মেক্সিকোয় বরফ যুগের প্রাণীর- হাড়গোড়ের সন্ধান
মেক্সিকোয় সম্প্রতি বরফ যুগের বিভিন্ন প্রাণীর শতাধিক হাড়ের সন্ধান পাওয়া গেছে। রাজধানী মেক্সিকো সিটির উত্তরাঞ্চলের একটি এলাকার মাটির নিচ থেকে শ্রমিকরা এসব হাড় উদ্ধার করেন। এদের মধ্যে প্লাইস্টোসিন যুগের মানুষের দাঁতও রয়েছে।
মেক্সিকোর জাতীয় প্রত্নতত্ত্ব ও ইতিহাসবিষয়ক প্রতিষ্ঠান গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, ভূ-গর্ভের ৬৫ ফুট গভীর থেকে উদ্ধার করা প্রাণীর শরীরের হাড়ের মধ্যে রয়েছে দাঁত, মাথার খুলি, শিং, পাজর ও মেরুদণ্ডের হাড় এবং খোলস। এগুলো ১০ থেকে ১২ হাজার বছর আগের। অর্থাৎ প্লাইস্টোসিন যুগের শেষ পর্যায়ের। খ্রিস্টপূর্ব ২৫ লাখ ৮৮ হাজার সাল থেকে মোটামুটি ১১ হাজার ৭০০ সাল পর্যন্ত সময়কে প্লাইস্টোসিন যুগ ধরা হয়। তবে কিছু হাড় কোন প্রাণীর তা এখনো শনাক্ত করা যায়নি। এসব হাড়ের পরিচয় শনাক্ত করার জন্য প্রত্নতত্ত্ববিদরা গত পাঁচ মাস কাজ করছেন। প্রতিষ্ঠানটি আরো জানায়, দূষিত পানির শোধনাগার কেন্দ্র নির্মাণে মাটি খননের কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। এ সময় মাটির নিচ থেকে এসব হাড় বেরিয়ে আসে। প্রত্নতত্ত্ববিদদের মতে, এসব হাড় ম্যামথ (অধুনালুপ্ত লোমশ হাতি), উট, ঘোড়া, হরিণ, মাসটোডোন, আরমাডিলো ও গ্লিটোডন প্রজাতির প্রাণীর।
প্রত্নতত্ত্ববিদ অ্যালিসিয়া বনফিল অলিভেরা বলেন, 'মেক্সিকো অববাহিকায় একসঙ্গে বিশাল পরিমাণে অধুনালুপ্ত প্রাণিজগতের ফসিল পাওয়ার এটা বড় ঘটনা।' প্রাণীর হাড়গোড়ের সঙ্গে ওই সময়কার মানুষের দাঁত পাওয়ার বিষয়টিও প্রত্নতত্ত্ববিদরা নিশ্চিত করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'মানুষের দাঁত পাওয়া কোনো আশ্চর্যজনক ঘটনা নয়। কারণ প্লাইস্টোসিন যুগের শেষ দিকে মেক্সিকো অঞ্চলে মানুষ বাস করত। এটা তারই প্রমাণ।' সূত্র : টেলিগ্রাফ।
প্রত্নতত্ত্ববিদ অ্যালিসিয়া বনফিল অলিভেরা বলেন, 'মেক্সিকো অববাহিকায় একসঙ্গে বিশাল পরিমাণে অধুনালুপ্ত প্রাণিজগতের ফসিল পাওয়ার এটা বড় ঘটনা।' প্রাণীর হাড়গোড়ের সঙ্গে ওই সময়কার মানুষের দাঁত পাওয়ার বিষয়টিও প্রত্নতত্ত্ববিদরা নিশ্চিত করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'মানুষের দাঁত পাওয়া কোনো আশ্চর্যজনক ঘটনা নয়। কারণ প্লাইস্টোসিন যুগের শেষ দিকে মেক্সিকো অঞ্চলে মানুষ বাস করত। এটা তারই প্রমাণ।' সূত্র : টেলিগ্রাফ।
No comments