পবিত্র কোরআনের আলো-মহাসত্য কোরআনের চ্যালেঞ্জের কোনো জবাব নেই
২১. ইয়া-আইয়্যুহান নাছু'বুদূ-রব্বাকুমুল্লাজি খালাক্বাকুম ওয়াল্লাজিনা মিন ক্বাবলিকুম লাআল্লাকুম তাত্তাকূন।
২২. আল্লাজি জায়ালা লাকুমুল আরদ্বা ফিরাশাওঁ ওয়াছ্ ছামা-আ বিনাআঁও ওয়া আনজালা মিনাছ্ ছামায়ি মাআন ফাআখরাজা বিহি মিনাস্ সামারাতি রিজক্বাল লাকুম; ফালা তাজআলু লিল্লাহি আনদা-দাঁও ওয়া আনতুম তা'লামুন।
২২. আল্লাজি জায়ালা লাকুমুল আরদ্বা ফিরাশাওঁ ওয়াছ্ ছামা-আ বিনাআঁও ওয়া আনজালা মিনাছ্ ছামায়ি মাআন ফাআখরাজা বিহি মিনাস্ সামারাতি রিজক্বাল লাকুম; ফালা তাজআলু লিল্লাহি আনদা-দাঁও ওয়া আনতুম তা'লামুন।
২৩. ওয়া ইন কুনতুম ফি রাইবিম্ মিম্মা নায্যালনা আলা 'আবদিনা ফা'তু-বিছূরাতিম মিম মিছলিহি; ওয়াদউ শুহাদা-আকুম মিন দুনিল্লাহি ইন কুনতুম সাদিক্বীন।
২৪. ফাইঁল্লাম তাফআলু ওয়ালান তাফআলু ফাত্তাকুন্ না-রাল্লাতি ওয়াকূদুহান্নাছু ওয়াল হিজারাতু; উইদ্দাত লিল কাফিরিন।
অনুবাদ : ২১. হে মানুষ, তোমরা সেই মহান প্রভুর আনুগত্য স্বীকার করো, যিনি তোমাদের ও তোমাদের আগে যারা ছিল তাদের সবাইকে সৃষ্টি করেছেন, আশা করা যায়, তোমরা দায়িত্বনিষ্ঠ হয়ে চলবে।
২২. তিনিই সেই মহান সত্তা, যিনি জমিনকে তোমাদের জন্য শয্যা বানালেন, আকাশকে বানালেন ছাদ এবং আকাশ থেকে পানি বর্ষিত করেন; এর মাধ্যমে তিনি নানা রকম ফলমূল উৎপাদন করে তোমাদের জীবিকার ব্যবস্থা করলেন। অতঃপর তোমরা জেনে-বুঝে আল্লাহর সঙ্গে শরিক করবে না।
২৩. আমি আমার বান্দার (হজরত মুহাম্মদ সা.)-এর ওপর যে কিতাব নাজিল করেছি, অর্থাৎ আল-কোরআন; এর সত্যতার ব্যাপারে তোমাদের যদি কোনো সন্দেহ থাকে তবে যাও, এর অনুরূপ একটি সুরা তোমরা রচনা করে নিয়ে এসো। এ কাজে তোমাদের বন্ধুদের ডাকো, আল্লাহ ছাড়া- যদি তোমাদের দাবিতে সত্যবাদী হয়ে থাক।
২৪. যদি না পার, আমি নিশ্চিতভাবে জানি, তোমরা তা পারবে না, তবে সতর্ক হও দোজখের আগুন সম্পর্কে। এর ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর, অবাধ্যদের জন্য তা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।
ব্যাখ্যা : এই চারটি আয়াতের শুরুতে আহ্বান জানানো হয়েছে, মানুষ তথা সমগ্র মানবজাতিকে। তবে এই আয়াতগুলো বিশেষভাবে মক্কার বিপথগামী দাম্ভিক কোরাইশ সম্প্রদায়কে উপলক্ষ করে নাজিল হয়েছে। তাদের চৈতন্যের উদয় ঘটানোর জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা মানুষের জীবন ও জগতের ওপর তাঁর অন্যান্য সৃষ্টির প্রভাব কিঞ্চিৎ বর্ণনা করেছেন। মানুষকে ইতিহাসের দিকে তাকানোরও ইঙ্গিত দিয়েছেন। এরপর এসেছে পবিত্র কোরআনকে আল্লাহ কর্তৃক নাজিলকৃত গ্রন্থ হিসেবে মেনে নিতে যারা অস্বীকার করছে, তাদের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ। পবিত্র কোরআন যে যুগে নাজিল হয়েছে, সে যুগে আরবরা সাহিত্যচর্চায় যথেষ্ট অগ্রসর ছিল। অনেক কবি-সাহিত্যিক ছিল আরবি ভাষায়। তাঁরা নিজেদের মধ্যে কাব্য ও সাহিত্যের প্রতিযোগিতা করত। কবি-সাহিত্যিকরা নিজেদের যথেষ্ট পারঙ্গম বলে মনে করত এবং আসলেই সে যুগে বিশ্বমানের কবি-সাহিত্যিক আরবে ছিল। ২৩ ও ২৪ নম্বর আয়াতের মাধ্যমে দাম্ভিক আরববাসীকে এ মর্মে চ্যালেঞ্জ জানানো হয় যে তারা একটি সুরা বা সামান্য রচনা নিয়ে আসুক- যা পবিত্র কোরআনের কোনো অংশের সঙ্গে তুলনা করা যায়। অবিশ্বাসী কোরাইশরা এ চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে ব্যর্থ হয়। তাদের কবি-সাহিত্যিকরা কোরআনের একটি সুরা নয়, একটি আয়াতের সমপরিমাণ রচনা নিয়ে এসে প্রতিযোগিতা করারও সাহস পায়নি। ওই আয়াতগুলোর মাধ্যমে অবিশ্বাসীদের তাদের ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতে সচেতন হয়ে সত্য অনুসন্ধানের পথে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় তাদের জন্য যে কঠিন শাস্তি রয়েছে, তা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
