাড়ানো না হলে ইউনিটপ্রতি গড় সরবরাহ ব্যয় ও ট্যারিফ ব্যবধান হবে দুই টাকা ৮৫ পয়সা। এতে চলতি অর্থবছরে ঘাটতির পরিমাণ হবে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা। আর জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে ঘাটতির পরিমাণও আনুপাতিক হারে বাড়বে। কমিশনের মূল্যায়ন কমিটির হিসাবে পিডিবির গড় সরবরাহ ব্যয় হবে চার টাকা ৯০ পয়সা, যা বর্তমান মূল্যের চেয়ে ২১ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরে জ্বালানি তেলে কমিশনের অনুমোদিত বরাদ্দের চেয়ে ২৪৪ কোটি ২৬ লাখ সাত হাজার টাকা কম ব্যয়ের বিষয়টি বিবেচনা করেছে বিইআরসি। বিইআরসির মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিডিবিকে সরকারের দেওয়া তিন হাজার ৭০০ কোটি টাকা ভর্তুকির বিষয়টি বিবেচনা করে বিদ্যমান পাইকারি মূল্য ২১ দশমিক ৮৯ শতাংশ বাড়ানো যেতে পারে। এতে প্রতি ইউনিটে বাড়বে ৮৮ পয়সা। তাতে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের দাম হবে চার টাকা ৯০ পয়সা, যদিও পিডিবির প্রস্তাবে দুই টাকা এক পয়সা বৃদ্ধি করে ছয় টাকা তিন পয়সা নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। পাইকারি পর্যায়ে গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত পাঁচ দফা বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে বিইআরসি। দুই টাকা ৩৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে চার টাকা দুই পয়সা করা হয়েছে। একইভাবে গড়ে সাড়ে ২৭ শতাংশ বেড়ে চার টাকা থেকে পাঁচ টাকা দুই পয়সা হয়েছে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম। সর্বশেষ গত ২৯ মার্চ পাইকারি ও খুচরা দাম যথাক্রমে প্রতি ইউনিট গড়ে ২৮ পয়সা এবং ৩০ পয়সা বাড়ানো হয়, যা ১ মার্চ থেকে কার্যকর করা হয়।
এর পাশাপাশি আশঙ্কা রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রেও। রমজানে বিদ্যুতের চাহিদা ধরা হয়েছে ছয় হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। বর্তমানে উৎপাদিত হচ্ছে গড়ে চার হাজার ৫০০ থেকে চার হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। অর্থাৎ গড়ে ঘাটতি থাকবে প্রায় দুই হাজার মেগাওয়াট। অন্যদিকে সরকারের দিক থেকে তরল জ্বালানিভিত্তিক কুইক রেন্টাল ও রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সচল রেখে রমজানে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সহনীয় রাখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে প্রকাশিত খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। রমজানে ইফতারি, তারাবি ও সেহরির সময় কোথাও আধা ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং করা হবে না বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যুতের দাম ও সরবরাহের পাশাপাশি আরেকটি যন্ত্রণার নাম বিদ্যুৎ বিল। অযৌক্তিক ভৌতিক বিলের পাশাপাশি বিল সংশোধন করতে গিয়ে নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয় ভোক্তাদের। এই বিড়ম্বনার অবসান ঘটাতে হবে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের পাশাপাশি অযৌক্তিক বিলের দরুনও গ্রাহকদের ভোগান্তির অবসান ঘটানোর দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর যে প্রস্তাব পিডিবি দিয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, পাইকারি মূল্য বাড়ানো না হলে ইউনিটপ্রতি গড় সরবরাহ ব্যয় ও ট্যারিফ ব্যবধান হবে দুই টাকা ৮৫ পয়সা। এতে চলতি অর্থবছরে ঘাটতির পরিমাণ হবে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা। আর জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে ঘাটতির পরিমাণও আনুপাতিক হারে বাড়বে। কমিশনের মূল্যায়ন কমিটির হিসাবে পিডিবির গড় সরবরাহ ব্যয় হবে চার টাকা ৯০ পয়সা, যা বর্তমান মূল্যের চেয়ে ২১ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরে জ্বালানি তেলে কমিশনের অনুমোদিত বরাদ্দের চেয়ে ২৪৪ কোটি ২৬ লাখ সাত হাজার টাকা কম ব্যয়ের বিষয়টি বিবেচনা করেছে বিইআরসি। বিইআরসির মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিডিবিকে সরকারের দেওয়া তিন হাজার ৭০০ কোটি টাকা ভর্তুকির বিষয়টি বিবেচনা করে বিদ্যমান পাইকারি মূল্য ২১ দশমিক ৮৯ শতাংশ বাড়ানো যেতে পারে। এতে প্রতি ইউনিটে বাড়বে ৮৮ পয়সা। তাতে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের দাম হবে চার টাকা ৯০ পয়সা, যদিও পিডিবির প্রস্তাবে দুই টাকা এক পয়সা বৃদ্ধি করে ছয় টাকা তিন পয়সা নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। পাইকারি পর্যায়ে গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত পাঁচ দফা বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে বিইআরসি। দুই টাকা ৩৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে চার টাকা দুই পয়সা করা হয়েছে। একইভাবে গড়ে সাড়ে ২৭ শতাংশ বেড়ে চার টাকা থেকে পাঁচ টাকা দুই পয়সা হয়েছে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম। সর্বশেষ গত ২৯ মার্চ পাইকারি ও খুচরা দাম যথাক্রমে প্রতি ইউনিট গড়ে ২৮ পয়সা এবং ৩০ পয়সা বাড়ানো হয়, যা ১ মার্চ থেকে কার্যকর করা হয়।
এর পাশাপাশি আশঙ্কা রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রেও। রমজানে বিদ্যুতের চাহিদা ধরা হয়েছে ছয় হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। বর্তমানে উৎপাদিত হচ্ছে গড়ে চার হাজার ৫০০ থেকে চার হাজার ৭০০ মেগাওয়াট। অর্থাৎ গড়ে ঘাটতি থাকবে প্রায় দুই হাজার মেগাওয়াট। অন্যদিকে সরকারের দিক থেকে তরল জ্বালানিভিত্তিক কুইক রেন্টাল ও রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সচল রেখে রমজানে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সহনীয় রাখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে প্রকাশিত খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। রমজানে ইফতারি, তারাবি ও সেহরির সময় কোথাও আধা ঘণ্টার বেশি লোডশেডিং করা হবে না বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
বিদ্যুতের দাম ও সরবরাহের পাশাপাশি আরেকটি যন্ত্রণার নাম বিদ্যুৎ বিল। অযৌক্তিক ভৌতিক বিলের পাশাপাশি বিল সংশোধন করতে গিয়ে নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয় ভোক্তাদের। এই বিড়ম্বনার অবসান ঘটাতে হবে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের পাশাপাশি অযৌক্তিক বিলের দরুনও গ্রাহকদের ভোগান্তির অবসান ঘটানোর দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
No comments