জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি-সরকারের যুক্তি মেলে না by আরিফুজ্জামান তুহিন
শেষ দফায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরকার যে দুটি প্রধান যুক্তির দোহাই দিচ্ছে, অনুসন্ধানে এর সত্যতা মিলছে না। সরকারের একটি যুক্তি হলো- আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে, তাই এখানেও দাম বাড়াতে হয়েছে।
কিন্তু তথ্য বলছে, বাংলাদেশ যে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে তেল কিনে থাকে, সেই কুয়েতভিত্তিক বাজারে সাম্প্রতিক সময়ে তেলের দাম আরো কমেছে। সরকার আরেকটি যুক্তি দেখাচ্ছে যে আমদানি করা তেলের বেশির ভাগটাই পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হয়, ভর্তুকিও দিতে হয় অনেক বেশি; সেই ভর্তুকি কমানোর জন্যও তেলের দাম বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের মাত্র ১০ শতাংশ আসে ডিজেল-ফার্নেস অয়েলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে। ৮০ শতাংশ বিদ্যুতের জোগান আসছে গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রগুলো থেকে।
জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে এর সঙ্গে অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে যায় পণ্যমূল্যসহ অনেক খাতের খরচ। তাই দুঃসহ হয়ে ওঠে জীবনযাত্রার ব্যয়। কিন্তু এর তোয়াক্কা না করে সরকার দফায় দফায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে জনগণকে কষ্ট দিয়ে যাচ্ছে বলে প্রতিবাদ-সমালোচনার ঝড় বইছে সারা দেশে। অথচ এ তেলের ওপরই ১৫ শতাংশ হারে কর নিচ্ছে সরকারি সংস্থা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), যা জমা হচ্ছে সরকারের কোষাগারে। এ কর না নিলে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম প্রায় ১০ টাকা কমানো যেত অভিমত দিয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, সর্বশেষ দফায় দাম না বাড়িয়ে কর কমানোর মাধ্যমে ভর্তুকি কমাতে পারত সরকার।
সরকার গত বৃহস্পতিবার চার ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে। প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম সাত টাকা করে এবং পেট্রল ও অকটেনের দাম পাঁচ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা আরো বলছেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ রয়েছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থবছরের শেষের দিকে এসে তড়িঘড়ি করেও এডিপির অর্থের পুরোটা কোনো সরকারের আমলেই কাজে লাগাতে পারে না। যদি অর্থের জরুরি প্রয়োজন হয়, তাহলে এডিপির কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প থেকে অর্থ নিয়েও জ্বালানি খাতের ভর্তুকি মেটাতে পারত সরকার।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমেছে : বাংলাদেশ মূলত কুয়েতভিত্তিক আন্তর্জাতিক বাজার থেকেই জ্বালানি তেল কিনে থাকে। তথ্য-উপাত্ত ঘেঁটে দেখা গেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ওই বাজারে তেলের দাম কমেছে। ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে পরিশোধিত ডিজেল ছিল ব্যারেলপ্রতি ১২৫ মার্কিন ডলার। আর ওই সময় বাংলাদেশে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ছিল ৫৬ টাকা। এখন আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল ডিজেল ১২২ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। আর এ সময় দেশে ডিজেলের দাম ১২ টাকা বেড়ে লিটারপ্রতি দাঁড়িয়েছে ৬৮ টাকা।
কেরোসিনের দাম ২০১১ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক বাজারে ছিল ব্যারেলপ্রতি ১২৫ দশমিক ১৫ মার্কিন ডলার। এ সময় দেশে কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ছিল ৫৬ টাকা। কেরোসিনের দাম এখন আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যারেলপ্রতি গড়ে তিন ডলার কমলেও দেশে প্রতি লিটারে ১২ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ টাকা। এ ছাড়া জানা গেছে, অকটেন ও পেট্রল থেকে বিপিসি সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার লিটারপ্রতি পাঁচ টাকা বাড়ানোর আগেই লাভ করে আসছিল। তবে অকটেন ও পেট্রল থেকে ঠিক কী পরিমাণ লাভ বিপিসি করছে- এ বিষয়ে পরিষ্কার কোনো তথ্য প্রতিষ্ঠানটি প্রকাশ করতে নারাজ।
আন্তর্জাতিক বাজারে গত চার বছরে পরিশোধিত তেলের পাশাপাশি অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে প্রায় ৮০ শতাংশ। এ কয়েক বছরে ১৫০ ডলার থেকে অপরিশোধিত তেলের দাম কমে বর্তমানে ৯২ ডলারে এসে ঠেকেছে।
