রাম সিংয়ের স্বীকারোক্তি-চিনে ফেলার ভয়েই তরুণীকে হত্যার চেষ্টা করি
নয়াদিল্লিতে চলন্ত বাসে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে গতকাল সোমবার আবারও দিল্লির মহানগর হাকিমের আদালতে হাজির করা হয়। গতকালই এ মামলাটি দ্রুত বিচার আদালতে পাঠানোর কথা ছিল। তবে গতকাল সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।
এদিকে অভিযুক্ত পাঁচজনের অন্যতম বাসচালক রাম সিং পুলিশকে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে বলেছেন, ধর্ষণের পর ২৩ বছর বয়সী ওই তরুণী পরবর্তী সময়ে তাদের চিনে ফেলতে পারেন_এমন আশঙ্কা থেকেই হত্যার চেষ্টা চালায় তারা।
১৬ ডিসেম্বরের ওই গণধর্ষণের ঘটনার ১৩ দিন পর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়েটির মৃত্যু হয়। এই ঘটনা ভারতজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
রাম সিং স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছেন, ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কোনো নারীকে অপহরণ করে ধর্ষণের মতলব করেই রাস্তায় বাস নিয়ে বের হয়েছিল তারা। 'মজা' করাই ছিল উদ্দেশ্য। তবে ওই তরুণীকে নির্যাতনের পর তাদের মধ্যে ভয় কাজ করতে শুরু করে। রাম সিং বলেন, 'মেয়েটি বেঁচে গেলে পরে আমাদের চিনে ফেলবে। তখনই ওকে হত্যার চেষ্টা শুরু করি আমরা।' এক সময় মেয়েটি জ্ঞান হারান। মারা গেছে মনে করে তাঁকে এবং তাঁর সঙ্গীকে বাস থেকে ফেলে দেয় রাম সিং ও তার সহযোগীরা। তারা ধরে নিয়েছিল, দুজনেই গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে গেছে। পরে ওই তরুণী ও তাঁর সঙ্গীর কাপড় দিয়েই বাসের রক্ত পরিষ্কার করে তারা। কাজ শেষ হয়ে গেলে কাপড়গুলো পুড়িয়ে ফেলে।
তবে রাম সিংয়ের আইনজীবী এ কে আনন্দ জানান, পুলিশকে দেওয়া এই স্বীকারোক্তি আইনের দৃষ্টিতে খুব গুরুত্ব পাবে না। এর আগেও আসামি পক্ষের এক আইনজীবী দাবি করেন, প্রচণ্ড নির্যাতনের মাধ্যমে তার মক্কেলদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে।
পঞ্চায়েত মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে পারে না : ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গতকাল জানিয়েছেন, কোনো খাপ পঞ্চায়েত নারীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে নিষেধ বা পোশাক পরার রীতি-নীতি সম্পর্কে বিধিনিষেধ জারি করতে পারে না। তারা এমন সিদ্ধান্ত নিলে তা হবে আইনের লঙ্ঘন ও অপরাধ। সূত্র : টেলিগ্রাফ, জিনিউজ।
১৬ ডিসেম্বরের ওই গণধর্ষণের ঘটনার ১৩ দিন পর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেয়েটির মৃত্যু হয়। এই ঘটনা ভারতজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
রাম সিং স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছেন, ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কোনো নারীকে অপহরণ করে ধর্ষণের মতলব করেই রাস্তায় বাস নিয়ে বের হয়েছিল তারা। 'মজা' করাই ছিল উদ্দেশ্য। তবে ওই তরুণীকে নির্যাতনের পর তাদের মধ্যে ভয় কাজ করতে শুরু করে। রাম সিং বলেন, 'মেয়েটি বেঁচে গেলে পরে আমাদের চিনে ফেলবে। তখনই ওকে হত্যার চেষ্টা শুরু করি আমরা।' এক সময় মেয়েটি জ্ঞান হারান। মারা গেছে মনে করে তাঁকে এবং তাঁর সঙ্গীকে বাস থেকে ফেলে দেয় রাম সিং ও তার সহযোগীরা। তারা ধরে নিয়েছিল, দুজনেই গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে গেছে। পরে ওই তরুণী ও তাঁর সঙ্গীর কাপড় দিয়েই বাসের রক্ত পরিষ্কার করে তারা। কাজ শেষ হয়ে গেলে কাপড়গুলো পুড়িয়ে ফেলে।
তবে রাম সিংয়ের আইনজীবী এ কে আনন্দ জানান, পুলিশকে দেওয়া এই স্বীকারোক্তি আইনের দৃষ্টিতে খুব গুরুত্ব পাবে না। এর আগেও আসামি পক্ষের এক আইনজীবী দাবি করেন, প্রচণ্ড নির্যাতনের মাধ্যমে তার মক্কেলদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে।
পঞ্চায়েত মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে পারে না : ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গতকাল জানিয়েছেন, কোনো খাপ পঞ্চায়েত নারীদের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে নিষেধ বা পোশাক পরার রীতি-নীতি সম্পর্কে বিধিনিষেধ জারি করতে পারে না। তারা এমন সিদ্ধান্ত নিলে তা হবে আইনের লঙ্ঘন ও অপরাধ। সূত্র : টেলিগ্রাফ, জিনিউজ।
No comments