স্যামসন এইচ চৌধুরীর স্মরণসভায় বিশিষ্টজনেরা-ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও তিনি অনুপ্রেরণার উৎস
স্যামসন এইচ চৌধুরী কেবল বড় মাপের একজন শিল্পপতি ছিলেন না, ছিলেন অনেক বড় মাপের একজন মানুষ। তিনি দেখিয়ে গেছেন, আইনকানুন লঙ্ঘন না করেও কীভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য সুচারুভাবে পরিচালনা করা যায়। স্যামসন এইচ চৌধুরী বর্তমান প্রজন্মের শিল্পপতি-ব্যবসায়ীদের জন্য যেমন আদর্শ, তেমনি অনুপ্রেরণার উৎস ভবিষ্যৎ প্রজন্মেরও। এখন পর্যন্ত এমন একজনকেও খুঁজে পাওয়া দুষ্কর, যিনি তাঁকে ছাড়িয়ে যেতে পারেন।
স্কয়ার গ্রুপের প্রয়াত চেয়ারম্যান স্যামসন এইচ চৌধুরীর স্মরণসভায় এভাবেই তাঁর স্মৃতিচারণা করেন দেশের বিশিষ্টজনেরা। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে গতকাল শনিবার যৌথভাবে এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই); মেট্রোপলিটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই); ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশ (আইসিসিবি); ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই)।
স্বাগত বক্তব্য দিয়ে তিন ঘণ্টার পুরো সভা পরিচালনা করেন আইসিসিবির সভাপতি মাহবুবুর রহমান। স্মৃতিচারণার আগে স্যামসন এইচ চৌধুরীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘স্যামসন এইচ চৌধুরী ছলেন সবচেয়ে পুরোনো করদাতা। ব্যবসা করেও কীভাবে আইনের মধ্যে থাকা যায়, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তিনি।’ বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান বলেন, স্যামসন এইচ চৌধুরী ছিলেন ব্যবসায়ীদের নেতা। দেশের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের তাঁকে অনুসরণ করতে হবে। তিনি দেখিয়ে গেছেন, আইনকানুন লঙ্ঘন না করেও কীভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য সুচারুভাবে পরিচালনা করা যায়।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বলেন, ‘ধনদৌলত নিয়ে দম্ভ করাকে স্যামসন এইচ চৌধুরী ঘৃণা করতেন। তাঁর কাছ থেকে শিখেছি, আজ টাকা আছে, কাল তা না-ও থাকতে পারে। টাকার জন্য সম্মানের হানি করা যাবে না।’ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন ‘স্যামসন এইচ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদ’ গঠনের প্রস্তাব দেন। ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান বলেন, ‘আমরা শুনি, ব্যবসায়ী মহলে অনেক রকম আপসরফা হয়, কিন্তু স্যামসন চৌধুরী সম্পর্কে এমন কিছু কখনোই শোনা যায়নি।’
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদ একটি ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, ‘হারবাল সমিতির লাইসেন্সের জন্য তিনি একদিন এফবিসিসিআইতে এলেন। আমি বললাম, “আপনি সরাসরি কেন এলেন? কাউকে দিয়ে পাঠিয়ে দিলেও পারতেন?” উনি বললেন, “দেখুন, কৃষক নিজের জমিতে কখনোই না গিয়ে ভালো ফসল আশা করতে পারেন না।”’
এমসিসিআইয়ের সভাপতি আমজাদ খান চৌধুরী বলেন, ৪০ হাজার মানুষ তথা ৪০ হাজার পরিবারের অন্নসংস্থানের ব্যবস্থা করে গেছেন তিনি। ডিসিসিআইয়ের সভাপতি আসিফ ইব্রাহীম বলেন, ‘তাঁর তিরোধান থেকে এমন শিক্ষাই নিতে পারি, আমরা যেন ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে অন্তত সময়মতো তা ফেরত দিই।’ নতুন প্রজন্মের সঙ্গে পরিচয় করানোর জন্য স্যামসন এইচ চৌধুরীর জীবনী লেখা দরকার বলে মনে করেন সার্ক চেম্বার সভাপতি আনিসুল হক।
পরিবারের পক্ষে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বক্তব্য দেন স্যামসন এইচ চৌধুরীর বড় ছেলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা তপন চৌধুরী। আবেগাপ্লুত তপন চৌধুরী তাঁর মা অনিতা চৌধুরীর বিনয় সম্পর্কে বলেন, ‘সেদিন মা বললেন, “সাড়ে ৬৪ বছর সংসার করলাম। মনে হলো, তোমাদের বাবার উপযুক্ত মূল্যায়ন করতে পারিনি।”’