জ্বালানি বিভাগ ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে জ্বালানি তেল আমদানি করা হয়েছে ৫৫ হাজার লাখ মেট্রিক টনের বেশি। এর মধ্যে পরিশোধিত প্রায় ৪৪ লাখ, আর অপরিশোধিত প্রায় ১১ লাখ টন। বিপিসির দেওয়া তথ্য মতে, পরিশোধিত ও অপরিশোধিত তেলের জন্য গত অর্থবছরে বিপিসির লোকসান গুনতে হয়েছে সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা।
তেলভিত্তিক কেন্দ্র বন্ধ থাকবে : শীতের শুরুতে বিদ্যুতের চাহিদা কমে যায়; বিদ্যুৎ উৎপাদনও কম করা হয়। এ কারণে তেলভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর বেশির ভাগই বন্ধ থাকে। বিশেষত রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বেশির ভাগই বন্ধ রাখা হয় এ সময়। চলতি শীতেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। বর্তমানে গড়ে প্রতি ঘণ্টায় তিন হাজার ৫০০ থেকে তিন হাজার ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। এ পরিমাণ বিদ্যুতের গড়ে ৮২ থেকে ৮৫ শতাংশই উৎপাদন করা হচ্ছে গ্যাস দিয়ে। বাকি বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে কয়লা থেকে সাড়ে ৪-৫ শতাংশ, আর জলবিদ্যুৎ থেকে গড়ে ১ শতাংশ। বাকি ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে তেল দিয়ে।
পিডিবি তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো শীতে বন্ধ রাখবে। গ্রীষ্মে তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো আবার উৎপাদনে যাবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) তমাল চক্রবর্তী কালের কণ্ঠকে বলেন, এখন গড়ে ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ আসছে তেলভিত্তিক কেন্দ্র থেকে। কারণ এখন বিদ্যুতের চাহিদা কম। এ সময় গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকেই বেশি বিদ্যুৎ নেওয়া হয়। এসি, ফ্যান বন্ধসহ নানা কারণে শীতে চাহিদা কম থাকে। সামনে গ্রীষ্ম এলে চাহিদা বাড়বে। তখন মোট বিদ্যুতের ১৫ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ আসবে তেলভিত্তিক কেন্দ্র থেকে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম শামসুল আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিপিসি সরকারকে ১৫ শতাংশ কর দেয়। আবার সরকার বলছে, আমি জ্বালানি তেলে ভর্তুকি দিচ্ছি। এ দুটি বিষয় পরস্পরবিরোধী। সরকার আসলে দাম বাড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে।'
'যখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমছে তখন কেন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হলো'- এমন প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া বলেন, 'সরকার দীর্ঘদিন ধরেই ভর্তুকি দিচ্ছে জ্বালানি তেলে। দাম বাড়ার পরও ভর্তুকি দিতে হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ভর্তুকি দেওয়া আমাদের মতো দেশের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ অধিক হারের এ ভর্তুকি বাজেটের ওপর চাপ বাড়ায়।'
জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে এর সঙ্গে অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে যায় পণ্যমূল্যসহ অনেক খাতের খরচ। তাই দুঃসহ হয়ে ওঠে জীবনযাত্রার ব্যয়। কিন্তু এর তোয়াক্কা না করে সরকার দফায় দফায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে জনগণকে কষ্ট দিয়ে যাচ্ছে বলে প্রতিবাদ-সমালোচনার ঝড় বইছে সারা দেশে। অথচ এ তেলের ওপরই ১৫ শতাংশ হারে কর নিচ্ছে সরকারি সংস্থা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), যা জমা হচ্ছে সরকারের কোষাগারে। এ কর না নিলে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম প্রায় ১০ টাকা কমানো যেত অভিমত দিয়ে বিশ্লেষকরা বলছেন, সর্বশেষ দফায় দাম না বাড়িয়ে কর কমানোর মাধ্যমে ভর্তুকি কমাতে পারত সরকার।
সরকার গত বৃহস্পতিবার চার ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে। প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম সাত টাকা করে এবং পেট্রল ও অকটেনের দাম পাঁচ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা আরো বলছেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ রয়েছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থবছরের শেষের দিকে এসে তড়িঘড়ি করেও এডিপির অর্থের পুরোটা কোনো সরকারের আমলেই কাজে লাগাতে পারে না। যদি অর্থের জরুরি প্রয়োজন হয়, তাহলে এডিপির কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প থেকে অর্থ নিয়েও জ্বালানি খাতের ভর্তুকি মেটাতে পারত সরকার।
