সমাপনী অধিবেশনে মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান-আদিবাসীদের সংজ্ঞায়ন নয় শনাক্তকরণই বেশি জরুরি
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেছেন, আদিবাসীদের সংজ্ঞায়ন গুরুত্বপূর্ণ নয়, শনাক্তকরণই বেশি জরুরি। পৃথিবীর সব দেশেই আদিবাসীদের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে। তাদের কাছ থেকে অনেক শেখার আছে। তাদের সততা, স্বভাব-সারল্য, পরিচ্ছন্নতা অন্যতম। আদিবাসীদের চিত্রকলা, নৃত্যগীত ও নিজস্ব ওষুধ উদ্ভাবন ও প্রয়োগ-পদ্ধতি থেকেও শেখার রয়েছে।
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ‘আদিবাসী জনগোষ্ঠী ও সিলেটের পরিবেশ’ শীর্ষক তিন দিনের সম্মেলনের (কনভেনশন) সমাপনী অধিবেশনে গতকাল শনিবার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আদিবাসীদের স্বার্থ রক্ষায় ১৪ দফা অভিন্ন দাবির সঙ্গে সংগতি রেখে ছয়টি দাবির ‘সিলেট ঘোষণা’ দিয়ে রাতে সম্মেলন শেষ হয়।
গতকাল সমাপনী উপলক্ষে দিনব্যাপী আটটি ‘টেকনিক্যাল সেশন’ হয়। সিলেট অঞ্চলের পরিবেশ ও আদিবাসী নিয়ে বিভিন্ন অধিবেশনে পরিবেশ ও আদিবাসীবিষয়ক ২০টি গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। বিভিন্ন অধিবেশনে সিলেটের সাংসদ ইমরান আহমদ, মৌলভীবাজারের সাংসদ সৈয়দ মুহসীন আলী, সাংসদ নবাব আলী আব্বাস, সিলেটের সাবেক সাংসদ নাজিম কামরান চৌধুরী, সাবেক সাংসদ কলিমউদ্দিন আহমদসহ আমন্ত্রিত পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, আদিবাসী ও পরিবেশবাদী নেতারা তাঁদের মতামত পেশ করেন।
ওই অধিবেশনে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান ও রাজা দেবাশীষ রায়। সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে অধিবেশনে প্রধান পৃষ্ঠপোষক শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. সালেহ উদ্দিন ও আয়োজকদের পক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন বক্তব্য দেন। সম্মেলনের আহ্বায়ক শরিফ জামিল ও সদস্যসচিব মোহাম্মদ জহিরুল হক স্বাগত বক্তব্য দেন।
আকবর আলি খান বলেন, ‘আধুনিক সভ্যতা গড়তে গিয়ে আদিবাসীদের জীবনের প্রতি যে অবিচার করা হয়েছে, এ জন্য বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সব দেশের ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
রাজা দেবাশীষ রায় বলেন, দেশে এমন কিছু এলাকা রয়েছে, যেখানে আদিবাসীরাই স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের রক্ষক। তারা যে শুধু দেশে থেকে আক্রমণের শিকার হচ্ছে তা-ই নয়, বহিরাক্রমণেরও শিকার হচ্ছে।
সুলতানা কামাল বলেন, ‘আদিবাসীরা আজ নিজভূমে পরবাসী। আদিবাসীদের অধিকার শুধু তাদের অধিকারের বিষয় নয়, এটা আমাদের সবার অস্তিত্বের ব্যাপার।’
‘সিলেট ঘোষণা’য় ছয় দাবি
রাত সাতটায় সর্বশেষ অধিবেশনে আদিবাসীদের স্বার্থ রক্ষায় ছয়টি দাবির ‘সিলেট ঘোষণা’ প্রকাশ করা হয়। সিলেট ঘোষণার দাবিগুলো হচ্ছে: বন ও পাহাড়ের অবক্ষয় বন্ধ করা, জাফলং-জৈন্তার পিয়াইন ও ডাউকি নদী থেকে পাথর উত্তোলনের নামে আদিবাসীদের উচ্ছেদ-তৎপরতা বন্ধ করা, মৌলভীবাজারের খেজুরছড়াসহ খাসিয়া পানপুঞ্জিতে গাছ কাটা বন্ধ করে নাহার চা-বাগান মালিকদের বেআইনিভাবে ৪০০ একর বনভূমি আদিবাসীদের ফিরিয়ে দেওয়া, আদিবাসী শ্রমিকদের চা-বাগানের জমি বন্দোবস্ত বাবদ ভাড়া বা কর প্রদান বন্ধ করা, সিলেটের চা-বাগানগুলোতে শ্রমিকদের বসতভিটার মালিকানা প্রদানের মাধ্যমে অভিবাসনের স্থায়ী স্বীকৃতি দেওয়া এবং চা-বাগানের শ্রমিকদের কর্মসংস্থানে বৈষম্য দূর করা।