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট আইনজীবী রফিক-উল হক, রোকনউদ্দিন মাহমুদ, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, এমসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আনিসউদ্দৌলা, অ্যামচেমের সভাপতি আফতাব-উল ইসলাম, সাবেক সভাপতি ওয়ালিউর রহমান ভুঁইয়া, বিটিএমএর সাবেক সভাপতি এম এ আউয়াল, বিকেএমইএর সাবেক সভাপতি মো. ফজলুল হক, বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, ডিএসইর সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান, ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন, সাবেক ব্যাংকার মামুন রশীদ প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য দিয়ে তিন ঘণ্টার পুরো সভা পরিচালনা করেন আইসিসিবির সভাপতি মাহবুবুর রহমান। স্মৃতিচারণার আগে স্যামসন এইচ চৌধুরীর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘স্যামসন এইচ চৌধুরী ছলেন সবচেয়ে পুরোনো করদাতা। ব্যবসা করেও কীভাবে আইনের মধ্যে থাকা যায়, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তিনি।’ বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহান বলেন, স্যামসন এইচ চৌধুরী ছিলেন ব্যবসায়ীদের নেতা। দেশের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের তাঁকে অনুসরণ করতে হবে। তিনি দেখিয়ে গেছেন, আইনকানুন লঙ্ঘন না করেও কীভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য সুচারুভাবে পরিচালনা করা যায়।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বলেন, ‘ধনদৌলত নিয়ে দম্ভ করাকে স্যামসন এইচ চৌধুরী ঘৃণা করতেন। তাঁর কাছ থেকে শিখেছি, আজ টাকা আছে, কাল তা না-ও থাকতে পারে। টাকার জন্য সম্মানের হানি করা যাবে না।’ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন ‘স্যামসন এইচ চৌধুরী স্মৃতি পরিষদ’ গঠনের প্রস্তাব দেন। ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান বলেন, ‘আমরা শুনি, ব্যবসায়ী মহলে অনেক রকম আপসরফা হয়, কিন্তু স্যামসন চৌধুরী সম্পর্কে এমন কিছু কখনোই শোনা যায়নি।’
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি এ কে আজাদ একটি ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, ‘হারবাল সমিতির লাইসেন্সের জন্য তিনি একদিন এফবিসিসিআইতে এলেন। আমি বললাম, “আপনি সরাসরি কেন এলেন? কাউকে দিয়ে পাঠিয়ে দিলেও পারতেন?” উনি বললেন, “দেখুন, কৃষক নিজের জমিতে কখনোই না গিয়ে ভালো ফসল আশা করতে পারেন না।”’
এমসিসিআইয়ের সভাপতি আমজাদ খান চৌধুরী বলেন, ৪০ হাজার মানুষ তথা ৪০ হাজার পরিবারের অন্নসংস্থানের ব্যবস্থা করে গেছেন তিনি। ডিসিসিআইয়ের সভাপতি আসিফ ইব্রাহীম বলেন, ‘তাঁর তিরোধান থেকে এমন শিক্ষাই নিতে পারি, আমরা যেন ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে অন্তত সময়মতো তা ফেরত দিই।’ নতুন প্রজন্মের সঙ্গে পরিচয় করানোর জন্য স্যামসন এইচ চৌধুরীর জীবনী লেখা দরকার বলে মনে করেন সার্ক চেম্বার সভাপতি আনিসুল হক।
পরিবারের পক্ষে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বক্তব্য দেন স্যামসন এইচ চৌধুরীর বড় ছেলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা তপন চৌধুরী। আবেগাপ্লুত তপন চৌধুরী তাঁর মা অনিতা চৌধুরীর বিনয় সম্পর্কে বলেন, ‘সেদিন মা বললেন, “সাড়ে ৬৪ বছর সংসার করলাম। মনে হলো, তোমাদের বাবার উপযুক্ত মূল্যায়ন করতে পারিনি।”’
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট আইনজীবী রফিক-উল হক, রোকনউদ্দিন মাহমুদ, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, এমসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আনিসউদ্দৌলা, অ্যামচেমের সভাপতি আফতাব-উল ইসলাম, সাবেক সভাপতি ওয়ালিউর রহমান ভুঁইয়া, বিটিএমএর সাবেক সভাপতি এম এ আউয়াল, বিকেএমইএর সাবেক সভাপতি মো. ফজলুল হক, বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান, ডিএসইর সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান, ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শেখ কবির হোসেন, সাবেক ব্যাংকার মামুন রশীদ প্রমুখ।
No comments