সরকার কি খুনিদের রক্ষার চেষ্টা করছে?- বিশ্বজিৎ হত্যা মামলা
কোনো খুন বা হত্যার ঘটনা তদন্তে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিচারকাজে, বিশেষ করে এ ধরনের ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করার বিষয়টি নির্ভর করে ময়নাতদন্তের সঠিক প্রতিবেদনের ওপর।
আলোচিত বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এবং এতে তাঁর বাবা সংগত কারণে ছেলের হত্যাকাণ্ডের যথাযথ বিচার পাবেন কি না, সে ব্যাপারে সন্দিহান হয়ে পড়েছেন।
বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে, তা বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তাতে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে এ ধরনের প্রতিবেদনের কারণে মামলাটি অনেক দুর্বল হয়ে যেতে পারে, যা খুনিদের পক্ষে যাবে। বিশ্বজিতের বাবা অনন্ত চন্দ্র দাস শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করলেন যে হত্যাকারীদের বাঁচাতে তাঁর ছেলের লাশের ময়নাতদন্ত দুর্বল করে করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিশ্বজিৎকে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়েছে, কিন্তু ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে তার উল্লেখ নেই। তিনি ময়নাতদন্তের এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে নতুন ময়নাতদন্তের দাবি করেছেন।
বিশ্বজিৎকে কীভাবে তাড়া করে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তা লুকানো বিষয় নয়। বিভিন্ন পত্রিকা ও গণমাধ্যমে এর ছবি ও ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। এখন দুর্বল একটি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের কারণে যদি মামলাটি দুর্বল হয়ে যায় এবং খুনের সঙ্গে জড়িতরা যদি এতে পার পাওয়ার সুযোগ পায়, তবে এই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। বিশ্বজিতের বাবা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও নতুন করে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তৈরির যে দাবি করেছেন, তাকে যৌক্তিক হিসেবেই মানতে হচ্ছে।
বিশ্বজিতের হত্যাকারী হিসেবে বিভিন্নভাবে এ পর্যন্ত যাঁরা চিহ্নিত হয়েছেন, তাঁরা সরকারি দলের ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে জড়িত। সরকারের আচরণেও শুরুতে তাঁদের বাঁচানোর চেষ্টা লক্ষণীয় ছিল। ময়নাতদন্তের দুর্বল ও প্রশ্নবিদ্ধ প্রতিবেদনটিকে তাই ছাত্রলীগের এই নেতা-কর্মীদের বাঁচানোর চেষ্টা হিসেবে ধরে নেওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ক্ষমতাসীন দল যদি আলোচিত ও পুরো দেশকে নাড়া দেওয়া বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বাঁচানোর চেষ্টা করে, তবে তা একটি কলঙ্কময় বিষয় হিসেবেই দেশবাসীর কাছে বিবেচিত হবে। কয়েকজন খুনিকে বাঁচাতে গিয়ে সরকার এই কলঙ্কের দায় নেবে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
আমরা বিশ্বজিৎ হত্যাকারীদের দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে চাই। এ জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু সরকারকেই করতে হবে। দুর্বল ও প্রশ্নবিদ্ধ ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন বা দুর্বল এজাহার—এসব কিছুর দায় সরকারকে নিতে হবে। আর এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যেহেতু ছাত্রলীগের কর্মীদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তাই সরকারের এটা প্রমাণ করা জরুরি যে, নিজেদের লোক বলে এই খুনিদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। বিশ্বজিৎকে তাঁর বাবা-মা আর ফিরে পাবেন না। এখন সন্তানের হত্যার বিচার পাওয়ার অধিকার থেকেও কি তাঁদের বঞ্চিত করা হবে?
বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে, তা বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তাতে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে এ ধরনের প্রতিবেদনের কারণে মামলাটি অনেক দুর্বল হয়ে যেতে পারে, যা খুনিদের পক্ষে যাবে। বিশ্বজিতের বাবা অনন্ত চন্দ্র দাস শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করলেন যে হত্যাকারীদের বাঁচাতে তাঁর ছেলের লাশের ময়নাতদন্ত দুর্বল করে করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, বিশ্বজিৎকে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়েছে, কিন্তু ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে তার উল্লেখ নেই। তিনি ময়নাতদন্তের এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে নতুন ময়নাতদন্তের দাবি করেছেন।
বিশ্বজিৎকে কীভাবে তাড়া করে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, তা লুকানো বিষয় নয়। বিভিন্ন পত্রিকা ও গণমাধ্যমে এর ছবি ও ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। এখন দুর্বল একটি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের কারণে যদি মামলাটি দুর্বল হয়ে যায় এবং খুনের সঙ্গে জড়িতরা যদি এতে পার পাওয়ার সুযোগ পায়, তবে এই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। বিশ্বজিতের বাবা সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ ও নতুন করে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তৈরির যে দাবি করেছেন, তাকে যৌক্তিক হিসেবেই মানতে হচ্ছে।
বিশ্বজিতের হত্যাকারী হিসেবে বিভিন্নভাবে এ পর্যন্ত যাঁরা চিহ্নিত হয়েছেন, তাঁরা সরকারি দলের ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে জড়িত। সরকারের আচরণেও শুরুতে তাঁদের বাঁচানোর চেষ্টা লক্ষণীয় ছিল। ময়নাতদন্তের দুর্বল ও প্রশ্নবিদ্ধ প্রতিবেদনটিকে তাই ছাত্রলীগের এই নেতা-কর্মীদের বাঁচানোর চেষ্টা হিসেবে ধরে নেওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ক্ষমতাসীন দল যদি আলোচিত ও পুরো দেশকে নাড়া দেওয়া বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বাঁচানোর চেষ্টা করে, তবে তা একটি কলঙ্কময় বিষয় হিসেবেই দেশবাসীর কাছে বিবেচিত হবে। কয়েকজন খুনিকে বাঁচাতে গিয়ে সরকার এই কলঙ্কের দায় নেবে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
আমরা বিশ্বজিৎ হত্যাকারীদের দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে চাই। এ জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু সরকারকেই করতে হবে। দুর্বল ও প্রশ্নবিদ্ধ ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন বা দুর্বল এজাহার—এসব কিছুর দায় সরকারকে নিতে হবে। আর এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যেহেতু ছাত্রলীগের কর্মীদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে, তাই সরকারের এটা প্রমাণ করা জরুরি যে, নিজেদের লোক বলে এই খুনিদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। বিশ্বজিৎকে তাঁর বাবা-মা আর ফিরে পাবেন না। এখন সন্তানের হত্যার বিচার পাওয়ার অধিকার থেকেও কি তাঁদের বঞ্চিত করা হবে?
No comments