বগুড়ার সবজির বাজারঃ ১২ কিলোমিটারে কেজিতে দামের ফারাক ১৫ টাকা by মিলন রহমান
বগুড়ার হাটগুলোতে সবজির আমদানি বেড়ে যাওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। তবে পাইকারি ও খুচরা বাজারের পার্থক্য থেকে যাওয়ায় তুলনামূলক বেশি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। চাষিরা বেশি দাম না পেলেও মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে উত্তরাঞ্চলের বৃহৎ সবজির হাট মহাস্থানগড় থেকে সবজি কিনে তা বগুড়া শহরে বিক্রি করা হচ্ছে প্রতি কেজি ৮ থেকে ১৫ টাকা বেশি দামে।
শনি ও বুধবার হাটের দিন হলেও মহাস্থানগড়ে সবজির বাজার বসে প্রতিদিন সকালে। এখান থেকে দৈনিক ২০-২৫ ট্রাক সবজি দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। গত শনিবার মহাস্থান হাটে গিয়ে দেখা যায়, পটোল, করলা, বেগুন, লাউ, সামান্য কিছু ফুলকপি, পাতাকপি, লাল শাক, পালং শাক, মুলাসহ বিভিন্ন সবজি উঠেছে। এখান থেকে সবজি কিনে বগুড়া শহরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হয়। মহাস্থান থেকে বগুড়া শহরের দূরত্ব মাত্র ১২ কিলোমিটার। অথচ এই দূরত্বের মধ্যে সবজি হাত ঘুরে খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে অনেক বেশি দামে।
গত মাসে অবিরাম বর্ষণের কারণে সবজির ক্ষতি হলে চাষিরা তা পুষিয়ে নিতে আরও বেশি করে সবজির চাষ করেন। এর প্রভাব ইতিমধ্যে হাটগুলোতে পড়তে শুরু করেছে। এক বা দুই সপ্তাহ আগে যে পরিমাণ সবজি হাটে আসত, এখন এর দ্বিগুণ আসছে। আগে চাষিরা বেশি দাম পেলেও এখন আমদানি বেড়ে যাওয়ায় দাম কম পাচ্ছেন। এর পরও এই দামে চাষিরা সবজি বিক্রি করতে পেরে খুব খুশি। পাইকারি সবজির দাম যে হারে কমেছে, খুচরা বাজারে কমেছে এর তুলনায় কম। মহাস্থান হাটে এক সপ্তাহ আগে যে বেগুন পাইকারি প্রতি কেজি ৩০-৩২ টাকায় বিক্রি হয়েছে, তা এখন ১৫-১৭ টাকায় নেমে এসেছে। ২৫ টাকার পটোল এখন ১৫ টাকা, ৪০ টাকার করলা ১৫-১৬ টাকা ও ২৮ টাকার মুলা ১৫-১৬ টাকায় নেমে এসেছে। প্রতিটি লাউ যেখানে আগে বিক্রি হয়েছে ৩২ টাকা, তা এখন ২০-২২ টাকায় নেমে এসেছে। কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা থেকে এখন ৫৫ টাকায় নেমে এসেছে।
শিবগঞ্জ উপজেলার কুড়াহাট গ্রামের চাষি আইনুল হক বলেন, বেগুনের আমদানি বেড়ে যাওয়ায় এখন দাম কিছুটা কমে গেছে। দুই সপ্তাহ আগে এই হাটে বেগুন বিক্রি করেছেন প্রতি মণ এক হাজার ৩০০ টাকায়। আর গত রোববার বিক্রি করেছেন ৬৫০ টাকায়। একই উপজেলার বড় বেলঘড়িয়া গ্রামের আজিজার রহমান ও কাহালু উপজেলার বীরকেদার গ্রামের মজনু মিয়া বিক্রি করতে এসেছেন বেগুন ও করলা। আজিজার ছয় শতক জমিতে দুই হাজার টাকা খরচ করে বেগুন চাষ করেছেন। এখন পর্যন্ত বেগুন বিক্রি করেছেন ১০ হাজার টাকার। শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার গ্রামের মোহাম্মদ আলী বলেন, এবারের মতো সবজির দাম আগে পাওয়া যায়নি। কাহালু উপজেলার সবজির পাইকার জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা এখান থেকে সবজি কিনে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করি। আমরা কেজি প্রতি দু-তিন টাকা লাভ করি।’
