অপ্রতিদ্বন্দ্বী মেসি
স্পোর্টস ডেস্ক: যারা তার সঙ্গে লড়াইতে ছিলেন তাদের বড়াই করার আর কিছুই নেই। কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতাই তারা করতে পারেননি। ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়ার জন্য মনোনীত হয়েছিলেন তিনজন। বার্সেলোনার মেসি ও জাভি আর রিয়াল মাদ্রিদের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। কিন্তু সোমবার যখন ফল ঘোষণা করা হলো তখন নিশ্চয়ই লজ্জাই পেয়েছেন অপর দু’জন। পাওয়ারই কথা। লিওনেল মেসি যে ভোট পেয়েছেন দু’জন মিলেও তা পাননি। যেখানে মেসি পেয়েছেন ৪৭.৮৮ শতাংশ ভোট সেখানে দ্বিতীয় স্থানের রোনালদো পেয়েছেন ২১.৬ শতাংশ। আর জাভি ! তিনি পেয়েছেন ৯.২৩।
তার আগেও তিনবার ফিফা বর্ষসেরা হয়েছেন দু’জন। একজন ব্রাজিলের রোনালদো আর অপর জন ফ্রান্সের জিনেদিন জিদান। বিশ্বকাপেও হাত ছুঁইয়েছেন এ দু’জন। অথচ বিশ্বকাপের কাছে যেতে না পারলেও প্রথম ফুটবলার হিসেবে টানা তিনবার ফিফার বর্ষসেরা হলেন ২৪ বছরের এ আর্জেন্টাইন। শুধু তাই নয় এ পুরস্কার পাওয়ার আগে দু’বার পাই পাই করছিলেন। একবার কাকা আর একবার ক্রিশ্চিয়ানোর কাছে হেরে গিয়েছিলেন। ব্রাজিলের রোনালদো এ পুরস্কার জেতেন ১৯৯৬-৯৭ ও ২০০২ সালে আর জিদান জেতেন ১৯৯৮, ২০০০ ও ২০০৩ সালে। ব্যালন ডি’অর পুরস্কার টানা তিনবার জিতেছিলেন ফ্রান্সের মিশেল প্লাতিনি (১৯৮৩ থেকে ৮৫)। এছাড়া তিনবার জেতার কৃতিত্ব রয়েছে হল্যান্ডের ইয়োহান ক্রুয়েফ ও মার্কো ভ্যান বাস্তেনের। আগে ফিফা প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার ও ব্যালন ডি’র পুরস্কার আলাদা ছিল। ২০১০ থেকে দু’টি পুরস্কার এক করা হয়। জুরিখে অনুষ্ঠিত জমকালো অনুষ্ঠানে ট্রফি তুলে দেয়া হয় বিজয়ীদের হাতে। মেয়েদের মধ্যে বর্ষসেরা নির্বাচিত হয়েছেন মহিলা বিশ্বকাপ জয়ী জাপান দলের হোমারে সাওয়া। এছাড়া সেরা পুরুষ দলের কোচের পুরস্কার পেয়েছেন বার্সেলোনার কোচ পেপ গার্দিওলা। আর মহিলা দলের সেরা কোচ হয়েছেন জাপানের নরিও সাসাকি। এদিন ফিফা প্রেসিডেন্টের বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন ম্যানেচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ অ্যালেক্স ফার্গুসন। ৭০ বছর বয়সী স্কটিশ এ কোচ ২৬ বছর ধরে ম্যানচেস্টারের কোচের দায়িত্বে। তার সময়ে দলটি ১২ বার লীগ শিরোপা আর দু’বার চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জেতে। দর্শকদের ভোটে বছরের সেরা গোলদাতা নির্বাচিত হয়েছেন ব্রাজিলের নেইমার।
বিশ্ব ফুটবলের বড় কোন ইভেন্ট না থাকায় এবার ক্লাব পারফরমেন্সই বড় বিচার্য হয়ে দাঁড়ায়। মেসির নৈপুণ্যে বার্সেলোনা কেবল লা-লিগাই জেতেনি, জিতেছে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ, সুপার কাপ, ফিফা ক্লাব কাপ। গেল লীগে মেসি ৪৭ ম্যাচে ৪৩ গোল করলেও গোলে সহায়তা ছিল ২১বার। আর রোনালদো ৪৪ ম্যাচে ৪৮ গোল করেন সহায়তা ছিল ১৬ বার।
মেসি এখন পেলে, ডি স্টেফানো, মারাদোনার পাশে বসতে পারে। সে ওদের মতোই এলিট।
- গার্দিওলা
ওর বয়স কেবল ২৪ বছর। অনেক দিন খেলতে পারবে ও। আমার মনে হয়, সে একদিন ফুটবল ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ হবে। - জাভি
সেরা গোল: ১৫ লাখ দর্শকের ভোটে ২০১১’র সবচেয়ে সুন্দর গোল নির্বাচিত হয়েছে ব্রাজিলের নেইমারের করা একটি গোল। গত বছর ২৭শে জুলাই ব্রাজিলের ঘরোয়া লীগে সাও পাওলোর মাঠে সান্তোসের হয়ে ফ্ল্যামিঙ্গোর বিপক্ষে খেলায় চমৎকার এ গোলটি করেন নেইমার। লিজেন্ড ফুটবলার ও ষাটের দশকে হাঙ্গেরির অধিনায়ক ফ্রাঙ্ক পুসকারের স্মরণে এ পুরস্কারের নাম করা হয়েছে।