ছয় দাবি আদায়ে বাপা, বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন), পরিবেশবাদী ও সামাজিক সংগঠনকে একাত্ম করে দেশব্যাপী ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রয়াস চালানোর কথা সিলেট ঘোষণার সাংগঠনিক প্রস্তাব হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাপতিত্বে সিলেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নারী মুক্তিযোদ্ধা কাঁকন বিবি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন লেখক-কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ। আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং ও বেনের দীপেন ভট্টাচার্য বক্তব্য দেন।
গতকাল সমাপনী উপলক্ষে দিনব্যাপী আটটি ‘টেকনিক্যাল সেশন’ হয়। সিলেট অঞ্চলের পরিবেশ ও আদিবাসী নিয়ে বিভিন্ন অধিবেশনে পরিবেশ ও আদিবাসীবিষয়ক ২০টি গবেষণাধর্মী প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। বিভিন্ন অধিবেশনে সিলেটের সাংসদ ইমরান আহমদ, মৌলভীবাজারের সাংসদ সৈয়দ মুহসীন আলী, সাংসদ নবাব আলী আব্বাস, সিলেটের সাবেক সাংসদ নাজিম কামরান চৌধুরী, সাবেক সাংসদ কলিমউদ্দিন আহমদসহ আমন্ত্রিত পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, আদিবাসী ও পরিবেশবাদী নেতারা তাঁদের মতামত পেশ করেন।
ওই অধিবেশনে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান ও রাজা দেবাশীষ রায়। সাবেক উপদেষ্টা সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে অধিবেশনে প্রধান পৃষ্ঠপোষক শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. সালেহ উদ্দিন ও আয়োজকদের পক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আবদুল মতিন বক্তব্য দেন। সম্মেলনের আহ্বায়ক শরিফ জামিল ও সদস্যসচিব মোহাম্মদ জহিরুল হক স্বাগত বক্তব্য দেন।
আকবর আলি খান বলেন, ‘আধুনিক সভ্যতা গড়তে গিয়ে আদিবাসীদের জীবনের প্রতি যে অবিচার করা হয়েছে, এ জন্য বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সব দেশের ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
রাজা দেবাশীষ রায় বলেন, দেশে এমন কিছু এলাকা রয়েছে, যেখানে আদিবাসীরাই স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের রক্ষক। তারা যে শুধু দেশে থেকে আক্রমণের শিকার হচ্ছে তা-ই নয়, বহিরাক্রমণেরও শিকার হচ্ছে।
সুলতানা কামাল বলেন, ‘আদিবাসীরা আজ নিজভূমে পরবাসী। আদিবাসীদের অধিকার শুধু তাদের অধিকারের বিষয় নয়, এটা আমাদের সবার অস্তিত্বের ব্যাপার।’
‘সিলেট ঘোষণা’য় ছয় দাবি
রাত সাতটায় সর্বশেষ অধিবেশনে আদিবাসীদের স্বার্থ রক্ষায় ছয়টি দাবির ‘সিলেট ঘোষণা’ প্রকাশ করা হয়। সিলেট ঘোষণার দাবিগুলো হচ্ছে: বন ও পাহাড়ের অবক্ষয় বন্ধ করা, জাফলং-জৈন্তার পিয়াইন ও ডাউকি নদী থেকে পাথর উত্তোলনের নামে আদিবাসীদের উচ্ছেদ-তৎপরতা বন্ধ করা, মৌলভীবাজারের খেজুরছড়াসহ খাসিয়া পানপুঞ্জিতে গাছ কাটা বন্ধ করে নাহার চা-বাগান মালিকদের বেআইনিভাবে ৪০০ একর বনভূমি আদিবাসীদের ফিরিয়ে দেওয়া, আদিবাসী শ্রমিকদের চা-বাগানের জমি বন্দোবস্ত বাবদ ভাড়া বা কর প্রদান বন্ধ করা, সিলেটের চা-বাগানগুলোতে শ্রমিকদের বসতভিটার মালিকানা প্রদানের মাধ্যমে অভিবাসনের স্থায়ী স্বীকৃতি দেওয়া এবং চা-বাগানের শ্রমিকদের কর্মসংস্থানে বৈষম্য দূর করা।
ছয় দাবি আদায়ে বাপা, বাংলাদেশ পরিবেশ নেটওয়ার্ক (বেন), পরিবেশবাদী ও সামাজিক সংগঠনকে একাত্ম করে দেশব্যাপী ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রয়াস চালানোর কথা সিলেট ঘোষণার সাংগঠনিক প্রস্তাব হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাপতিত্বে সিলেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নারী মুক্তিযোদ্ধা কাঁকন বিবি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন লেখক-কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ। আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং ও বেনের দীপেন ভট্টাচার্য বক্তব্য দেন।
No comments