পাখির সংসার বাঁচাতে ঢাকায় আইনি লড়াই by এম বদি-উজ-জামান
ব্যস্ত এ সময়ে একান্নবর্তী পরিবারগুলো অহরহ ভাঙছে। দিন যত গড়াচ্ছে নর-নারীর পরিণয়ের বন্ধন তত আলগা হচ্ছে। বিবাহ বিচ্ছেদ এখন ডালভাত। এমন অস্থির সময়ে এক জোড়া পাখির সংসারের মূল্য আর কতটুকু? কিন্তু, না।
একজন পাখি বিশেষজ্ঞের কাছে অন্তত এক পাখি দম্পতির সংসার অনেক মূল্যবান। আর তাই তো অতি মূল্যবান ও বিরল প্রজাতির এক জোড়া ব্লু-গোল্ড ম্যাকাওয়ের সংসার বাঁচাতে আইনি লড়াইয়ে নেমেছেন পাখি বিশেষজ্ঞ ও গবেষক ড. আবদুল ওয়াদুদ। ঘটনাটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার। ওই পাখিপ্রেমিকের আকুতি নাড়া দিয়েছে একজন বিচারককেও। তাই তো সংসার ভেঙে আলাদা করে নিয়ে যাওয়া পুরুষ পাখিটিকে ৯ জানুয়ারির মধ্যে ড. ওয়াদুদের কাছে ফেরত দিতে উত্তরার জনৈক ইকরাম সেলিমকে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। একই সঙ্গে ড. ওয়াদুদ ও ইকরাম সেলিমকে ১০ জানুয়ারি আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ড. আবদুল ওয়াদুদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'একটি পাখির ওপর আমার কোনো লোভ নেই। তবে আমি পাখিটির সংসার টিকিয়ে রাখতে চাই। দরকার হলে আমার কাছে থাকা স্ত্রী পাখিটি তিনি নিয়ে যেতে পারেন, তা না হলে আমাকে পুরুষ পাখিটি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আমি চাই, যেখানেই হোক পাখিটির দাম্পত্য জীবন অটুট থাকুক। কারণ জোড়া ভেঙে গেলে বিরল প্রজাতির দুটি পাখিই মারা যাবে।'
জানা গেছে, ব্লু-গোল্ড ম্যাকাও একটি বিরল প্রজাতির পাখি। একটি পাখির দাম দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। তবে জোড়া বাঁধা পাখির দাম আরো কয়েক গুণ। প্রাকৃতিক পরিবেশ ছাড়া এ পাখি পোষা কঠিন বিধায় এদের বাঁচিয়ে রাখার খরচও বেশি। মানুষের তৈরি খাঁচায় সংসার ভাঙা পাখির নতুন সংসার গড়তেও প্রয়োজন হয় লাখ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে আবদুল ওয়াদুদের দাবি, ব্লু-গোল্ড ম্যাকাও পাখির আবাসস্থল তৈরি করতে কমপক্ষে ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট প্রস্থের খাঁচা প্রয়োজন। সেখানে আমাজন অঞ্চলের মতো ছায়াঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হয়। এ রকম একজোড়া পাখির জন্য প্রতিদিন প্রায় হাজার টাকার খাবার দরকার।
যে পাখির জন্য আইনি লড়াই
পাখিপ্রেমিক আবদুল ওয়াদুদ হাতিরপুলে নিজের বাসায় একটি মিনি চিড়িয়াখানা গড়েছেন। সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখি প্রতিপালন করেন তিনি। এ রকম পরিবেশ দেখে উত্তরার মো. ইকরাম সেলিম ২০০৮ সালে তাঁর নিজের একটি ব্লু-গোল্ড ম্যাকাও প্রজাতির পুরুষ পাখি আবদুল ওয়াদুদকে উপহার দেন। পাখিটি পেয়ে তিনি এর বসবাসের পরিবেশসহায়ক খাঁচা (ঝর্ণাসহ) তৈরি করেন। এরপর পাখিটির জোড়া বানাতে কয়েক লাখ টাকা খরচ করে ব্রাজিল থেকে আনেন স্ত্রী প্রজাতির ব্লু-গোল্ড ম্যাকাও। আবদুল ওয়াদুদের দাবি, এ পাখির জোড়া বানানোর জন্য তিনি তিনবার তিনটি স্ত্রী পাখি আমদানি করেছেন। প্রথম দুটির সঙ্গে সংসার পাতেনি পুরুষটি। ওই স্ত্রী পাখি দুটিকে ঠুকিয়ে ঠুকিয়ে মেরে ফেলে সে। তৃতীয়টিকে পছন্দ করে ফেলে সে এবং ঘর বাঁধে। এ ম্যাকাও দম্পতি বাংলাদেশে প্রথম ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ডিম পাড়ার পর বাচ্চা ফোটায়। সেই থেকে তারা বাচ্চা দিয়ে আসছে। তবে কিছুদিন আগে হঠাৎ ইকরাম সেলিম তাঁর পাখি ফেরত নিতে হাজির হন আব্দুল ওয়াদুদের বাসায়। এ নিয়ে দেনদরবার চলে। এরপর পাখি ফেরত পেতে ১ জানুয়ারি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা ঠুকে দেন ইকরাম সেলিম। আদালতের আদেশ পেয়ে পুলিশসহ হাজির হয়ে পুরুষ পাখিটিকে গত ৩ জানুয়ারি নিয়ে যান ইকরাম সেলিম। এরপর থেকেই সংসার ভাঙা স্ত্রী পাখিটি খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়েছে বলে জানান আবদুল ওয়াদুদ। এ অবস্থায় উপায়ন্তর না দেখে আদালতে গতকাল আবেদন করেন তিনি। আদালত তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুরুষ পাখিটিকে স্ত্রী পাখির কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
ড. আবদুল ওয়াদুদ কালের কণ্ঠকে বলেন, 'একটি পাখির ওপর আমার কোনো লোভ নেই। তবে আমি পাখিটির সংসার টিকিয়ে রাখতে চাই। দরকার হলে আমার কাছে থাকা স্ত্রী পাখিটি তিনি নিয়ে যেতে পারেন, তা না হলে আমাকে পুরুষ পাখিটি ফিরিয়ে দেওয়া হোক। আমি চাই, যেখানেই হোক পাখিটির দাম্পত্য জীবন অটুট থাকুক। কারণ জোড়া ভেঙে গেলে বিরল প্রজাতির দুটি পাখিই মারা যাবে।'
জানা গেছে, ব্লু-গোল্ড ম্যাকাও একটি বিরল প্রজাতির পাখি। একটি পাখির দাম দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা। তবে জোড়া বাঁধা পাখির দাম আরো কয়েক গুণ। প্রাকৃতিক পরিবেশ ছাড়া এ পাখি পোষা কঠিন বিধায় এদের বাঁচিয়ে রাখার খরচও বেশি। মানুষের তৈরি খাঁচায় সংসার ভাঙা পাখির নতুন সংসার গড়তেও প্রয়োজন হয় লাখ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে আবদুল ওয়াদুদের দাবি, ব্লু-গোল্ড ম্যাকাও পাখির আবাসস্থল তৈরি করতে কমপক্ষে ৪০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২০ ফুট প্রস্থের খাঁচা প্রয়োজন। সেখানে আমাজন অঞ্চলের মতো ছায়াঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হয়। এ রকম একজোড়া পাখির জন্য প্রতিদিন প্রায় হাজার টাকার খাবার দরকার।
যে পাখির জন্য আইনি লড়াই
পাখিপ্রেমিক আবদুল ওয়াদুদ হাতিরপুলে নিজের বাসায় একটি মিনি চিড়িয়াখানা গড়েছেন। সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখি প্রতিপালন করেন তিনি। এ রকম পরিবেশ দেখে উত্তরার মো. ইকরাম সেলিম ২০০৮ সালে তাঁর নিজের একটি ব্লু-গোল্ড ম্যাকাও প্রজাতির পুরুষ পাখি আবদুল ওয়াদুদকে উপহার দেন। পাখিটি পেয়ে তিনি এর বসবাসের পরিবেশসহায়ক খাঁচা (ঝর্ণাসহ) তৈরি করেন। এরপর পাখিটির জোড়া বানাতে কয়েক লাখ টাকা খরচ করে ব্রাজিল থেকে আনেন স্ত্রী প্রজাতির ব্লু-গোল্ড ম্যাকাও। আবদুল ওয়াদুদের দাবি, এ পাখির জোড়া বানানোর জন্য তিনি তিনবার তিনটি স্ত্রী পাখি আমদানি করেছেন। প্রথম দুটির সঙ্গে সংসার পাতেনি পুরুষটি। ওই স্ত্রী পাখি দুটিকে ঠুকিয়ে ঠুকিয়ে মেরে ফেলে সে। তৃতীয়টিকে পছন্দ করে ফেলে সে এবং ঘর বাঁধে। এ ম্যাকাও দম্পতি বাংলাদেশে প্রথম ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ডিম পাড়ার পর বাচ্চা ফোটায়। সেই থেকে তারা বাচ্চা দিয়ে আসছে। তবে কিছুদিন আগে হঠাৎ ইকরাম সেলিম তাঁর পাখি ফেরত নিতে হাজির হন আব্দুল ওয়াদুদের বাসায়। এ নিয়ে দেনদরবার চলে। এরপর পাখি ফেরত পেতে ১ জানুয়ারি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা ঠুকে দেন ইকরাম সেলিম। আদালতের আদেশ পেয়ে পুলিশসহ হাজির হয়ে পুরুষ পাখিটিকে গত ৩ জানুয়ারি নিয়ে যান ইকরাম সেলিম। এরপর থেকেই সংসার ভাঙা স্ত্রী পাখিটি খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়েছে বলে জানান আবদুল ওয়াদুদ। এ অবস্থায় উপায়ন্তর না দেখে আদালতে গতকাল আবেদন করেন তিনি। আদালত তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুরুষ পাখিটিকে স্ত্রী পাখির কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
No comments