ভারতে রাষ্ট্রীয় কম্পানির প্রধান গ্রেপ্তার-ঘুষ দুর্নীতির অভিযোগ
দুর্নীতি ও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে ভারতের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত 'ন্যাশনাল অ্যালুমিনিয়াম কম্পানি লিমিটেড' (এনএএলসিও) প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শুক্রবার এনএএলসিও প্রধান অভয় কুমার শ্রীবাস্তব, তাঁর স্ত্রী চাঁদনি ও দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোতে (সিবিআই) আটক রাখা হয়েছে।
সিবিআইয়ের এক সূত্রে জানা যায়, শ্রীবাস্তব এবং তাঁর দুই সহযোগীর ফোনে আড়ি পেতে কথোপকথন রেকর্ড করা হয়। এসব কথোপকথনের পর সিবিআই তদন্ত শুরু করে। সিবিআইর প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় শ্রীবাস্তকে বরখাস্ত করে। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত শুক্রবার তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় এবং স্থানীয় একটি আদালতে হাজির করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালত আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন। যদিও শ্রীবাস্তব সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির নানা অভিযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে শ্রীবাস্তবের গ্রেপ্তার সরকারকে অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। উল্লেখ্য, এনএএলসিও এশিয়ার বৃহত্তম অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনকারী সংস্থা।
সিবিআইর তথ্য অনুযায়ী, মধ্য প্রদেশের এক ব্যবসায়ী গ্রুপের কাছ থেকে স্বর্ণ ও নগদ অর্থ নেন শ্রীবাস্তব। রাজধানী নয়াদিলি্লতে তাঁর ব্যাংক লকার থেকে ১০ কেজি সোনা ও ৩০ লাখ রুপি জব্দ করেছে সিবিআই। জব্দ করা স্বর্ণের মূল্য দুই কোটি ১৩ লাখ রুপি।
পিটিআই জানায়, আদালতে শ্রীবাস্তবের স্ত্রী দাবি করেছেন তাঁর স্বামী নির্দোষ। 'ব্যাংক লকার আমার নামে। আমি এটার পরিচালনা করি। এর সঙ্গে আমার স্বামীর কোনো লেনদেন নেই। তিনি নির্দোষ।' শ্রীবাস্তবও নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, 'এসবের কোনো কিছুর সঙ্গেই আমি যুক্ত নই।'
শ্রীবাস্তবের গ্রেপ্তার কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের জন্য বড় ধাক্কা। ২০০৮ সালে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে দরপত্র আহ্বান না করেই 'আগে আসলে আগে পাবে ভিত্তিতে' একটি মোবাইল ফোন কম্পানিকে টু-জি প্রযুক্তির লাইসেন্স দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠায় টেলিযোগাযোগমন্ত্রী এ রাজা পদত্যাগ করেছেন। এ ছাড়াও কমনওয়েথ গেমস নিয়ে রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ। সূত্র : পিটিআই, এএফপি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।
কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির নানা অভিযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে শ্রীবাস্তবের গ্রেপ্তার সরকারকে অস্বস্তিকর অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। উল্লেখ্য, এনএএলসিও এশিয়ার বৃহত্তম অ্যালুমিনিয়াম উৎপাদনকারী সংস্থা।
সিবিআইর তথ্য অনুযায়ী, মধ্য প্রদেশের এক ব্যবসায়ী গ্রুপের কাছ থেকে স্বর্ণ ও নগদ অর্থ নেন শ্রীবাস্তব। রাজধানী নয়াদিলি্লতে তাঁর ব্যাংক লকার থেকে ১০ কেজি সোনা ও ৩০ লাখ রুপি জব্দ করেছে সিবিআই। জব্দ করা স্বর্ণের মূল্য দুই কোটি ১৩ লাখ রুপি।
পিটিআই জানায়, আদালতে শ্রীবাস্তবের স্ত্রী দাবি করেছেন তাঁর স্বামী নির্দোষ। 'ব্যাংক লকার আমার নামে। আমি এটার পরিচালনা করি। এর সঙ্গে আমার স্বামীর কোনো লেনদেন নেই। তিনি নির্দোষ।' শ্রীবাস্তবও নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, 'এসবের কোনো কিছুর সঙ্গেই আমি যুক্ত নই।'
শ্রীবাস্তবের গ্রেপ্তার কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের জন্য বড় ধাক্কা। ২০০৮ সালে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে দরপত্র আহ্বান না করেই 'আগে আসলে আগে পাবে ভিত্তিতে' একটি মোবাইল ফোন কম্পানিকে টু-জি প্রযুক্তির লাইসেন্স দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠায় টেলিযোগাযোগমন্ত্রী এ রাজা পদত্যাগ করেছেন। এ ছাড়াও কমনওয়েথ গেমস নিয়ে রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ। সূত্র : পিটিআই, এএফপি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া।
No comments