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমেছে : বাংলাদেশ মূলত কুয়েতভিত্তিক আন্তর্জাতিক বাজার থেকেই জ্বালানি তেল কিনে থাকে। তথ্য-উপাত্ত ঘেঁটে দেখা গেছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ওই বাজারে তেলের দাম কমেছে। ২০১১ সালের নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে পরিশোধিত ডিজেল ছিল ব্যারেলপ্রতি ১২৫ মার্কিন ডলার। আর ওই সময় বাংলাদেশে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ছিল ৫৬ টাকা। এখন আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল ডিজেল ১২২ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। আর এ সময় দেশে ডিজেলের দাম ১২ টাকা বেড়ে লিটারপ্রতি দাঁড়িয়েছে ৬৮ টাকা।
কেরোসিনের দাম ২০১১ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক বাজারে ছিল ব্যারেলপ্রতি ১২৫ দশমিক ১৫ মার্কিন ডলার। এ সময় দেশে কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ছিল ৫৬ টাকা। কেরোসিনের দাম এখন আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যারেলপ্রতি গড়ে তিন ডলার কমলেও দেশে প্রতি লিটারে ১২ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮ টাকা। এ ছাড়া জানা গেছে, অকটেন ও পেট্রল থেকে বিপিসি সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার লিটারপ্রতি পাঁচ টাকা বাড়ানোর আগেই লাভ করে আসছিল। তবে অকটেন ও পেট্রল থেকে ঠিক কী পরিমাণ লাভ বিপিসি করছে- এ বিষয়ে পরিষ্কার কোনো তথ্য প্রতিষ্ঠানটি প্রকাশ করতে নারাজ।
আন্তর্জাতিক বাজারে গত চার বছরে পরিশোধিত তেলের পাশাপাশি অপরিশোধিত তেলের দাম কমেছে প্রায় ৮০ শতাংশ। এ কয়েক বছরে ১৫০ ডলার থেকে অপরিশোধিত তেলের দাম কমে বর্তমানে ৯২ ডলারে এসে ঠেকেছে।
জ্বালানি বিভাগ ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে জ্বালানি তেল আমদানি করা হয়েছে ৫৫ হাজার লাখ মেট্রিক টনের বেশি। এর মধ্যে পরিশোধিত প্রায় ৪৪ লাখ, আর অপরিশোধিত প্রায় ১১ লাখ টন। বিপিসির দেওয়া তথ্য মতে, পরিশোধিত ও অপরিশোধিত তেলের জন্য গত অর্থবছরে বিপিসির লোকসান গুনতে হয়েছে সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা।
তেলভিত্তিক কেন্দ্র বন্ধ থাকবে : শীতের শুরুতে বিদ্যুতের চাহিদা কমে যায়; বিদ্যুৎ উৎপাদনও কম করা হয়। এ কারণে তেলভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর বেশির ভাগই বন্ধ থাকে। বিশেষত রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের বেশির ভাগই বন্ধ রাখা হয় এ সময়। চলতি শীতেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। বর্তমানে গড়ে প্রতি ঘণ্টায় তিন হাজার ৫০০ থেকে তিন হাজার ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। এ পরিমাণ বিদ্যুতের গড়ে ৮২ থেকে ৮৫ শতাংশই উৎপাদন করা হচ্ছে গ্যাস দিয়ে। বাকি বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে কয়লা থেকে সাড়ে ৪-৫ শতাংশ, আর জলবিদ্যুৎ থেকে গড়ে ১ শতাংশ। বাকি ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে তেল দিয়ে।
পিডিবি তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো শীতে বন্ধ রাখবে। গ্রীষ্মে তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো আবার উৎপাদনে যাবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) তমাল চক্রবর্তী কালের কণ্ঠকে বলেন, এখন গড়ে ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ আসছে তেলভিত্তিক কেন্দ্র থেকে। কারণ এখন বিদ্যুতের চাহিদা কম। এ সময় গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকেই বেশি বিদ্যুৎ নেওয়া হয়। এসি, ফ্যান বন্ধসহ নানা কারণে শীতে চাহিদা কম থাকে। সামনে গ্রীষ্ম এলে চাহিদা বাড়বে। তখন মোট বিদ্যুতের ১৫ থেকে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ আসবে তেলভিত্তিক কেন্দ্র থেকে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এম শামসুল আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'বিপিসি সরকারকে ১৫ শতাংশ কর দেয়। আবার সরকার বলছে, আমি জ্বালানি তেলে ভর্তুকি দিচ্ছি। এ দুটি বিষয় পরস্পরবিরোধী। সরকার আসলে দাম বাড়িয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে।'
'যখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমছে তখন কেন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হলো'- এমন প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া বলেন, 'সরকার দীর্ঘদিন ধরেই ভর্তুকি দিচ্ছে জ্বালানি তেলে। দাম বাড়ার পরও ভর্তুকি দিতে হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ভর্তুকি দেওয়া আমাদের মতো দেশের পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ অধিক হারের এ ভর্তুকি বাজেটের ওপর চাপ বাড়ায়।'
No comments