সেরা কোচ: ৪১.৯২ শতাংশ ভোটে ২০১১’র সেরা কোচ নির্বাচিত হন এফসি বার্সেলোনার পেপ গার্দিওলা। গার্দিওলার পেছনে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের প্রাপ্ত ভোট ১৫.৬১ শতাংশ। রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হোসে মরিনহো ১২.৪৩ ভোট নিয়ে থাকেন আরেকটু পেছনে।
তার আগেও তিনবার ফিফা বর্ষসেরা হয়েছেন দু’জন। একজন ব্রাজিলের রোনালদো আর অপর জন ফ্রান্সের জিনেদিন জিদান। বিশ্বকাপেও হাত ছুঁইয়েছেন এ দু’জন। অথচ বিশ্বকাপের কাছে যেতে না পারলেও প্রথম ফুটবলার হিসেবে টানা তিনবার ফিফার বর্ষসেরা হলেন ২৪ বছরের এ আর্জেন্টাইন। শুধু তাই নয় এ পুরস্কার পাওয়ার আগে দু’বার পাই পাই করছিলেন। একবার কাকা আর একবার ক্রিশ্চিয়ানোর কাছে হেরে গিয়েছিলেন। ব্রাজিলের রোনালদো এ পুরস্কার জেতেন ১৯৯৬-৯৭ ও ২০০২ সালে আর জিদান জেতেন ১৯৯৮, ২০০০ ও ২০০৩ সালে। ব্যালন ডি’অর পুরস্কার টানা তিনবার জিতেছিলেন ফ্রান্সের মিশেল প্লাতিনি (১৯৮৩ থেকে ৮৫)। এছাড়া তিনবার জেতার কৃতিত্ব রয়েছে হল্যান্ডের ইয়োহান ক্রুয়েফ ও মার্কো ভ্যান বাস্তেনের। আগে ফিফা প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার ও ব্যালন ডি’র পুরস্কার আলাদা ছিল। ২০১০ থেকে দু’টি পুরস্কার এক করা হয়। জুরিখে অনুষ্ঠিত জমকালো অনুষ্ঠানে ট্রফি তুলে দেয়া হয় বিজয়ীদের হাতে। মেয়েদের মধ্যে বর্ষসেরা নির্বাচিত হয়েছেন মহিলা বিশ্বকাপ জয়ী জাপান দলের হোমারে সাওয়া। এছাড়া সেরা পুরুষ দলের কোচের পুরস্কার পেয়েছেন বার্সেলোনার কোচ পেপ গার্দিওলা। আর মহিলা দলের সেরা কোচ হয়েছেন জাপানের নরিও সাসাকি। এদিন ফিফা প্রেসিডেন্টের বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন ম্যানেচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ অ্যালেক্স ফার্গুসন। ৭০ বছর বয়সী স্কটিশ এ কোচ ২৬ বছর ধরে ম্যানচেস্টারের কোচের দায়িত্বে। তার সময়ে দলটি ১২ বার লীগ শিরোপা আর দু’বার চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জেতে। দর্শকদের ভোটে বছরের সেরা গোলদাতা নির্বাচিত হয়েছেন ব্রাজিলের নেইমার।
বিশ্ব ফুটবলের বড় কোন ইভেন্ট না থাকায় এবার ক্লাব পারফরমেন্সই বড় বিচার্য হয়ে দাঁড়ায়। মেসির নৈপুণ্যে বার্সেলোনা কেবল লা-লিগাই জেতেনি, জিতেছে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগ, সুপার কাপ, ফিফা ক্লাব কাপ। গেল লীগে মেসি ৪৭ ম্যাচে ৪৩ গোল করলেও গোলে সহায়তা ছিল ২১বার। আর রোনালদো ৪৪ ম্যাচে ৪৮ গোল করেন সহায়তা ছিল ১৬ বার।
মেসি এখন পেলে, ডি স্টেফানো, মারাদোনার পাশে বসতে পারে। সে ওদের মতোই এলিট।
- গার্দিওলা
ওর বয়স কেবল ২৪ বছর। অনেক দিন খেলতে পারবে ও। আমার মনে হয়, সে একদিন ফুটবল ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ হবে। - জাভি
সেরা গোল: ১৫ লাখ দর্শকের ভোটে ২০১১’র সবচেয়ে সুন্দর গোল নির্বাচিত হয়েছে ব্রাজিলের নেইমারের করা একটি গোল। গত বছর ২৭শে জুলাই ব্রাজিলের ঘরোয়া লীগে সাও পাওলোর মাঠে সান্তোসের হয়ে ফ্ল্যামিঙ্গোর বিপক্ষে খেলায় চমৎকার এ গোলটি করেন নেইমার। লিজেন্ড ফুটবলার ও ষাটের দশকে হাঙ্গেরির অধিনায়ক ফ্রাঙ্ক পুসকারের স্মরণে এ পুরস্কারের নাম করা হয়েছে।
সেরা কোচ: ৪১.৯২ শতাংশ ভোটে ২০১১’র সেরা কোচ নির্বাচিত হন এফসি বার্সেলোনার পেপ গার্দিওলা। গার্দিওলার পেছনে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের প্রাপ্ত ভোট ১৫.৬১ শতাংশ। রিয়াল মাদ্রিদের কোচ হোসে মরিনহো ১২.৪৩ ভোট নিয়ে থাকেন আরেকটু পেছনে।
No comments