২৪. ফাইঁল্লাম তাফআলু ওয়ালান তাফআলু ফাত্তাকুন্ না-রাল্লাতি ওয়াকূদুহান্নাছু ওয়াল হিজারাতু; উইদ্দাত লিল কাফিরিন।
অনুবাদ : ২১. হে মানুষ, তোমরা সেই মহান প্রভুর আনুগত্য স্বীকার করো, যিনি তোমাদের ও তোমাদের আগে যারা ছিল তাদের সবাইকে সৃষ্টি করেছেন, আশা করা যায়, তোমরা দায়িত্বনিষ্ঠ হয়ে চলবে।
২২. তিনিই সেই মহান সত্তা, যিনি জমিনকে তোমাদের জন্য শয্যা বানালেন, আকাশকে বানালেন ছাদ এবং আকাশ থেকে পানি বর্ষিত করেন; এর মাধ্যমে তিনি নানা রকম ফলমূল উৎপাদন করে তোমাদের জীবিকার ব্যবস্থা করলেন। অতঃপর তোমরা জেনে-বুঝে আল্লাহর সঙ্গে শরিক করবে না।
২৩. আমি আমার বান্দার (হজরত মুহাম্মদ সা.)-এর ওপর যে কিতাব নাজিল করেছি, অর্থাৎ আল-কোরআন; এর সত্যতার ব্যাপারে তোমাদের যদি কোনো সন্দেহ থাকে তবে যাও, এর অনুরূপ একটি সুরা তোমরা রচনা করে নিয়ে এসো। এ কাজে তোমাদের বন্ধুদের ডাকো, আল্লাহ ছাড়া- যদি তোমাদের দাবিতে সত্যবাদী হয়ে থাক।
২৪. যদি না পার, আমি নিশ্চিতভাবে জানি, তোমরা তা পারবে না, তবে সতর্ক হও দোজখের আগুন সম্পর্কে। এর ইন্ধন হবে মানুষ ও পাথর, অবাধ্যদের জন্য তা প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।
ব্যাখ্যা : এই চারটি আয়াতের শুরুতে আহ্বান জানানো হয়েছে, মানুষ তথা সমগ্র মানবজাতিকে। তবে এই আয়াতগুলো বিশেষভাবে মক্কার বিপথগামী দাম্ভিক কোরাইশ সম্প্রদায়কে উপলক্ষ করে নাজিল হয়েছে। তাদের চৈতন্যের উদয় ঘটানোর জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা মানুষের জীবন ও জগতের ওপর তাঁর অন্যান্য সৃষ্টির প্রভাব কিঞ্চিৎ বর্ণনা করেছেন। মানুষকে ইতিহাসের দিকে তাকানোরও ইঙ্গিত দিয়েছেন। এরপর এসেছে পবিত্র কোরআনকে আল্লাহ কর্তৃক নাজিলকৃত গ্রন্থ হিসেবে মেনে নিতে যারা অস্বীকার করছে, তাদের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ। পবিত্র কোরআন যে যুগে নাজিল হয়েছে, সে যুগে আরবরা সাহিত্যচর্চায় যথেষ্ট অগ্রসর ছিল। অনেক কবি-সাহিত্যিক ছিল আরবি ভাষায়। তাঁরা নিজেদের মধ্যে কাব্য ও সাহিত্যের প্রতিযোগিতা করত। কবি-সাহিত্যিকরা নিজেদের যথেষ্ট পারঙ্গম বলে মনে করত এবং আসলেই সে যুগে বিশ্বমানের কবি-সাহিত্যিক আরবে ছিল। ২৩ ও ২৪ নম্বর আয়াতের মাধ্যমে দাম্ভিক আরববাসীকে এ মর্মে চ্যালেঞ্জ জানানো হয় যে তারা একটি সুরা বা সামান্য রচনা নিয়ে আসুক- যা পবিত্র কোরআনের কোনো অংশের সঙ্গে তুলনা করা যায়। অবিশ্বাসী কোরাইশরা এ চ্যালেঞ্জের জবাব দিতে ব্যর্থ হয়। তাদের কবি-সাহিত্যিকরা কোরআনের একটি সুরা নয়, একটি আয়াতের সমপরিমাণ রচনা নিয়ে এসে প্রতিযোগিতা করারও সাহস পায়নি। ওই আয়াতগুলোর মাধ্যমে অবিশ্বাসীদের তাদের ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতে সচেতন হয়ে সত্য অনুসন্ধানের পথে ফিরে আসার আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় তাদের জন্য যে কঠিন শাস্তি রয়েছে, তা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments