দায়মুক্তি আইনের শাসনের জন্য মারাত্মক হুমকি- টাকার বিনিময়ে মামলা প্রত্যাহার!
বিরোধী দলের নেতার কথায় ‘দুই দলের মধ্যে তলে তলে সংলাপ’ না হলেও তলে তলে সন্ত্রাসীদের কারামুক্তির ব্যাপারে ঐকমত্য লক্ষ করা যাচ্ছে। গতকাল প্রথম আলোর খবর অনুযায়ী, ১৯৯৬ সালের ১৬ এপ্রিল রাজধানীর কচুক্ষেতে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হন ছাত্রদলের ক্যান্টনমেন্ট থানা শাখার যুগ্ম সম্পাদক আতিকুর রহমান।
চারদলীয় জোট সরকার তাঁকে দায়মুক্তি দিতে না পারলেও বর্তমান সরকারের আমলে তিনি সে সুবিধা নিয়ে এখন বিদেশে অবস্থান করছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের সুপারিশক্রমে ২০১০ সালের ১৫ এপ্রিল হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার-সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি তাঁর বিরুদ্ধে আনীত মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রায় দুই বছর পর ক্যান্টনমেন্ট থানার আওয়ামী লীগের এক নেতা সেই মামলা প্রত্যাহারের আদেশ বাতিল করার আবেদন জানিয়ে বলেছেন, আতিকুর আওয়ামী লীগের কেউ নন। একটি স্বার্থান্বেষী চক্র মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছিল।
এ রকম ঘটনা কেবল আতিকুরের বেলায়ই ঘটেনি। মোট সাত হাজার ১০১টি মামলা আংশিক বা পুরো প্রত্যাহারের নামে যে এক লাখ অভিযুক্তকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তাঁদের বেশির ভাগের বিরুদ্ধে হত্যা, সন্ত্রাসসহ গুরুতর অপরাধের অভিযোগ ছিল। এ ব্যাপারে কমিটির সভাপতি ও আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ‘কখন কার মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করি মনে থাকে না’ বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা অগ্রহণযোগ্য। কমিটির সভাপতি হিসেবে যাঁদের মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে, তাঁদের সবার দায়িত্ব তাঁকেই নিতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আতিকুরের মামলা পুনরায় চালু করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা কোনো সুফল দেবে না। কেননা, তিনি অনেক আগেই বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।
এভাবে রাজনৈতিক মামলার নামে যদি ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের আশ্রয়পুষ্ট সন্ত্রাসীরা জেলখানা থেকে বেরিয়ে যায় বা দায়মুক্তি পায়—তাহলে আইন-আদালতের প্রয়োজনই বা কী? দায়মুক্তির সংস্কৃতি আইনের শাসনের জন্য মারাত্মক হুমকি। উৎকোচের বিনিময়ে কিংবা রাজনৈতিক কারণে মামলা প্রত্যাহার অবিলম্বে বন্ধ করুন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা যদি এতই সাধু-সজ্জন হয়ে থাকেন, তাহলে তাঁদের বিচারিক-প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে ভয় কেন?
এ রকম ঘটনা কেবল আতিকুরের বেলায়ই ঘটেনি। মোট সাত হাজার ১০১টি মামলা আংশিক বা পুরো প্রত্যাহারের নামে যে এক লাখ অভিযুক্তকে দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তাঁদের বেশির ভাগের বিরুদ্ধে হত্যা, সন্ত্রাসসহ গুরুতর অপরাধের অভিযোগ ছিল। এ ব্যাপারে কমিটির সভাপতি ও আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ‘কখন কার মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করি মনে থাকে না’ বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা অগ্রহণযোগ্য। কমিটির সভাপতি হিসেবে যাঁদের মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে, তাঁদের সবার দায়িত্ব তাঁকেই নিতে হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আতিকুরের মামলা পুনরায় চালু করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা কোনো সুফল দেবে না। কেননা, তিনি অনেক আগেই বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন।
এভাবে রাজনৈতিক মামলার নামে যদি ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের আশ্রয়পুষ্ট সন্ত্রাসীরা জেলখানা থেকে বেরিয়ে যায় বা দায়মুক্তি পায়—তাহলে আইন-আদালতের প্রয়োজনই বা কী? দায়মুক্তির সংস্কৃতি আইনের শাসনের জন্য মারাত্মক হুমকি। উৎকোচের বিনিময়ে কিংবা রাজনৈতিক কারণে মামলা প্রত্যাহার অবিলম্বে বন্ধ করুন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা যদি এতই সাধু-সজ্জন হয়ে থাকেন, তাহলে তাঁদের বিচারিক-প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে ভয় কেন?
No comments