গতকাল সোমবার বগুড়া শহরের কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, একেক বাজারে একক রকম দাম। শহরের প্রধান ফতেহ আলী বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ২৪-২৮ টাকা, পটোল ২৪-২৬ টাকা, করলা ২৪-২৮ টাকা, মুলা ২২-২৪ টাকা, লাউ ৩০-৩৫ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মহাস্থান হাটের পাইকার শাহ আলম বলেন, এক সপ্তাহ আগের তুলনায় এখন প্রতিটি সবজি মণপ্রতি দাম ১০০ থেকে ২০০ টাকা কমেছে।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক একরাম হোসেন বলেন, বগুড়া সবজি চাষের জন্য বিখ্যাত। বৈরী আবহাওয়ার কারণে এবার সবজির চাষ সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বাজারে প্রচুর সবজি উঠছে। চাষিরাও ভালো দাম পাচ্ছেন।
গত মাসে অবিরাম বর্ষণের কারণে সবজির ক্ষতি হলে চাষিরা তা পুষিয়ে নিতে আরও বেশি করে সবজির চাষ করেন। এর প্রভাব ইতিমধ্যে হাটগুলোতে পড়তে শুরু করেছে। এক বা দুই সপ্তাহ আগে যে পরিমাণ সবজি হাটে আসত, এখন এর দ্বিগুণ আসছে। আগে চাষিরা বেশি দাম পেলেও এখন আমদানি বেড়ে যাওয়ায় দাম কম পাচ্ছেন। এর পরও এই দামে চাষিরা সবজি বিক্রি করতে পেরে খুব খুশি। পাইকারি সবজির দাম যে হারে কমেছে, খুচরা বাজারে কমেছে এর তুলনায় কম। মহাস্থান হাটে এক সপ্তাহ আগে যে বেগুন পাইকারি প্রতি কেজি ৩০-৩২ টাকায় বিক্রি হয়েছে, তা এখন ১৫-১৭ টাকায় নেমে এসেছে। ২৫ টাকার পটোল এখন ১৫ টাকা, ৪০ টাকার করলা ১৫-১৬ টাকা ও ২৮ টাকার মুলা ১৫-১৬ টাকায় নেমে এসেছে। প্রতিটি লাউ যেখানে আগে বিক্রি হয়েছে ৩২ টাকা, তা এখন ২০-২২ টাকায় নেমে এসেছে। কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা থেকে এখন ৫৫ টাকায় নেমে এসেছে।
শিবগঞ্জ উপজেলার কুড়াহাট গ্রামের চাষি আইনুল হক বলেন, বেগুনের আমদানি বেড়ে যাওয়ায় এখন দাম কিছুটা কমে গেছে। দুই সপ্তাহ আগে এই হাটে বেগুন বিক্রি করেছেন প্রতি মণ এক হাজার ৩০০ টাকায়। আর গত রোববার বিক্রি করেছেন ৬৫০ টাকায়। একই উপজেলার বড় বেলঘড়িয়া গ্রামের আজিজার রহমান ও কাহালু উপজেলার বীরকেদার গ্রামের মজনু মিয়া বিক্রি করতে এসেছেন বেগুন ও করলা। আজিজার ছয় শতক জমিতে দুই হাজার টাকা খরচ করে বেগুন চাষ করেছেন। এখন পর্যন্ত বেগুন বিক্রি করেছেন ১০ হাজার টাকার। শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার গ্রামের মোহাম্মদ আলী বলেন, এবারের মতো সবজির দাম আগে পাওয়া যায়নি। কাহালু উপজেলার সবজির পাইকার জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমরা এখান থেকে সবজি কিনে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করি। আমরা কেজি প্রতি দু-তিন টাকা লাভ করি।’
গতকাল সোমবার বগুড়া শহরের কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, একেক বাজারে একক রকম দাম। শহরের প্রধান ফতেহ আলী বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ২৪-২৮ টাকা, পটোল ২৪-২৬ টাকা, করলা ২৪-২৮ টাকা, মুলা ২২-২৪ টাকা, লাউ ৩০-৩৫ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মহাস্থান হাটের পাইকার শাহ আলম বলেন, এক সপ্তাহ আগের তুলনায় এখন প্রতিটি সবজি মণপ্রতি দাম ১০০ থেকে ২০০ টাকা কমেছে।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক একরাম হোসেন বলেন, বগুড়া সবজি চাষের জন্য বিখ্যাত। বৈরী আবহাওয়ার কারণে এবার সবজির চাষ সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বাজারে প্রচুর সবজি উঠছে। চাষিরাও ভালো দাম পাচ্ছেন।
No comments